নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাবেকুব জাতক কথন – চৌদ্দ

২৬ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:০০

একটি বেহুদা প্রশ্ন……….


বেকুব বলিয়াই প্রশ্নটি মাথায় লইয়া কেবলই ঘুরিয়া মরিতেছি। লজ্জার মাথা খাইয়াও কাহাকেও শুধাইতে পারি নাই। দূরের মানুষ তো দূর, কাছের মানুষদেরও বলিতে সংকোচ বোধ হইতেছে। শুধাইলেই হয়তো তাহারা বলিয়া বসিবেন , আহারে বেকুব! গুগলে সার্চ দিলে বা দেশের সংবিধান হাতড়াইলেই তো উত্তর পাওয়া যাইতো! তুই তো দেখছি শুধু বেকুব-ই না, মহাবেকুব!

যে প্রশ্নটি করিতে চাহি নাই তাহার কথা এই যে অকস্মাৎ কহিয়া ফেলিলাম, তাহাতেও বেকুবী হইলো কিনা বুঝিতে পারিতেছি না। যখন তাহা করিয়াই ফেলিয়াছি তখন মহাবেকুব বলিয়াই এক্ষনে প্রশ্নটি লইয়া আপনাদের বিজ্ঞ মতামতের দ্বারস্থ হইতে হইলো।

প্রশ্নটি এই – “ বাংলাদেশের স্থানীয় বা জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে একজন প্রার্থীকে নির্বাচিত হইতে হইলে মোট ভোটারের নূন্যতম কতো শতাংশ ভোট পাইতে হইবে ?”

মহাবেকুব বলিয়া নিজের বুদ্ধি দিয়া গুগল ঘাটিয়াছি, সংবিধান হাতড়াইয়াছি,কোত্থাও উত্তর খুঁজিয়া পাই নাই। যাহা পাইয়াছি তাহা কোন দেশের সংসদ/সিনেটে উচ্চকক্ষ , নিম্নকক্ষ ইত্যাকার কক্ষ কিভাবে গঠিত হইবে তাহার ফিরিস্তি। কিন্তু একজন প্রার্থীকে কতো শতাংশ ভোট পকেটে ভরিয়া সেসব কক্ষে প্রবেশ করিতে হইবে তাহার উত্তর মেলে নাই। বিভিন্ন পদ্ধতির ভোটের কথা পাইয়াছি কিন্তু কতো শতাংশ ভোট না পাইলে একজন প্রার্থী নির্বাচিত বলিয়া গন্য হইবেনা তাহা দেখি নাই।কেবলমাত্র গু’টি দুয়েক দেশে প্রেসিডেন্টকে কতো শতাংশ ভোট পাইতে হইবে তাহা দেখিয়াছি।
দেশের সংবিধানের সপ্তমভাগে “ নির্বাচন” অংশের ১১৮ হইতে ১২৬ ধারার কোথাও এ সংক্রান্ত কোন তথ্যও পাই নাই।

তাহা হইলে কি ধরিয়া নিতে হইবে, আপনি যদি কোন নির্বাচনে প্রার্থী হইয়া থাকেন তাহা হইলে আপনার কোনও ভোট না পাইলেও চলিবে? যেহেতু ভোট কতো শতাংশ পাইতে হইবে এমন কোনও নির্দেশনা নাই বলিয়া কি কেবল মাত্র নির্বাচন কমিশনের দেয়া প্রার্থী হইবার যোগ্যতা লইয়া নিজেকে একজন প্রার্থী ঘোষনা দিলেই আপনার কপালে “নির্বাচিত” হইবার শিকেটি ছিড়িবে ?
কেন ছিড়িবেনা ? ছিড়িয়াছে তো! ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে তো অনেকের কপালেই তো তেমন শিকেটিই ছিড়িতে দেখিয়াছি। ১টি ভোটও না পাইয়াই তাহারা অবলীলায় জনপ্রতিনিধি হইয়া গিয়াছেন। তাহাদের যোগ্যতা একটাই – প্রতিদন্ধীবিহীন। তাহা হইলে গনতন্ত্রে কি প্রতিদন্ধীতা বলিয়া কিছুই নাই ? নাকি থাকিতে নাই ? নাকি বৃহত্তর জনগনের কার্যকর অংশগ্রহণ না থাকিলেও গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে বলিয়া ধরিয়া নিতে হইবে ? গণতন্ত্র যেখানে “সর্বস্তরের জনগণ” এর কথাই বলে সেখানে এক অংশকে “ভোটার” চিহ্ন দিয়া আলাদা করিয়া বাকী জনগণের বৃহৎ অংশকে অপাংতেয় করিয়া রাখা কেন ???

