![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘুম না হওয়ার প্রচলিত কারণগুলো অনেকেরই জানা। কম্পিউটার ব্যবহার করবেন না, সন্ধ্যার পর থেকে চা-কফি খাবেন না, সন্ধ্যার পর কাজ করবেন না ইত্যাদি মেনেও আপনার ঘুম নাও আসতে পারে। তেমন পরিস্থিতিতে যদি আপনি পড়েন, তাহলে দেখে নিন এ ১০টি অতিরিক্ত কারণে আপনার ঘুম নষ্ট হচ্ছে কি না।
১. ভারসাম্যহীনভাবে খাবার গ্রহণ
আপনি যদি সারা সপ্তাহ সুষম খাবার খান আর সপ্তাহে দু’রাতে ভারসাম্যহীনভাবে খাবার খান, তাহলে তা আপনার কোনো উপকারে আসবে না। গবেষণায় দেখা গেছে, ভারসাম্যহীনভাবে খাবারের অভ্যাস পরে ঘুমের বিঘ্ন ঘটায়। আপনি যদি প্রতিদিন সন্ধ্যায় নির্দিষ্ট একটি সময়ে খাবার খান, সেটা কোনো সমস্যা নয়। যদি তা না হয়, তাহলে আপনার ঘুমে সমস্যা হতে পারে। এ সমস্যা সমাধানে নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে পরিমিত রাতের খাবার খেতে হবে।
২. আপনার মুখ মিন্টি ফ্রেশ
ঘুমানোর আগে আপনি যদি পিপারমিন্ট গন্ধযুক্ত পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করেন তাহলে সেজন্য ঘুম নাও আসতে পারে। অবশ্য ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্রাশ করা বাদ দিতে হবে না। তবে এজন্য পিপারমিন্ট গন্ধযুক্ত পেস্ট বাদ দিয়ে নতুন কোনো পেস্ট বেছে নেয়াটাই ভালো হবে। পিপারমিন্টের গন্ধ মস্তিষ্ককে উদ্দিপ্ত করে এবং ঘুমাতে বাধা দেয়।
৩. আপনি বইয়ের ভক্ত
আপনি হয়ত ভালো বইয়ের ভক্ত কিংবা মাঝরাতের টিভি শো দেখতে ভালোবাসেন। গবেষণায় দেখা গেছে, এর ফলাফল ঘুমের জন্য ভালো নয়। ঘুমের আগে অতিরিক্ত আবেগঘন বিষয় কিংবা বুদ্ধিদীপ্ত কোনো কার্যক্রম ঘুম নষ্ট করে। এ সময় কান্নার মতো আবেগ তৈরি হয় এমন কোনো বিষয় বাদ দিয়ে খেলাধুলা ও বিনোদনের মতো হালকা বিষয় এক্ষেত্রে সমাধান হতে পারে।
৪. ঘুমানোর আগে ধূমপান
আপনি হয়তো মনে করতে পারেন, ঘুমানোর আগে ধূমপান আপনার নার্ভ ঠাণ্ডা করবে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে বিপরীত চিত্র। নিকোটিনের প্রভাবে মস্তিষ্ক থেকে দূর হয়ে যায় ঘুম। ঠিকভাবে ঘুমাতে চাইলে সিগারেট একেবারে ছাড়তে না পারলেও অন্তত ঘুমানোর আগে একে বাদ দিতে হবে।
৫. ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধোয়া
আপনার যদি ঘুমানোর আগে ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধোয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে তা শরীরকে উদ্দীপ্ত করে। শরীরের তাপমাত্রা ঠিক করার জন্য শরীরের এনার্জি খরচ হয় আর এতে দূর হয় ঘুম। এর সমাধান হিসেবে ঘুমানোর আগে ঠাণ্ডা পানির বদলে হাল্কা গরম পানিতে মুখ ধুতে হবে।
৬. রাতে মোবাইল ফোন চার্জ
আপনি হয়তো রাতে ইমেইল ব্যবহার করা বন্ধ করেছেন, মোবাইল ফোনও বিছানা থেকে সরিয়েছেন। কিন্তু এসব যন্ত্র রাতে চার্জে দিয়ে রেখেছেন। দেখা গেছে, এসব যন্ত্রপাতি থেকে নির্গত সামান্য আলোও আপনার ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে আলো যদি হয় নীল, তাহলে তা সবচেয়ে বেশি ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। এর সমাধান হিসেবে সকালে উঠার পর এগুলো চার্জ করাই ভালো। অন্যথায় শোবার ঘরের বদলে অন্য ঘরে এগুলো চার্জ করতে হবে।
৭. উষ্ণ বিছানায় গরম হলে
শিতকালে আপনি যদি খুব আরামদায়ক উষ্ণ বিছানা ব্যবহার করেন তাহলেও তা ঘুমে ব্যাঘাত আনতে পারে। এর কারণ শরীরের তাপমাত্রা। আপনি যদি কোনো সঙ্গীর সঙ্গে ঘুমান, কিংবা ভারি কম্বল বা লেপ ব্যবহার করেন তাহলে তা আপনার শরীরের তাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। অতিরিক্ত এ তাপমাত্রায় ঘুম নাও আসতে পারে। এর সমাধান হিসেবে বিছানায় সঠিক তাপমাত্রা আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. আপনি লেবু পছন্দ করেন
লেবু চা কিংবা রাতের খাবারের পর লেবুর কোনো খাবার রাখলে তা আপনার ঘুমে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে। লেবুর গন্ধ এজন্য দায়ী। আরামদায়ক ঘুম আনতে হলে ঘুমের আগে লেবুর গন্ধযুক্ত সব খাবার বাদ দিতে হবে।
৯. ঘুমানোর আগে ওষুধ সেবন
ঘুমানোর আগে ভিটামিন কিংবা প্রেসক্রিপশনের ওষুধ খাওয়া মনে রাখার জন্য অনেক সহজ। তবে ভিটামিন বি৬, বি১২ ও কিছু স্টেরয়েডসহ বিভিন্ন ওষুধ ঘুমের জন্য ক্ষতিকর। এ কারণে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সকালে ওষুধ খাওয়া শুরু করাই ভালো। আর রাতে ভালো ঘুম হলে সকালে ওষুধের বিষয়টা মনে রাখাও সহজ হবে।
১০. ঘুমানোর আগে টিভি দেখা
ঘুমানোর আগে টিভি দেখার কারণে ঘুম নষ্ট হয় এটা নতুন করে বলার কিছুই নেই। আপনি যদি কোনোভাবেই রাতের প্রোগ্রাম দেখা বাদ দিতে না পারেন তাহলে টিভি প্রোগ্রাম রেকর্ড করে রাখার ব্যবস্থা ব্যবহার করতে পারেন। এতে পরে ঘুম থেকে উঠে প্রোগ্রামগুলো দেখে নেয়া সম্ভব।
©somewhere in net ltd.