নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্নপূর্ণা মিষ্টান্ন ভান্ডার……

১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৩১



-- এই যে ভাই এট্টু হোনেন !

--- এট্টু কিরপান্নে ? ব্যামালা কিছুই হুনতে পারি। কান তো দুইডাই আছে!

-- হে…..হে….হে… ভালো কৈছেন।

--- তা এই দুফাইর্রা ওক্তে আবার কি হুনাইবেন ? গান না কবিতা ?

-- ভাই, কইতে পারবেন অন্নপূর্ণা মিষ্টান্ন ভান্ডারডা কোনদিগে ?

--- ক্যান বিয়ার মিষ্টি কেনবেন ? কার বিয়া ?

-- না… না…. হেডা না। ওডা আমার চেনাহুনা মাইনষের দোহান্। হ্যার কাছে মোর কাম আছে।

--- চেনাহুনা মানে ? আম্নের দ্যাশের লোক, নাহি বাল্যবন্ধু ?

-- দুইডাই কইতে পারেন। ভাই, কইবেন দোহানটাডা কোনদিগে? ঠিহানা আছে কিন্তু বিছড়াইয়া পাইতেছিনা। গল্লির নাম আর নাম্বোরডাও বিদঘুইট্টা।

--- গল্লির নামডা কি ?

-- মালঙাপুর, কাগজীটোলা ৩য় গল্লি। ঢাহা তো এহোন কতো বদলাইয়া গ্যাছে, চেনা যায়না। মালঙাপুর নামডাও হুনি নাই!

--- ও মালঙাপুর ? আম্নে হেইদিগে ম্যালা হরছেন ? পাইবেন কোম্মে ? কাগজে কলমে ঐ নাম নাই। মালুয়েশিয়া আর সিঙ্গাপুরের নাম মিলাইয়া ঐ নাম রাকছে এহানকার পাবলিকরা। হেই বিটিশ আমলে নাম আছেলো রূপলাল দাস লেন । বিটিশ আমলের পরে নাম হইছে সুত্রাপুর। একসমায় ঐহানে সূত্রধরদের বাস আছিলো।সূত্রধর চেনেন তো ? য্যারা কাডের কাম করে মানে কাডমিস্ত্রী।কাজ করতে করতে বিড়ি টানতো। এহোন বেনসন টানে। এহোনকার নাম আর বিটিশ আমলের নাম দুইডাই আসলে ঠিক ছিলো ।

-- অ কন কি! হাচ্চোইও ?

--- হাচ্চোইও না তো কি ! এহোন পাবলিকে বোলায় মালঙাপুর কৈয়া। আসলেই ঐ এলাকা এহোন মালুয়েশিয়া আর সিঙ্গাপুরের লাহান চকচইক্কা বানাইয়া হালাইছে। মাইনষের রূপও ট্যাহায় লাল। হেইর লৈগ্যা বিটিশ আমলের রূপলাল লেন নামডাও হ্যারা ঠিকই দিছিলো।
হেহানে ভাঙা দালান এহোন আম্নে আর বিছড়াইয়া পাইবেন না। প্রায় ব্যামাকটি চাইর-পাঁচ- দশতলা উচা উচা দালান। হেগো নাহি বিদ্যাশেও বাড়ী আছে। সবাইতো তো আর হেডা পারে নাই, তয় বেশীর ভাগ মাইনষেই হেডা পারছে। হ‍্যারাই এহোন মালুশিয়া সিঙাপুরে থাহে। ক্যামনে হ্যারা পারছে হেডা তো মোরাও বুজি। পাবলিক তো আর গোংগা না …….

-- ক্যামনে পারছে? হ্যারা কি বাফের জমিদারী পাইছিলো ? না ব্যাংক লুট করছে?

--- ভাইসাব! ব্যাংক লুট আইজকাইল আর করা লাগেনা! পিছকুলদিয়া ব্যাংকআলারা আইয়া দিয়া যায়। তয় আম্নের খুডির জোর লাগবে। হ্যাগো দলে নাম ল্যাহাইতে অইবে। আর কায়দা কানুন জানা লাগবে ।
আর হ্যাগো বাফের জমিদারী আইবে কোম্মে দিয়া ? বাফেরা তো আছিলো খয়রাতি।এহোন হেই বাফের পোলা মাইয়ারা এই দ্যাশে থাহেনা। হেরা মা-মাইয়া-পোলা হগলডিতে এহোন বিদ্যাশে বৈয়া এককুটি ট্যাহা দামের ঘড়ি পেন্দে।

-- এককুটি ট্যাহা দামের ঘড়ি? কি কন ন্যাবাই! এককুটি ট্যাহা দামের ঘড়ি আছে নাহি !!!!!!!!

--- আছে…..আছে ! পড়ছেন তো লুঙি, জানবেন কেম্মে! হ্যারা তো মোগো মতো খয়রাতি না এহোন, হ্যাগো যে কি নাই হেডা হ্যারাও জানেনা।

-- হ…. ভগবানরে দেইক্কাই বোজা যায়।

--- ভগবানডা আবার কেডা ?

-- আরে ….. ভগবান হৈলো ভগবান চন্দ্র ঘোষ। হ্যার কাছেই তো মুই যাইতেছি। ঐ যে অন্নপূর্ণা মিষ্টান্ন ভান্ডারের ঠিহানা জিগাইলাম না, হ্যার মালিক!

--- হ্যারে দেইক্কা কি বোজলেন ?

-- আট নয় বচ্ছর আগেও আমাগো ওহানে হ্যার বাফে ছাপড়া দোহানে বইয়া জেলাফি ভাজতো, রসগোল্লা বানাইতো। দুদ মোর ধার দিয়াই নেতো। মুই আবার গরু পালি। হেই গরুর দুদ।
ভগবানগো ভিডায় ছিলো একখান ভাঙা টিনের ঘর। আইৎনায় ছেড়া মাদুরে ঘুমাইতো হ্যার বাফ জগৎ ঘোষ। ভগবান হেহানে এ্যাহোন তমাইৎ তিনতলা দলান বানাইছে দুইডা। দেওয়াল দেছে এমন উচা যে আমনে বাইরে দিয়া কিছছু দ্যাকতে পারবেন্না। হ্যার হউর বাড়ীতেও নাহি দলান উডাইতে আছে। গেরামের ব্যাবাক জমিও হে কতোক কিন্না কতোক জবরদখল কৈর্রা লইছে। এহোন গেরামের নাম পাল্ডাইয়া কবে যে ভগবানপুর নাম রাহে!

