নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসঙ্গ শেরপা

আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে সকাল হবে...

ফিউশন ফাইভ

উঠবোই, পাহাড়টা ওই... [email protected] fusionfactory.blogspot.com

ফিউশন ফাইভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাহিত্যিকের বিরুদ্ধে প্রগতির ভেক ধরা শব্দ-তালেবানদের মধ্যযুগীয় লড়াই

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

'অনুভূতি' আসলে সব শালারই আছে! প্রগতিশীলতার ভেক ধরা কেউ কেউ এতোদিন নিপুণভাবে অভিনয় করে আসছিল যে, 'অনুভূতি' জিনিসটা শুধু হেফাজতিদেরই আছে, ধর্মান্ধদেরই আছে, মৌলবাদিদেরই আছে। এই বেলা হাসনাত আবদুল হাইয়ের ছোট্ট একটি গল্প একেবারে হাতেনাতে প্রমাণ করিয়ে ছাড়লো যে, প্রগতিশীলতার ভেক ধরে যারা হেফাজতিদের বিরোধিতা করে আসছিল, বাক-স্বাধীনতার কথা বলে চোখের জল ফেলছিল, তারাও আসলে হেফাজতি গোত্রেরই, তারাও আসলে মৌলবাদিই, হেফাজতিদের মতো তারাও ভিন্নমতকে সহ্য করতে পারে না। রসুনের সবগুলো কোয়াই আসলে এক জায়গায়। এতোদিন ধরে বাক-স্বাধীনতার ধ্বজা ধরার অভিনয় যারা করে আসছিলেন, ছোট্ট একটি গল্প তাদের মুখোশটা পুরোপুরি খুলে দিয়েছে। এই লোকগুলোই এতোদিন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য যেভাবে চোখের জল ফেলে আসছিলেন, তার সব একত্র করলে উত্তরবঙ্গের কোনো এক মরা নদীতে প্রাণ সঞ্চার করা যেতো নিশ্চিত। হেফাজতের ধর্ম-'অনুভূতি' নিয়ে এতোদিন ধরে কতোই না ঠাট্টা, কতোই না মশকরা তারা করে আসছিলেন! অথচ ছোট্ট একটি গল্পের ভার বহন করতে গিয়ে তাদের 'অনুভূতি' এতোটাই আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে যে, রীতিমতো হেফাজত স্টাইলে তারা সাহিত্যিকের কল্লা চাইছে, পত্রপত্রিকা পোড়ানোর উৎসবে মেতেছে। আমার নিজের ধারণা, প্রথম আলো শ্রেফ বাণিজ্যিক স্বার্থে ক্ষমা চেয়েছে। সেটিই স্বাভাবিক। কারণ প্রথম আলো তো আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম কিংবা গাণ্ধী আশ্রম নয় যে, তারা জনসেবা করার জন্য পত্রিকা বের করেছে। বিশ্বের যে কোনো দেশেই সংবাদপত্র হলো একটি বাণিজ্যিক পণ্য। তবু প্রথম আলোর এই ক্ষমাপ্রার্থনা মুক্তচিন্তাকে কিছুটা হলেও ব্যাহত করবে। তাদের এই ক্ষমাপ্রার্থনার নিন্দা জানাই।



লেখক কী লিখবেন, সেটি তার স্বাধীনতা

হাসনাত আবদুল হাইয়ের সেই ছোট গল্পে সীমা নামের একটি মেয়ের জীবনকথা চিত্রিত হয়েছে। চাঁদে যেমন সাঈদীর ছবি খুঁজে পেয়েছেন অনেকে, ঠিক তেমনি ওই গল্পে গণজাগরণ মঞ্চের কোনো এক নারীকর্মীর জীবনকাহিনী খুঁজে পেয়েছেন কল্পনার জোর খাটিয়ে। অনেকে এনেছেন অশ্লীলতার অভিযোগ। সাহিত্যে যৌনতা থাকাটা কি অবৈধ কোনো কিছু? কোনো লেখা কারো ভালো লাগতে না পারে, কারো কোনো লেখা একজনের কাছে অশ্লীল মনে হতে পারে, তিনি আপত্তি জানাতেই পারেন। ক্ষুব্ধ কেউ সমালোচনাও করতে পারেন শালীন ভাষায়, সাহিত্যের প্রথা মেনে। আবার কারো কাছে সেই একই লেখা অশ্লীল মনে নাও হতে পারে। কিন্তু একজন লেখকের লেখা একেবারে বাতিল করে দেওয়া যায় না। লেখকের কলমের ওপর ফিল্টার বসানো যায় না। লেখক কী লিখবেন, সেটি পুরোপুরিই তার নিজের স্বাধীনতা। অমুক-তমুক এই নির্দেশ দিতে পারেন না যে, লেখক এই শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন আর ওই শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন না। অমুক বিষয়ে লেখা যাবে আর তমুক বিষয়ে লেখা যাবে না। এগুলো শ্রেফ তালেবানি মানসিকতা। জামায়াতে-হেফাজতে ইসলামীর সঙ্গে এইসব প্রগতিশীল-মোল্লার খুব বেশি তফাৎ নেই। হাসনাত আবদুল হাইয়ের লেখাটির ক্ষেত্রে যা ঘটছে, তা হচ্ছে লেখকের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ - স্পষ্ট করে বললে শব্দ-তালেবানি। ব্লগ ও ফেসবুকের কল্যাণে এই শব্দ-তালেবানি ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে। এই তালেবানদের হাতে লেখকের স্বাধীনতা পরাস্ত হতে পারে না। একপাল শব্দ-তালেবানের হাতে লেখকের স্বাধীনতা ভূলুন্ঠিত হবে- এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তা না হলে হয়তো এমন একদিন আসবে, প্রগতিশীলতার ভেক ধরা এই শব্দ-তালেবানরা তাদের পছন্দসই শব্দ কিংবা প্লটের তালিকা ধরিয়ে দেবে লেখকের হাতে। আর লেখক সেই তালিকা দেখে দেখে শ্লীল সাহিত্য-আইনসম্মত সাহিত্য রচনা করবেন।



শব্দ-তালেবানদের প্রতিহত করা জরুরি

প্রগতির স্বার্থে যে কোনো মূল্যে এই শব্দ-তালেবানদের প্রতিহত করা জরুরি। এই স্বাধীনতা রক্ষার জন্য লড়েছি অতীতে, লড়বো সারাজীবনই।

মন্তব্য ৭৭ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৭৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫১

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি একটা সমাজ কে অস্বীকার করতে পারে?
উস্কানি দিতে পারে?
যদি না পারে তবে মত প্রকাশ এমন হওয়া উচিত, যা কাউকে আঘাত না দেয়।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: হাসনাত আবদুল হাইয়ের সেই গল্পে কোন্ সমাজকে অস্বীকার করা হয়েছে বলতে পারেন? আপনি কি নিশ্চিত করে বলতে পারবেন, সীমা নামের মেয়েটির মতো অন্তত একটি সীমা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কখনো ছিল না, কিংবা এখনো নেই?

