নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
কী অদ্ভুত টগবগে রকমের প্রাণবন্ত এই শহর, ঢাকা!
পথে যখনই নামতে হয় তখনই এরকমটা মনে হয় আমার। পায়ে পায়ে লোক, একটু থুথু ফেলবেন- সতর্ক না হলে কারো না কারো গায়ে পড়বেই! এতো লোক, এতো রিক্সা, এতো সিএনজি-বাস-লরী, এতো ঠেলাগাড়ী-ভ্যান, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস আর মটর সাইকেল সারা শহরটা জুড়ে! সব মিলে গমগম সারাক্ষন। প্রাণবন্ত বলবো না তো কি ?
প্রাণের আবেগে ভেসে, মানুষ থেকে যানবাহন সবই যে যার খুশিমতো চলছে। কোন আইন নেই, কানুন নেই (কাগজে কলমে আছে বটে তবে তা অকার্য্যকর), কোন বিবেচনাবোধ নেই, কোন সহিষ্ণুতা নেই! কোনদিকেই কারো বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপও নেই। যে যার মতো চলছে। ঠেলাঠেলি - গুঁতোগুঁতি , বেপরোয়া বাস- মটর সাইকেলের তীক্ষ্ণ হর্ণ, গাড়ীর প্যা-পো, এ্যাম্বুলেন্সের কান ফাঁটানো সাইরেন সব মিলে যেন অনন্য এক প্রাণের মিলন মেলা। তারপরেও মানুষ আসছে বানের লাহান। এতো অনিয়ম আর বিশৃঙ্খলার মাঝে্ও এমন প্রানবন্ত শহর তার জঠরে ঠাইঁ দিয়ে রেখেছে প্রায় আড়াই কোটি আদম সন্তানকে।
এই শহর প্রাণবন্ত মনে হলেও এর বিপরীতে পথে পথে জটলা, মোড়ে মোড়ে হাট-বাজার, গাড়ী আর মানুষের জট, কোনা-কাঞ্চিতে – ফুটপাত আটকে চা-সিগ্রেট আর সস্তায় ডাল-ভাতের দোকানের বাহার,
ছবি –১. বেদখল ফুটপাথ......
ছবি – নিজের তোলা
ছবি –২. কী নির্বিকার! পথের পাঁচালী.........
ছবি – নিজের তোলা
হাত তুলে চলতি যানবাহন থামিয়ে পায়ে হাঁটা লোকদের যখন তখন রাস্তা পারাপার, পকেট মারা, হানাহানি, ছিনতাই, দখল সবই যেন এই মহাবেকুবের চোখে দান্তের “দ্যা ডিভাইন কমেডি”র প্রথম পর্ব ‘ইনফার্নো’র সাক্ষাৎ চিত্ররূপ বলে মনে হয়!
ছবি –৩. চলন্ত গাড়ীর ফাঁক ফোকড়ে.......
ছবি - নিজের তোলা
ছবি – ৪. আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে......
ছবি – নিজের তোলা
দান্তে তার কবি বন্ধু ভার্জিলের সাথে একটা কল্পিত ভ্রমনে যাত্রা শুরু করে প্রথমে নরকে গিয়ে পড়েছিলেন। আপনাকে অবশ্য কল্পিত ভ্রমনে যেতে হবেনা, ঢাকা শহরে বাস্তব ভ্রমনেই “দ্যা ডিভাইন কমেডি”র প্রথম পর্ব ‘ইনফার্নো’র স্বাদ পেয়ে যাবেন।
দান্তে তার এই পর্বে নরকের নয়টি কক্ষের কথা বলেছেন। এই বেকুবের কাছে মনে হয় সবগুলোই এই শহরেও আছে! মহাবেকুবের বেকুবী ভাবনায় মনে হয়, আগের জন্মে যারা পাপ করেছেন তাদের শাস্তি স্বরূপ নরকের শহর ঢাকায় পাঠানো হয়েছে! বলবেন, ভাগ্য! কপালের লিখন! হয়তো।
ছবি -৫. সুরম্য ভবন আর জরাজীর্ণ হা-ভাতে টিনের আবাস, হাত ধরে পাশাপাশি........