--- হেডা তো রাকতেই পারে। মাইনষে মৈর্রা গ্যালেও হ্যাগো নামে কতো কিছু হয়। এই য্যামোন এহানে আছে চিত্তরঞ্জন দাস লেন, শেরশাহ শুরি রোড। আর আম্নের ভগবান তো জ্যাতা। হ্যার নিজের দখলের জমি আর হ্যার বাফের বাড়ীও তো ঐ গেরামেই! হে-ই তো গেরামের মা-বাফ। ভগবানপুর নাম রাকতেই পারে।
ভগবানের দোষ কি ? পয়সা হৈলে হগল কিছু করা যায়।

-- হ…. পয়সা আর ক্ষ্যামোতা থাকলে কতো কিছুই তো করে মাইনষে। মোরা আছি চিপার মইদ্যে। ক্ষ্যামোতা তো নাই-ই পয়সাও নাই……

--- ক্যা …পয়সা থাকবেনা ক্যা ? হোনেন নাই মাইনষের কামাই নাহি পেত্যেকদিন বাড়তেই আছে ? মন্ত্রী কৈছেনা- মাইনষে ভালো থাকতে চায়, ভালো খাইতে চায়। হ্যার লৈগ্যাই তো বাজারে সব মালের দাম বাড়ছে। হোনেন নাই ?

-- হুনছি ভগবানের এতো ট্যাহা আর ক্ষ্যামোতা যে এহোন নাহি হে মা অন্নপূর্ণার লাহান দুই হাতে হগল আম পাবলিকডিরে মিষ্টান্ন বিতরণ কৈর্রা ব্যাড়াইতেছে মাগনা মাগনা।

--- হ….. এডা আর এমোন কি! ফহিন্নির পুতেরা আঙুল ফুইল্লা কলাগাছের বদলে তালগাছ হৈছে তো হের লৈগ্যা একখান দুইহান ক্যান, দশখান দলান বানাইলেও বানাইতে পারে! কেডা হেগো ট্যাহা পয়সার হিসাব লৈবে? হোনেন নাই , এক হাযার তিনশো কুটি ট্যাহা দিয়া কেডা জানি সিঙ্গাপুরে একটা হোডেল কেনছে ? দুবাইতে নাহি চাইরশো বাংলাদেশী ভাইডিরা নয়শো সত্তইরডা সোম্পত্তি কেনছে তিন হাযার কুটি ট্যাহা দিয়া?
হেহানে হেরা চিত্তরাইয়া হুইয়া থাহে আর হ্যাগো চ্যালারা পাও চাইট্টা হ্যাগো পয়সায় সোনাটোনার দোহান দিয়া ভাজ মারে।

-- কিন্তু হুনছি, ঢাহায় নাহি কি একটা অফিস আছে ; য্যারা মাইনষের চুরি চামারির ট্যাহা পয়সার হিসাব লয় ?

--- কোনডার কতা কৈতেছেন? আছে তো অনেক……..

-- ঐ যে কি য্যানো কয়…...ধুধক না কি…..

--- ও বুজছি… বুজছি। কোনও মাইনষে হেডারে কয় - ধর ধর কমিশন। আবার কেউ কয় - দমন কমিশন। দমন করার কতা কৈয়া ধৈর্রা কমিশন লয়। হ্যাগো জাল তো কাচকি মাছ ধরার জাল, হে জালে কাৎলা মাছ ধরা পড়েনা।

-- কাৎলা মাছ ধরা অতো সোজা না ন্যাবাই, ল্যাজের বারি দিয়া কাইৎ কইররা হালাইবে।

--- তা যাউক, প্যানা পুইড্ডা কাম নাই। তয় মাজাবাই, আম্নে কিরপান্নে ভগবান চন্দ্র ঘোষের ওহানে ম্যালা হরছেন ?

-- হেডা কি আম্নেরে কওয়া ঠিক হৈবে ?

--- ক্যান কৈলে কি মুই আম্নের লুঙি ধৈর্রা টান দিমু? হাক্কোইর্রা চাইয়া রৈছেন ক্যা ? কৈয়া হালান।

-- না না ....টান দেলেও লজ্জা পামুনা। নীচে জাইঙ্গা পরা আছে। মোগো আমপাবলিকের ঐ জাইঙ্গাডাই আছে সোম্বোল। বাহীগুলা তো সব প্রায় খুইল্লা লৈয়া গ্যাছে ভগবান ঘোষেরা।

--- আরে মিয়া কন না ভগবান ঘোষের লগে আম্নের কামডা কি? এইত্তারা খুইল্লা লৈয়া যাওয়ার কতা কৈলেন না! হে যদি জাইঙ্গা বাদে সব খুইল্লা লৈয়াই যায় তয় হের ধারে আম্নে যাইবেন ক্যা ?

