নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবর্তন

গৌমূমোকৃঈ

জন্মঃ ১১ই জুন রাজশাহীআমিঃ সাধারণ হতে চেষ্টা করি ভালবাসিঃ মানুষ শখঃ ব্লগিং ও বই পড়াঅবাক করেঃ পৃথিবীগৌমূমোকৃঈ আমার পুরো নাম (গৌতমমূসা মোহাম্মদ কৃষ্ণঈসা) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এই নামকরণের পেছনে কাউকে হেয় করার প্রবণতা নেই বরং সকল ধর্ম-গুরুর প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।মনের গভীরে জমে থাকা কিছু আজগুবি প্রশ্ন আমাকে স্থির থাকতে দেয় না। তাই নগণ্য কিছু লেখালেখির মাধ্যমে তা প্রকাশ করার চেষ্টা করি মাত্র। সকল কবি/লেখকদের প্রতি রয়েছে আমার বিনম্র শ্রদ্ধা।কর্ম জীবনে এপারেল এন্ড ফ্যাশান ট্রেড এর একটি বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানীতে কাজ করছি।গল্প/কবিতা ছোট বেলা থেকেই ভাল লাগে। তাই ছোট বেলা থেকেই টুকটাক লিখতাম। ২০১০ সালে ব্লগে সেই গুলো প্রকাশ করার পর উৎসাহ পেয়েছি।প্রথম কাব্যগ্রন্থঃ শূন্যতা কল্পনা বাস্তবতা (১লা ফেব্রুয়ারী ২০১৩)।আমি বার বার ফিরে আসি পৃথিবীতেপৃথিবী কবে শান্ত হবে তা দেখতে।কবে কে যেন আঘাত করেছিল তাকেসে আঘাত সইতে না পেরেআজও আর্তনাদ করে করে ছুটে চলেছে পৃথিবী একই বাঁকে বাঁকে একই ঘূর্ণি পথেএকই কক্ষপথে।কষ্ট নিয়ে নিয়ে ছুটে চলা পৃথিবীর সেই আর্তনাদ শুনতে কি চাও তুমিতবে তৈরি থেকোকোনও এক চাঁদ বিহীন মধ্যরাতেকান পেতে রেখো হৃদয়ের স্তব্ধ মণিকোঠাতে।জন্মঃ ১১ই জুন রাজশাহীআমিঃ সাধারণ হতে চেষ্টা করি ভালবাসিঃ মানুষ শখঃ ব্লগিং ও বই পড়াঅবাক করেঃ পৃথিবী। সকল কবি/লেখকদের প্রতি রয়েছে আমার বিনম্র শ্রদ্ধা।কর্ম জীবনে এপারেল এন্ড ফ্যাশান ট্রেড এর একটি বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানীতে কাজ করছি।গল্প/কবিতা ছোট বেলা থেকেই ভাল লাগে। তাই ছোট বেলা থেকেই টুকটাক লিখতাম। ২০১০ সালে ব্লগে সেই গুলো প্রকাশ করার পর উৎসাহ পেয়েছি।প্রথম কাব্যগ্রন্থঃ শূন্যতা কল্পনা বাস্তবতা (১লা ফেব্রুয়ারী ২০১৩)।আমি বার বার ফিরে আসি পৃথিবীতেপৃথিবী কবে শান্ত হবে তা দেখতে।কবে কে যেন আঘাত করেছিল তাকেসে আঘাত সইতে না পেরেআজও আর্তনাদ করে করে ছুটে চলেছে পৃথিবী একই বাঁকে বাঁকে একই ঘূর্ণি পথেএকই কক্ষপথে।কষ্ট নিয়ে নিয়ে ছুটে চলা পৃথিবীর সেই আর্তনাদ শুনতে কি চাও তুমিতবে তৈরি থেকোকোনও এক চাঁদ বিহীন মধ্যরাতেকান পেতে রেখো হৃদয়ের স্তব্ধ মণিকোঠাতে।

গৌমূমোকৃঈ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলাপন-৪

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

আকর্ষণ আর আদ্রির বিয়ে হয়েছে আজ দেড় বছর। তাদের ঘর আলো করে এসেছে এক ফুটফুটে কন্যা সন্তান। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর আকর্ষণ যখন প্রথম দেখল সে তাকিয়ে ছিল সন্তানের দিকে।

সন্তানের পাশে শুয়ে থাকা আদ্রি আকর্ষণকে বলল, ছোট বেলায় তুমি তোমার মাকে হারিয়েছিলে এখন দেখ তোমার মা আবার ফিরে এসেছে। কি, তুমি খুশি না?