ছবির কৃতজ্ঞতা – আজকের বাজার পত্রিকা
এ শহরের ইট-পাথরে গাঁথা সুরম্য ভবনগুলো, জরাজীর্ণ হা-ভাতে দালান বা টিনের আবাসগুলো আর বস্তিগুলোকে নরকের এক একটা কুঠরী বলেই আপনার মনে হবে। তবে প্রকার ভেদে এইসব কুঠরীর চরিত্রও ভিন্ন। সুরম্য ভবনগুলো কামলিপ্সা , লোলুপতা আর পেটুকবৃত্তির ঘেরাটোপে অবরূদ্ধ এক একটি সুরম্য কারাগার। জরাজীর্ণ হা-ভাতে দালান বা টিনের আবাসগুলো তেমন কারাগার যেখানে জুলুম, জোচ্চুরি, হীনমন্য প্রতিযোগিতা আর বিশ্বাসঘাতকতায় আটকা পড়ে আছে সবাই। আর বস্তি ? সে এক অদ্ভুত কারাগার! এখানের অধিবাসীরা অযোগ্য- অসমর্থ- অক্ষম একটি প্রজাতি, সবদিক থেকেই পরাজিত।! এখানের দেয়ালে দেয়ালে কামলিপ্সা আছে , লোলুপতা আছে , জুলুম, জোচ্চুরি আর বিশ্বাসঘাতকতায়ও আছে । তার চেয়েও বেশী আছে দারিদ্র! আছে পেটের ধান্ধায় আলোহীন, নিয়মহীন, বিপদজনক সব কাজকারবার।
এই সব নিয়েই কিন্তু প্রাণবন্ত এই ঢাকা শহর। মাঝে মাঝে যখন ৩২ সীটের আমার বড় গাড়ীটিতে বের হই তখন চারপাশের দৃশ্য দেখে মনে হয় আসলেই এই শহরটা সম্পূর্ণ আলাদা একটা শহর – পথহীন, গাঁথুনিহীন, আলোহীন, নিয়মহীন, বন্য, বিপদজনক এক শহর; যেখানে বাস, ট্রাক, রিকসা, সাইকেল , ভ্যান , ঠেলাগাড়ী আর পথচারীরা টিকে থাকার জন্যে গুতোগুতি করছে দিনরাত ।
ছবি –৬. স্বাধীনতা, তুমি কি যেমন খুশি ?
ছবি – নিজের তোলা
নিয়মহীন, বন্য আর বিপদজনক এই কারনে যে, আমার বড় গাড়ীটির যাত্রীগুলো যেখানে সেখানে চলন্ত গাড়ীঘোড়ার চিপাচাপায় রাস্তার মধ্যিখানেই নেমে যাচ্ছে নির্বিকার। আমার ড্রাইভারটিও আরেক কাঠি সরেস। যাত্রীর আশায় সেও যেখানে সেখানে হাত দেখানো যাত্রী বা পথে জটলা করে দাঁড়ানো মানুষ দেখে অবলীলায় থেমে যাচ্ছে চলমান ট্রাফিক কে কাঁচকলা দেখিয়ে। মহাবেকুবের মতো আপনিও বেকুব হয়ে যাবেন এটা দেখে যে, পেছনে যে ট্রাফিক জ্যাম লেগে গেছে সে ব্যাপারে কারো শীত-গ্রীষ্ণ নেই। না যাত্রীর, না চালকের! চলন্ত গাড়ীর স্রোতের তোয়াক্কা না করে ঝট করে জীবনটা হাতে নিয়ে তার মধ্যেই নেমে যা্ওয়ার ঝুঁকিটা্ও মনে হয় তাদের জানা নেই! সকল যন্ত্রনা-অপ্রাপ্তি-কষ্ট-অক্ষমতা-হাহাকার নিয়ে তবুও প্রাণের তাগিদে চলছে শহরটি, থেমে নেই সেই ভোর রাত থেকে সকাল-দুপুর-বিকেল পেড়িয়ে গভীর রাত অবধি। এতো অনিয়ম, এতো শঠতা, এতো যে জীবন যন্ত্রনা; তবু যেন ঢাকার সব কিছু মধুতে মাখা।
ছবি –৭. হাতের মুঠোয় প্রান নিয়ে......
ছবির কৃতজ্ঞতা – বিডি নিউজ ২৪.কম
ছবি –৮. খেয়াল খুশির পাবলিক................
ছবি – নিজের তোলা
তাই প্রানের মেলা যেন চারিদিকে থৈ-থৈ!
স্বাধীনতার স্বাদ নিরঙ্কুশ ভাবে চুটিয়ে উপভোগ করতে পারার সব আয়োজন আছে এখানে। ফি মাসে যেখানে খুশি সেখানের রাস্তা খুঁড়তে কোন বাঁধা নেই নাগরিক সুবিধা প্রদানকারী যে কোন বিভাগের! পথে ঘাটে, উন্মুক্ত রাস্তায় ইট-বালু-রড-সিমেন্ট ফেলে রাস্তা আটকে নিজস্ব দালান-কোঠা-মাল্টিস্টোরিড বানানোতে আপনি পুরোই স্বাধীন। কেউ আপনাকে বাঁধা দেয়ার নেই। বিশেষ আশীর্বাদে ফুটপাথ দখল করে বাজার-হাট বসাতে পারেন ইচ্ছে করলেই! শুধু ফুটপাত থেকেই চাঁদা তুলতে পারেন দৈনিক কয়েক কোটি টাকা। চাই কি সমিতি-সংগঠনের কয়েকটা অফিস্ও বসাতে পারেন ফুটপাতে চাঁদা তোলার জন্যে ! এক্সপ্রেস্ওয়ে বানাতে দুই- চার বছরের কথা বলে স্বাধীন ভাবেই জনগণের দূর্ভোগ বাড়িয়ে সব পথঘাট আটকে দশবছর কিম্বা একযুগ্ও লাগিয়ে দিতে পারেন। পথ আটকে মিটিং-মিছিল করতে পারেন ইচ্ছে হলেই।
ছবি – ৯. ঢাকার নিয়তি......
