নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের নিগূঢ় সত্যটি হচ্ছে, কখনো এমন কোনো আবেগকে প্রশ্রয় না দেয়া যা অশোভন।

মোস্তফা অভি

আমি ফেরী করি, আমি ফেরীওয়ালা।

মোস্তফা অভি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প,,,,,,, গ্রামীন সমাজ ও প্রেম প্রেক্ষাপটে।

০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৩১

কন্যা বির্সজন
গোলাম মোস্তফা অভি
তারিখ: জুন, ৬, ২০০৫ ইংরেজি।
নাম তার আবুবকর, পেশায় র্সদার । জোড় করে চর দখল করা কিংবা পরের জমিতে জোড় করে ধান কাটতে মানুষ তাকে ভাড়া করে। লম্বা দেহ, প্রশস্ত বুক , ঢালের মতো মুখোমন্ডল। ঘনো দাড়ি, হালকা ভাঙ্গা চোয়াল, দাড়িতে মুখোমন্ডল ঢেকে আছে। মাথা র্ভতি কোকঁড়া চুল, চওড়া ভ্রু যুগোল কপালের আধা আংশ জুড়ে আছে। কোমড়ে কাঁছা বেঁধে গামছা জড়িয়ে যখন হাঁটে, তখন সামান্য হলেও মানুষের ভয় হয়। মানুষ তাকে দেখে ভয় পাওয়ার সব’চে বড় কারণ তার চোখ। তাকালেই মনে চোখের পাতা ভেদ করে চোখদুটো যেন বের হয়ে আসবে। মানুষের দিকে তাকিয়ে ডানে বামে চোখ ঘুরানোই তার স্বভাব। বাঁশের লাঠি চালাতে সে ওস্তাদ। দু’হাতে সব্যসাচীর মতো ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে, খেলতে খেলতে লাঠিঁ চালাতে পারে সে। বেতের ঢাল হাতে নিলেই সে নিরাপদ। ঢাল ভেদ করে রামদার কোপ কখনোই তাকে আঘাত করতে পারেনা। জীবনে কতদ মানুষের র্সদার হয়ে সে লড়েছে সে হিসেব হয়ত তার নিজের কাছেই নেই।
এই আবু বকর র্সদারের মেয়ে কুলসুম। বাবার মতো র্দীঘ দেহী। এখন ষোল বছরের যৌবন তার বৃদ্ধাঙ্গুলের নখ থেকে মাথার কালো কেশের শেষ সীমা র্পযন্ত পৌঁছেছে। চোখে সোনালী স্বপ্ন, মুখে মিষ্টি কথা। র্দীঘ দেহী বলে পাঁড়ার বেটে কিংবা অপেক্ষাকৃত কম লম্বা যুবকদের আগ্রহ কুলসুমের প্রতি নেই। মাঝে মাঝে তারা দু’একবার তাকায়। তারপর একে অপরের কাছে মন্তব্য করে কুলসুম মেয়েটি যেনো পাহাড়ের মতো। কেউবা ধঞ্চে গাছ বলেও আড়ালে মুচকি হাসে। এরকম দু’চার কথা যে কুলসুমের কানে যায়না তা কিন্তু নয়। মনে মনে দু:খ বোধ করে সে। ভাবে, কেন যে বিধাতা আমায় বিশাল দেহ দিয়েছেন তা তিনিই জানেন।
পাঁড়ার বেশীরভাগ ছেলেই কুলসুমের চেয়ে দেখতে অপেক্ষাকৃত বেটে। তাই বলে তো মনের চাওয়াকে দমিয়ে রাখা যায় না! কুলসুমের ষোর বছরের যৌবন তাকে রাতে বিছানায় শান্তিতে ঘুমাতে দেয় না। শয্যার পাশে তার কোন যুবকের অস্তিত্ব কল্পনা সকরতে ভালো লাগে। ভালো লাগে পাঁড়ার ওরচেয়ে কম লম্বা সুন্দর মুখের ছেলটিকে ভালবাসতে।
কুলসুম পাঁড়ার অন্যসব মেয়েদের তুলনায় সুন্দর। ত্রুটি একটাই, তার লম্বা গড়ন আর প্রসস্ত দেহ। সেটা তো প্রণয় কিংবা ভালবাসার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হতে পারেনা। তাই পাঁড়ার সুন্দর মুখের ছেলে জাফরের সাথে চেনাজানা, বোঝাপাড়া, মন দেয়ানেয়া র্সবপরি প্রেমর সূচণার যাত্রারাম্ভ হয়। রাত বিরাতে লুকিয়ে দেখা করা, একে অপরের অঙ্গ ছুঁয়ে শিউরে ওঠাএমনকি গাঁয়ের যুবক যুবতীর চিরন্তণ প্রেম প্রথার সেই স্বভাব নবী রাসুল নিয়ে শফত করার র্পবো শেষ করে ফেলল।