কিন্তু যতোদূর জানি আমাদের দেশে “ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট” ভোটদান পদ্ধতি চালু আছে। এই ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট বা “এফপিটিপি” পদ্ধতি প্রচলিত আছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতের পাশাপাশি অনেক দেশেও। এই পদ্ধতিতে ভোটাররা নিজেদের পছন্দের একজন মাত্র প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন এবং যে প্রার্থী সবচাইতে বেশি ভোট লাভ করেন সে প্রার্থীই জয়ী হন। মহাবেকুব বলিয়াই মাথায় ইহা কিছুতেই আসিতেছে না যে, এই পদ্ধতিতে একজন ভোটার কি আসলেই নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন ? কারন, এমন পদ্ধতিতে তো বিভিন্ন দল হইতে তাহাদের নিজেদের বাছাই করা লোকদের প্রার্থী বানানো হইয়া থাকে। এবং সর্বক্ষেত্রেই তাহারা দুর্বৃত্ত ও লুটেরা কিসিমের হইয়া থাকেন। ভোটারদের পছন্দের নহে। ভোটাররা তো উহাদের কাহাকেও পছন্দ না-ও করিতে পারেন! সত্য কথা বলিতে কি, ভোট দিতে হয় বলিয়া কিম্বা পাছে ভোটের অধিকার হারাইয়া না ফেলেন বলিয়া বা পাঁচটি বচ্ছর পরে ভোটের সুযোগ পাইয়াছেন এই আনন্দেই তাহারা ভোটে অংশগ্রহন করিয়া থাকেন। ইহা একটি বেকুবের মতো কথা হইলেও হইতে পারে!

যাহা হউক, এইতো কয়েক বৎসর আগে (২০১৯) ঢাকা সিটির দুই অংশের মেয়র নির্বাচনে ভোট পড়িয়াছিলো গড়ে ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। তবে মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর ও দক্ষিনের নির্বাচনে বিজয়ী মেয়র প্রার্থীরা যথাক্রমে মাত্র ১৪ দশমিক ৮৪ এবং ১৭ দশমিক ৩০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পাইয়াছিলেন। সদ্য বিগত ৫টি সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচনে যে প্রদত্ত ভোটের হার খুব বেশী ছিলো তাহাও কিন্তু নহে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দিয়াছেন ৪৬ শতাংশ, খুলনা সিটি করপোরেশনে ৪২ থেকে ৪৫ শতাংশ, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫১.৪৬ শতাংশ, রাজশাহীতে ৫৬.২০ শতাংশ , গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ৪৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ ভোটার। তাহার মানে, নির্বাচন কমিশনের তথ্য সঠিক বলিয়া ধরিয়া লইলেও সংখ্যা গরিষ্ঠ ভোটাররা তিনটি জায়গাতে কাহাকেও নির্বাচিত করেন নাই। সব জায়গাতে জয় হইয়াছে সংখ্যালঘিষ্ঠদের। আর সবে সমাপ্ত জাতীয় পর্যায়ের উপ নির্বাচনে দেখিয়াছেন যে, ঢাকা -১৭ আসনে ভোট পড়িয়াছে মাত্র ৭ শতাংশেরও কম। এইখানে ৯৩ শতাংশ ভোটারই কাহাকেও তাহাদের প্রতিনিধি হিসাবে চাহেন নাই। এর বাহিরে ভোটার নহেন এমন লাখো মানুষ তো রহিয়াছেন যাহারা উপরিউক্ত কাহাকেও পরোক্ষ ভাবে হইলেও তাহাদের প্রতিনিধি হইবার সার্টিফিকেট দেন নাই। তাহার পরেও সংখ্যালঘিষ্ঠ ভোটে কেউ একজন জনপ্রতিনিধি হইয়া গিয়াছেন।
তবে গনতন্ত্রে যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতকে প্রাধান্য দেয়া হয় তাহাও কি মিথ্যা ? এই মহাবেকুবের এমন বেকুবী মন্তব্যে আপনাদের অনেকেরই মুখ চুলবুল করিবে এই বেকুবকে ধুঁইয়া দেওয়ার জন্য। গনতন্ত্রের সবক, নির্বাচনের প্রক্রিয়া ইত্যাদি শিখাইলেও শিখাইতে মন চাইতে পারে আপনাদের। বলিবেন , বিশ্ব জুড়িয়া ইহাই হইয়া আসিতেছে,তুমি কোন বিদ্যাসাগর আসিয়াছো যে আমাদের বিদ্যা শিখাইবে ?