ছবির কৃতজ্ঞতা – ঢাকা টাইমস ২৪
নো ওয়ান ইজ গোইং টু আস্ক য়্যু এনি কোয়েশ্চেন!
স্বাধীন ভাবেই আপনি যখন খুশি তখন উল্টোপথে গাড়ী-রিক্সা-বাইক-ঠেলা-ট্রাক-বাস চালিয়ে যেতে পারেন। এমনকি পুলিশের গাড়ী যেতে্ও বাঁধা নেই। যত্রতত্র ময়লা ফেলে শহরটাকে পুঁতিগন্ধময় ভাগাড় বানিয়ে ফেলতে পারবেন। আবার নাকে কাপড় চাপা দিয়ে্ও হাঁটতে পারবেন। চাইলেই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে হিসু্ও করে দিতে পারেন। অকারণে দূর্বল রিক্সা্ওয়ালাকে থাপ্পড়ও মারতে পারেন। কেউ কিছুই বলবেনা আপনাকে, এমন আপ্যায়ন পাবেন এই অদ্ভুত শহরটিতে। ভালো না লেগে উপায় নেই!
ছবি – ১০ – ১১. নরক......
ছবির কৃতজ্ঞতা – আগামী নিউজ পত্রিকা
ছবি – ১২. বিসর্জন.......
ছবির কৃতজ্ঞতা – ঢাকা মেইল
রূপ-রস-শব্দ-গন্ধ-স্পর্শের স্বাদ হারিয়ে ফেলা এ শহরটাতে মানুষ কিন্তু তবু্ও রোবট হয়ে যায়নি! শত দুঃখ-কস্ট-বেদনা নিয়েও তারা আছেন তাদেরই মতোন। নিজেদের জগতে নিজেরাই!
নীচে বিষাক্ত বাতাসে আচ্ছন্ন ধুলো ধুসরিত পথ, উপরে ধুলো আর কালো বাষ্প নিয়ে ঘোলাটে আকাশের মাঝে ধুঁকতে থাকা এমন একটা ডাষ্টবিন শহরে তবু্ও বাতাস টেনে জীবনযুদ্ধে মাতামাতি করছে মানুষ। এর চেয়ে জীবন্ত শহর আর একটি্ও নেই। অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণকাজ, তীব্র যানজট, মেয়াদোত্তীর্ণ মোটরযান আর শিল্পকারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত ভারি ধাতু্ ধুলার সঙ্গে যোগ হয়ে বায়ু দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে ঢাকাকে পৃথিবীর সবচেয়ে “বসবাসের অযোগ্য” শহরের তালিকায় ৩ নম্বরের সার্টিফিকেট দেয়া হলে্ও ঢাকাবাসীকে দেখলেই মনে হবে , কী চনমনে এক একটা জীবন্ত মানুষ, ছুটছে আর ছুটছে! এখানে নাকি টাকা ওড়ে। টাকা ওড়ে কিনা জানিনে তবে ঢাকার মানুষগুলো নিরন্তর ছুটছে এই টাকার পেছনে।
আপনারা যে যাই-ই বলুন না কেন, আমি বলি- ভালো মন্দ সব মিলিয়ে ঢাকা যেন একটি তৃপ্ত-তুষ্ট-হৃষ্ট প্রানের মেলা।
পেটের জ্বালা, বড় জ্বালা! সে জ্বালা মেটাতে এই এতোটুকু শহরের অযাচিত আমন্ত্রনে মানুষ আসছে তো আসছেই। আমরা তাদের এই আসাটাকেই দেখি, পেছনের গল্প জানিনে!
এই জনাকীর্ণ নরকের শহরের চলমান ছবিতে অমনোযোগী দর্শক দেখতে পাবেন শুধু একদঙ্গল মানুষের শব্দপ্রপাত, আমি দেখি বেঁচে থাকার নিখুঁত সংজ্ঞার্থ ।
উৎসর্গ- বিজ্ঞানের কাঠখোট্টা মানুষ হলেও যার মনের ভেতরে কিছু কবিতা আছে, আছে দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার সতত প্রবাহমান এক নদী; যিনি সে তাড়না থেকেই সম্প্রতি “ডিজিটাল সনেট: ঢাকা” নামে ঢাকার প্রতি তার নাড়ীর টান নিয়ে একটি কবিতা পোস্ট দিয়েছেন, যার রেশ ধরে সেই প্রবাসী সহ ব্লগার “কলাবাগান১” কে উৎসর্গিত।
শুরুর ছবির কৃতজ্ঞতা - The New Republic
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,
প্রথম মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
শুরুতেই তো বলেছি - "কী অদ্ভুত টগবগে রকমের প্রাণবন্ত এই শহর, ঢাকা!"