তাদের প্রেম পাঁকাপাঁকি। গাঁয়ের দু’চারজন টেরো পেয়েছে। আবু বকর র্সদারে র ভয়ে কেউ মুখ খোলেনা। এক কান দু’কান হয়ে গ্রামময় রাষ্ট্র হয়ে গেল নব প্রেমের কাহিনী। আবু বকর শুনলো সবার শেষে। রাগে উত্তেজনায় তার শরীর ফেটে যায়। কুলসুমকে দেখলেই দাঁত কটমট করে মুখে খিচ দিয়ে তাকায়। ইচ্ছে করে দীন দরিদ্রের ছেলে তিনকূলহীন জাফরকে কায়দা করে ফেললে বাঁচে।
একদিন দুপুর বেলা, র্সূযের তেজ দিগন্তে। আবু বকর জাফরকে কামলা চেলা দিয়ে ডেকে পাঠায়। জাফর কাছে আসতেই তার মাথায় রক্ত চড়ে। মনে হয়, ঘোষ বাড়ীর নকুলের মতো এখনি শিরটা ছেচ্যা দেয়। কিন্তু সে তা পারেনা। অবশেষে সে এন্তার শাসিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেবার ভয় দেখিয়ে জাফরকে বিদায় দেয়।
এদিকে র্সদার কুলসুমের বিয়ের ঘর যোগাড় করে। বর বেটা মেট্টিক পাশ। বাবা আবু বকরের মতোই অন্য এলাকার লাঠিয়াল র্সদার। তিন হাল মহিষ আর দুই হাল গরু সাথে পাঁচ বিঘা জমির চাষাবাদ। বাবার একমাত্র ছেলে ভেবে আবু বকর প্রাধান্য দিয়ে ছেলের বাবাকে পাঁকা কথা দিয়ে ফেলেন। কথা দেওয়ার আগে একবারো ভেবে দেখেন নি যে ছেলে বাম পায়ে খুঁড়িয়ে হাঁটে। কেননা, এখানে বরের বাবা বৈশাখের পয়লা তারিখ দিলেও কন্যার বাপ আর আপেক্ষা করতে চাইল না।
রবিবার সাপ্তাহিক হাটে বিয়ের কেনাকাটা করা হল। কানের দুল হাতের বালা আনা হল শহর থেকে। আজ সন্ধ্যার একটু পরে বর পক্ষের লোক আসবে। বাদ এশা কলেমা কাবিন। পাড়ার ছেলেরা কলাগাছ দিয়ে গেট সাঁজিয়েছে। রঙিণ কাগজ কেটে দড়িতে বেঁধে সারা বাড়ি সাজিয়েছে। আঙিণার একধারে বরের জন্য আসন পেতেছে। আবশেষে সন্ধ্যার পরক্ষণেই ট্রাংকে করে পয়নামা আর মাটির হাড়িতে জগার মিষ্টি নিয়ে কনের বাড়িতে হাজির হলো।
কাজী সাহেবকে খবর পাঠানো হলো। আত্মীয় স্বজন পেছন বাড়াতে পায়চারি করছে। কৌতুহলী কিশোর বাঁশের তৈরী হেচকিতে রং ভরে বর পক্ষের কারো শরীরে মারবে বলে সূযোগ সন্ধান করছে। ইতো:মধ্যে কাজী সাহেব সহকারী মৌলভীকে নিয়ে হাজির হলো। ভেতরবাড়িথেকে বাতাশে রকমারী খাবারের গন্ধ বাতাশে ভাসছে। রান্নাঘরে মহিলাদের আনাগোনা। কাজী সাহেব মেয়ের অনুমতি আনতে দুজন মুরব্বিকে অন্দরে পাঠালেন। মুরব্বি দুজন আর ফিরে আসেনা। আবু বকরকেও আন্দরে ডেকে নেওয়া হলো। অবশেষে সকলের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল যে প্রতিবেশী জাফর কণ্যার মন হরণ করেছে বহু আগে কিন্তু আজ এই আয়োজনে সে কন্যার ভেতর বাহির সব

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.