-- কি আর কমু ন্যাবাই! মুই গরু পালি, হে কতা তো কৈছি। গরুর দুদ বেইচ্চাই তো সোংসার চলে। তো ভগবান ঘোষের চ্যালা চামুন্ডারা এই কয়দিন আগে মোর গরুগুলা জোর কৈর্রা ধৈর্রা লৈয়া গ্যাছে। গ্রামের অনেক মাইনষেরডাই নেছে । ভগবানের চ্যালা চামুন্ডাগো ডরে গেরামে কেউ কিছু কৈতে পারেনা। মুক হগ্গলডির বন্দ। কতা কওয়ার কইলজা নাই। কোৎখুনে যে চাপাতি দিয়া কোফাইয়া ঠাস কৈর্রা মাইর্রা হালাইবে ট্যার পাইবেন না। থানায় যাইবেন ? দারোগা কেছ নেবেনা। উল্ডা আম্নেরে প্যাদাইয়া ভিডামাডি ছাড়া করবে। মোগো চেয়ারম্যান সাইব তো আবার ভগবানের পাও চাডা । হের ধারে নালিশ দিয়া কাম হৈবেনা। তাই সাহোস কৈর্রা ভগবানের চ্যালা চামুন্ডাগো কাছে গ্যাল্লহাম। হেরা কৈলো- ভগবান দাদার নাহি আরো দুদ লাগবে হের মিষ্টি সাপ্লাইয়ের জইন্নো। বিদ্যাশেও সাপ্লাই দেবে। হেইরপান্নে হেরা গেরামের বেবাক গরু জোর কৈর্রা বাইন্দা রাইক্কা হের দুদ ঢাহায় সাপ্লাই দেয়। হুদা এই গেরামেই না আশেপাশের হগোল গেরামেই হেগো লোক আছে গরু লুট করার। হেগো আবার নাহি ছিনটিকেট আছে। মুই বেশি কতা কৈলে মোরে নাহি জবাই কৈর্রা বোস্তায় ভৈর্রা গাঙ্গে হালাইয়া দেবে।

--- কন কি মাজাবাই! ওত্তো দুদ দিয়া হে হরবে কি ?

-- ওত্তো দুদ দিয়া কি হরবে হেডা তো মুই জানিনা। মনে হয়, দ্যাশে যে মিষ্টির আকাল পড়ে নাই হেইডা বুজাইতে চায়! আর হে কি এল্লাহ ? দ্যাশে যে কতো ছোডোখাডো ভগবান ঘোষ আছে.....

--- হেইর লৈগ্যা এ্যামোন কৈর্রা দুধাল গরু লুডপাট করবে ? দ্যাশে কি আইন নাই ?

-- দ্যাশে কি আর আইন আছে! মোগো গরীবের লৈগ্যা কোনও আইন নাই। ভগবান ঘোষের চ্যালা চামুন্ডারা হেই আইন নিজেগো হাতে লৈয়া এহেকজোনে লাক লাক ট্যাহার মালিক হৈছে। হেগো ডরে মাইনষে তো আইজকাইল রাস্তায়ও বাইরায়না।

--- হেতো মোরাও বাইরাইতে পারিনা। এহানকার ল্যাদা পোলাপাইন তো কোমরে পেস্তল নিয়া ঘোরে আর চান্দা তোলে। ভালো কতা কৈলেও হেরা ছ্যান্নাৎ কৈর্রা ওডে। তো ভগবান মেয়া এত্তো মিষ্টি বানাইয়া কি হরে ?

-- কেডা জানে কি হরে! হুনছি, হেইয়া হে নাহি হগোলডিরে মাগনা খাওয়াইয়া নিজের দলে রাহে। যাতে হের অন্নপূর্ণা মিষ্টান্ন ভান্ডারের ব্যাবসা ঠিক থাহে। চ্যালা চামুন্ডা পোষতে পারে। হেই চ্যালা চামুন্ডারা যাতে হ্যার লৈগ্যা জানডাও দেতে পারে…….আর…..

--- তা আম্নে হের ধারে যাইয়া হরবেনডা কি ?

-- দেহি ! ছোডকালের দোস্ত । হে কৈলে হ্যার চ্যালারা মোর গরুগুলা ছাইড়রা দেতেও পারে। মোগো গেরামে হ্যার কতা ছাড়া কেউ নাহি হাগতেও যায়না।

--- তয় চলেন। মোর লগে লগে আন। মুইও দেহি আম্নের গরুগুলা ছাড়াইতে পারলেন কিনা………


[ অন্তর্বতী কথা – যাদের প্রানে গান আছে, সঙ্গীতের মাধুর্য্য আছে তাদের কাছেই কিছু কিছু জেলার/অঞ্চলের ভাষাকে মধুর সঙ্গীত বলেই মনে হবে। তেমনি বরিশাল, নোয়াখালীর ভাষার কথন ভঙ্গী, উচ্চারণের মডিলিউশ্যান, টান আমার কাছে বেশ শ্রুতিমধুর লাগে। তাই এমন আঞ্চলিক ভাষায় লেখার চেষ্টা । জানিনে সেই অঞ্চলের ভাষার প্রতি সুবিচার করে আমি ঠিকঠাক লিখতে পেরেছি কিনা!
আর সেই আঞ্চলিক ভাষা অনেক পাঠকের কাছে দূর্বোধ্য হতে পারে বলেই কিছু শব্দের তরজমা করে দেয়া হলো –

হোনেন > শোনেন / কিরপান্নে > কিসের জন্যে / ব্যামালা > অনেক / দুফাইর্রা ওক্তে > দুপুর বেলায় / দোহান্ > দোকান / হ্যার এবং হ্যারা > তার এবং তারা / বিছড়াইয়া > খোঁজ করা / ম্যালা হরছেন > রওয়ানা করছেন / কোম্মে > কোথায় / হাচ্চোইও > সত্যি / হেহানে > সেখানে / বোলায় > বলে বা ডাকে / বাফে > বাপে / আইৎনায় > বারান্দায় / এ্যাহোন তমাইৎ > এখন পর্য্যন্ত / হউর > শ্বশুর / পেত্যেকদিন > প্রতিদিন / ব্যামাকটি > সব কয়টি / গোংগা > বোকা / পিছকুল দিয়া > পেছন থেকে / ক্ষ্যামোতা > ক্ষমতা / মাগনা > বিনে পয়সায় / পেন্দে > পরে / ব্যাবাক > সব / জ্যাতা > জীবিত / ল্যাহাইতে > লিখতে / হগলডিতে > সবাই মিলে / ব্যাবাক > সব / সোম্পত্তি > সম্পত্তি / চিত্তরাইয়া হুইয়া > চিৎ হয়ে শুয়ে / ন্যাবাই > বড়ভাই / / প্যানা পুইড্ডা > অহেতুক কথা বলে / হাক্কোইর্রা > হা করে / সোম্বোল > সম্বল / সোংসার > সংসার / কোৎখুনে > কখন / কোফাইয়া > কুঁপিয়ে / ঠাস কৈর্রা > হঠাৎ করে / ভিডামাডি > ভিটেমাটি / গ্যাল্লহাম > গেছিলাম / হেইরপান্নে > সেইজন্যে / সিনটিকেট > সিন্ডিকেট / গাঙ্গে > নদীতে / হালাইয়া দেবে > ফেলে দেবে / হরবে > করবে / মাজাবাই > মেঝোভাই / ল্যাদা > ছোট / এহেকজোনে > একেকজনে / এল্লাহ > একলা / ছ্যান্নাৎ কৈর্রা > রাগ করে ]

