নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একবিংশের ইলহাম (সমাজ ধর্ম দর্শন বিষয়ক প্রবন্ধ)

আত্মশুদ্ধি প্রজ্ঞা লাভ মনুষ্যত্বে সিদ্ধি লাভ

ময়না বঙ্গাল

মতলববাজি খতম করি বিবেকদন্ড বহাল করি

ময়না বঙ্গাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি আদর্শ নির্বাচনী ইশতেহার-প্রেক্ষিত বাংলাদেশ

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:২১

নির্বাচনী আইন এবং আচরন বিধি সংস্কার :
১.৭ : গণতন্ত্রের সংস্কৃতি গড়ে তোলা এবং তাকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একটি গণতান্ত্রিক গঠনতন্ত্র প্রনয়ণ করে তা অনুসরনের জন্য সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে বাধ্য করার জন্য আইন করা হবে ।এবং গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তারা সম্মেলন করছে কি না কিংবা দলের নির্বাহী কমিটির নির্বাচন হচ্ছে কি না, কমিশন তা পর্যবেক্ষণ এবং তদারকি করবে ।
১.৮ : তৃণমূলের মতামতকে সম্মানিত করতে এবং মনোনয়ন বানিজ্য বন্ধ করার অভিপ্রায়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে প্রত্যেক সংসদীয় আসনের জন্য একটি প্যানেল তৈরী করার এবং সেটি থেকে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন দেওয়ার বিধান আরপিও’তে সংযোজন করা হবে ।
১.৯ : মনোনয়নপত্র অন লাইনে দাখিলের বিধান করা হবে । স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্খীর উপর বাধা নিষেধ আরোপ করা সংবলিত আইনটি বাতিল করা হবে ।কেননা এতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব হয় । এতে প্রার্খীর সংখ্যা কমে যায় এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্থ হয় ।
২.১ : অসমাপ্ত হলফনামা প্রদানকারী, তথ্য গোপনকারী এবং ভুল তথ্য প্রদানকারীর প্রার্থীতা বাতিল কিংবা তাদের নির্বাচন বাতিল করা হবে মর্মে আরপিও সংশোধন করা হবে ।
২.২ : নির্বাচনী ব্যয় নিরীক্ষণ এবং তথ্য গোপন বা আরপিও লঙ্ঘনের জন্য নির্বাচনী বিরোধের দরখাস্ত গ্রহণের এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের ওপর বর্তাবে মর্মে আইন সংশোধন করা হবে
২.৩ : গুরুতর নির্বাচনী অপরাধের জন্য সশ্রম কারাদন্ড এবং অর্থদন্ডের বিধান আরপিও’তে ফিরিয়ে আনা হবে ।
২.৪ : কোন দল কমিশনের নির্ধারিত শর্তগুলোর কোন একটি পূরণে ব্যর্থ হলে তার রেজিষ্ট্রেশন বাতিলের সুস্পষ্ট ক্ষমতা কমিশনের ওপর বর্তাবে মর্মে আরপিও সংশোধন করা হবে ।
২.৫ : আরপিও’র ৯০ (গ) ধারা অনুযায়ী, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের বিদেশী শাখা থাকা বেআইনি, যা রাজনৈতিক দলগুলো অমান্য করেই চলছে । তাছাড়াও নিবন্ধনের শর্ত হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন বিলুপ্ত করার বিধান আরপিও’তে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার প্রতি রাজনৈতিক দলগুলো ভ্রুক্ষেপও করছে না । এই সকল ধারা সমুহকে দৃঢ়ভাবে কার্যকর করা হবে ।
২.৬ : ধারণাটি ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের এক প্রস্তাবনা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে । রাজনীতিতে কালো টাকার রাশ টানতে তথা রাজনৈতিক স্বচ্ছতার স্বার্থে আরপিও’তে নিম্নলিখিত আইন প্রনয়ণ করা হবে ।যথা-
২.৭ : কোন রাজনৈতিক দল কোন দাতার নিকট হতে দুই (২) হাজার টাকার অধিক চাঁদা গ্রহণ করতে পারবে না ।
২.৮ : প্রত্যেক দাতার নাম পরিচয় নিজ নিজ ওয়েব সাইটে প্রকাশ, সংরক্ষন এবং প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হবে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.