![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মতলববাজি খতম করি বিবেকদন্ড বহাল করি
পুলিশ সংস্কার :
পুলিশ বাহিনীতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা এবং রাজনৈতিক নির্বাহী কতৃপক্ষের অবাঞ্ছিত নিয়ন্ত্রন বন্ধ করার লক্ষ্যে নিম্ন লিখিত পদক্ষেপ সমুহ গ্রহণ করা হবে ।
৩,১২ : বৃটিশ শাসকেরা তাদের ঔপনিবেশিক স্বার্থে পুলিশ প্রবিধান(পিআরবি) প্রনয়ণ করেছিল । প্রায় দেড়শ বছর আগের আইন এতদিনেও পরিবর্তন হয়নি । তার কারণ আইনটিতে পুলিশকে শাসক গোষ্ঠীর নিজ স্বার্থে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে । অনেকগুলো প্রবিধান সম্পূর্ণ, কিছু আংশিক রহিত করে অন্যগুলো আংশিক সংশোধন করে এবং কিছু নতুন প্রবিধান সংযোজন করে পিআরবি’কে বর্তমান সময়ের জন্য উপযোগী করা হবে ।
৩.১৩ : ১৮৬১ সালের পুলিশ আইনে বলা আছে পরিদর্শন (সুপারিনটেনডেন্স) থাকবে সরকারের হাতে। কিন্তু এই পরিদর্শন কোথায় শুরু হবে, কোথায় শেষ হবে তা পরিস্কার করে বলা নাই । পুলিশ কিভাবে চলবে; এর নিয়োগ, প্রশিক্ষণ কিভাবে হবে; এটি যে জনগণের জন্য একটি বাহিনী এবং গণতন্ত্রের জন্য একটি সহায়ক শক্তি –এই কথাগুলো পুলিশ আইনে অর্ন্তভূক্ত করা হবে ।
৩.১৪ : পুলিশের নিয়োগের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সাবজেক্ট । শুধু পুলিশ কর্মকর্তারা এটি করবেন না । সহকারী মহাপরিদর্শক নিয়োগ পিএসসি;র মাধ্যমেই হবে । তা ভিন্ন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষা জগতের প্রতিনিধি, বিভিন্ন পেশাদার সংস্থার প্রতিনিধি যেমন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা,অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের সমন্বয়ে একটি ব্যপকভিত্তিক নিযোগ কমিটি গঠন করা করা হবে । এই কমিটি প্রত্যেক জেলায় কনস্টেবল পর্যায়ে এবং জাতীয় পর্যায়ে সাব –ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট পদে নিয়োগ প্রদান
করবেন ।
৩.১৫ : পুলিশ বাহিনী নিয়ন্ত্রনের জন্য জাপানের জননিরাপত্তা কমিশনের আদলে সরকারের নিয়ন্ত্রন মুক্ত একটি স্থায়ী পুলিশ কমিশন গঠন করা হবে । একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি অথবা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে প্রধান করে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা, শিক্ষবিদ, সুশীল সমাজ এবং ধর্মীয় নেতার সমন্বয়ে কমিশনটি গঠন করা হবে । এ প্রতিষ্ঠানকে সব ধরনের আইনি ক্ষমতা প্রদান করা হবে । পুলিশ বিভাগে কোন বড় রকমের ঘটনা বা অনিয়ম হয়েছে কি না, কোথাও পুলিশ অভিযান কালে কোন স্বেচ্ছাচারিতা বা অন্যায় হয়েছে কি না এবং সর্বোপরি রাজনৈতিক নির্বাহীরা যাতে পুলিশ বাহিনীকে ইচ্ছেমত ব্যবহার করতে না পারে, এসব বিষয়সমুহ প্রতিষ্ঠানটি তদারকি এবং দেখভাল করবে ।