ছবি সূত্র - নেট থেকে সংগৃহিত এবং পরিশোধনকৃত।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৫১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ব্যবসায়ীরা আমাদের লুঙ্গী ধইরা টান দিছে, আমরাও শরম পাবোনা কারণ আমাদেরও জাঙ্গিয়াটা আছে শেষ সম্বল হিসেবে।

১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: দেশ প্রেমিক বাঙালী,




প্রথম মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
ঐ জাইঙ্গাটাও বা কয়দিন থাকে দেখতে থাকুন.......... :|

২| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৪৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: বাব্বা পড়তে ডাবল সময় লাগল। লিখেছেন আবার অর্থগুলোও দিয়েছেন। তাই বুছতে সুবিধা হয়েছে। শুনলে কিন্তু সাথে সাথেই বুঝতে পারি মনু।

১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: রোকসানা লেইস,




মানলুম। ডাবল সময় লাগল কিন্তু ডাবল অর্থ কি কিছু খুঁজে পান নি ?
বাহ .... বরিশালের "মনু" শব্দটি তো বেশ রপ্ত করে ফেলেছেন.... :P
কৈলে লগে লগে বোজতে পারেন কিন্তু ল্যাকলে বোজেন না কিরপান্নে ? :#)

৩| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৪২

অপু তানভীর বলেছেন: পড়তে খানিকটা দাঁত ভেঙ্গে যাওয়ার মত অবস্থা হল । নিচের ডিকশনারী অবশ্য কাজে দিয়েছে পরে !

১১ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপু তানভীর,




হা....হা..... দাঁত ভেঙে যাওয়ার অবস্থা ? ভালো যে, জাঙিয়া খুলে যাওয়ার অবস্থা হয়নি। ;)
তা এখন কি অবস্থা আপনার ?

৪| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:২২

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: রম্যরচনার ছলে দেশের কঠিন এক চিত্র তুলে ধরেছেন। ওরা-তারা এখন আর আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়না, তালগাছ হয়। দেশের ব্যাবসা-কানুন-ব্যাংক তাদের পকেটে পকেটে। দেখেন বাল্যবন্ধুর শিসাঢালা কর্নে গরু ছাড়াবার কাকূতি পৌঁছে কিনা!

১১ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ফুয়াদের বাপ,




সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দেশটাই যে চিড়ে-চ্যাপ্টা হয়ে যাচ্ছে সেদিকে কারো খেয়াল নেই। সবাই ব্যস্ত অন্নপূর্ণা মিষ্টান্ন ভান্ডার থেকে মাগনা মিস্টি খাওয়ার তালে। এই তালে তাল মেলাতে ভগবান ঘোষকে যে পরিমান মিস্টি বানাতে হচ্ছে তার কারনেই দেশে যে দুধের আকাল পড়েছে তা কারো গায়ে লাগছেনা। সবাই নিজের ভাগটা পেতেই আগ্রহী এবং পেলেই সন্তুষ্ট।
অন্নপূর্ণা মিষ্টান্ন ভান্ডারের মিষ্টি খেতে যারা যারা লাইনে দাঁড়ানো তার বাইরে দুধের যোগানদাতা সব পাবলিক যে কবে তার গরু ফেরত পাবে, সে দুঃস্বপ্ন থেকেই এই লেখা।
মন্তব্যে +++++

৫| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:২৬

মুক্তা নীল বলেছেন:
আঞ্চলিক ভাষায় এত কষ্ট করে আপনি একটা লেখা লিখেছেন সেজন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাই । অনেকদিন পর আপনার একটি দারুন প্রতিবাদী লেখা পড়লাম ।
জিলাপি ভাইজা বড়লোক হওয়ার ব্যাপারটা ঘটনার পিছনে ঘটনা ঘটিয়ে অনেকেই এখন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে ।
চমৎকার একটি লেখা উপহার দেওয়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ এবং শুভকামনা

১২ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: মুক্তা নীল,




দেশের মানুষের ভবিষ্যত নিয়ে শংকিত বলেই বাস্তবতাগুলো একটু ব্যাঙ্গের খোলসে ভরে পরিবেশন করতে হয়েছে যাতে পাঠকের মনযোগ যেন ঠিক জায়গায় পৌছে যায়।

সুন্দর মন্তবে ধন্যবাদ এবং প্লাস ++++++++
শুভেচ্ছান্তে।

৬| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: রম্য লেখা, কিন্তু পড়তে বেগ পেতে হয়েছে।

১২ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,




আপনি তো পড়ুয়া মানুষ, আপনার তো বেগ পাবার কথা নয় !!!!