কাউকে আঘাত না দিয়ে ধর্মীয় বই রচিত হতে পারে, কিন্তু সাহিত্য নয়।

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

ধনাত্মক১০ বলেছেন: আমার দেশ বন্ধ করা তাহলে ঠিক হয় নাই। কী বলেন?

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আমার দেশ যা করেছে, সেটি বাংলাদেশের প্রচলিত আইনেই অপরাধ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। কিন্তু হাসনাত আবদুল হাইয়ের এই গল্পকে আপনি কি দেশের প্রচলিত কোনো আইন দিয়ে আটকাতে পারবেন?

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: রীতিমত কান্না পেলো এই পোষ্ট পড়ে । /:)

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০০

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: শুভ লক্ষণ। আপনার এই জল জমা করে রাখুন। উত্তরবঙ্গে অনেক নদী জলের অভাবে মরে পড়ে আছে। এই জল সেখানে কাজে লাগবে।

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

নাজ_সাদাত বলেছেন: নারী মাংসের উৎকট গন্ধে কি ঢেকে যাচ্ছে শহবাগ? এ লজ্জা রাখবো কোথায়?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০২

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: শাহবাগে নারী মাংসের উৎকট গন্ধ একমাত্র অনুর্বর মস্তিষ্কের কল্পনাতেই খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
'অনুভুতিতে আঘাত দেয়া কিংবা মত প্রকাশের অবাধ স্বাধীনতা'
এই টপিকের জন্য আপনার/আপনাদের পোস্ট এর মন্তব্যগুলো ভালো জমবে আশা করছি, বার বার আসতে হবে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৩

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: জমা কিংবা না-জমা পরের কথা। তবে মূল কথা একটিই - সাহিত্য কিভাবে রচিত হবে, কী উপাদান সেখানে থাকবে - সেটি কেবল লেখকই নির্ধারণ করবেন। হেফাজতি মোল্লা হোক কিংবা প্রগতিশীল মোল্লা হোক - কারোরই সেখানে নাক গলানোর সামান্যতম অধিকারও নেই।

৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: আইচ্ছা; রাজু আলাউদ্দিনকে নিয়ে " সাকিন নাই" গল্প নিয়েও কি আপনার একই মত ?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৩

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আলীম আজিজের গল্পও গল্পই রয়ে গেছে। সেটি মানোত্তীর্ণ কিনা - বিচার করবে পাঠক। কিন্তু আলীম আজিজের অপরাধ ছিল অন্যত্র। তার সঙ্গে রাজু আলাউদ্দিনের ব্যক্তিগত বিরোধ ছিল প্রকাশ্য। আলীম আজিজ তার সেই লেখায় খোলাখুলিই বিদ্বেষ ঢেলেছিলেন রাজু আলাউদ্দিন ছাড়াও তার পরিবার-পরিজনের ওপর। সাধারণ বিবেচনাতেই সেটি সবার কাছে অন্যায় বলে বিবেচিত হয়েছে। এরপরও আলীম আজিজ কিন্তু চাকরি হারিয়েছেন গল্পের জন্য নয়, মূলত পত্রিকার স্পেসকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগে। বলা ভালো ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে।

৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০২

মরু বালক বলেছেন:


উক্ত লিখা নিয়ে হাসানাত এর রগরগে সাক্ষাৎকার !!!!!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৩

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: লিংকটি সঠিক নয়।

৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৩

নীলতিমি বলেছেন: ...সত্য কথা ডিস্টিল্ড ওয়াটারের মতো -- টেস্টলেস !

অনেকেই সেটি সহ্য করতে পারে না ! /:)

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৪

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: খাঁটি কথাটিই বলেছেন।

৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৬

বড় মামা বলেছেন: সাহিত্য নাকি সমাজের অসংগতি তুলে ধরে।
তাই যদি হয়, এখনই সময় যারা রাজনীতির নামে, স্বাধীনতার চেতনা বা তথাকথিত অাধুনিকতার অাড়ালে অামাদের মা-বোন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে, তাদের প্রতিহত করার সময় এসেছে।
ধন্যবাদ হাসনাত অাব্দুল হাই এবং প্রথম অালোকে সত্য (পলিসির সাথে মিল না থাকলে ো) তুলে ধরার জন্য।
সচেতন নাগরিকদের শিক্ষা নিতে হবে ।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৪

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: হাসনাত আবদুল হাই তার গল্পটিতে চলমান রাজনীতির ছোট্ট একটি অন্ধকার দিকের ওপর আলোকপাত করেছেন। প্রগতিশীলতার ভেক ধরা মোল্লাগুলো এ নিয়ে ফতোয়াবাজিতে নেমেছে। কয়েক ঘন্টা পর পর তারা নতুন নতুন ফতোয়া জারি করছে। এর পেছনে ছাত্রনেতা নামধারী টাউটগুলোরও ইন্ধন থাকতে পারে।

১০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৬

দখিনা বাতাস বলেছেন: হতাশ হইলাম ফিউশন ফাইভের এই লেখায়। আর কিছু বলার নাই.......

গতকালর দুপুড়ে গল্পটা পড়ার পরে একবার মুখের ভাষা হারিয়ে বসেছিলাম কয়েক মিনিট আর মনে মনে ঠিক করেছিলাম নিজের ব্যাক্তিগত সংগ্রহে থাকা হাসনাত আবদুল হাইয়ের নভেরা, সুলতান, সোয়ালো, একজন আরজ আলি মাতুব্বর, ৩ খন্ডের ভ্রমন সমগ্র- সব গুলা বই কাউকে দান করবো। আর আজকে আপনার এই পোস্ট পড়ে আরেকবার মুখের ভাষা হারিয়ে ২মিনিট থমকে থেকে এখন কমেন্ট লেখছি।

হতাশ......