এছাড়াও নিয়োগ –বদলি –পদোন্নতি বিষয়ে যদি পুলিশের কর্মকর্তা/কর্মীদের কোন অভিযোগ থাকে তাহলে কমিশনের কাছে তারা প্রতিকার পেতে দরখাস্ত করতে পারবেন ।
৩.১৬ : জনপ্রশাসন বিভাগে বদলি –পদোন্নতির যে কতক ভালো নিয়ম আছে, সেগুলো পুলিশ বাহিনীতেও চালু করা হবে । যেমন –কোন কর্মকর্তা কোন রকম গর্হিত, অসদাচরন বা বেআইনি কাজ না করে থাকেন তবে তিন বছরের আগে তাঁর পদ থেকে তাঁকে বদলি করা যাবে না ।
৩.১৭ : ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আইন শৃঙ্খলা কাজে নিয়োজিত পুলিশ থেকে তদন্তকারী পলিশকে পৃথক রাখার নির্দেশ দিয়েছে । আমাদের দেশেও তদন্তের গুরুত্ব বাড়ানো. দ্রুততা আনয়ন, বিজ্ঞান সম্মত, নিয়ম মাফিক এবং বিধিবদ্ধ তদন্তের স্বার্থে আইন শৃঙ্খলা কাজে নিয়োজিত পুলিশ থেকে তদন্তকারী পুলিশকে পৃথক করা হবে । তাঁরা পুলিশ বিভাগের নিয়ন্ত্রনে থাকবে না । সুপ্রিমকোর্টের অধীনে যুক্ত করা হবে ।
৩:১৮ : পুলিশের অপরাধ তদন্ত করতে পুলিশকে দেয়া হবে না । বিচার বিভাগীয় তদন্ত অথবা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের অধীনে তদন্ত করা হবে । অর্থ সংক্রান্ত অভিযোগ হলে দূর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করবে ।
৩.১৮ : পুলিশের লোকবল বাড়ানো যথাসম্ভব সীমিত করা হবে । লোকবল বাড়ানো ততটা জরুরী নয় । কেননা পুলিশকে দিয়ে আমরা
এমন অনেক কাজ করছি যা পুলিশের কাজ নয় । অনেক জায়গায় পুলিশ বাড়ী পাহারা দিচ্ছে বা ক্যাশ এসকর্ট করছে । এগুলো বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে দিয়ে দেয়া হবে । এখানে ইচ্ছেমত লোক নিলে চলবে না । কারণ এই বাহিনীকে প্রশিক্ষিত হওয়া দরকার । বেশী লোক হলে সবাইকে প্রযোজনীয় প্রযুক্তিগত সমর্থন দেওয়া সম্ভব হবে না ।
৩.১৯ : এখনো প্রায় ৭০ -৮০ ভাগ পুলিশ বছরের ১১মাস পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকেন । যে লোক পরিবার থেকে একটা দীর্ঘ সময় বিচ্ছিন্ন থাকে, তার মধ্যে স্নেহ বাৎসল্য, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গীল উন্নন ঘটানো বেশ কঠিন । তাই যে যেখানে কাজ করছেন সেখানে তার আবাসন ব্যবস্থা যতটুকু সম্ভব করে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
৩.২০ : পুলিশ বাহিনীর জন্য আলাদা বেতন কমিশন গঠন করা হবে । মূল বেতন বাড়ানো না গেলেও ভাতাদির পরিমান পর্যাপ্ত বৃদ্ধি করা হবে ।
৩.২১ : বর্তমানে পুলিশ বাজেটের শতকরা ১ ভাগও প্রশিক্ষনের পেছনে খরচ করা হয় না । পুলিশের বাজেটের অন্তত শতকরা ৫ ভাগ প্রশিক্ষনের জন্য ব্যয় করা হবে । কেননা প্রশিক্ষন মানেই মানব সম্পদ উন্নয়ন ।
২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই রাজনীতিবিদরা ক্ষনোই এটা করবে না!
এই ওন্যায়ে তারা অভ্যস্ত হয়ে গেছে।।
বদলাতে চাই পূর্ন বিপ্লব- মানসিকতার, চেতনার, সুস্থতার, মানবিকতার ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: একটি পুলিশীয় পোস্ট। দারুণ সব প্রস্তাব।