৭| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৪৯

জুন বলেছেন: ল্যাকছেন তো ম্যালা, তা প্যাডিং কত দেছেন! এইয়া পইড়া মোর দাত কয়ডা গ্যালহে :( কয়েন দেহি এইয়া বোzhতে মুই কি আবার আমু আম্নের এই নটখইট্টা মার্কা পুস্টে ;)
যাক প্লাস দিলাম না বুইজ্জাই :(
=p~
+

১২ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




আপনার শেষ পোস্টে লিখেছেন আপনাকে ডাক্তার হাটতে বলেছে। এবার ডাক্তারের কাছে গেলে দাঁত কয়টাও দেখিয়ে আসবেন। :)

না বুইজ্জাই পেলাছ দেছেন কিরপান্নে? আম্নে কি পেছনো ফাস জেনারেশন ?
নটখইট্টা মার্কা পুস্ট বোজতে তো আইতেই হৈবে নাইলে পন্ডিত হৈবেন ক্যাম্মে ? এইডা হুইন্না আবার ছ্যান্নাৎ কৈর্রা উইঠেন না...... :P

৮| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: প্রথমে কঠিন লাগছিল- ধীরে ধীরে টোন ধরে ফেলায় আর কষ্ট হয়নি।
দুজন অতি সহজ সাধারণ আম আদমীর আঞ্চলিক ভাষায় কথপোকথনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ চলমান বিষয়, অবৈধ অর্থ আর ক্ষমতার গরম, সাধারণ মানুষকে দিন দিন চিড়ে চ্যাপ্টা বানানোর উপখ্যান উঠে এসেছে।

পোস্টে বরাবরের মতই প্লাস।

১২ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




দেশটাই সবটাই যে চিড়ে-চ্যাপ্টা হয়ে যাচ্ছে সেদিকে কারো খেয়াল নেই। সবাই ব্যস্ত অন্নপূর্ণা মিষ্টান্ন ভান্ডার থেকে মাগনা মিস্টি খাওয়ার আশায়। দেশে যে দুধের আকাল পড়েছে তা কারো গায়েই লাগছেনা। সবাই নিজের ভাগটা পেতেই আগ্রহী এবং পেলেই সন্তুষ্ট। এমন বাস্তবতার পরিনাম ভেবে শিউরে ওঠা থেকেই লেখাটির জন্ম।
জানিনে, এরপরেও আমাদের বোধদয় হবে কিনা!
সুন্দর মন্তবের জন্যে ধন্যবাদ।

৯| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০০

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমি ডিকশনারী ছাড়াই প্রতিটা শব্দ বুঝতে পারসি। আমাদের জমানায় টিভিতে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করে এই ধরনের দারুন সব প্রতিবাদ নাটক তৈরী হইত আশি ও নব্বই এর দশকে। বহুকাল পর সেই ফ্লেবার পাইলাম।

পোস্ট স্টিকি করার আহবান জানাইলাম ।

১২ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাবিয়ান,




ধন্যবাদ যে আপনি বরিশালের ভাষা বুঝতে পেরেছেন। আরও ধন্যবাদ এ কারনে যে, প্রতিবাদী একটা ফ্রেভার এখানে খুঁজে পেয়েছেন বলে।
চিটাগাং এর কেউ যদি চিটাগাং এর ভাষায় ব্লগে কিছু লিখতেন তবে আমাদের ভাষা জ্ঞানে একটা আঞ্চলিক ভাষা যুক্ত হতে পারতো।

১০| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: হা ভাই , কি বলবো , বলার কিছুই নাই

শুধু কমু ," মোগ আর কিছুই নাই,সব খুইলা লইয়া গেছেগা ভগবানেরা যাগ বাপ-দাদার কিছু না থাকলেও হেগো নাতি-পুতিরা সোনার থালে হিরার চামচ দিয়া সোনায় :P ভাজা জিলাপী খায় আর আংগো লেংগুটটাও খুইলে লইবার চায়"।

একেক সময় ভাবি আরেকবার টান দিলেই দিয়ে দিমু লেংগটটাই। তার পর আর কি নিব , হেইয়া দেককুম আর কমু "তর শরম নাইরে"।

১২ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহামমদ কামরুজজামান,




হা....হা...লেংগটটা খুলে নেয়ার পরে আর তো কিছু থাকেনা! :|
আমরা কি সেদিকেই যাচ্ছি?

মন্তব্যে প্লাস.......

১১| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

মিরোরডডল বলেছেন:



এমনই রম্য যারা পড়তে এসেছি, সবার জন্য উপযুক্ত শিক্ষা। :)

এতো কষ্ট করে পোষ্ট লেখা, আবার ব্যাখ্যাও দিতে হয়!
দিগুন পরিশ্রম ভালো লেগেছে।


১২ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল,




এটা মনে হয় "রম্য" হয়নি। ব্যাঙ্গাত্মক (স্যাটায়ার) বলতে পারেন।

অনেক আঞ্চলিক ভাষা অনেকেই বোঝেন না। আঞ্চলিক ভাষাতে লেখা তাদের জন্যে দূর্বোধ্য হতেই পারে । তাই ব্যাখ্যা দেয়া।
আপনাদের জন্যেই তো দ্বিগুন পরিশ্রম করতে হয়েছে, ভাষাটা বুঝতে পারলে তো আর পরিশ্রম লাগতো না। :||

১২| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:৫০

শার্দূল ২২ বলেছেন: খুব কষ্ট করে শেষ করলাম। শব্দের এত জটিলতা থেকে বের হয়ে রম্যকে ছোট ভোগ করা অনেক কঠিন। তবুও বাস্তব চিত্র উঠে আসছে লেখায়।

আপনার ধর্য্যের প্রশংসা করতেই হয়। অবশ্য আপনার মন্তব্য গুলোই প্রমান করে আপনার ধর্য্যশক্তি অনেক।

আপনার কাছে আমার প্রশ্ন, আপনার মতের সাথে না মিললে সেসব পোষ্ট কি এড়িয়ে যান? কারণ আমি আপনাকে কখনো পোষ্টের কট্টর বিরুধিতা করতে দেখিনা। আপনি অনেক দিন এখানে। আপনার ভালো খারাপ দুটো অভিজ্ঞতার কথা বলুন।

