নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আব্বা দিবস
========
ছবি: অন্তর্জাল থেকে
ধারনা করা হয়, পৃথিবীর সব আব্বাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকে ১৯০৮ সালের ৫ই জুলাই, আমেরিকার পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক "গির্জায়" এই দিনটি প্রথম পালিত হয়, যা ঐ গির্জার প্রার্থনাতেই সীমিত থাকে।
আবার, আব্বা দিবসের প্রথম আইডিয়াটা মাথায় আসে অত্যন্ত উর্বর মস্তিষ্কের অধিকারী "সনোরা স্মার্ট ডড" নামের ওয়াশিংটনের এক ভদ্রমহিলার মাথাতেও। অলস মাথার মহিলা ডড এই আইডিয়াটা পান গির্জার এক পুরোহিতের বক্তব্য থেকে, সেই পুরোহিত আবার মা’কে নিয়ে অনেক ভালো ভালো কথা বলছিলেন। মাকে নিয়ে মন গলানো কথাগুলো শুনে তার মনে হয়, তাহলে বাবাদের নিয়েও তো কিছু করা দরকার। তিনি তার আব্বাকে খুব ভালোবাসতেন তাই তিনি সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগেই পরের বছর, অর্থ্যাৎ ১৯শে জুন, ১৯১০ সালের থেকে বাবা দিবস পালন করা শুরু করেন। (তথ্যসুত্র: উইকিপিডিয়া)
খেয়াল করুন -
পশ্চিমা দেশগুলোতে পারিবারিক বন্ধন নেই বললেই চলে। বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ড/লিভটুগেদার তাদের সমাজে সাভাবিক। বিবাহ বন্ধন ছাড়াই বহু সন্তান পৃথিবীর আলো দেখে। বাবা-মায়ের আদর ভালোবাসা নিয়ে বেড়ে উঠা সন্তানের সংখ্যা নেহায়াত কম। খুবই কম দেখা যায় যে বাবা-মা-সন্তান একসাথে বসবাস করছে। সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার কর্তব্য কিংবা পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের কর্তব্য তেমন পরিলক্ষিত হয় না। বছরের ৩৬৪ দিন আব্বা কেমন আছে তার কোন খবর থাকে না, বছরে একদিন আব্বার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার "আব্বা দিবস" পালন করে।
পক্ষান্তরে -
আমাদের দেশের গ্রামগুলোতে এখনো অনেক একান্নবর্তী পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবে যেখানে দাদা-বাবা-পুত্র তিন পুরুেষের রান্না এক পাতিলে হয়। একক পরিবারগুলোতেও বৃদ্ধ বাবা-মা সন্তানের সাথেই থাকেন। বাবা-মা জ্ঞানের আতুর ঘর হয়ে সন্তানকে গাইড করেন, সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলেন, ভালো মানুষ হবার পথ দেখান। বড় বটবৃক্ষ হয়ে ছায়া দিয়ে যান ৩৬৫ দিন। ধর্মনির্বিশেষে বাংলাদেশের সংস্কৃতি-সন্তানরা বাবা-মার দোয়া মাথায় নিয়ে দিন শুরু করে, বৃদ্ধ বাবা-মার পদতলে জান্নাত খুঁজে বেড়ায়।
মনে প্রশ্ন -
পশ্চিমাদের দেখানো প্রেসক্রিপশনে আমরা কেন এমন অপ্রয়োজনীয় দিবস পালন করবো?
মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকদের তো আল্লাহ কোরআনের আয়াতের মাধ্যেমে পিতামাতার প্রতি কর্তব্য কি তা বলে দিয়েছে - তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো, তাঁর সঙ্গে শরিক করো না এবং পিতা–মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো। ' (সুরা-৪ নিসা, আয়াত: ৩৬)। 'আর আমি নির্দেশ দিয়েছি মানুষকে, তার পিতা–মাতার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার। ' (সুরা-৪৬ আহকাফ, আয়াত: ১৫)।
আহবান -
আসুন পশ্চিমা সংস্কৃতি "আব্বা দিবস" কে না বলি, নিজেদের সংস্কৃতি আকঁড়ে ধরি। বছরের প্রতিটি দিনই হোক আমাদের আব্বা দিবস।
আসুন পিতামাতার জন্য দোয়া করি: রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানি সাগিরা।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ২৪)
অর্থ : ‘হে আমাদের পালনকর্তা! তাদের উভয়ের প্রতি রহম করুন; যেমনিভাবে তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন।’
১৮ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১৬
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: পিতামাতার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে ১৯০৮ সালে সৃষ্ট পশ্চিমা সংস্কৃতির বদলে আবহমান বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতি অনুসরন করা। তাদের অনুকরনে কোন একটি নির্দিষ্ট দিনে বাবার প্রতি ভালোবাসা সীমাবদ্ধ না করে বছরের প্রতিটি দিনই বাবা-মা কে ভালোবাসা।
২| ১৮ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৪০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
দুঃখজনক হলেও সত্য মা দিবস, বাবা দিবস...... এগুলো আমাদের কালচারে পরিনত হচ্ছে।
১৮ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৮
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: আমার মতে, এখনো আমাদের পরিবার-সমাজ অনেক সমৃদ্ব পিতা-মাতার খেদমতে ক্ষেত্রে। আলাদা করে দিবস উৎযাপনের প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা। তবে, দু:খজনক হতে সত্য বিভিন্ন দিবস ভূতের মতো আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির ঘাড়ে চেপে বসছে।
৩| ১৮ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আল্লাহ পৃথিবীর সব মাবাকে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত করুন ।
১৮ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৯
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: - আমীন। ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে সব বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা।
৪| ১৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ভালো থাকুক পৃথিবীর সমস্ত বাবা'রা।
Happy Father's Day!!
৫| ১৯ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:০০
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আপনি কি বলতে চাচ্ছেন?