![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার এক বন্ধু সেদিন আমাকে বললো, “তোমার কি সন্ধ্যায় সময় হবে একটা শার্ট কিনতে যাব”। আমি বললাম, “চল যাই”। আমি কেনাকাটার বিষয়ে একেবারেই দক্ষ নই তবু বন্ধুকে সময় দিলাম। আমরা প্রথমে যে দোকানে গেলাম ওখানে শুধু পুরুষের পোশাক পাওয়া যায়। দোকানের নামটা বেশ মজার। ইংরেজি নাম, বাংলা করলে হয় 'বিড়ালের চোখ'। আমার বোধগম্য হল না একটা পোশাকের দোকানের নাম কেন এমন। অবশ্য এরকম হওয়াতে কোনো ক্ষতি নেই আর সব কিছু আমার বোধগম্য হতেই হবে তাও নয়। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঝকঝকে আলোকোজ্জ্বল দোকানে ঢুকে সব শার্ট আমার পছন্দ হয়ে গেল, আমি কিনব না বলেই হয়তো! এই দোকানগুলোয় একটা সুবিধা আছে, পোশাকের সংগে দাম লেখা থাকে (ভ্যাট সহ)। কোনো কিছুর দাম জিজ্ঞেস করতে আমার একটু লজ্জা করে বিশেষত যদি জিনিসটা না কিনতে যাই। যাই হোক আমার বন্ধুর কিন্তু শার্ট পছন্দ হলো না। সে একটা শার্ট দেখিয়ে বলে এটা কেমন? আমি বলি খুব সুন্দর, তোমাকে খুব মানাবে। আর একটা দেখিয়ে বলে, ‘এটা’? আমি বলি আগেরটা থেকে সুন্দর, এটা বোধহয় শুধু তোমার জন্য বানিয়েছে! হা হা হা টোটাল কনফিউজড! আমি জানি ওর নিজের যেটা পছন্দ হবে সেইটাই কিনবে, আমাকে দিয়ে একটু জনমত যাচাই করছে, আর আমিও একটু মজা করে নিচ্ছি আর কি!
আমরা গেলাম অন্য দোকানে। দোকানে ঢুকতে দ্বিধা হচ্ছিল। কারণটা দোকানের নাম। এটাও ইংরেজি নাম, বাংলা করলে হয় 'ধনী লোক'। বন্ধু কে বললাম, ‘তুমি ভেতরে যাও আমি বাইরে দাঁড়াই’, ও বললো, ‘কেন’? একটু মজা করে বললাম আমি 'গরীবলোক'! অনেক দেখে, পরে একটা শার্ট পছন্দ করলো। দাম মাত্র (!) ২৭০০ টাকা (ভ্যাট সহ)। আমাকে বললো শার্ট টা কেমন হলো? আমি বললাম অসাধারণ। বন্ধু খুশি মনে বাসায় গেল। আমি বাসায় ফিরছি, মাথায় শার্টের দামটা ঘুরছে, একটা শার্ট বিক্রি হল ২৭০০ টাকায় অথচ এরকম অনেক অনেক শার্ট দিন রাত খেটে বানাচ্ছে যে মানুষটা সে কি তার সারা মাসের মজুরি হিসেবে ২৭০০×২=৫৪০০ টাকা পায়? যখন আমরা পছন্দের কাপড় কিনে তৃপ্তি নিয়ে ঘরে ফিরছি ঠিক তখনই এই কাপড়ের কারিগর পুলিশের লাথি খাচ্ছে তার প্রাপ্য মজুরির জন্য!
# লেখাটি ইতোপূর্বে আরেকটি অনলাইন ফোরামে প্রকাশিত হয়েছিল।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০
এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: মৌলিক প্রয়োজন আর ফুটানী গুলিয়ে ফেললে হবে?
২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনাকে অনেক দিন পর দেখলাম মনে হয় !
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫০
এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: মনে হয় মাঝে কিছু দিন ছিলাম না।
৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৭
প্রামানিক বলেছেন: আমি বাসায় ফিরছি, মাথায় শার্টের দামটা ঘুরছে, একটা শার্ট বিক্রি হল ২৭০০ টাকায় অথচ এরকম অনেক অনেক শার্ট দিন রাত খেটে বানাচ্ছে যে মানুষটা সে কি তার সারা মাসের মজুরি হিসেবে ২৭০০×২=৫৪০০ টাকা পায়? যখন আমরা পছন্দের কাপড় কিনে তৃপ্তি নিয়ে ঘরে ফিরছি ঠিক তখনই এই কাপড়ের কারিগর পুলিশের লাথি খাচ্ছে তার প্রাপ্য মজুরির জন্য!
লেখাটায় বাস্তবতা আছে। ধন্যবাদ
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৭
এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: আসলে আমাদের প্রয়োজনের যদি একটা সীমারেখা থাকতো তো অনেকেই তাদের মৌলিক চাহিদা টুকু থেকে বঞ্চিত হতো না।
৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:০৬
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আসলেই লুটছে...........
৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:২০
গোধুলী রঙ বলেছেন: না আমি আসলে পোস্টের টোন ধরে বলতে চাইছিলাম, ৩০টাকা কেজি মোটা চাইল দিয়াই প্রয়োজন মিটাই তাহলে। ৫০ টাকার চাইল আর সেই চাইলের ধানের বস্তার দাম ৫০০-৬০০, এরাও সহজ সরল কৃষকদের লুটছে, যেমন লুটছে ধনী লোক, বিড়ালের চোখ এই সব দেশি ফ্যাশন হাউস গুলো।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৬
এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: উৎপাদন শ্রমিক, উৎপাদক, মধ্যস্বত্ব ভোগী এবং ভোক্তার মধ্যে বেষম্য অনেক বেশি।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৮
এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: বৈষম্য
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০২
গোধুলী রঙ বলেছেন: ৫০ টাকা কেজি চাল কেনা বাদ দিতে হবে তাহলে, কারন এই ৫০ টাকার ২০ টাকাও কৃষক পায় না।