শিখাইতে চাহিনা তবে কিছু নিয়ম তুলিয়া ধরি - মনে পড়ে, প্রয়াত নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলিয়াছিলেন , “কোনো নির্বাচনে শতকরা ৫০ ভাগ ভোট না পড়লে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। এ জন্য বিশ্বের অনেক দেশে ৫০ শতাংশের কম ভোট পড়লে আবার ভোট গ্রহণ করা হয়।“
তাইতো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমরা দেখিয়াছি, ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ ভোট পাইয়াও এরদোয়ানকে দ্বিতীয়দফার নির্বাচনে যাইতে হইয়াছে ৫০ শতাংশের অধিক ভোট নিশ্চিত করিতে।
এমনকি আমেরিকাতে প্রেসিডেন্ট পদে ৫৩৮ টি ইলেকোরাল ভোটের ২৭০ টি পাইতে হয়। মোট ইলেকটোরাল ভোট ৫৩৮ এর অর্ধেক ২৬৯ এবং জয়ী হইয়া হোয়াইট হাউজে যাওয়ার জন্যে আরো একটি ভোট এভাবেই ২৭০টি ভোট পাইতে হইবে একজন প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য। অর্থাৎ ৫০ শতাংশের উর্দ্ধে ভোট পাইতেই হইবে । তাহা হইলেই সংখ্যাগরিষ্ঠ হইবে।

তাহা হইলে বাংলাদেশের ব্যাপারে কি !!!!!!!

সংবিধান লইয়া মুখে ফেনা তুলিয়া, প্রায় অজ্ঞান হইয়া যে মাতামাতি হইতেছে সেই সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে “রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি” অধ্যায়ে “গণতন্ত্র ও মানবাধিকার” অংশে বলা হইয়াছে ----- প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে [এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে]৷

এতোক্ষন যাবৎ মহাবেকুব যাহা তুলিয়া ধরিয়াছে তাহার ভিত্তিতে বলিবেন কি, প্রতিনিধি নির্বাচনে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইয়াছে কি যেখানে বৃহত্তর জনগনের ( ভোটার , নন-ভোটার সহ) কোনও অংশগ্রহণই নাই? নাকি যেনতেন ভাবে জনগণের পছন্দ- অপছন্দের কেহ নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়ার পরেই শুধু তিনি জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করিবেন ? জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ কি শুধু ভোটের পরেই নিশ্চিত করিতে হইবে ? আগে বা সর্বক্ষেত্রে নহে ? ভোটের আগে জনগণ কি কোনও জনগণই নয় ????
বেকুব বলিয়া মাথায় ইহার কিছুই কুল –কিনারা পাইতেছি না!

এই কথা বলিয়াছি বলিয়া মহাবেকুবকে যতোই আহাম্মক বলুননা কেন, আর একটু জ্ঞান দেই--- নির্বাচনে অংশগ্রহনকারীর জামানত বাজেয়াপ্ত করিবার জন্য নির্বাচন কমিশনের যে আইনটি রহিয়াছে তাহা হইলো, নির্বাচনে যতগুলো ভোট পরিবে, ঐ মোট ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ-ও যদি কোন প্রার্থী না পাইয়া থাকেন, তাহা হইলে তাহার জামানত বাজেয়াপ্ত হইবে।
ঠুনকো একটা বিষয়, “জামানত বাজেয়াপ্ত” করার জন্যে আইন প্রনীত হইয়াছে অথচ মোট ভোটের কতো ভাগ ভোট না পাইলে একজন প্রার্থী নির্বাচিত হইতে পারিবেন না, এমন জরুরী এবং যাহাতে জনগণের অংশগ্রহণ কার্যকর ভাবে প্রতিফলিত হইতে পারে এমন একটি নীতিমালা না আছে নির্বাচন কমিশনের কাছে না আছে সংবিধানে। বাঁশের চেয়ে কঞ্চির দর বেশী বলিয়া মনে হইতেছে! মহাবেকুবের ভাবনায় ইহা হইলো, মা’কে ছাড়িয়া মাসীর ননদকে লইয়া টানাটানি করিবার মতো!