প্রিয় না হয়ে উপায় নেই।
আসি আসি নববর্ষের শুভেচ্ছা।
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্টটি প্রিয়তে নিয়ে গেলাম,
আরো একটু সুস্থ বোধ করলে
লেখাটিতে ফিরে আসব ।
প্রেসার এন্ড পালস রেইট খুব হাই
হসপিটাল হতে ডেকেছে
ইসিজি করার জন্য ।
জানিনা কি রিজাল্ট আসে
আমার জন্য দোয়া করবেন ।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,
দোয়া করছি সৃষ্টিকর্তা যেন আপনাকে সহি সালামতে রাখেন। আল্লাহুস সাফী....আল্লাহুস সাফী........
৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস ভাইজান,
আমরা বেশ কয়েক বছর যাবতই দুনিয়ার বাস অযোগ্য শহরগুলোর অন্যতম ঢাকা শহরে বাস করছি। লন্ডনভিত্তিক ম্যাগাজিন দ্য ইকোনমিস্টের ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) বিশ্বের বাসযোগ্য শহরের তালিকায় শেষ দিক থেকে সাত নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। অর্থাৎ বাস অযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকার স্থান সপ্তম। ইআইইউ করা রিপোর্টে ১৭২ শহরের তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান এবার ১৬৬তম।
আসলে আমরা ভেজাল খেতে খেতে সব ভেজাল প্রুফ যেমন হয়েছি, তেমনি দূষিত স্থানে থেকে দূষণ প্রুফ হয়ে গিয়েছি। উত্তরার অভিযাত এলাকায় একটা যায়গার নাম "ময়লার মোড়"! সংসদ ভবন সংলগ্ন টি এন্ড টি মাঠের পাসে, গ্রীন রোডের গ্রীন লাইফ হাসপাতালের সামনে এবং ল্যাব এইড হাসপাতালের পাসেই আছে সিটি কর্পোরেশন এর ময়লার ভাগাড়!
তারপরও ঢাকা আমার প্রিয় শহর, আমার প্রাণের শহর।
+
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,
বলেছেন -
"আসলে আমরা ভেজাল খেতে খেতে সব ভেজাল প্রুফ যেমন হয়েছি, তেমনি দূষিত স্থানে থেকে দূষণ প্রুফ হয়ে গিয়েছি। উত্তরার অভিযাত এলাকায় একটা যায়গার নাম "ময়লার মোড়"! সংসদ ভবন সংলগ্ন টি এন্ড টি মাঠের পাসে, গ্রীন রোডের গ্রীন লাইফ হাসপাতালের সামনে এবং ল্যাব এইড হাসপাতালের পাসেই আছে সিটি কর্পোরেশন এর ময়লার ভাগাড়!"
তাই শিরোনামে “দ্যা ডিভাইন কমেডি অব ঢাকা” বাক্যটি জুড়তে হয়েছে।
এরপরেও ঢাকা আসলে ঢাকাবাসীর প্রানের শহর
এখানে এতো যে জীবন যন্ত্রনা; তবু যেন ঢাকার সব কিছু মধুতে মাখা।
৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫২
কলাবাগান১ বলেছেন: দেশ ছেড়েছি যুগ যুগ আগে কিন্তু দেশ আমায় ছাড়েনি....এখনও সকালে প্রথম কাজ সিএনএন না দেখে প্রথম আলো পড়া...ধন্যবাদ আমার মত এমন নগন্য ব্যক্তিকে উৎসর্গ করেছেন লিখাটি।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: কলাবাগান১ ,
আপনাকে উৎসর্গ কেন করেছি তা লিখেছি "উৎসর্গ- " পর্বে। আমার ধারনা থেকে আপনাকে চিত্রায়িত করেছি। নিশ্চয়ই ভুল করিনি। আপনার এই মন্তব্যেও তারই আভাস আছে।
নববর্ষের শুভেচ্ছা।
৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১১
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রিয় গুণীজন আহমেদ জী এস ভাই,
এই গ্রহে আমাদের প্রিয় শহর ঢাকা
আসলে কিন্তু ঢাকা নয়, সবার জন্য উম্মুক্ত।
সবার ইচ্ছে পূরণের শহর এই ঢাকা।
সবার।
নিঃসীম সুনীল আকাশ
নির্মল সুবাতাস
ছায়াঘেরা গ্রাম ছেড়ে
যেতে হবে
বিষাক্ত কালো ধোঁয়া
কোলাহল আর ইট-কাঠ-পাথরের শহরে।
ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড় ছেড়ে
কে চায় মরিতে? আহা!
বিষাক্ত নগরে
বিষাক্ত মানুষের ভিড়ে!
তবুও আত্মহননের মিছিল
ক্রমশ বেড়েই চলে
বাসে, ট্রেনে, ট্রাকের উপরে
রিকশায়, নসিমন-করিমনে
কে যাবে আগে?
কাহারে পেছনে ফেলে?
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: গেঁয়ো ভূত,
ওয়াও! অত্যন্ত বাস্তবতা সম্পন্ন কবিতা লিখেছেন!