আকর্ষণ উত্তর দিল না। কন্যা সন্তান কে বুকে নিয়ে আদর করতে লাগল। আদ্রির চোখের কোনে একটু জল এলো। আকর্ষণ তাকাল। আদ্রি আস্তে করে বলল, আমি তোমাকে পুত্র সন্তান দিতে পারলাম না।



আকর্ষণ কিছু বলল না।

ও কাঁদছে কাঁদুক। এখন ওর কাঁদতে ইচ্ছে করছে। হয়ত ও পুত্র সন্তান চেয়েছিল। আমিতো কখনও পুত্র সন্তান কিংবা কন্যা সন্তান এ বিষয়ে কিছুই ভাবিনি এবং ওকে কখনও কিছু বলিনি।

সন্তান সন্তানই সে পুত্র হোক কিংবা কন্যা। পুত্র সন্তানও মানুষ কন্যা সন্তানও মানুষ। সন্তান স্রষ্টার নেয়ামত। এমন অনেকে আছেন যারা সুস্থ সন্তান পাননি হতে পারে তাদের সন্তান পুত্র।



পুত্র সন্তান মানুষ কেন চায়? সে বড় হয়ে বাবা-মাকে খাওয়াবে? এটা আশা করা এক ধরণের অবিদ্যা। পুত্র বংশের বাতি জ্বালিয়ে রাখবে? বংশের বাতি মানে কি?

আমার শুক্রাণু আর আমার স্ত্রীর ডিম্বাণু মিলে জাইগোট তৈরি হয়েছে এবং তা থেকে এই সন্তান জন্ম লাভ করেছে। জাইগোট তৈরি হতে শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু দুটোই প্রয়োজন।

শুধু শুক্রাণু দিয়ে-তো আর জাইগোট হয় না। তাহলে শুধু পুত্র সন্তান কি করে বংশের বাতি জ্বলায়? কন্যা সন্তানও বংশের বাতি জ্বালাতে পারে।



হটাত আকর্ষণের মোবাইল ফোন বেজে উঠল।

-মিঃ আকর্ষণ সাহেব বলছেন?

-জী বলছি

-আমেরিকার "গোল্ডেন গোল্ড" কোম্পানি থেকে লিকুইড গোল্ড ইম্পোর্টের জন্য আমার একটা এলসি ওপেন হওয়ার কথা ছিল। হয়নি কেন?

-দয়া করে কি বলবেন আপনি কে বলছিলেন?

-পদ্মা-মেঘনা-যমুনা

-উনাদের নাম্বার তো আমার হ্যান্ড সেটে সেইভ করা আছে। আপনার কলটা একটা আন-নোন নাম্বার থেকে তাই জিজ্ঞেস করছি।

-ওরা আমার চ্যালা। রাঘব বোয়াল চেনেন? সব গিলে খেয়ে ফ্যালে?

-স্যার, আমি একটু ছুটিতে আছি কারণ আমার সন্তান জন্ম গ্রহণ করেছে তাই আমার স্ত্রী অসুস্থ।

-ওকে

-আপনি যদি অনুগ্রহ পূর্বক আমাদের এমডি স্যারকে কে একটু...... নাহ আমি বরং উনাকে আপনার নাম্বারে ফোন করতে বলছি।

- ওকে। টেক কেয়ার অফ ইয়র বেবি এন্ড ওয়াইফ। টেল ইয়র এমডি টু কল মি।



আকর্ষণ একটি ফরেন ব্যাংকের এভিপি। এধরণের ফোন কল হ্যান্ডল করে ও অভ্যস্ত।

আদ্রি জিজ্ঞেস করল, কে ফোন করেছিল? আকর্ষণ কি উত্তর দিবে? একবার ভাবল বলবে, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা। আবার ভাবল বলবে, রাঘব বোয়াল। কিন্তু সে বুঝল তার স্ত্রীর এধরণের উত্তর শোনার সমায় এটা নয়।