ধন্যবাদ

১২ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: শার্দূল ২২,




আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ। "মানুষ" হয়েই থাকতে চাই। তাই ধৈর্য্য যে রাখতেই হয়!
মানুষের মতের বিভিন্নতা থাকতেই পারে কারন সবার বোধবুদ্ধি, মানসিকতা একরকম নয়। সকলেরই তো সব কিছু বলার অধিকার আছে, তাইনা ? তবে তা যেন শালীনতার সীমা অতিক্রম না করে, এটা মনে রাখতে হবে।

মতের সাথে না মিললে কোনও পোস্ট এড়িয়ে যাই কিনা ?
যাই। কেন যাই? অনেক পোস্টই এমন ভাবে লেখা হয় যে তাতে মন্তব্য করার মতো বিষযবস্তু থাকেনা, মতের অমিল হলেও। আবার কঠিন বা সরল ভাবে মন্তব্য করলেও লেখক মন্তব্যের অন্তর্নিহিত অর্থ না বুঝেই গায়ের জোরে তর্কে লিপ্ত হন। যুক্তি মানতে চান না। ব্যক্তিগত আক্রমন করেন। অনেক লেখারই মন্তব্য- প্রতিমন্তব্যে এইরকম সব অহেতুক তর্ক-বিতর্ক দেখা যায় যার পেছনে কোনও ভালো ও সংঙ্গত যুক্তি থাকেনা, থাকে নিজের বক্তব্যের প্রতি অনমনীয় মনোভাব। তেমনি সমালোচনা (পজেটিভ হলেও) সহ্য করার মানসিকতা যেখানে থাকেনা, থাকে অন্যকে একহাত দেখিয়ে দেয়ার ঔদ্ধত্য সেসব এড়িয়ে গিয়ে ব্লগে কাদা ছোঁড়াছুড়ি করে ব্লগের পরিবেশ নষ্ট না করাই ভালো নয় কি? সেটাই করি আমি।

বিরোধিতা কি করিনে ? তাও করি। যেসব লেখককে মনে হয় পরিনত, প্রজ্ঞাবান, শালীন তাদের লেখার সমালোচনা করি । অবশ্যই নমনীয় ভাষায়, যুক্তি দিয়ে শালীনতার গন্ডী না পেরিয়ে। কখনই কট্টর ভাষাতে নয়। (নরম ভাষাতেও যে কঠিন বক্তব্য করা যায় সে "আর্ট" অনেকেই মনে হয় জানেন না।) তারা সেটাকে পজেটিভলিই গ্রহন করেন। তবে তার সংখ্যা খুব কম।
আর ধর্মীয় পোস্টে (ক্যাচাল, অক্যাচাল সবটাতেই) আমি কখনও যাইনা পারত পক্ষে। কারন যারা সে রকম পোস্ট দেন, দেখেছি - তারা প্রায় সকলেই একগুঁয়ে-অন্ধ, নিজের বক্তব্যেই অটল, সমালোচনাকে ধর্মের বিরুদ্ধতা মনে করে সমালোচনাকারীর চৌদ্দগোষ্ঠি উদ্ধার করে ছাড়েন। আপনিও নিশ্চয়ই এটা মানবেন যে , সেসব পোস্ট নিয়ে কিছু না বলাই বুদ্ধিমানের কাজ। ধর্ম যদি "শান্তি"র কথাই বলে তবে সর্বোতভাবে সেই শান্তি রক্ষা করাটাই মানুষের কাজ।

খারাপ অভিজ্ঞতা আছে তো বটেই। ঘটনায় না গিয়ে শুধু এটুকু বলি, কেউ কেউ আছেন যাদের মাল্টি নিক আছে, তারা ব্লগে পরিচিত নিকটি দিয়ে আপনাকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিয়ে পরক্ষনেই অপরিচিত নিকটি দিয়ে আপনার গোষ্ঠি উদ্ধার করতে দ্বিধা করেননা মোটেও। তাই ধৈর্য্য ধরে থাকতেই হয়।

আশা করি, আপনাকে আমার অবস্থান বোঝাতে পেরেছি।
শুভেচ্ছান্তে।

১৩| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:২৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: যদিও পড়তে কষ্ট হয়েছে তারপরও আঞ্চলিক ভাষা আমাকে ভালই লাগে। কেউ কেউ আঞ্চলিক ভাষা নিয়ে বিদ্রুপ করে তাদেরকে আমার ভালো লাগেনা।

১২ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ মশিউর রহমান,





লেখার শেষে অন্তর্বতী কথায় তো সে কথাই বলেছি – যাদের প্রানে গান আছে, সঙ্গীতের মাধুর্য্য আছে তাদের কাছেই কিছু কিছু জেলার/অঞ্চলের ভাষাকে মধুর সঙ্গীত বলেই মনে হবে।
আমার কাছে চাপাইনবাবগঞ্জের ভাষা কিন্তু বেশ মিষ্টি-মধুর মনে হয়।

১৪| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:০০

জুন বলেছেন: ও মোর খোদা! মুই কি পেলাস না দিয়াই চল্লিয়া গেছিলাম :| ছাদে হাড্ডিয়া হাড্ডিয়া মোর মাথা ঠ্যাং হজ্ঞলই গেছে চৈল্লা :-*

১৩ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,



কিরপান্নে আবার এল্হা আইছেন ? পেলাছ দেবেন, হেইরপান্নে ?
"চল্লিয়া গেছিলাম" কৈছেন ক্যা ? কইবেন তো - চৈল্লা গেল্হাম"
হাড্ডিয়া হাড্ডিয়াবানান এইরহম ল্যাহে কেউ ?
ল্যাকপেন - হাইড্ডা হাইড্ডা। :P

১৫| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৩৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: কিরপান্নে না কিরপিন্নে হবে !

সে যাক আঞ্চলিক ভাষায় রম্য রচনার ব্যাপারটা দারুণ , ইদানিং তো আঞ্চলিকভাষাকে বাংলা ভাষার নয় বলে একটা রব উঠেছে । সেখানে আপনার এই রম্য রচনা আলাদা এক আবেদন রেখে গেল । ধন্যবাদ এমন রম্য লিখবার জন্য !!