এই গ্রহে আমাদের প্রিয় শহর ঢাকা
আসলে কিন্তু ঢাকা নয়, সবার জন্য উম্মুক্ত।
সবার ইচ্ছে পূরণের শহর এই ঢাকা।
প্রকারন্তরে এর কারন বোঝাতেই আমিও লিখেছি - ঢাকাবাসীকে দেখলেই মনে হবে , কী চনমনে এক একটা জীবন্ত মানুষ, ছুটছে আর ছুটছে! এখানে নাকি টাকা ওড়ে। টাকা ওড়ে কিনা জানিনে তবে ঢাকার মানুষগুলো নিরন্তর ছুটছে এই টাকার পেছনে।
কে যাবে আগে?
কাহারে পেছনে ফেলে?
এই যাওয়ার কথাতেই লিখতে হয়েছে -
স্বাধীনতার স্বাদ নিরঙ্কুশ ভাবে চুটিয়ে উপভোগ করতে পারার সব আয়োজন আছে এখানে। এতো অনিয়ম, এতো শঠতা, এতো যে জীবন যন্ত্রনা; তবু যেন ঢাকার সব কিছু মধুতে মাখা।
পেটের জ্বালা, বড় জ্বালা! সে জ্বালা মেটাতে এই এতোটুকু শহরের অযাচিত আমন্ত্রনে মানুষ আসছে তো আসছেই। আমরা তাদের এই আসাটাকেই দেখি, পেছনের গল্প জানিনে!
আসি আসি নববর্ষের শুভেচ্ছা।
৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১২
কামাল১৮ বলেছেন: রাস্তায় থুথু ফেলা আমাদের একটা বদঅভ্যাস।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: কামাল১৮ ,
ঠিক ...... "স্বভাব যায়না ম'লে"!!!!!!!
৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: সব ঠিক কোথাও একরত্তি ভুল নেই
আর শেষে এসে চরম সত্যিটা বলেছেন। চিরকুটের গানের সুরে বলতে হয়;
কবি হাসে, টাকা ভাসে
গঙ্গাবুড়ির শহরে
আসমান তুই কাঁদিস কেন
অট্টালিকার পাহাড়ে
মিছে হাসি, মিছে কান্না
পথে পথের আড়ালে
গ্রিন সিগনাল, রেড ওয়াইন
দেওয়ালে, দেওয়ালে
এই শহর, যাদুর শহর
প্রানের শহর ঢাকারে
এ শহর জাদুর শহর প্রানের শহর " আহা "রে!!
০১ লা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
চিরকুটে এঁকে গেলেন যাদুর শহর ঢাকার পাঁচালী।
এতো অপ্রাপ্তি - এতো কষ্টকর দৈনন্দিন অভিযাত্রা তারপরেও ঢাকা যেন আমাদের যাদু করে রেখেছে । তাইনা ?
৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৬
মিরোরডডল বলেছেন:
জি এস, প্রথম মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যে আলী ভাইকে কবিতা ক্থ্য বলে সম্ভোধন করা হয়েছে
০১ লা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল,
ধন্যবাদ। ঠিক করে দিয়েছি।
৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৭
মিরোরডডল বলেছেন:
ঢাকা আমার প্রানের শহর যেখানে আমার জন্ম, বেড়ে ওঠা ।
কিন্তু প্রিয় শহরের এই ঘটনাগুলো বরাবরই আমাকে কষ্ট দেয়
আমার এই শহরকে আমি অন্য রূপে দেখতে চাই ।
যদি ক্ষমতা থাকতো হয়তো বদলে দিতাম কিন্তু দুঃখ, যাদের হাতে ক্ষমতা ছিলো বা আছে তাদের সেই ইচ্ছা, আগ্রহ, চেষ্টা কিছুই নেই কোন পরিবর্তন আনার ।
৭ নং ছবি দেখে ভয় পেয়েছি, মনে হচ্ছে এখনই কোন দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে
০১ লা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল,
এখানে এতো যে জীবন যন্ত্রনা; তবু যেন ঢাকার সব কিছু মধুতে মাখা। ঢাকা আসলে ঢাকাবাসীর প্রানের শহর ।
এই ছবি পাল্টানোর সাধ্য কারো নেই.......
১০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: লোড শেডিং এর দৌরাত্ম আর নেই কিন্তু রয়ে গেছে লোড শেডিং । হাতির ঝিলের পানিতে দূর্গন্ধ। তারপরও সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঢাকা শহরে বাড়ছে মানুষ। ঢাকা শহর কে বাসযোগ্য করা কঠিনতম কাজগুলোর একটি
সুন্দর পোস্ট।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার,
আসলেই নাগরিক সব সুবিধাগুলিই এখানে "শেডিং" এর আওতায়। এ থেকে আমাদের মুক্তি নেই। মুক্তি নেই প্রানের শহর ঢাকারও......