বেহুদা প্রশ্নটি সম্পর্কে জানিতে চাহিতেছি, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করিতে হইলে কিম্বা জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করিতে হইলে ন্যূনতম ভোটের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করার কোনও প্রয়োজন এযাবৎ আপনার মনে একবারের জন্যে হইলেও উদিত হইয়াছে কিনা ? এর জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর আইনে সংশোধনী আনার কোনও প্রয়োজন আছে কিনা ?
যদি প্রয়োজন আছে বলিয়া মনে করেন তবেই বোঝা যাইবে, আপনি আমার মতো মোটেও আহাম্মক বা বেকুব নহেন বরং জ্ঞানী-প্রজ্ঞাবান-সুচিন্তক ।


ছবির কৃতজ্ঞতাঃ
www.ClipartsFree.de


মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:১০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বেকুবের দেশে এসমস্ত কথা বলা বেকুবি ছাড়া কিছুই নয়।

২৬ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মহাজাগতিক চিন্তা,




ঠিক বলেছেন। B-)

২| ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: রম্যচ্ছলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ের অবতারণা করেছেন। অনেক গবেষণা করেছেন বোঝা গেল এবং গবেষণার ফলস্বরূপ বেশকিছু তথ্যও শেয়ার করেছেন। অ্যানালগ যুগে, হয় ৯১ অথবা ৯৬ নির্বাচনের সময় এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় বেশকিছু লেখালেখি হয়েছিল। ওগুলোর সূত্র ধরে আমাদের সংবিধানের সংশ্লিষ্ট কিছু অধ্যায় পড়েছিলাম। এরপর ২০০৫/৬-এ চিফ ইলেকশনার কমিশনার নিয়োগ নিয়ে ঝামেলা হলে কোনো এক ইয়াহু গ্রুপে সিইসি, নির্বাচন ইত্যাদি নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছিল। সে-সব আলোচনার সারসংক্ষিপ্ত বিষয় অবশ্য আপনার পোস্টের শেষের দিকে এসে পেয়ে গেলাম।

জয়লাভের জন্য ন্যূনতম ভোট পাওয়ার শর্ত নেই, কিন্তু জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার ন্যূনতম ভোটসংখ্যা আছে - বিষয়টা সত্যিই হাস্যকর।

তবে ধরুন, সংবিধানে একটা ধারা বা উপধারা যুক্ত করা হলো - জয়লাভের জন্য একজন পটেনশিয়াল সাংসদকে ৫০% ভোট পেতে হবে। তাতেই কি কোনো নির্বাচন বাতিল হয়ে যাবে? এতটা ভাবা কিন্তু আরো মহাবেকুবীয় ভাবনা হবে প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই।

গণতন্ত্রে, আপনার কথামতো, জনগণ হয়ত তাদের প্রকৃত প্রার্থীকে পাচ্ছেন না, কারণ, দল থেকে মনোনীত প্রার্থী জনগণের পছন্দের প্রার্থী নাও হতে পারেন। কিন্তু যদি সেই মনোনীত প্রার্থীই তাদের পছন্দের প্রার্থী হয়ে থাকেন, তাহলেই কি জনগণ তাকে নির্বাচিত করতে সক্ষম হবেন? এর উত্তরটা অবশ্যই 'হ্যাঁ' হবে না। এটা নিশ্চিত করার জন্য যা প্রয়োজন তা হলো একটা সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া। বাংলার জনগণ গণতন্ত্রকে একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র সুষ্ঠু ও নিরবচ্ছিন্ন নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯১ সালে। এরপর প্রতি নির্বাচনের আগেই নানা কারণে নানান জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়েছে। গণতন্ত্রের প্রকৃত স্বাদ গ্রহণ থেকে জনগণ বঞ্চিত হয়েছেন।