তাই সে বলল, একজন ক্লায়েন্ট ফোন করেছিল।



সপ্তাহ খানেক পর আদ্রিকে এপোলো থেকে রিলিজ দিল।

বেশ কিছুদিন যাবত সাড়া বিশ্ব তোলপাড় চলছিল। মূলত দ্বন্দ্ব চলছিল চীন এবং অ্যামেরিকার মধ্যে। মহাদেশ হিসেবে এ দ্বন্দ্ব এশিয়া বনাম আমেরিকা।

আস্তে আস্তে সে দ্বন্দ্ব সাড়া বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।

মাস খানেক যাবত বিভিন্ন পত্র পত্রিকা এবং টেলিভিশনে খবরে বলা হচ্ছে যে কোনও সময়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে।



ইতোমধ্যে দুই শক্তির বিন্যাস হয়েছে। তারা চূড়ান্ত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। পাকিস্তান চীনের পক্ষে গিয়েছে আর ভারত অ্যামেরিকার পক্ষে।

উত্তর করিয়া চীনের পক্ষে আর দক্ষিণ করিয়া অ্যামেরিকার পক্ষে। ইংল্যান্ড সাপোর্ট করেছে অ্যামেরিকাকে আর রাশিয়া সাপোর্ট করেছে চীনকে।

জার্মানি এখনও কারও পক্ষে বিপক্ষে কিছু বলেনি। বাংলাদেশ চীনের পক্ষ নিয়েছে।



আকর্ষণ অফিসেই ছিল। হটাত খবর এলো যুদ্ধ বেঁধে গিয়েছে। বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন দেশের উপর আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে।

এইমাত্র খবর এলো পাকিস্তান কলকাতাকে টার্গেট করে পরমাণু বোমা বহনকারী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে কিন্তু একটু ভুল প্রোগ্রামিং এর কারণে ক্ষেপণাস্ত্রটি কলকাতায় না এসে ঢাকায় এসে পড়বে।



ওটা আসতে ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট সময় লাগবে। খবরে বলা হল এই সময়ের মধ্যে সবাই যেন ঢাকা থেকে কমপক্ষে ৫০ মেইল দূরে চলে যায়।

আকর্ষণ লক্ষ্য করল অফিস থেকে সবাই দৌড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। সব অফিস এবং বাসা থেকে সব মানুষ বেরিয়ে যাচ্ছে। আকর্ষণ ব্যাংকের লকারে টাকার বস্তা পরিদর্শন করছিল।

মুহূর্তে ব্যাঙ্ক ফাঁকা হয়ে গেল। সে ভাবছে এই টকার বস্তা গুলোর কি হবে। একটা বস্তা নিয়ে সে দৌড়ে বেরিয়ে পড়ল। আদ্রিকে ফোন করে বলে দিল রেডি থাকতে।

বাসায় এসেই তারা আবার বেরিয়ে পড়ল বাস স্টেশনের দিকে।

কিন্তু স্টেশনে এতো মানুষের ভিড় যে বাসে ওঠাই সম্ভব হচ্ছে না।

অনেক কষ্টে আকর্ষণ একটি বাসের হাতল ধরেছে ডান হাতে আর বাঁ হাত দিয়ে আদ্রিকে টেনে তুলেছে এবং কোনও রকম ভাবে ধরে রেখেছে কারণ তার বাঁ হাতে টাকার বস্তাও আছে।

বাসটি চিটাগাঙে যাবে। আদ্রির কোলে তার কন্যা সন্তান। আদ্রি বার বার জিজ্ঞেস করছে, ওটা কিসের বস্তা? ওটা ফেলে দাও। কিন্তু আকর্ষণ বস্তা ফেলছে না।



হটাত আকর্ষণের থ্রি জি সেটে একটি মেসেজ এলো। সে মেসেজে দেখল, চীন এবং আমেরিকার মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ শুরু হয়েছে। তবে এখন কোনও মানুষ যুদ্ধ করছে না।

মানুষ যুদ্ধ করবে পরে। এখন যুদ্ধ করছে রবোট। আমেরিকার রবোট ভার্সেস চাইনিজ রবোট। ওরা যুদ্ধ করছে আকাশ পথে, পানি পথে, ভূমি থেকে ভূমি এবং ভূমির অভ্যন্তর থেকে ভূমির অভ্যন্তরে।