শুভ নববর্ষ ।
১১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কিন্তু রয়ে গেছে ট্রাফিক জ্যাম হবে।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার,
জ্বী, বুঝতে পেরেছি।
১২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩১
সোনাগাজী বলেছেন:
ঢাকা হচ্ছে জাতীর নার্ভ-সেন্টার; ইহা জাতির দুষ্টদের আবাস ও কর্মস্হল।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী,
সঠিক পর্য্যবেক্ষন।
আমার পর্য্যবেক্ষনও সেরকম! সেজন্যেই তো লিখেছি - "মহাবেকুবের বেকুবী ভাবনায় মনে হয়, আগের জন্মে যারা পাপ করেছেন তাদের শাস্তি স্বরূপ নরকের শহর ঢাকায় পাঠানো হয়েছে! "
ঢাকা হচ্ছে জাতীর নার্ভ-সেন্টার তাইতো ঢাকা সবসময়ই চনমনে, প্রানে টৈ-টুম্বুর।
নববর্ষের শুভেচ্ছা।
১৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সবাই যেনো বেহুশ কারো যেনো দায় নেই আইন মানার।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: নেওয়াজ আলি,
পোস্টের ৪ এবং ৮ নম্বর ছবি দু'টি আপনার কথাই যেন বলছে।
শুভ নববর্ষ।
১৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ঢাকায় সারভাইভ করতে পারলে, বিশ্বের যেকোনেো শহরে সারভাইভ করা সহজ হবে সম্ভবত।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: শূন্য সারমর্ম ,
সম্ভবত বিশ্বের কোনেো শহরেই সারভাইভ করা সহজ হবে না । কারন , ঢাকার আলো-বাতাস যাদের গায়ে একবার লেগেছে, ঢাকার যতো হৈ-হুল্লোর দেখে দেখে যারা অভ্যস্ত হয়ে গেছে তাদের পক্ষে অন্য কোথাও গিয়ে বাস করা আর নির্জনতার বনবাস মেনে নেওয়া একই কথা!
১৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ঢাকা আমার নিজের শহর। ঢাকাকে খারাপ বলতে ভালো লাগেনা। তবে সমস্যা হচ্ছে চাইলেও ভালো বলার তেমন কিছু খুঁজে পাওয়া যায় না।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মরুভূমির জলদস্যু,
ঢাকা কেন খারাপ হবে? এ তো একটি প্রানবন্ত শহর।ভালো- মন্দ, সুখ -দুঃখ, হাসি-কান্না, পাওয়া - না পাওয়ার রং নিয়ে ঢাকার আকাশ সততই সাত রঙা। ঢাকাকে ভালো না লেগে, ভালো না বেসে উপায় নেই.......
১৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৪২
সোহানী বলেছেন: প্রতিদিনের সমস্যাগুলো এমন মজা করে লিখেছেন যে দু:খের মাঝেও হাসি পাচ্ছে।
কি করবেন বলেন, যাদের হাতে যাদুর কাঠি তারাতো শুধু নিজের জন্য তা ইউজ করে। আর ম্যাংগো পাবলিক নিয়ে চিন্তা করার সময় কোথায় !!! আর এ সুযোগে আম্রিকা কানাডা আরো ধনী হয়, ফুটপাথে খাওয়া ছগির মিয়া আরো গরীব হয়।
তারপরও মাঝে মাঝে মনে হয়, নগর উন্নয়ন নামের একটা কি যেন আছে দেশে। তারা কি করে?...........
আলি ভাইয়ের জন্য অনেক দোয়া থাকলো যেন সুস্থ্য থাকে সবসময়।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
সুন্দর মন্তব্য। এগুলো প্রতিদিনের সমস্যা নয় বরং প্রতিদিনের জীবন সঙ্গী!
ঢাকাকে নিয়ে কে কি করলো, না করলো তাতে ঢাকাবাসীর কিছুই যায় আসেনা। সুখ -দুঃখ, হাসি-কান্না সহ জীবন যন্ত্রনা নিয়ে তারা আছে নিজের মনে নিজে। কোন কৈফিয়ত চাওয়া নেই, কোনও প্রতিবাদ নেই! অনিয়ম- বিশৃঙ্খলা- নৈরাজ্য সব কিছুর বিষ দিনের পর দিন গলাধঃকরণ করে করে তারা "নীলকণ্ঠ" হয়ে গেছে অনেক আগেই।
ডঃ এম এ আলীর সুস্থতার জন্যে আমাদের সকলের প্রার্থনা রইলো।
১৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০২
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: আশির দশকে রাজশাহী থেকে ঢাকায় যেতাম, তখন প্রাণচঞ্চল শহর দেখেছি। তিন বছর আগে শেষ গিয়েছিলাম তখন আমার কন্যাদ্বয়ের নিঃশাস নিতে কষ্ট হচ্ছিলো, বাতাসে ধুলোবালুর পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান জামাল গোলাপ,
আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
ঢাকা যতোই বসবাসের অনুপযুক্ত হোক না কেন, ঢাকার চালচিত্রের একটা আলাদা ভাষা আছে। এই ভাষা যারা বুঝতে পারে তাদের ঢাকাকে ভালো না লেগে উপায় নেই।
শুভ নববর্ষ।
১৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০১
নীল আকাশ বলেছেন: এই দেশে সবাই স্বাধীন।
আমরা সবাই রাজা।
সুতরাং কেউ কাউকে মানে না।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,
দেশটাই তো স্বাধীন, সবাই স্বাধীন হবেনা কেন?