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৪

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: হতাশ করার জন্য দুঃখিত। কিন্তু জেনেশুনে সত্য বলা থেকে বিরত থাকা আমার পক্ষে অসম্ভব। এই ধরনের অক্ষমতায় নিজেকেই অপরাধী মনে হয়। নভেরা, সুলতান, সোয়ালো, একজন আরজ আলি মাতুব্বর কিংবা তিন খন্ডের ভ্রমন সমগ্র যেহেতু আপনি টানতে পারেনি, তাহলে আমার নিজের ধারণা আপনি আসলে বইগুলো পড়েননি, পড়েছেন হাসনাত আবদুল হাইকে।
ব্যক্তি আবদুল হাইয়ের উত্থান-পতন হতে পারে, বইয়ের নয়। ধন্যবাদ আপনাকে। যতো কিছুই হোক, নিজেদের স্বার্থেই লেখকের স্বাধীনতাকে পরাস্ত হতে দেবেন না।

১১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৮

ডক্টর স্ট্রেঞ্জলাভ বলেছেন: মজার বিষয়,এতদিন যারাই অন্যদের প্রতি শ্লেষ ছড়িয়েছেন,আজ তারাই আসেন কান্না করতে আর বাক স্বাধীনতার নামে অপবাকস্বাধীনতা ছড়াতে।
হাই সাহেব যাই লিখেছেন , তাতে তাকে ট্যাগ করে অশ্লীলতার দায়ে যারা অভিযুক্ত করছেন , তারাই হুমায়ুন আযাদের যোণিতে সাহিত্য খুজে পান। তারাই আবার অন্যদের নিয়ে কুত্সা রটিয়ে মজাও পান ।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৪

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আসলেই এ বড়ো মজার কাণ্ডকারখানা। হেফাজতীদের ধর্মীয় অনুভূতির বিরুদ্ধে লিখতে লিখতে যেসব প্রগতিশীল মোল্লার কলমের কালি শুকিয়ে গেছে, সামান্য এক ছোটগল্পেই সেইসব প্রগতিশীল মোল্লা আজ পুরোপুরি কুপোকাত। তাদের এই মুখোশ দেখে আমি অবাক। আসলেই সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ।

১২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৯

বিবাগী বাউল বলেছেন: বাক স্বাধীনতা আর মত প্রকাশের স্বাধীনতা যে পরম কিছু নয়, তারও যে একটা সীমা থাকা দরকার তা প্রথম আলোয় প্রকাশিত হাসনাত সাহেবের গল্পে “সীমা” চরিত্রের মাধ্যমে শাহবাগের শ্লোগান কন্যাদের চরিত্র হননের অপচেষ্টা ও তাকে নিয়ে পর্ণোগ্রাফিক লেখার বিরুদ্ধে সৃষ্ট নাগরিক প্রতিক্রিয়ায় তা আবারও প্রমাণিত হল! হাই সাহেবের এই কুরুচিপূর্ণ লেখার যে তীব্র প্রতিবাদ এসেছে (আমি নিজেও আমার নিতান্ত ক্ষুদ্র পরিসরে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে) বিশেষ করে অনলাইন জগতে তার প্রেক্ষিতেই প্রথম আলো ক্ষমা চেয়ে এই গল্প প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়। এই প্রতিবাদ এই নৈতিক ভিত্তির উপরে দাঁড়িয়েই করা হয় যে, তুমি বাক স্বাধীনতার নামে, মুক্ত চিন্তার নামে, মত প্রকাশের অধিকারের নামে কারও বিরুদ্ধে কদর্য, অশ্লীল, মর্যাদা হানিকর, আপত্তিকর কিছু লেখার অধিকার রাখো না!

তো এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের এই বাক স্বাধীনতার সীমা পরিসীমা টেনে দেয়ার নৈতিকতা কি বিশেষ কোন চেতনার অনুসারীদের জন্য প্রযোজ্য? এটা কি বিশেষ কোন গোষ্ঠী কিংবা শ্রেণির ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হবে? যখন মুসলিম সম্প্রদায়ের নবী মুহাম্মদ (স)কে নিয়ে আপত্তিকর পর্ণোগ্রাফিক লেখা লিখে তার চূড়ান্ত অবমাননার অভিযোগ উঠে বাংলা ব্লগের কিছু ব্লগারের বিরুদ্ধে তখন কিন্তু অনেক কথিত প্রগতিশীল (সবাই নয়, একটা বড় অংশ)এর প্রতিবাদে সোচ্চার না হয়ে একে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। শাহবাগের শ্লোগান কন্যাকে নিয়ে পর্ণোগ্রাফিক লেখা লিখলে আমাদের অনুভূতিতে লাগে, আমাদের মুক্তবুদ্ধির চেতনা পর্যন্ত মারাত্মকভাবে আহত হয়, আমাদের সেকুলার কিংবা মানবিক অনুভূতি ক্ষতবিক্ষত হয়, তাই প্রতিবাদে আমরা ফেটে পড়ি, হাই সাহেবের ২৮ গোষ্ঠী উদ্ধার করি, প্রথম আলোর বিচার চাই, কিন্তু একই অনুভূতি নবী (স) এর অবমাননার সময় ভোঁতা হয়ে যায় কেন? তখন কেন এই অবমাননার কারনে অবমাননাকারীর প্রতি আর তার মুক্তবুদ্ধির (?) চর্চার প্রতি আমরা পরমত্ব আরোপ করে বাক স্বাধীনতার অবাধ প্রবাহের তত্ত্ব ফেরি করে বেড়াই? নাকি ধর্মীয় অনুভূতি আঘাত প্রাপ্ত হলে বাক স্বাধীনতার অসীমতায় আমরা বিশ্বাস রাখব, আর অন্য যে কোন অনুভূতি [ রাজনৈতিক অনুভূতিতে আঘাতঃ উদাহরণ স্বরূপ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নিয়ে কটূক্তি করার কারনে; মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু কামনা করে দেয়া ফেবু স্ট্যাটাসের কারনে; আইনি অনুভুতিঃ আদালতের অবমাননা হলেই মামলা; “সীমা”দের চরিত্র হননের বিপরীতে নাগরিক অনুভূতি] আঘাত প্রাপ্ত হলেই আমরা বলব আমরা বাক স্বাধীনতাকে অবাধ মনে করি না, এরও একটা সীমা টানতেই হবে। এক্ষেত্রে আমরাই মুক্তবুদ্ধির চর্চাকে কি নাকচ করে দেই না? এটা কি ডাবল ষ্ট্যাণ্ডার্ড নয়?

আসলে আমরা কেউই কিন্তু চরম আর উগ্র মত প্রকাশকে মেনে নিতে পারি না যদি তা আমাদের নিজস্ব মতাদর্শ বা নিজস্ব চেতনার প্রতি আঘাত হানে। তাই যদি হয় তাহলে অন্য ঘরানার বা অন্য চিন্তার/চেতনার মানুষদের অনুভূতি যখন ক্ষতবিক্ষত হয় চরম উগ্র বাক স্বাধীনতার নামে তখন তার প্রতিবাদেও সোচ্চার হতে আমাদের এত কুণ্ঠাবোধ কেন?