আকর্ষণ থ্রি জি সেটে সেই যুদ্ধ দেখছে। চাইনিজ রবোট এয়ার জেট থেকে আমেরিকান রবোট এয়ার জেটে মিসাইল মারছে আবার আমেরিকান রবোট এয়ার জেট তা ঠেকাচ্ছে।

আবার আমেরিকান রবোট মিসাইল মারছে এবং চাইনিজ রবোট এয়ার জেট সরে গিয়ে পাল্টা মিসাইল মারছে।

আদ্রি এগুলো দেখে বলল, তুমি কেমন মানুষ বলত? যেখানে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেঁধে গেছে আর তুমি সেখানে মোবাইলে গেম খেলছ?



আকর্ষণের হ্যান্ড সেটে আবার একটি মেসেজ এলো। এই মেসেজে বলা হয়েছে যে, পাকিস্তানীরা পরমাণু-বাহী ক্ষেপণাস্ত্রটির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করেছিল যেন সেটা ঢাকায় না পড়ে কিন্তু ঘটনা ঘটেছে ভিন্ন।

গতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি এখন আর ঢাকায় পড়বে না ঠিকই কিন্তু ওটা এখন চিটাগাঙের দিকে যাচ্ছে। আর ৪৫ মিনিট পরে ওটা ঠিক ডামপারা গিয়ে পড়বে।



বাসে অনেকের হাতেই থ্রি জি সেট ছিল এবং সবাই এই মেসেজ পেয়েছে কারণ সবাই স্যাটেলাইট চ্যানেল দেখছিল।

সাথে সাথে সবাই ড্রাইভার কে বলল, বাস ঘুরিয়ে সিলেটের দিকে যেতে।

ড্রাইভার মুহূর্তেই ব্রেক কষতে গিয়ে যাত্রীরা সবাই এক বড় ধাক্কা খেল। আকর্ষণের বাঁ হাত থেকে আদ্রি, তার কন্যা সন্তান এবং টাকার বস্তা পড়ে গেল।

প্রথমে টাকার বস্তা পড়ল এবং বস্তার উপরে আদ্রি পড়ল, আদ্রির কোলে কন্যা সন্তান পড়ল। তাই আদ্রি এবং তার সন্তান ব্যথা পায়নি।



বাসটি থেমে আছে। এখনি ঘুরিয়ে ফেলবে। এবার আকর্ষণকে জীবনের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নিচে রাস্তায় পড়ে আছে আদ্রি, কন্যা সন্তান এবং টাকার বস্তা।

সিদ্ধান্ত নিতে হবে, হয় আদ্রিকে তুলিতে হবে অথবা টাকার বস্তা। আকর্ষণ ভাবছে কি করবে।

জীবনে বেঁচে থাকলে টাকা আয় করা যাবে কিন্তু আদ্রিকে ফেলে রেখে গেলে সে তার প্রিয়তমা স্ত্রী এবং আদরের সন্তান কে হারাবে।

আবার ভাবছে কে প্রিয়তমা, কে অপ্রিয় আর কে আদরের এগুলো নির্ভর করে টাকার উপর। জীবনে টাকা থাকলে প্রিয়তমার অভাব হয় না। আদরের সন্তানেরও অভাব হয় না।



আকর্ষণকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে কি তুলে নেবে। টাকার বস্তা নাকি আদ্রি-সন্তান? বাস হর্ন দিচ্ছে এখুনি ঘুরিয়ে ফেলবে। আকর্ষণ ভাবছে।

ভাবতে ভাবতে তার মন চলে গেল ছোট বেলায়। স্কুলের জীবনটা কত সুন্দর ছিল! স্কুলের পড়ালেখা আর অবসরে গল্প-কবিতা পড়া।



মনে আছে প্রতিবার বাঙলা একাডেমীর ২১শে বই মেলায় গিয়ে অনেক অনেক বই কিনে জমিয়ে রাখত। ঈদের ছুটিতে যখন দাদার বাড়িতে যেত তখন বই গুলো পড়ত।

তার স্পষ্ট মনে পড়ছে একদিন অনেক রাত জেগেছিল একটি বই শেষ করতে। বইটির নাম আলাপন। হ্যাঁ এইতো, প্রথমে বইয়ের প্রচ্ছদ দেখা তারপর লেখকের নাম এবং বায়োগ্রাফি দেখা।

তারপর সূচিপত্র। আলাপন-১, আলাপন-২, আলাপন-৩, আলাপন-৪, হ্যাঁ সেদিন রাতে তো আলাপন-৪ পড়েছিল।

এখনও যেন আকর্ষণের চোখে ভাসছে সেই গল্পের প্রতিটি লাইন.........