আর স্বাধীন বলেই তো রাজার মতো বন্ধনহীন, আকাশের মতো বাঁধাহীন........
১৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: মূলত ঢাকা শহরের গজব অবস্থা। যারা আমরা ঢাকা থাকি তাঁরা হাড়ে হাড়ে টের পাই প্রতিনিয়ত।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
এই গজব শহরকে আজব মনে হলেও তাকে ভালো না লেগে উপায় নেই!
এত শঠতা, এত যে ব্যথা; তবু যেন ঢাকা মধুতে মাখা!
২০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঢাকা শহরের লোক সংখ্যা অস্ট্রেলিয়ার লোক সংখ্যার প্রায় সমান। ইউরোপের অনেক দেশের লোক সংখ্যা ঢাকা শহরের চেয়ে কম। এত ঘনবসতি কোন শহরে হলে সেই শহরের অবস্থা এরকমই হওয়ার কথা। কিন্তু কারও কোন ভ্রূক্ষেপ নেই। ঢাকার কোন কোন জায়গার এক কাঠা জমির দাম বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে বেশী। একটা দেশের রাজধানী দেখে ঐ দেশ সম্পর্কে ধারণা করা যায়। ঢাকা শহর দেখার পর বিদেশীরা কি ভাবে কে জানে। এর শেষ কোথায় কারও জানা নেই।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,
ঢাকা শহর দেখার পর বিদেশীরা এই মহাবেকুবের মতোই ভাবে যে, এতো ঘাত-প্রতিঘাত, এতো দৈন্য, এতো অনিয়মের মাঝেও ঢাকা যেন এক যাদুর শহর, প্রানের দোলায় দোলায়িত।
এই পোস্টে যা লেখা হয়েছে তা ঢাকার রূপকথা নয় যে , "নটে গাছটি মুড়ালো- আমার কথা ফুরালো" বললেই শেষ হয়ে যাবে। এসব কঠিন বাস্তব, এর শেষ নেই.....
২১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: গুলশান নাকি সিংগাপুর???
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাবিয়ান,
শুনতে তো পাই, দেশটাই নাকি সিংগাপুর, হংকং নয়তো মালযেশিয়া.....
২২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:১৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ইংরেজী নব বর্ষের শুভেচ্ছা রইল
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,
নববর্ষের শুভেচ্ছা আপনাকেও।
২৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৫২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: Happy New Year
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার,
হ্যাপী নিউ ইয়ার টু ইউ ঠ্যু........
২৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
প্রচন্ড আক্ষেপের একটি লেখা পড়লাম কিন্তু তারপরেও আপনার কথার সাথে বলতেই হয় , ঢাকা যেন একটি তৃপ্ত-তুষ্ট-হৃষ্ট প্রানের মেলা।
আসলে ভাই আপনার উল্লেখিত প্রত্যেকটি যে বিষয়গুলো নিয়ে লিখেছেন সব কিছুর সাথেই আমরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি আর এর থেকে আমাদের মনে হয় আর নিস্তার নেই ।
ভালো থাকুন এবং নববর্ষের শুভেচ্ছা ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: মুক্তা নীল,
বাস্তব মন্তব্য।
ঢাকার রাস্তায় নামলেই সবদিকে যেন তৃপ্ত-তুষ্ট-হৃষ্ট প্রানের মেলাই দেখতে পাবেন।
এমন ঢাকা থেকে আমাদের আসলেই হয়তো নিস্তার নেই!
বছর শুরুর শুভেচ্ছা আপনাকেও........
২৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪১
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমার জন্ম, বেড়ে ওঠা, স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি সবই ঢাকা শহরে। দেশ ছেড়েছি বহু বছর আগে। এখনও এই শহরটার সাথে এক অদৃৃষ্য নাড়ির টান অনুভব করি। সব সময় মিস করি প্রিয় এই শহরকে।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাবিয়ান,
ঢাকার আলো-বাতাসের মৌতাত, পাখির কিচিরমিচিরের মতো মানুষের খিস্তি-খেউর-কোলাহল সব মিলেমিশে যে আবেশ, তার টান কাটিয়ে ওঠা সহজ নয়। এতো ঘাত-প্রতিঘাত, এতো দৈন্য, এতো অনিয়মের মাঝেও ঢাকা যেন এক যাদুর শহর । ঢাকাকে মিস করতেই হবে!
নববর্ষের বিলম্বিত শুভেচ্ছা।
২৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৭
করুণাধারা বলেছেন: কী অদ্ভুত টগবগে রকমের প্রাণবন্ত এই শহর, ঢাকা!
----এত লোক, এত রিক্সা, এত সিএনজি- বাস- লরী, এত ঠেলাগাড়ি- ভ্যান, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস আর মোটরসাইকেল সারা শহরটা জুড়ে! সব মিলে সারাক্ষন। প্রাণবন্ত বলব না তো কি?