১৩ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: নিবর্হণ নির্ঘোষ,




কিরপান্নে না কিরপিন্নে হবে !

জানিনে, আপনি বরিশালের লোক কিনা! বরিশালে আমরা কিরপান্নে ই বলি, কিরপিন্নে কখনও শুনিনি।
আর মনে হয় এটাকে "রম্য" বলা না গেলেও " স্যাটায়ার" বলা য়ায়। ভাষার ব্যাপারে তো বলেছি "--- কিছু কিছু জেলার/অঞ্চলের ভাষাকে মধুর সঙ্গীত বলেই মনে হয়।"
আপনি আমার এ লেখাটাও দেখতে পারেন - কষ্টে আছে আইজদ্দিন...

আঞ্চলিক ভাষার এই পোস্ট পড়ার জন্যে ধন্যবাদ আপনাকেও।

১৬| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৪১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমার বাবা-দাদা, বড় আব্বা, মা, নানা-নানু সবাই ঢাকার। তাই আঞ্চলিক অনেক ভাষা বুঝতে বেশ বেগ পেতে হয়, তবে না পড়ে শুনলে হয়তো বেশী তাড়াতাড়ি ধরতে পারতাম। এ্টা কোন অঞ্চলের ভাষা? ডিকশনারী কাজে দিয়েছে। গল্প ভালো লাগলো, ধন্যবাদ।

১৩ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইফতেখার ভূইয়া,




এই ভাষা বারিশালের।
হ্যা পঠন কিম্বা শ্রবনের ভেতরে দিয়ে বক্তব্য বোঝার ক্ষমতা একেক জনের একেক রকম।

হা...হা.... ডিকশনারী কাজে দিয়েছে। অনেকের কাজে লাগবে বলেই ডিকশনারী দেয়া।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

১৭| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৫৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বরিশাইল্লা-নোয়াখাইল্লা লোকজনের সাথে অল্পবিস্তর উঠাবসা আছে, লেখা বুঝতে সমস্যা হয়নি। সমকালীন প্রেক্ষাপটে দুর্দান্ত লেখা।

১৩ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: রূপক বিধৌত সাধু,




সমকালীন প্রেক্ষাপটে দেশকে নিয়ে ভাবনার যেমন অন্ত নেই তেমনি নিঃস্ফল রাগে-ক্রোধে মেজাজ ঠিক রাখারও কোনও ঠিক নেই!
মনে হয় সবারই এমনটা হচ্ছে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

১৮| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৩৫

শায়মা বলেছেন: বাপরে!

পড়তে গিয়ে মাথা চোখ কান সব একেক দিকে একেকজন চলে গেছে ভাইয়া।

যাইহোক এই লেখা পড়ে বুঝলাম তুমি বাংলা ভাষাবিদ স্যার আহমেদ জী এস ভাইয়া।

আরও বুঝলাম তোমাকে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস কিংবা পরিদর্শন করিতে হইয়াছে। :)

১৪ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,




মাথা চোখ কান সব একেক দিকে যাক, নিজে ঠিক থাকলেই হলো! :)

এই লেখা পড়ে বুঝলাম তুমি বাংলা ভাষাবিদ স্যার আহমেদ জী এস ভাইয়া।
এখন কি আপনাকে অন্নপূর্ণা মিষ্টান্ন ভান্ডারের মিষ্টান্ন খাওয়াতে হবে ? মন্তব্যের ভাবগতিক তো তেমনই মনে হচ্ছে। :( :P

জীবনে দুঃখ একটাই, আমার দেশখানাই যে ঘুরে দেখা হয়নি। :(( না রাতারগুল , না সাতারকুল ........

১৯| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: দারুন!!

সংলাপের মধ্য দিয়ে বাঙালির স্বভাব একেবারে তুলে ধরেছেন। একজনকে কিছু জিজ্ঞেস করা হলে সে তার উত্তর না দিয়ে প্রশ্ন কর্তাকে নানা রকম প্রশ্ন করতে থাকে। অবশ্য এই প্রশ্ন-উত্তরের মধ্যে দিয়ে ভগবান চন্দ্র ঘোষ নামের মানুষটির কীর্তিকলাপ জানার পর মনে হলো, "এ তো আমার পরিচিত, শুধু অন্য নামে, অন্য কোথাও সে আছে!!" মাঝে মাঝেই তো পত্রিকায় পড়ি, চায়ের দোকানের বয় ঢাকায় তিনটা বাড়ির মালিক হয়েছে, কিম্বা গাড়ির ড্রাইভারের ১০০ কোটি টাকার সম্পদ আছে...

রম্যের ছলে অনেক কিছু মনে করিয়ে দিলেন, কিছু সত্যকে সামনে আনলেন।

ডিকশনারি ছাড়াই পুরোটা বুঝতে পেরেছি, শুধু 'ছিনটিকেট' বুঝতে একটু সময় লেগেছে, ইংরেজি শব্দ কি না! এই মানুষগুলোর সংলাপ হিসেবে এই ভাষা একেবারেই ঠিক আছে। এরা যদি "আচ্ছা বলুন তো" বলে কথা শুরু করত তবে সেটা মোটেও ভালো লাগতো না।

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,




ব্যাঙ্গ দিয়ে সঙ্গ দিয়েছি বাঙালির স্বভাব, সমকালীন প্রেক্ষাপটের সাথে।
এ সব চরিত্র তো আমাদের পরিচিত, শুধু অন্য নামে, অন্য কোথাও তারা থাকে!! আমাদেরই ভীড়ে, কোনা-কাঞ্চিতে তারা দিনরাত গুতাগুতি করে নিজেদের মিষ্টান্নের ভাগটার জন্যে। চায়ের দোকানের বয় থেকে গাড়ির ড্রাইভার সবাই-ই জানপ্রান বাজী রেখে ভগবান ঘোষের অন্নপূর্ণা মিষ্টান্ন ভান্ডারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে মিষ্টান্নের ভাগটি লুফে নিতে। তারা জানে ও মানে -
যায় যদি যাক প্রান
হীরকের রাজা ভগবান!!!!!!!