একজন ভোটার তো অবশ্যই চাইবেন তার পছন্দের প্রার্থীই যেন জয়লাভ করেন। পছন্দের প্রার্থী হেরে গেলেও সেটা তিনি মেনে নিতে পারেন, যদি (১) নির্বাচন সুষ্ঠু হয় ও (২) তিনি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন। কিন্তু জনগণ ক্ষুব্ধ হন তখনই, যখন (১) ভোটে হয় কারচুপি (২) নিজের ভোট নিজে দিতে না পারেন। তখন ভোটের প্রতিই আস্থা ও আগ্রহ হারিয়ে যায়।

আমার মনে হয়, নির্বাচনের জন্য যেসব বিধিবিধান আছে, তা যথেষ্ট। দরকার হলো এসব বিধিবিধানের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন। যদি উৎসবমুখর পরিবেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পারেন, তাহলে মানুষের মনে আর কোনো ক্ষোভ থাকবে না, নির্বাচিত প্রার্থীকেও তারা সানন্দে মেনে নিবেন।




২৬ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,




পোস্টের কাটাচেরা করা ভালো লেগেছে। এটা তো সত্যই যে, মানুষ কোনও রকম বাঁধাবিঘ্ন ছাড়াই স্বতস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিতে চান।
আমার মনে হয়েছে, যদি নির্বাচিত হওয়ার জন্যে নূন্যতম ৫১% ভোট প্রাপ্তির বিধান থাকতো তবে নির্বাচন ১০০% সুষ্ঠ না হলেও জনগনকে ভোট কেন্দ্রে আনার জন্যে প্রার্থীদের বা তাদের দলকে সেরকম একটি অবস্থার ব্যবস্থা করতে হতো। এভাবে একজন যদি ৫১% ভোট পেতেন এবং বাকীরা ১০-১২% করেও পেতেন তাহলে সব মিলিয়ে ৭০-৮০% ভোট কাষ্ট হতে পারতো। তার মানে, ভোটারের উপস্থিতি এবং ভোট প্রদানের হারই প্রমান করতো যে, নির্বাচন গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জনগনের অংশগ্রহনও হয়েছে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারের ভোটেই একজন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। এভাবে বিপুল ভোটারের উপস্থিতি থাকলে জাল ভোট দেয়াও দূরূহ হয়ে যেতো। এটাই তো আমাদের চাওয়া ?
এখন বলতে পারেন, জাল ভোট দিয়ে একজন প্রার্থী তো ৫১-৫২% ভোট বানাতেও পারেন! একটি এলাকার ৮০-৮৫% ভোটারই যদি ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন এবং তার ভোটটি দিতে পারেন তখন জাল ভোটের সংখ্যাও খুবই কম হতে বাধ্য । এমনকি অনেক কেন্দ্রে তা হয়তো সম্ভব হয়েও উঠবেনা।
ভোটে কারচুপি হওয়ার প্রধান কারন, নির্বাচনে নূন্যতম ৫১% ভোট প্রাপ্তির বিধানটি না থাকা। জনগন যখন জানেন যে, ৭-৮% ভোট পেয়েও একজন প্রার্থী
যেখানে জয়লাভ করতে পারেন তখন সেখানে তারা কষ্ট করে আর ভোট দিতে যাবেন কেন ? এ্টাই জাল ভোট দেয়ার সুযোগ তৈরী করে দেয়। বর্ণিত আইনটি থাকলে জনগনের অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে সব দল-ব্যক্তি উঠে পড়ে লাগতেন। নির্বাচন কমিশন ভোট কেন্দ্রে ভোটার এনে দিতে পারবেনা সত্য কিন্তু নূন্যতম ভোট প্রাপ্তির বিধানটি তো তারা করতে পারেন! ভোট নিয়ে মানুষের মনের ক্ষোভ নিরসনে এটাই মনে হয় অনেকটা কার্য্যকরী একটা পন্থা।