প্রাণবন্ত বটে! একদিন আমি ফুটপাতে খাবারের দোকান আর তার সামনের ভিড় এড়াতে ফুটপাতের পাশেই রাস্তায় নেমে হাঁটছিলাম। (দুপুর তিনটা, রাস্তা ফাঁকা ছিল) হঠাৎ করে পিছন থেকে ঘটরঘটর করে একটা সিএনজি এসে আমাকে ধাক্কা দিয়ে থেমে গেল। আমি সঙ্গে সঙ্গে ঘুরে দাঁড়িয়ে বললাম "এটা কেন করলে"? চালক সঙ্গে সঙ্গে বলল, "দেখি নাই খালাম্মা, আমি আপনাকে দেখি নাই!" আসল কথা, "কই যাবেন?" বলে না ডেকে সে আমাকে জানালো যে তার সিএনজি খালি আছে। এও ঢাকায় মানুষের প্রাণবন্ততার একটা নিদর্শন বলা যায়।
ঢাকার রাস্তার ছবিগুলো ভালো হয়েছে। ঢাকা নিয়ে আপনি আগেও লিখেছেন। তবে দীর্ঘশ্বাস ফেলে আমাদের মেনে নিতে হবে, এই অবস্থার পরিবর্তন হবার নয়।
মনে পড়ছে, ঢাকার বায়ু দূষণ নিয়ে আপনার চমৎকার একটা লেখা আছে। এই লেখাটাও চমৎকার হয়েছে। লেখাতে প্লাস।
নববর্ষের শুভেচ্ছা।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
হা...হা... ভালোই একটা প্রাণবন্ততার নিদর্শন দিয়ে গেলেন! প্রাণবন্ত বলবেন না তো কি? এরকম প্রাণবন্ততার নিদর্শন হয়তো আরো কারো কারো সাথে ঘটে থাকবে। এটাই প্রমান করে, অদ্ভুত টগবগে রকমের প্রাণবন্ত এই শহর, ঢাকা!
এতো ঘাত-প্রতিঘাত, এতো দৈন্য, এতো অনিয়মকে মেনে নেয়া ছাড়া ঢাকাবাসীর আর কোনও গত্যন্তর নেই । নেই এই অবস্থা থেকেও ছুটকারাও! পোস্টেই তো বলেছি , আগের জন্মে যারা কোন না কোন পাপ করে ছিলো তাদেরকেই নরকের স্বাদ পেতে এই ঢাকায় নাজিল করা হযেছে।
নববর্ষের বিলম্বিত শুভেচ্ছা আপনাকেও।
২৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: “দ্যা ডিভাইন কমেডি অব ঢাকা” - যথার্থ শিরোনাম! শিরোনামে ঢাকার চিত্র যথোপযুক্তভাবে প্রতিফলিত।
সুরম্য ভবন আর তার পাশে হা-ভাতে টিনের আবাশ - কি একটা চরম বৈপরীত্য!
'গুতোগুতি'র শহর ঢাকা! ঢাকায় পথচলা মানুষের এই নিত্য গুতোগুতি আজ যেন গা-সওয়া হয়ে গেছে। এ নিয়ে কেউ এখন আর মাইন্ড করে বলে মনে হয় না।
আজ মহাখালি গিয়েছিলাম গাড়িটার কিছু (মেরামতের) কাজ করাতে। লাঞ্চ টাইম পার হয়ে যাচ্ছিল বলে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকেছিলাম হাল্কা কিছু কিনে গাড়িতে বসে খাবার জন্যে। সামান্য কয়েক মিনিটে কত যে মানুষের ধাক্কা খেলাম! কেউ কারও প্রতি খেয়াল করার কোন তোয়াক্কা করে না!
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
আপনার মন্তব্যে আর একটু চাঙ্গা হলো এই পোস্ট।
আপনার 'গুতোগুতি' শব্দটা আর অমন ধাক্কা খাওয়ার বাস্তবতার কথাটি পড়ে মনে হলো নিচের লেখাটি পোস্টে আমি এমনি এমনি লিখিনি--
চারপাশের দৃশ্য দেখে মনে হয় আসলেই এই শহরটা সম্পূর্ণ আলাদা একটা শহর – পথহীন, গাঁথুনিহীন, আলোহীন, নিয়মহীন, বন্য, বিপদজনক এক শহর; যেখানে বাস, ট্রাক, রিকসা, সাইকেল , ভ্যান , ঠেলাগাড়ী আর পথচারীরা টিকে থাকার জন্যে গুতোগুতি করছে দিনরাত ।
নববর্ষের বাসী শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন।
২৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: Dhaka is the divine comedy on Earth. LOL
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: জ্যাক স্মিথ,
হা.....হা.....হা......
ঢাকা ইজ নট অনলি দ্য ডিভাইন কমেডি অন আর্থ বাট আ হার্শ ট্রাজেডি ট্যু!
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
“দ্যা ডিভাইন কমেডি অব ঢাকা”
শিরোনামের যতার্থতা ফুটে উঠেছে লেখাটিতে,
তারপরেও সব কিছু নিয়েই প্রিয় ঢাকা ।
শুভেচ্ছা রইল