নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একবিংশের ইলহাম (সমাজ ধর্ম দর্শন বিষয়ক প্রবন্ধ)

আত্মশুদ্ধি প্রজ্ঞা লাভ মনুষ্যত্বে সিদ্ধি লাভ

ময়না বঙ্গাল

মতলববাজি খতম করি বিবেকদন্ড বহাল করি

ময়না বঙ্গাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদমকে সেজদা ও গ্লোবাল ভিলেজ প্রসঙ্গ

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৪

হে শিশুদের সালামকারী! স্মরণ কর আসমানি কিতাবসমুহে বর্ণিত আদিমানব সৃষ্টির ঘটনাটি। যখন আল্লা আদমকে নিজ হাতে পূর্ণাঙ্গ রুপ দিল অতঃপর যখন রুহ্ ফুকেঁ দিল তখন সে একটা সশব্দ হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লা বলে উঠে দাঁড়ালো। তখন আল্লা সকল ফেরেস্তাসহ তাদের অধিনায়ক জ্বীনের বাচ্চা আজাজিলকে নির্দেশ প্রদান করল যে, তোমরা সকলে আদমকে সেজদা কর। কিন্ত আজাজিল কর্মটি করতে অস্বীকার করলো। তখন আল্লা তাকে শয়তান সরদার ইবলিশে ডিমোশন দিল।

হে কলমওয়ালা-এই প্রেক্ষিতে তুমি আল্লাকে যে কোশ্চেন করেছিলে, তা হলো-হে আল্লা আজাজিল তো জ্বীনের সম্প্রদায়ের একজন, ফেরেস্তা গুণাবলী দিয়ে পুরোপুরি সৃষ্টি নয়। এক্ষেত্রে তুমি ফেরেস্তাদিগকে যা হুকুম করবে, তা-ই তারা কায়মন বাক্যে অনুসরন করবে। কিন্ত আজাজিল যে আদমকে সেজদা করবে না, তার প্রমান তো তুমি কোরানের অন্য আরও আয়াত দ্বারা বুঝিয়েছ। তুমি আল্লা কোরানে বলেছ যে, মানুষ আর জ্বীন সম্প্রদায়কে সৃষ্টি করা হয়েছে শুধুমাত্র আল্লার ইবাদত করার জন্য এবং একমাত্র আল্লাকেই নতজানু হয়ে সেজদা করতে হবে। অতএব, কিতাবের ভাষ্য অনুযায়ী যখন মানুষ এবং জ্বীন আল্লার আরাধনার জন্যই সৃষ্টি তখন তো এই দুইপ্রকার সৃষ্টি একে অপরকে সেজদা না করারই কথা। শুধু মাত্র তোমাকে ছাড়া !

বল। আল্লা যা জানেন, তোমরা তা জানো না। আল্লার কাছে অতীত আর ভবিষ্যত বলে কিছু নাই। সবই বর্তমান। অহংকার হলো আল্লার চাদর। অথচ সে অহংকারজনিত কারণেই তাহার নির্দেশ অমান্য করেছিল। সে আদমের চাইতে বেশী ষ্টাটাস্ ধারী হিসেবে নিজেকে গণ্য করেছিল।যেমন তোমরা মুসলমান সহ বিভিন্ন ধর্ম মতের অনুসারীরা এক দল অপর দল অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন হওয়ার খেলায় মেতেছো।
বল। এই প্রেক্ষিতে রাসুল বলেন - সে ব্যক্তি বেহেস্তে প্রবেশ করতে পারবে না যার অন্তরে বিন্দুমাত্র অহংকার থাকবে। তখন এক ব্যক্তি প্রশ্ন করলো, মানুষ ভালো পোষাক ও ভালো জুতা পছন্দ করে এটাও কি অহংকারের মধ্যে গণ্য হবে ? তখন রাসুল বললেনঃ আল্লা সুন্দর। তিনি সৌন্দর্য্য পছন্দ করেন। অহংকার হলো আল্লার গোলামীর পরোয়া না করা এবং মানুষকে নিকৃষ্ট নগণ্য গণ্য করা'।

হে বিনয়ের অবতার হওয়ার ইরাদাকারী ! তুমি বিশ্ব সম্প্রদায়কে প্রশ্ন কর,বল। হে মানবমন্ডলী ! আজ একবিংশ শতাব্দির দ্বার প্রান্তে সভ্যতা কতই না উৎকর্ষ হয়েছে। জীবনযাত্রা আজ কত আরামদায়ক হয়ে উঠেছে। বিজ্ঞান প্রযুক্তির সৃষ্টিশীলতায় বিশ্ব আজ গ্লোবালভিলেজে পরিনত হয়েছে। যখন সময় হয়েছে এক বিশ্ব এক পরিবার গঠনের - শান্তির ছায়ার নিচে অবস্থানের অথচ তোমরা হিংসা পরশ্রীকাতরতা মনের সংকীর্ণতার বেড়াজালে আটকে পড়ে মানুষ হিসেবে মানুষের কাছ থেকে আলোকবর্ষ দুরে অবস্থান করছ। অথচ মুখে বলছ : আজ বিশ্ব গ্লোবালভিলেজে পরিনত হয়েছে। আমরা কাছাকাছি চলে এসেছি। ধিক ! তোমাদের সভ্যতাধারী হিসেবে গর্বের মুখে!

