![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মতলববাজি খতম করি বিবেকদন্ড বহাল করি
হে কলমওয়ালা ! তোমাদের পন্ডিত শ্রেণীর কেউ কেউ বলে কি এলমে কিতাব আর এলমে কালব দু'ভাগে বিভক্ত। তুমি বলে দাও যে- এলমে কিতাব আর এলমে কালব পারষ্পারিক সম্পর্কযুক্ত। আসমানি কিতাবে কি বলা নাই যে, ঈশাকে আল্লাপাক তাওরাত ইনজিল ও হিকমত শিক্ষা দিয়েছিলেন। বল। পুঁথিগত ধর্মদর্শনবিদ্যা অর্জণের সাথে সাথে কলবুস সলীমে বা বিশুদ্ধ আত্মায় উন্নত হলে আল্লাপাক মুমিনকে সঠিক জ্ঞানের মর্ম উপলব্ধির সুযোগ করে দেন। যেমন আমাদের রাসুল কি তৎকালীন আরবদের মত হাতীওয়ালা আর আবাবিল পাখীর কংকর নিক্ষেপের ঘটনা জানত না অথবা ইবরাহিম সোলায়মান মুসা ঈশা ইউসুফের ইতিহাস কি তাঁহার জানা ছিলনা ? তা অবশ্যই জানা ছিল। অতঃপর আল্লা এই ইতিহাস থেকে ভারসাম্যপূর্ণ শিক্ষা এবং সঠিক ও তাৎপর্যপূর্ণ ইতিহাস বের করে আনার হিকমত প্রদান করেছিলেন। এ প্রেক্ষিতে স্মরণ কর মায়েদা সুরার ঐ আয়াতটি - হে কিতাবীগণ ! আমার রাসুল তোমাদের নিকট আসিয়াছে, তোমরা কিতাবের যাহা গোপন করিতে, সে উহার অনেক তোমাদের নিকট প্রকাশ করে এবং অনেক উপেক্ষা করিয়া থাকে। আল্লাহর নিকট হতে এক জ্যোতি ও স্পষ্ট কিতাব তোমাদের নিকট আসিয়াছে।" বল। সুবহানআল্লাহি বিহামদিহি।
হে কলবুস সলীমের নরসুন্দর ! যে সকল পীর মুরীদান ইঙ্গিত প্রদান করে যে- স্বপ্ন এবং কাশফের মাধ্যমে আল্লার দর্শন লাভ করেছেন। তুমি তাদের কোরানের ঐ আয়াতটি স্মরণ করিয়ে দাও। যখন বনী ইসরাইলরা বলেছিল হে মুসা আমরা আল্লাকে সরাসরি না দেখা পর্যন্ত তোমাকে কখনও বিশ্বাস করব না। তখন তাহারা বজ্রাহত হয়েছিল। অথবা স্মরণ করিয়ে দাও মুসার আল্লাকে দেখার খায়েশ অজ্ঞান বেহুঁস হয়ে পড়ার মাধ্যমে মিটেছিল। এই প্রেক্ষিতে তুমি বলে দাও যে, তোমরা খালেস দিলে কলবুস সলীমে উন্নতির চেষ্টা চালিয়ে যাও তখন অনুভব করতে পারবে যে আল্লা তোমার সাথে সাথে আছেন। ব্যাস, এ পর্যন্তই। বল। আল্লা বাড়াবাড়িপূর্ণ কথাতে অসন্তষ্টি প্রকাশ করেন। তোমরা সকল টালবাহানা বাজেয়াপ্ত ঘোষণা কর। বল। আল্লা সর্বোচ্চ প্রজ্ঞাময়।
হে কলমওয়ালা ! তুমি তোমার দেশের ভোলার পীর সাহেবের মোসলমানী জিন্দিগী নামক কিতাবে উল্লেখিত ঐ অংশটি স্মরণ কর- যেখানে বলা হয়েছে- একজন মুরীদকে বিশ্বাস করতে হবে যে,তাহার পীর ফানা'র অবস্থায় আল্লা প্রদত্ত অসাধারণ শক্তিতে শক্তিশালী হয়ে থাকেন। এবং আকাশ ও ভূ-মন্ডলের অদৃশ্য বিষয় আল্লার ইচ্ছাক্রমে দর্শন করতে ও জ্ঞাত হতে পারেন। এবং বিপদের সময় মুরীদ তাকে স্মরণ করলে আল্লার ইচ্ছাক্রমে আধ্যাত্মিকভাবে দেখা দিয়ে মুরীদকে সাহায্য করতে পারেন। তুমি বলে দাও যে, হে মানবমন্ডলী। তোমরা বিপদ আপদে শুধুমাত্র আল্লার কাছে সাহায্য চাও। সাথে সাথে কোরানের ঐ বাণীটি স্মরণ করে দাও- বল। আল্লা যাহা ইচ্ছা করেন তাহা ব্যতিত আমার (রাসুলের) নিজের ভালো মন্দের উপর ও আমার কোন অধিকার নাই। আমি (রাসুল) যদি অদৃশ্যের খবর জানতাম তবে তো আমি প্রভূত কল্যাণই লাভ করতাম। এবং কোন অকল্যাণই আমাকে স্পর্শ করতো না।" তুমি বলে দাও যে, বিপদের সময় মুরীদ আল্লার কথা স্মরণ না করে পীরের কথা যদি স্মরণ করে সেটা স্পষ্ট শিরক হবে। এখানে উল্লেখ করে দাও কোরানের ঐ বাণীটি বল, কে তোমাদের উদ্ধার করে স্থলভাগে এবং সমুদ্রের অন্ধকার থেকে যখন তোমরা কাতরভাবে এবং গোপনে তাহার নিকট অনুনয় কর। বল। আল্লাহই তোমাদের ঐ বিপদ থেকে এবং সমস্ত দুঃখ কষ্ট হতে উদ্ধার করেন। এতদ্সত্বেও তোমরা আল্লার সাথে শরীক কর।" ফাসাববি বিহামদি রব্বুকা আসতাগফির।
©somewhere in net ltd.