বলেছেন - "সংবিধানে একটা ধারা বা উপধারা যুক্ত করা হলো - জয়লাভের জন্য একজন পটেনশিয়াল সাংসদকে ৫০% ভোট পেতে হবে। তাতেই কি কোনো নির্বাচন বাতিল হয়ে যাবে?"
কেন যাবে ? আর ভোটে "পটেনশিয়াল" কিম্বা "নন-পটেনশিয়াল" প্রার্থী বলতে কিছু আছে কি ? সবাই-ই তো নিজেকে "পটেনশিয়াল" প্রার্থীই ভাবেন, তাইনা? একজন প্রার্থী যদি ৫০% ভোট পান তবে ঐ নির্বাচনী এলাকায় কমপক্ষে ৬০-৭০% ভোট কাষ্ট হওয়ার কথা। সে নির্বাচন তো "বাতিল" হওয়ার কথা নয়। বরং গ্রহনযোগ্য।

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


০.০০১% ভোট পেলেও সেটা ১০০% ভোটের সমান বৈধ। একই ভ্যালু।
ইভেন ০% ভোট তথা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হলে সেটা ১০০% ভোটের সমান বৈধ।
অনেক পরিক্ষা নিরিক্ষা করার পর প্রচলিত গণতান্ত্রিক বিশ্বে সব ক্ষেত্রে এটাই নিয়ম। আমি আপনে বললে লাভ নেই।

আলোচিত নির্বাচনে কম ভোট পরার মুল কারন
ভোটারদের কাছে এই ৩-৪ মাস মেয়াদের নির্বাচন ছিল গুরুত্বহীন। বিশেষ করে আওয়ামীলীগ সমর্থক ভোটারদের কাছে।
কিন্তু বর্জনকারিরা নেপত্থে হিরোকে সমর্থন করতে টাকা পয়শা নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি দেখা যায়।
ফলাফল কোনমতে হিরোর পক্ষে গেলে সেটা সীমাহীন রাজনৈতিক মুল্য ছিল বিএনপির কাছে।
কিন্তু অনলাইনে ও অফলাইনে ব্যাপক প্রচারনার পরও বিএনপি সমর্থক ভোটাররা ভোট দিতে তেমন ইচ্ছুক হয়নি।
তবে ভোট কম পরলেও কারচুপির কোন অভিযোগ আসে নি।

২৬ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী,




মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ কিন্তু আমার লেখার বিষয়বস্তুর সাথে মনে হয় সংগতিপূর্ণ হয়নি। কোন আমলে কতো ভোট পড়েছে আর কেনই বা তা পড়েছে সে কথা এই মহাবেকুব জানতে চায়নি। আমি জানতে চেয়েছি - "বাংলাদেশের স্থানীয় বা জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে একজন প্রার্থীকে নির্বাচিত হইতে হইলে মোট ভোটারের নূন্যতম কতো শতাংশ ভোট পাইতে হইবে ?” এই বিষয়ে একমাত্র সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ছাড়া আর কেউ তেমন কিছু বলেন নি।
আপনি গণতান্ত্রিক (?) বিশ্বের চলমান নিয়মের কথা বলেছেন। আমি কিন্তু সেখানেও প্রশ্ন রেখেছি। বলেছি - "তাহা হইলে গনতন্ত্রে কি প্রতিদন্ধীতা বলিয়া কিছুই নাই ? নাকি থাকিতে নাই ? নাকি বৃহত্তর জনগনের কার্যকর অংশগ্রহণ না থাকিলেও গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে বলিয়া ধরিয়া নিতে হইবে ? গণতন্ত্র যেখানে “সর্বস্তরের জনগণ” এর কথাই বলে সেখানে “ভোটার” চিহ্ন দিয়া জনগণের বৃহৎ অংশকে অপাংতেয় করিয়া রাখা কেন ??? "

এ কথাও বলেছি - বিশ্ব জুড়িয়া ইহাই হইয়া আসিতেছে,তুমি কোন বিদ্যাসাগর আসিয়াছো যে আমাদের বিদ্যা শিখাইবে ?