আমাদের আচরন দিয়ে আমরা নিজেরাই প্রমান করছি যতই অবাধ বাক স্বাধীনতার তত্ত্ব কপচিয়ে নিজেদের জঁ-পল সাত্রে ভাবি আমরা কিন্তু এখনও কান্টিয়ান বলয়ের বাইরে নিতে পারিনি!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৫

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: সত্যি যে, আমরা কেউই আসলে মুক্তমতকে মেনে নিতে পারি না, যদি তা আমাদের নিজস্ব মতাদর্শ বা নিজস্ব চেতনার বাইরে যায়। অবাধ বাক-স্বাধীনতার তত্ত্ব কপচে যাদের দিনরাত কাটে, এদের প্রত্যেকের মনেই একেকটি তালেবান সঙ্গোপনে লুকিয়ে আছে। আর এই বেলা হাসনাত আবদুল হাইয়ের ছোট্ট একটি গল্প হাতেনাতে প্রমাণ করিয়ে ছাড়লো - "স্পর্শকাতর অনুভূতি" কেবল ধর্মান্ধদেরই নয়, ধর্ম-নিরপেক্ষ যারা তাদেরই ওই একই "স্পর্শকাতর অনুভূতি"টা আছে।

১৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১০

পুংটা বলেছেন: ছাগু ঠেকাও... ইসলাম বাচাও B-))

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৬

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১১

উপপাদ্য বলেছেন: দ্বিতীয়বারের মতো আপনার সাথে আমি একমত হলাম।

যদিও আপনি নিজেও এইসব আপনার ভাষায় শব্দ-তালেবান বা আমার ভাষায় উগ্র সেকুলারিস্ট থেকে কম নয়।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৬

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আমি সবসময়ই নিজের কাছে স্বচ্ছ থাকার চেষ্টা করি। আলোচ্য বিষয়ে আমি চাইলেই চুপ থাকতে পারতাম, এড়িয়ে যেতে পারতাম - কিন্তু যাইনি। কারণ প্রগতিশীল-মোল্লাদের হাতে লেখকের স্বাধীনতা বিপন্ন হওয়ার খবরে ব্লগার হিসেবে আমি নিজেই বিপন্ন বোধ করেছি। যদি আমি চুপ থাকতাম, তাহলে প্রগতিশীল-মোল্লাদের প্রিয়পাত্র হতে পারতাম, কিন্তু নিজের বিবেকের কাছে অপরাধী হয়ে যেতাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১২

এই আমি সেই আমি বলেছেন: জনাব এই শব্দ বণিকের ( আমি সচেতন ভাবে আপনার শব্দ তালেবান শব্দটির বিপরীতে ব্যবহার করলাম ।) সমালোচনা করিতে হইলে কি ধরনের শব্দালঙ্কার , বাক্যালংকার ব্যবহৃত হইলে মহাত্ননের (আব্দুলের) মর্যাদা রক্ষিত হইত তাহার একটি নমুনা আপনার মত একজন কৃতবিদ্য (অনেস্টলি আক্ষরিক অর্থে) ব্লগারের নিকট আমরা শব্দ তালেবানিরা আশা করিতেছি ।

তালেবানদের কাছে সমরাস্ত্র যথেষ্ট আছে কিনা সেটা শিকেয় তোলা থাক । কিন্তু আব্দুলের মত নীচ , অভদ্র, ইতরের জন্য শব্দ তালেবন নয় আমি মনে করি বাংলা ডিকশনারিতেও যথেষ্ট নেতি বাচক শব্দ নেই ।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৭

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: সাহিত্য সমালোচনার কোনো সহজ টিউটোরিয়াল আমার জানা নেই। এজন্য আপনাকে অন্য কোনো সাহিত্যিকের শরণাপন্ন হতে হবে। ঘাঁটতে পারেন বইপত্রও। যেহেতু জানেন আপনি, জ্ঞান অর্জনের কোনো শটকার্ট উপায় নেই। তবে বাংলা অভিধানে যথেষ্ট নেতিবাচক শব্দ নেই বলে হতোদ্যম হওয়ার কারণ নেই আপনার, বস্তির ভাষাটি আপনি আরিফ জেবতিকের কাছ থেকে শিখে নিতে পারেন। সেখানে নেতিবাচক শব্দের অভাব নেই।

১৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৮

উড়োজাহাজ বলেছেন: হাসানাত সাহবে যা লিখেছেন তা অতিশয় সত্য। কারো গায়ে যদি গিয়ে পড়ে তাহলে তা তার নিজেরই ব্যর্থতা। সত্য হচ্ছে এই যে এই কথাগুলো যার অথবা যাদের গায়ে লাগলো তার অথবা তাদের হয়তো ভালো লাগছে না, কিন্তু এই কথাগুলো যদি হাসানাত বিপক্ষের বিরুদ্ধে লিখতেন তাহলে মজাই লাগতো। তাহলে সেটা অত্যন্ত সুস্বাদু হতো। তখন সেটা যে অশ্লীল -তার খোজ হতো না।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৭

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আমরা কেউই আসলে মুক্তমতকে মেনে নিতে পারি না, যদি তা আমাদের নিজস্ব মতাদর্শ বা নিজস্ব চেতনার বাইরে যায়।

১৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৮

ধনাত্মক১০ বলেছেন: Click This Link
একটা সিগারেট দে। সিগারেট দে কইলাম। লক্ষ্মী ভাই আমার!’ পরনের জামাটাকে কি কামিজ বলা যায়? হয়তো ছেলেদের শার্ট ছিল অথবা মেয়েদের কামিজ? ঠিক কি ছিল তা এত দিন পর কে বলবে। মূল রংটা কি অফ হোয়াইট টাইপের কিছু একটা ছিল? এখন সেই সাদার ওপর অনেকটা ময়লা কালচে ও থিকথিকে আভা ধারণ করে গোটা জামাটাকে একটা কোঁচকানো বিন্যাস দিয়েছে। না, হাঁটুর নিচে সালোয়ার বা সায়া টাইপের কিছু নেই। একটি গোটা জামাই শুধু পরনে। স্তন না অতি ভারী, না অতি শীর্ণ। চুলগুলো একটা আরেকটার ওপর জটা পাকিয়ে। স্নান করেনি কত বছর?
‘দিবি না সিগারেট? আমি কইলাম সব স্লোগান কইতে পারি! ক-তে কাদের মোল্লা, তুই রাজাকার/ তুই রাজাকার!


দুই গল্পে একইরকম সুর - এটাকে কীভাবে দেখছেন?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৭

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: গল্প গল্পই। লেখক তার প্রয়োজনে যে কোনো ঘটনা কিংবা চরিত্রকে তার ইচ্ছেমতো সাজাতে পারেন। ওই জায়গায় তার স্বাধীনতা প্রশ্নাতীত। তবু আমি মনে করি এই যে মিল, বিশেষ করে অতি স্পর্শকাতর কপিরাইটযুক্ত "স্লোগান" শব্দটি ব্যবহার করে বাক-স্বাধীনতার ধ্বজাধারী ধর্ম-নিরপেক্ষ আল্লামাদের কোমল অনুভূতিতে আঘাত হানার দায়ে ওই গল্পলেখকের ফাঁসি চাই - দিতে হবে।

১৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২০

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: আরিফ জেবতিকের স্ট্যাটাসে আমার মন্তব্য পড়েছেন আশা করি। সেখানে আপনার বলা কথাগুলোই বলার চেষ্টা করেছি; সৌকর্যের সীমাবদ্ধতায় তা আপনার পোস্টের নিকটবর্তীও হতে পারেনি যদিও। প্রিয় বন্ধুরা অসহনশীল মন্তব্য করছে, আপনার জন্যও হয়ত 'প্রস্তর নিক্ষেপ' অপেক্ষা করছে। দেখি কি খেলা দেখা যায়। পোস্টে প্লাস। আরেক প্রস্থ রক্তাক্ত হবার প্রস্তুতি নিয়েই শেয়ার দিচ্ছি।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৯

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: ফেসবুকে বেশ অনেকদিন ধরে আমি নেই। ফলে ফেসবুক নিয়ে আমি একরকম অন্ধকারেই থাকি। গতকাল এক ব্লগার আমাকে একটি স্ক্রিনশট পাঠিয়েছিলেন, যাতে আপনার মন্তব্যটির কিছু অংশ দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। এবং ওইটুকুই আমার কাছে দুর্দান্ত মনে হয়েছে।


(বড়ো আকারে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করতে হবে)

কোনো লেখকের লেখা কেউ না পড়তেই পারেন, তার সমালোচনাও করতে পারেন বিনা দ্বিধায়, কিন্তু ফতোয়া দিয়ে তাকে বাতিল করে দেওয়ার অধিকার কারোরই নেই।

১৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৪

অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: স্রেফ সহজ কইরা বলি, আপনে যদি গফটা পড়ার পরেও মনে করেন যে কিছু হয় নাই , তাইলে আর কিছু বলার নাই। প্রথম আলোর নুন খাইয়া গুণ তো গাইতেই হবে। এইটা আপ্নের অফিসিয়াল দায়িত্বই বটে। তালিয়া ! তয় এই চটি মার্কা গল্পে যে শাহবাগ আন্দোলনের নারীদের নোংরাভাবে দেখানো হইছে , এইটা কোন অন্ধ পাঠকও বুঝতে পারবে, যদি তারে পইড়া শোনানো হয়। ইয়ে মানে আপনি তার কোনটাই পারেন নাই , আপনার জন্য দুঃখ হৈতাসে ফিফা।

কিন্তু প্রথমালো যদি সৎ মনে ছাপাইতো আর হাই সাহেব যদি সৎ মনেই লিখে , তাইলে মাফ চাওনের কী দরকার ছিল ? প্রত্যাহার করারই বা কী দরকার ছিল !

ডবল স্ট্যান্ডার্ড দেখানোর দর্কার ছিল কুনো ?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১১

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: লক্ষ্য করবেন, প্রথম আলোর গুণ গাওয়া তো দূরের, স্পষ্টভাবেই আমি প্রথম আলোর নিন্দা জানিয়েছি লেখকের স্বাধীনতাকে হেয় করে অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষমাপ্রার্থনার দায়ে। চাঁদের বুকে সাঈদীকে দেখা যাওয়ার খবরে মানুষের ঢল নামা যেরকম, হাসনাত আবদুল হাইয়ের গণজাগরণ মঞ্চের কোনো নারী কর্মীর দর্শন পাওয়াও ঠিক একই রকম। এর নাম গণ-হিস্টিরিয়া। চিকিৎসকরা নিশ্চয়ই আরো ভালোভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে পারবেন।

আমার নিজের ধারণা, প্রথম আলো শ্রেফ বাণিজ্যিক স্বার্থে ক্ষমা চেয়েছে। সেটিই স্বাভাবিক। কারণ প্রথম আলো তো আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম কিংবা গাণ্ধী আশ্রম নয় যে, তারা জনসেবা করার জন্য পত্রিকা বের করেছে। বিশ্বের যে কোনো দেশেই সংবাদপত্র হলো একটি বাণিজ্যিক পণ্য। তবু প্রথম আলোর এই ক্ষমাপ্রার্থনা মুক্তচিন্তাকে কিছুটা হলেও ব্যাহত করবে। তাদের এই ক্ষমাপ্রার্থনার নিন্দা জানাই।

২০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সত্য প্রকাশিত হোক।পোস্টে ১ম ভাললাগা আমার।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১১

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: ধন্যবাদ। লেখকের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন থাকুক।

২১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৭

নক্ষত্রের কান্না বলেছেন: লক্ষ্যহীন চিন্তা। লেখক আর সম্পাদক সাহেবতো মাফ চেয়েছেন। এই পোস্টের জন্য আপনিও কি মাফ চাইবেন?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৪

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: প্রথম আলো শ্রেফ বাণিজ্যিক স্বার্থে ক্ষমা চেয়েছে। সেটিই স্বাভাবিক। কারণ প্রথম আলো তো আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম কিংবা গাণ্ধী আশ্রম নয় যে, তারা জনসেবা করার জন্য পত্রিকা বের করেছে। বিশ্বের যে কোনো দেশেই সংবাদপত্র হলো একটি বাণিজ্যিক পণ্য। তবু প্রথম আলোর এই ক্ষমাপ্রার্থনা মুক্তচিন্তাকে কিছুটা হলেও ব্যাহত করবে। লেখকের স্বাধীনতাকে হেয় করে অনাকাঙ্ক্ষিত এই ক্ষমাপ্রার্থনার নিন্দা জানাই।

২২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

দ্রুতগামী উল্কা বলেছেন: হিম।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৪

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: ?

২৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

সায়েম মুন বলেছেন: গল্পটা পড়ার সুযোগ হয় নি। তাই কিছু বলতে পারছি না।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৫

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: এই লিংকে পাবেন।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১১

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: ওপরেরটি নয়,এই লিংকে পাবেন গল্পটি।

২৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

ভারসাম্য বলেছেন: প্রথম কথা হল সেই লেখাটির সাহিত্যমান এমন আহামরি কিছু নয় বরং শাহবাগ গণজাগরণ এর বিরোধীদের কথামালার কিছু কিছু অংশ নিয়ে একটা গল্প দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছে যার মান হাসনাত আ. হাই এর আগের লেখাগুলোর মানের সাথে যায়না সেভাবে।

দ্বিতীয়ত লেখাটি পড়ে সম্পূর্ণই উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দেয়া যায় যা 'প্রথম আলোর' সম্পাদকীয় তরফের অনুরোধেই লেখা হয়েছিল বলে স্পষ্ট অনুমান করা যায়।

তৃতীয়ত এই লেখার বিরোধিতাকারীদের বুদ্ধিবৃত্তিক মান কতটা নীচে নেমে গেছে সেটা বিরোধীদের কথার ধরণে স্পষ্ট। কারণ সেই লেখায় অশ্লীলতার এমন বিশেষ কোন উপাদান আমার চোখে পড়েনি যার দরুণ সেটাকে 'চটি সাহিত্য' বলা যেতে পারে। অথচ এই পয়েন্টেই বেশি নিন্দা করা হচ্ছে লেখাটির। নারী অবমাননার ব্যাপারটিও সেভাবে না বুঝেই অনেক নারী সেটাকে বিপক্ষের কিছু ভেবে উলটাপালটা বলে ফেলছেন। 'টু দ্যা পয়েন্ট' সমালোচনা কোথাও হচ্ছেনা।