"আলাপন-৪"

একটি বালক ঘুমোবার চেষ্টা করছে কিন্তু ঘুম আসছে না। হটাত একটি শব্দ ভেসে এলো......

শব্দ: কি ভাবছ হে বালক?

বালক: আমি এখন ঘুমব। কে তুমি কথা বলছ?

শব্দ: আমি সেই জন যার কথা তুমি এখন ভাবছ।

বালক: আমিতো আল্লাহর কথা ভাবছি, তুমি কে? তোমাকে দেখতে পাচ্ছি না কেন?

শব্দ: ধরো তুমি যা ভাবছ আমি তাই

বালক: তাহলে তুমি দেখা দাও

শব্দ: সময় হয়নি দেখা দেয়ার। বল তুমি কি জানতে চাও।

বালক: তুমি-তো সব কিছু সৃষ্টি করেছ, ঠিক না?

শব্দ: হ্যাঁ করেছি

বালক: কোন জিনিসটা তুমি খুব সহজে সৃষ্টি করেছ?

শব্দ: কোনও জিনিসই সৃষ্টি করা আমার জন্য কঠিন নয়।

বালক: সব কিছু সৃষ্টি করা তোমার কাছে একই রকম?

শব্দ: যে কোনও জিনিস আমি হও বললেই হয়ে যায়।

বালক: ও আচ্ছা।

শব্দ: তবে একটি প্রজাতি সৃষ্টি করতে গিয়ে আমি একটু বেগ পেয়েছিলাম।

বালক: কোন প্রজাতি সেটা?

শব্দ: মানুষ

বালক: কেন?

শব্দ: মানুষ সৃষ্টি করতে গিয়ে আমি বুঝলাম আমি নিজেকে বিভাজন করেছি।

বালক: কিভাবে?

শব্দ: প্রথমে আমি মানুষকে মাটি দিয়ে সৃষ্টি করলাম।

বালক: তারপর?

শব্দ: আমি তার মুখে মুখ লাগিয়ে ফুঁ দিলাম এবং সে জীবন্ত হয়ে উঠল।

বালক: এতেই তুমি বেগ পেলে?

শব্দ: ফুঁ সাথে সাথে আমার পবিত্র আত্মা মানুষের ভেতর ঢুকে গেল।

বালক: তাই নাকি?

শব্দ: আর মানুষ আমার মতো ক্ষমতা পেয়ে গেল।

বালক: তোমার মতো ক্ষমতা?

শব্দ: শুধু কিছু বিশেষ ক্ষমতা ছাড়া।

বালক: কতটুকু ক্ষমতা পেয়েছে মানুষ?

শব্দ: যতটুকু আমার পবিত্র আত্মা ঢুকেছিল।

বালক: মানুষ কি জানে সে তোমার মতো ক্ষমতাধর?

শব্দ: সবাই নয় তবে অল্প কিছু মানুষ তা জানে।

বালক:ও আচ্ছা। তুমি কি ইতোমধ্যেই সব কিছু সৃষ্টি করে ফেলেছ নাকি আরও কিছু সৃস্টি করার বাকি আছে?

শব্দ: সৃষ্টি বলতে তুমি যা বোঝাচ্ছ তার সব কিছুই শেষ, বাকি নাই তবে.........

বালক: তবে কি?

শব্দ: এখনও অনেক কিছুই সৃষ্টি করা বাকি আছে যা তুমি এখন বুঝবে না।

বালক: কখন বুঝবো?

শব্দ: আমার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখো।



























মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

ভিটামিন সি বলেছেন: গল্পটা পড়লাম না। কারণ আকর্ষন যে কারও নাম হতে পারে এই বিষয়ে আমার খটকা আছে। বিশেষণকে আপনি নামে ব্যবহার করেছেন, কিন্তু আপনার নিজের নামটা কোন পদে পড়ে???

২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

গৌমূমোকৃঈ বলেছেন: আমার মনে হয় ভিটামিন সি এর অভাব হয়েছে |-) :|| X((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.