শেখাতে চাইনি বরং গণতন্ত্র কি জিনিষ এবং কেমন সেটা মনে করিয়ে দিয়ে আমার সংশয়ের কথা বলেছি। গণতন্ত্র শব্দটি এমন যা যুগ যুগ ধরে রাজনৈতিক চিন্তা জগতে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। গণতন্ত্র কথাটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হচ্ছে জনগণের শাসন বা কর্তৃত্ব। গণতন্ত্র এমন এক ধরনের শাসন ব্যবস্থা যে শাসন ক্ষমতা সমাজের সদস্যদের কাছে থাকে। গণতন্ত্রের মূল কথা হচ্ছে শাসন সংক্রান্ত ব্যাপারে শাসিতের সম্মতি লাভ।

গণতন্ত্র সম্পর্কে এ পর্য্যন্ত আমি-আপনি যে কথা পড়ে-শুনে এসেছি তাহাও এই - গণতন্ত্রের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Democracy। শব্দটি এসেছে Demos এবং Kratos থেকে। 'Demos' শব্দের অর্থ হলো 'জনগণ' এবং 'Kratos' শব্দের অর্থ হলো 'শাসন' বা 'কর্তৃত্ব'। সুতরাং, বুৎপত্তিগত অর্থে গণতন্ত্র হলো 'জনগণের শাসন'। সাধারণত, যে শাসনব্যবস্থায় শাসনক্ষমতা এক বা মুষ্টিমেয় লোকের হাতে ন্যস্ত না থেকে, সমগ্র জনসাধারণের হাতে ন্যস্ত থাকে এবং অধিকাংশ জনগণকে মতামত প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়া হয়, তাকে গণতন্ত্র বলে। [ অনুগ্রহ করে বোল্ড বা ইতালিকস এর বাক্যাংশগুলি অনুধাবন করতে চেষ্টা করবেন]

মোট কথা হলো, "গনতন্ত্র" এখন আর গনতন্ত্র নেই । আপনি যে ভাবেই বলুন, সত্যটা হলো - বিশ্বজুড়ে এখন তা "রাষ্ট্রতন্ত্র" হয়ে গেছে।
আব্রাহাম লিঙ্কন গণতন্ত্রের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে এই যে বলেছেন, “Democracy is a government of the people, by the people, and for the people.” অর্থাৎ, গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত এবং জনগণের জন্য পরিচালিত সরকারব্যবস্থা।” তা কি এখন
তেমন করে আমাদের দেশে আছে ? আমাদের তো - " অব মি, বাই মি এবং ফর মি"র স্বেচ্ছাতন্ত্র চলছে। অথচ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা জনমতের প্রাধান্যের উপর প্রতিষ্ঠিত। গণতন্ত্রে জনমতকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যায় না। আমি কিন্তু জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত যাতে হয় সে কারনেই এই বেহুদা প্রশ্নটি করেছি।

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র সুষ্ঠু ও নিরবচ্ছিন্ন নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯১ সালে নয়, ২০০৮ নির্বাচন।
৯১ নির্বাচন ভাল হলেও দেড় কোটি ভুয়া ভোটার অন্তর্ভুক্ত থাকায় ফলাফল সঠিক আসে নি। এরপরও ফলাফলে সদস্যসংখায় হেরেগেলেও মোট ভোটসংখা আওয়ামীলীগের বেশি ছিল


২০০৮ নির্বাচনে ২ বছর ধরে যাচাই বাছাই করে দেড়কোটি ভুয়া বাদ দিয়ে জেনুইন ভাবে ভেরিফাইড ভোটার অন্তর্ভুক্ত করে নতুন ভোটার তালিকা তৈরি হয়, ছবি সহ। ছবিসহ ন্যাশনাল আইডি কার্ড তথা ভোটার আইডি কার্ডও দেয়া হয় প্রত্যেক ভোটারের হাতে।

৯০ এর পর প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দাবি ছিল ছবিসহ আইডি কার্ড এবং ভোটার তালিকা। এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স।
কিন্তু বিএনপি সব সময় এর বিরোধিতা করে গেছে। ইউএনডিপি থেকে স্বতপ্রনদিত ভাবে ফ্রিতে স্বচ্ছ ব্যালট বক্স দেওয়া হলেও তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার আজিজ সেই স্বচ্ছ ব্যালট বক্স কন্টেইনার প্রত্যাখ্যান করেন। ফখরুদ্দিনরা না আসা পর্যন্ত বন্দরেই পড়ে ছিল সেই কন্টেইনার।