'প্রথম আলো' সম্পাদকের ক্ষমাপ্রার্থনা উচিৎ হয়নি মোটেও। সাহিত্যমানে এমন আহামরি কিছু না হলেও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নিন্দুকদের সমালোচনায়(!) লেখাটি ক্লাসিকের পর্যায়ে চলে গেল। ওই লেখা এখন আরো বেশি ছড়িয়ে পড়বে এবং পূর্বে শোনা সমালোচনার সাথে লেখাটি মিলিয়ে অধিকাংশ পাঠক এখন লেখাখানির বিষয়বস্তুকেই জাষ্টিফাইড করবে।

যে যত কান্দাকাটি করবে সেই তত লেখাটিকে গুণে, মানে ও অবস্থানে লেখাটিকে সমৃদ্ধ করবে। গ্রামে একটা প্রবাদ আছে। প্রবাদটি একটু অশ্লীল। তাই একটু শ্লীল করে বলার চেষ্টা করছি,

"বুদ্ধি ছাড়া মাইয়া ওড়নায় একটু টান পড়লেও জোর করে তার কাপড় খুলে ফেলেছে বলে চিল্লায়, আর বুদ্ধি থাকলে কেউ ধর্ষণ করে গেলেও কিছুই কয়না উলটা ধর্ষকের গুণ গায়"।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০১

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: 'সাহিত্যমান' বিষয়টি আপেক্ষিক - একেকজনের কাছে একেক রকম। আপনার দ্বিতীয় অনুমান একেবারেই হাস্যকর। গণজাগরণ মঞ্চের ভিত্তিভূমি তৈরি এবং জনপ্রিয়তার পেছনে প্রথম আলোর অবদান এককথায় অসামান্য - এটি যে কেউ স্বীকার করতে বাধ্য হবেন - প্রকাশ্য কিংবা গোপনে। আপনার তৃতীয় পয়েন্টের সঙ্গে আমি একমত। যা হয়েছে বা হচ্ছে - এর নাম সমালোচনা নয় - কুৎসা বলাই ভালো। সুযোগসন্ধানী যেসব ব্যক্তি ও গোষ্ঠী প্রথম আলোর ওপর নানা কারণে ক্ষিপ্ত ছিল এবং গণজাগরণ মঞ্চসংশ্লিষ্ট একজন নারীকর্মীকে হেয় করার সুযোগ খুঁজছিল - তারাই মূলত একে একটি ইস্যু হিসেবে তৈরি করেছে। বেশিরভাগ লোকই না বুঝে চিলের পিছনে ছুটেছে। আর 'প্রথম আলো'র ক্ষমাপ্রার্থনা, আমার ধারণা সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক কারণে - প্রতিষ্ঠান বাঁচানো যার প্রধান লক্ষ্য।

ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য।

২৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

আয়নার কারিগর বলেছেন: প্রথমআলো না হয় ব্যাবসার কারনে ক্ষমা চাইছে, কিন্তু লেখক কেন ক্ষমা চাইল ? তিনি যদি কাউকে উদ্দেশ্য করে নাই লিখতেন, তার উদ্দেশ্য যদি সৎ হত, তবে তিনি কখনই ক্ষমা চাইতেন না। আর অশ্লীলতা সাহিত্যে সবসময়ই বর্তমান, এটা নির্ভর করে দৃষ্টিভঙ্গির উপর। কিন্তু সেই অশ্লীলতা যখন আপনি করো উপর অযাচিত ভাবে চাপিয়ে দিবেন তখন সেটা অন্যায়।।

আজ শাহবাগের কোন স্লোগানকন্যা আপনার বোন হত তখন বুঝতে পারতেন এর নোংরামী কোথায়।

অতপর আপনার এইরকম পোস্টে হতাস হইলাম। এটা আশা করিনি।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০১

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: হেফাজতের মোল্লাদের চাপে খোদ প্রধানমন্ত্রী যেখানে তটস্থ, প্রায় একই ধারার আরেক দল মোল্লার চাপে নিরীহ এক লেখকের কী করুণ অবস্থা হতে পারে সেটি সহজেই অনুমেয়। আমার ধারণা, লেখক ক্ষমা চেয়েছে মূলত প্রগতিশীল-মোল্লাদের চাপে। কারণ তারা ওই লেখকের কল্লাই চেয়ে আসছিল জোটবদ্ধ হয়ে, অবিকল হেফাজতি কায়দায়।

বাংলা সাহিত্যে হাজার হাজার গল্প রচিত হয়েছে কারো না কারো মা-বোনকে নিয়ে। এমন কোনো গল্প কি দেখাতে পারবেন, যেখানে কোনো না কোনো নারীচরিত্র নেই? মনে রাখতে হবে, সাহিত্যকে সাহিত্যের মতো করেই দেখা উচিত, ইতিহাস হিসেবে নয়, জীবনরচিত হিসেবেও নয়।

হতাশ হয়েছেন, এজন্য দুঃখিত। কিন্তু যে কোনো পরিস্থিতিতে লেখার স্বাধীনতা, লেখকের স্বাধীনতা রক্ষার দাবিতে উচ্চকন্ঠ থাকা ছাড়া আমার সামনে বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই।

২৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০১

কলাবাগান১ বলেছেন: অনেককেই দেখছি যে নিজের রাজনৈতিক মতবাদের স্বপক্ষের লিখা দেখে এই কুরুচিপূর্ন লিখাকে সমর্থন করতে.... উনারাই আবার যখন তসলিমা নাসরিনের লিখা নিজের বিশ্বাস এর বাইরে যায়, তখন আর বাক স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে তাকে আর সমর্থন করেন না...।

হিপোক্রেট..........।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০২

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: বাছবিচার করার ক্ষমতা যাদের নেই, চিলে কান নিয়েছে শুনে যারা চিলের পেছনে ছোটেন, এই ধরনের পরাশ্রয়ী জীবগুলো সমাজের জন্য আরো বেশি ক্ষতিকর। কারণ জ্ঞান কী জিনিস, সেটিই তাদের চেখে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। এদেরকে দুর্ভাগাও বলা যেতে পারে।

২৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৪

প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন: উড়োজাহাজ ,
নক্ষত্রের কান্না ,
বড় মামা ,
ধনাত্মক১০,


ওহে ছাগুর দল , হাসনাত বুড়ার চটি'র সাথে শহবাগ এর ঘটনার মিল কোথায় রে ???????????????? হাসনাত বুড়া এই চটির মাধ্যমে কিভাবে সত্য ঘটনা উন্মোচিত হলরে ছাগুর দল????????????????