হ্যা; কিছু কিছু বিষয় থাকে (বিশেষ করে কথোপকথনে ) যাকে ঠিক ভাষাটি দিয়ে অর্থবহ করতে হয়। সাধারণের মুখের ভাষা যতোটা বেশি "কমিউনিকেট" করতে পারে জনসাধারণ্যে ততোটা কিন্তু সাধু/চলতি বা বইয়ের ভাষায় হয়না।

মন্তব্যে আগেই লাইক দিয়ে রেখেছি। কিন্তু প্রতিমন্তব্য দিতে দেরী হওয়াতে দুঃখিত।

২০| ১৩ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:০১

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,




দেখলেন তো, কে কি মন্তব্য করেছেন ?

এবার সকল মন্তব্যের সারমর্ম লিখুন । ;)

২১| ১৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:২১

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া সাতারকুল যে ঢাকারই পাশে তাহা জানোতো???

নাকি তাহাও জানো না......

যাইহোক তোমার জন্যই কবি লিখিয়াছেন-
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি রাতারকুলের ভাই আরেকটি সাতারকুল...... :)

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,




হা...হা... আমার জন্যে কবি এত্তো কষ্ট করিয়া এই কবিতা লিখিয়াছেন শুনিয়া আহ্লাদে চক্ষু মেলিয়াই ঘর হইতে ছয়মাস আগে বাহির হইয়াছি। সাতারকুলের বদলে তাহারই বড় জ্যাঠা প্রশান্ত মহাসাগরকুল দেখিয়া বেড়াইতেছি। :P কবিকে ধন্যবাদ।
ভেনচুরা বীচ, লসএঞ্জেলস।

২২| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৪৮

সোহানী বলেছেন: লিখার কন্টেন্ট কি সেটা একটা বিষয় বটে কিন্তু লিখার স্টাইলটা পড়ে আমি মুগ্ধ।

জী ভাই, আপনার লিখা আমাকে বরাবরেই মুগ্ধ করে। কিভাবে এতো ভালো লিখেন???????????????? হিংসা করা ছাড়া কোন উপায় নাই :((

২০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,





হিংসা করা ভালো নয় বরং হিংসার বিষয়বস্তুকে কাঁটাচেরা করে নিজেকে তার উপরে নিয়ে যাওয়াই প্রাজ্ঞতার লক্ষন। ;)
লেখার ষ্টাইল নতুন কিছু নয়। চেষ্টা করে দেখুন আপনার আঞ্চলিক ভাষাতে লিখতে, আপনিও পারবেন ।

অনেক ধন্যবাদ এমন মন্তব্যের জন্যে। প্রতিমন্তব্য দেরীতে দেয়ার জন্যে দুঃখিত।

২৩| ২২ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৫৬

জাহিদ অনিক বলেছেন: পড়ার পরে অনেকক্ষণ বসে আছি কী লিখব সেটা ভাবছি --
তারপর মনে হলো এই লেখার উপযুক্ত মন্তব্য লিখতে হলে তো দেশ ছাড়তে হবে, ঘর ছাড়তে হবে ---
সে তো সম্ভব না, আমি ছাপোষা মানুষ, ভালোবাসি এই বাংলার মাটি, আকাশ, সন্ধ্যা।
দিনশেষে আমিও কখনো কখনো খদ্দের অন্নপূর্ণা মিষ্টান্ন ভান্ডারের……

আপনি খুব চমৎকার লিখেছে শ্রদ্ধেয় জী এস সাহেব। পটুয়াখালীর মানুষ হওয়াতে ভাষা সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হয়নি। পড়তে পেরেছি একটানেই --

২৩ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: জাহিদ অনিক,



মাগনা পয়সায় মাইনষে বিষও খায় আর এইডা তো মিষ্টান্ন। মোরা হগলডিই ভগবান ঘোষেরে ত্যাল দিয়া হের মিষ্টান্ন মাগনা মাগনা খাওনের লাইনে খাড়াইন্না। দিনশ্যাষ কইতে কিছু নাই, দিনে রাইতে হগল সোমায়ই কাছা দিয়া খাড়াইয়া আছি। যদি ভগবান ঘোষ পাতে কিছু দ্যায়, হেলেই তো বিড়ি ছাইড়রা বেনসন টানতে পারি। :||

"ভাষা সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হয়নি" হুইন্না ভাবতেছি, কোন বেইন্নাহালে আফনে পউট্টাহালি ভাষায় একখান কবিতা ল্যাকপেন। 8-| খারাপ হৈতো না....... :P

২৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আঞ্চলিক ভাষায় লেখার প্রচেষ্টা আপনার সার্থক হয়েছে, কারণ বেশিরভাগ পাঠকই দেখলাম আপনার এ পোস্টের অর্থ উদ্ধার করতে পেরেছে। শেষের ডিকশনারীটা অবশ্যই অনেক কাজে দিয়েছে অর্থ উদ্ধারে!

১২ নং প্রতিমন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ। আমার মনোভাবটিই প্রকাশ পেয়েছে সেখানে।
দেশে ফিরেছেন কি এতদিনে? সেখানে পরিবারের সদস্যরা সবাই ভালো আছে তো?

২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




১২ নং প্রতিমন্তব্যটি আপনার মনোভাবটিই প্রকাশ করেছে জানতে পেরে ভালো লাগছে।

আপনিতো দেশে ফিরেছেন এর মধ্যেই! আমার ফেরা হয়নি। সহসা ফিরতে যেন না পারি তাই আমার পরিবার কিছু পদ্ধতির মধ্যে জড়িয়ে দিয়েছে আমাকে। তাই আটকে গেছি, ফিরতে দেরী হবে।
জ্বী আমার পরিবারের সবাই এখানে ভালো। আপনার এমন আত্মীয়সুলভ খোঁজখবরের জন্যে কৃতজ্ঞ।
ভালো থাকবেন এবং শুভেচ্ছা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.