বল। তোমরা গ্লোবালভিলেজের বাসিন্দারা ঐ সুনীল আকাশ ঐ বিস্তৃর্ণ সাগরমালা ঐ বিশাল পর্বতের নিদর্শন থেকে উদারতার মহান চেতনা নিয়ে হৃদয়ের সংকীর্ণতাকে প্রসারিত করে নাও। তখন দেখবে যে শত্রু মিত্র সকলকে মেনে নেয়ার এক ঐশ্বরিক ক্ষমতা পেয়ে যাবে। সাথে সাথে স্মরণ কর ঈশার শিক্ষাটিকে যেখানে বলা হয়েছে - তোমরা শুনেছ যে, তোমার প্রতিবেশীকে মহব্বত কর এবং শক্রুকে ঘৃণা কর। কিন্ত আমি বলছি তোমার শত্রুদের ও মহব্বত কর। যারা তোমার উপর অত্যাচার করে তাদের জন্য মোনাজাত কর যেন তোমরা আল্লার রঙে রঞ্জিত হতে পার। তিনি তো ভালো মন্দ সকলের উপরে তার সূর্য উঠান এবং সৎ ও অসৎ লোকদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করেন।' পাশাপাশি স্মরণ কর তায়েফের ঘটনাটি যখন রুহুল কুদ্দুস বলল - হে আল্লার রসুল আপনি হুকুম দিলে সাফা আর মারওয়া পাহাড় দ্বয়কে কোলাকুলি করিয়ে দিচ্ছি তখন তোমার রসুল জিবরিলকে নিবৃত্ত করলেন এবং তায়েফবাসীর মাগফেরাতের জন্য মহান আল্লার কাছে দোয়া করলেন। অথবা স্মরণ কর মক্কা বিজয়ের ক্ষণকালটি যখন রাসুল ঘোষণা দিলেন ঐ হাড় জ্বালাতনকারী ব্যক্তিটি তথা আবু সুফিয়ানের বাস ভবনে যারাই আশ্রয় নিবে, তাদের সকলকে সাধারণ ক্ষমা করা হবে।
তোমরা বিভিন্ন নবী-রসুল-মহামানবের অনুসারীরা নিজ নিজ এবং একে অপরের বিবাদ- বিসম্বাদ,হিংসাবিদ্বেষ, জিঘাংসা ত্যাগ করে পৃথিবীতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মহান স্বার্থে পরষ্পর বন্ধুত্ব স্থাপন করে নাও। তোমরা আর ফেরকার নেটওয়ার্ক বিস্তার করো না। তোমরা ঠুনকো স্বার্থ, দুনিয়া স্বার্থ, কালো-ফর্সা স্বার্থ ত্যাগ কর নয়ত ইবলিশ স্বভাব আর মানুষ স্বভাব কম্পায়ার কর। বল। চিন্তাশীলদের জন্য এখানে চিন্তার রসদ রয়েছে !

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮

আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: আদমকে আঃ সিজদা করার হুকুম ছিলো মূলত মাথা নত করে অভিবাদন জানানো,সম্মান জানানো!এটা পূর্বে অনুমোদিত ছিলো! যেমনঃ হযরত ইউসুফের আঃ পিতা,মাতা,ভাই সবাই মিশরে পৌঁছে ইউসুফকে আঃ সিজদা করেছিলো!এই সিজদা হলো মাথা নিচে হেলিয়ে কুর্ণিশ করা!হযরত ইউসুফ আঃ ছিলেন তখন মিশরের শাসক!

০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭

ময়না বঙ্গাল বলেছেন: আবার জাপানের এটা একটা কালচার শুনি । ভাই সামনে মত চিন্তা বিনিময়ের সময় চাই ।

২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১১

আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: অবশ্যই। যখন খুশি আপনার!!

০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪

ময়না বঙ্গাল বলেছেন: গুডলাক ভাই ।

৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৩

মুখ ও মুখোস বলেছেন: বাঙ্গাল দা, তা আছো কেমন? এই গুলো কি লিখেছো?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

ময়না বঙ্গাল বলেছেন: সালাম নিবেন ভাই । আপনি যদি কনসাল্টের টাইম দিতেন । ০১৫৫৬৪৬৫৯৭৩ আমার নাম্বার । আপনারটা লিখে দিয়েন প্লিজ ।

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭

মুখ ও মুখোস বলেছেন: আরে যা বলার তা এখানেই বলো না মাইরি! শুধু শুধু ফোনের টাকা খরচ করা কেনো??

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬

ময়না বঙ্গাল বলেছেন: আপনার মতো একজন বন্ধু ভাবাপন্নকে শুভেচ্ছা । সামনে সকল ব্লগার ভাইদের একটা আহবান জানাতে চাই । বিশুদ্ধ রাজনীতির একটি রুপরেখা তুলে ধরতে চাই । ব্লগার গণ দেশ জাতি উদ্ধারের একটা আদর্শ প্লাটফর্ম হতে পারার সম্ভাবনা নিয়ে আইডিয়া চিন্তা বিনিময় করতে চাই । আপনার সহযোগিতা চাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.