আর ফিউশন ফাইভ , আপনার কাছ থেকে এই ধরণের পোস্ট প্রত্যাশিত ছিল না ।


আর আমি বাক স্বাধীনতার আর স্বাধীনতার নামে আপনার মা কে নিয়ে যদি চটি লিখি ( হাসনাত বুড়ার স্টাইলে লিখব , যে কোনো আন্দলন কে পটভূমি হিসেবে নিয়ে লিখব ) তাহলে আপনার অনুভূতি কি হবে জানিয়ে কৃতার্থ করবেন ।



১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০২

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: বাংলা সাহিত্যে হাজার হাজার গল্প রচিত হয়েছে কারো না কারো মা-বোনকে নিয়ে। এমন কোনো গল্প কি দেখাতে পারবেন, যেখানে কোনো না কোনো নারীচরিত্র নেই? ভালো করে লক্ষ্য করলে হয়তো কোনো না কোনো আপনারই আশেপাশের মানুষের জীবনকাহিনী খুঁজে পাবেন। কিন্তু সাহিত্য কখনো ইতিহাস নয়, জীবনরচিতও নয়। হাসনাত আবদুল হাইয়েরই 'সুলতান' কিংবা 'একজন আরজ আলী' উঁচুমানের উপন্যাস হিসেবে সমাদৃত। বাংলাভাষার সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কারগুলোই তিনি পেয়েছেন। কিন্তু ওই উপন্যাসগুলোকে কখনোই জীবনী হিসেবে ভাবা হয় না।

২৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১৭

টিনের বাড়ী বলেছেন: @ জোয়ার্দার , দিনাজপুর মেডিকেল ?

২৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অতি বুদ্ধিমান ফিফা এখন কিছুই বোঝেনা। অতি চক্ষুষ্মান ফিফা এখন কিছুই দেখে না। হাসনাত আবদুল হাই আসলে একটা সায়েন্স ফিকশন লেখসিলো, তাই না? কালের কন্ঠে এই লেখা ছাপা হৈলে ফিফা যে বিরুদ্ধাচরণ করতে তেড়ে আসতো সোৎসাহে এই বিষয়ে কোন সন্দেহই নাই। ফিফার কাছে প্রথমালুর খারাপ কোন কিছু কি চোখে পড়তে পারে? এইসব পল্টিবাজ দালাল নীতিবাগীশদের প্রতিহত করা জরুরী।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০৩

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: চোখ এড়িয়ে থাকবে আপনার, তবে এই লেখাতেই প্রথম আলোর নিন্দা জানিয়েছি স্পষ্ট কন্ঠে। আপনি তো নিজেও গল্পকার। চিলের পেছনে না ছুটে লেখকের স্বাধীনতা নিয়ে আপনারই সবার আগে সোচ্চার হওয়া উচিত ছিল। নিশ্চয়ই জানেন, সাহিত্য কোনো ইতিহাস নয়। এও বাদ যাক, ঠিক এই বিশ্লেষণটি পড়ে অন্তত দুবার ভেবে বলুন তো, হাসনাত আবদুল হাইয়ের গল্পে ভুলটি কোথায় ছিল?

৩০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: অদিতি ফাল্গুনী এবং হাসনাত আবদুল হাইয়ের ১৩ ও ১৪ তারিখের দুটি লেখাই একই থিমকেন্দ্রিক হলো কেন ?

দুটিতেই শাহবাগ আন্দোলনকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সমাজ পাল্টাইছে। একদা ধর্ষিতা লোকলজ্জায় আড়ালে চলে যেত। কিন্তু এখন ধর্ষকরাই মানুষের সামনে আসতে পারেনা। এগুলিযে ফরমায়েশী লেখা তা বোঝার জন্য অনেক বুদ্ধি খরচ করতে হয়না।

আপনিতো সাধারনত অনুসন্ধানী পোষ্ট দিয়েছেন। এবার দেখি , করেনতো একটা অনুসন্ধানী পোষ্ট। যাতে থাকবে কত পেমেন্ট পেয়েছেন লেংটা হয়ে নামা এদুজন সম্মানিত চটি সাহিত্যিক (!)। কাদের কাছ থেকে পেমেন্ট পেয়েছেন তা অনুসন্ধান ছাড়াই আমরা বলতে পারি।

এই দুইটারে গালী দিতেও আমার আত্মসম্মানে লাগছে, তা নাহলে ভয়ংকরতম ও চুড়ান্ত অশ্লীল দুটি গালি এগুলির প্রাপ্য ছিলো। হাসনাত হাইতে আজকের পত্রিকায় ক্ষমা চেয়েছে। কিন্তু অদিতি ফাল্গুনীর ক্ষমা চাওয়ার যোগ্যতাও হয়নি।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০৪

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: গণজাগরণ মঞ্চের ভিত্তিভূমি তৈরি এবং জনপ্রিয়তার পেছনে প্রথম আলোর অবদান এককথায় অসামান্য - এটি যে কেউ স্বীকার করতে বাধ্য হবেন - প্রকাশ্য কিংবা গোপনে। তাছাড়া গণজাগরণ মঞ্চকে হেয় করে প্রথম আলোর লাভ কী? যদি বলেন টাকার জন্য, তাহলে আমি বলবো, বিজ্ঞাপন এবং পত্রিকা বিক্রি থেকে প্রথম আলো এতোটাই আয় করে যে, বাংলাদেশের সবগুলো পত্রপত্রিকা মিলিয়েও অতো আয় করে না। যে সংখ্যাটিতে লেখক ২০ জন, সেখানে দুজন লেখকের থিম একই হতেই পারে, এমনকি পাঁচজনের থিমও যদি একই হতো, তাহলেও কি কোনো সমস্যা?
ধন্যবাদ।

৩১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫০

বড় মামা বলেছেন: সত্য কখনো চাপা থাকেনা।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০৪

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: গল্প গল্পই। সেটি কখনোই ইতিহাস নয়।

৩২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩০

উপপাদ্য বলেছেন: একটি জিনিস বুঝতে পারছিনা

কেউ কেউ গল্পটাকে সত্যি
আর কেউ কেউ মিথ্যা বলতে চাচ্ছেন ক্যানো

চুলকানী ব্যারাম আসলে মজ্জাগত

বুঝতে হবে এটা গল্প, এটা প্রবন্ধ কিংবা থেসিস নয়।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০৪

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আমি শুরু থেকেই এই ব্যাপারটি নিয়ে ভাবছিলাম। আমার নিজের পর্যবেক্ষণে মনে হয়েছে, গণজাগরণ মঞ্চের একজন নারীকর্মীকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হেয় করার চেষ্টা করছে একটি মহল। কৌশলটি খুবই সূক্ষ্ম,কিন্তু ঘটনাক্রম যারা অনুসরণ করে আসছেন তাদের চোখে ঠিকই ধরা পড়েছে। ঠিক এই মহলটিই ছাত্রলীগের হাতে ওই নারীকর্মী আহত হওয়ার খবরকে ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। এই মহলটিই রুমি স্কোয়াডের অনশনকে হেয় করার জন্য নানা অপচেষ্টা করেছে। বেশিরভাগ লোকই না বুঝে চিলের পিছনে ছুটেছে। একে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা একেই গণহিস্টিরিয়া হিসেবে অভিহিত করে থাকেন।

৩৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:২০

ইকবাল পারভেজ বলেছেন: বছর দুই আগে আমরা দেখেছি ছাত্রলীগের ইডেন শাখার দুই গ্রুপ মারামারি করে প্রকাশ করে দিল যে ছাত্রনেতারা বড় বড় আম্লীগের এম.পি ও নেতাদের মনোরন্জনের জন্য মেয়েদের নেতাদের বাসায় পাঠায়! এই রকম ঘটনা যারা কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে পড়েছেন তারা ভাল করেই জানেন| কত নারী রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভের জন্য এরশাদের শয্যা সংগী হয়েছে সেইটা আমরা সবাই জানি| হাসনাতের লেখা সমাজেরই দর্পন, যারা সেই সত্য অস্বীকার করে তারা প্রগতিশীল মোল্লা বৈ আর কিছু না|

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০৫

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: বরং রাজনৈতিক অঙ্গনের অন্ধকার দিকগুলো সম্পর্কে আমরা জানি খুব কমই, যার অনেকগুণ বেশি ঘটনা সেখানে হরহামেশাই ঘটে থাকে। পত্রপত্রিকায়ও তার ছিঁটেফোটা আসে কালেভদ্রে। হাসনাত আবদুল হাইয়ের গল্প নিয়ে প্রতিবাদের নামে যা হচ্ছে, তার পেছনেও কিন্তু রাজনীতি আছে। বিশেষ একটি মহল গণজাগরণ মঞ্চের একজন নারীকর্মীকে হেয় করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যাপারটিকে একটি ইস্যু হিসেবে ছড়িয়েছে। বেশিরভাগই না বুঝে চিলের পেছনে ছোটা শুরু করেছে।

৩৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৪৪

কয়েস সামী বলেছেন: oneke apnar moter biruddhe onek kothai likhse. ekhon beyaparta emon hoye darieche j khula mone kono mot prokash kora jache na. shobai extremist hoye porche. beyaparta dukhojonok. apnake dhonnobad shahosh kore motamot deyar jonno. shohomot thaklo. apnar e lekhata age porle aj ami j post ti diyechi sheti deyar proyojon porto na.

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০৬

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: এজন্যই লেখার শুরুতে বলেছি - সব শালারই আসলে 'অনুভূতি' জিনিসটা আছে। কেউ না থাকার ভান করে, আবার কেউ সরাসরি বলে ফেলে। অবাক লাগে, বাক-স্বাধীনতার কথা বলে এই লোকগুলো কতোই না মিছিল-সমাবেশ আর চোখের জল ফেলে রোজ। অথচ যখনই নিজেদের স্বার্থের বাইরে কিছু যায়, তখনই মুখোশ ফেলে তলোয়ারধারী তালেবানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে একটুও দ্বিধা করে না।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০০

উপপাদ্য বলেছেন: ৩২ এর উত্তরে ফিফার মন্তব্য ভালো লেগেছে।

একটা ব্যাপার খুব নোংরা লাগবে শুনতে তবুও বলছি।

নিজের গু য়ে গন্ধ নাই

৩৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৪

মিতক্ষরা বলেছেন: আপনার লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। একটি বিষয় না বলে পারছি না। মূল গল্পটিতে শাহবাগের প্লট টেনে আনাটা একটু হলেও বিসদৃশ ঠেকেছে। আমি শাহবাগ বিরোধী অথচ আমার চোখেও তা পড়েছে। তাই যারা প্রতিবাদ করেছেন তারা সেটা করলে করতে পারেন। কিন্তু এটা আদালত পর্যন্ত গড়ানো কিংবা প্রথম আলোর পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা, লেখা প্রত্যাহার - নিতান্ত বাড়াবাড়ি বই তো নয়। প্রথম আলো গল্পটি যেমন ছেপেছে তেমনি পাঠকের সমালোচনাও ছাপতে পারত। সেটা না করে সমালোচনার ভয়ে গল্প প্রত্যাহার কিংবা দুঃখ প্রকাশের কোন প্রয়োজন ছিল না। ওরকম ঘটনা বাস্তব জীবনের বাইরে কিছু নয়, তাই ওটা নিয়ে গল্প লেখা কোন অন্যায় বিষয় নয় - হতে পারে না। এভাবে আমরা লেখকের হাত মুখ চেপে ধরতে পারি না। বরং লেখার প্রতিবাদ শুধু সমালোচনাই হতে পারে - যতক্ষন না তা সুনির্দিষ্টভাবে পর্নোগ্রাফি, ব্লাসফেমি বা অন্যভাবে আইন ভংগ করে।

৩৭| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ২:২৬

অ্যামাটার বলেছেন: লেখাটা অনেক দেরীতে দেখলাম।
আসলেইগল্পকারের স্বাধীনতা এখন নির্ধারন করা হয় গায়ের জোড়ে। অল্প পেছনে দেখেছি হুমায়ুন আহমেদেকেও অর্ডার অর্ডার অর্ডার হাতুড়িপেটা শুনতে হয়েছিল।

৩৮| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

প্রিয়ভাষিণী বলেছেন: দেশে ফিরেছেন কি মহামতি ফিফা?

৩৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪১

আরজু পনি বলেছেন:

ফিউশন , ব্লগে ফিরবেন কবে ?
♥ ঈদ মোবারক ♥

৪০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৯

আরজু পনি বলেছেন:

দিন যায়, মাস যায় !

ঈদ যায়...

ব্লগতো হাহাকার করে...! :|


ঈদের শুভেচ্ছা রইল, প্রিয় ফিউশন !:#P

৪১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০৫

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আমার মনের কথাগুলিই আরো একবার সামহোয়্যারে পাইলাম আপনার কাছ থেকে ... ধইন্না ;)

৪২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫০

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: HAHAHAHAHAHAHAHAHA

LOL


So who is the Resident Clown Behind the Nick Now?

I can tell =p~ =p~ =p~ =p~ Its a "Madam" now, no more "Sir". And the madam /operator was so excited, she actually commented on her own post =p~ =p~ =p~ =p~ LAME


Come on moderation panel, u can do better

৪৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১

সৈয়দ সদানন্দ বলেছেন: তুমি অনেকদিন থেকে ব্লগে সক্রিয় নয় । ঈশ্বর না করুক কোন সমস্যায়-টমস্যায় নয় তো !
আমার মতো মাল্টি নিকে তোমার আসার কথাও না !
হয়তো তোমার কাছে সারাজীবন লড়ার মতো এখন আর সামুর সেই রূপ নেই ! তবু তোমার মাঝেমধ্যে সামুতে আগমন পুরাতনদের জন্য অনেক বড় স্বাদের হতো।


শুভ্রতা সবার জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.