এসব কারনে ২০০৮ নির্বাচন ছিল বাংলার ইতিহাসে স্মরণকালের শ্রেষ্ঠতম নির্বাচন। আপনার আমার জীবদ্দশায় এ ধরনের নির্বাচন আর দেখে যেতে পারবেন কিনা সন্দেহ।

সেই যুগান্তকারি নির্বাচনও বিএনপি-জামাত মানে নি। হাসিনাকে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী আখ্যায়িত করে পার্লামেন্টে যায় নি। ১ দিনের জন্যও সংসদে যায় নি।
প্রতি ৯০ দিন পর পার্লামেন্টে যেত শুধু বেতন ভাতা তোলার দিন। সেই দিন কিছুটা দিনব্যাপি হইচই করে চলে আসতো, কিন্তু সংসদ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করত না। একবারও করেনি।
সেটা নির্বাচন বর্জন করার মতই সংসদ বর্জন।

২৬ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী,




মন্তব্য নিঃস্প্রয়োজন।

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: অন্য দেশে কী হয় না হয় সেই সব ভূয়া ব্যাপার । আমাদের দেশে যা হয় যেমন করে হয় সেইটাই আসল এবং সঠিক । আরো ভাল করে বললে, আমাদের আওয়ামীলীগ দল যা করবে সেইটাই সঠিক । এই আমলে যেভাবে ভোট দান, গ্রহন। গননা চলে সেই সব থেকে সঠিক পদ্ধতি । আশা করি বুঝতে আর অসুবিধা হবে না । :D

২৭ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপু তানভীর,





আপনার মন্তব্যের মূল ধরে বললে আমাদের দেশে গণতন্ত্রকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে হয় - "যে তন্ত্রে দেশ চালালে, জনগণের টাকা নিজের টাকা হয়ে যায়, দেশের সম্পদ নিজের সম্পদ হয়ে যায়, দেশ বিক্রি করে বিদেশে সম্পদের পাহাড় বানানো যায়, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণেরই ভোটে জয়ী হওয়া যায়, জনগণকে খুব সহজেই বোকা বানানো যায়, উন্নয়নের নামে বিদেশী ষড়যন্ত্র (এজেন্ডা) বাস্তবায়ন করা যায়, দেশ ও জনগণের স্বার্থবিরোধী বৈদেশিক চুক্তি করা যায়........... এবং ইচ্ছে মতো দেশ চালানো যায় - তাকে গণতন্ত্র বলে।" 8-|
( সূত্রঃ Click This Link )

আশা করি, এদেশীয় রাজনীতি ও গনতন্ত্রের স্বরূপ বুঝতে আপনারও অসুবিধা হয়নি। :D

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:১২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



অফিশিয়ালি কিম জন বাংলায় ক্ষমতায় বসলে, দেশবাসী শান্তি ভোগ করবে?

২৭ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: শূন্য সারমর্ম,




কিম জং কেন, কোনও জংয়েই এ দেশবাসী শান্তি ভোগ করতে পারবেনা। কারন দেশের সব সিষ্টেমেই "জং" মানে "মরীচা" ধরানো হয়ে গেছে। ঘসে ঘসে এই জং ওঠাতে গেলে দেশের ছাল-চামড়া কিছুই থাকবেনা। :||

৭| ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:২৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার চমৎকার লেখাটি দেখে লগইন করলাম মন্তব্য করার জন্য কিন্তু উপরে একজনের মন্তব্য দেখে ভাষাই হারিয়ে ফেললাম; মাথা ঝিমঝিম করছে আর ভাবছি মানুষ কি করে এতো অন্ধ হতে পারে?!

২৭ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ মশিউর রহমান,




কি আর করবেন! বাক-স্বাধীনতায় বিশ্বাস করলে সবার সব কথাই শুনে যেতে হবে........ :(

৮| ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৩৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার বউ সব সময়ে বলে, তোমার টাকা আমার টাকা, আর আমার টাকা আমার টাকা। X(

এটা শেখ হাসিনারও কথা। শুধু টাকার জায়গায় ভোট হবে। এই যখন দেশের ভোটের অবস্থা, তখন এমনতরো ভোট নিয়া আলোচনা সময় নষ্ট করারই নামান্তর। ক্ষমতায় যাওয়ার আগে এক কথা, গেলে আরেক কথা। এমন পরিস্থিতিতে ভোট নিয়ে চিন্তা করাই একটা মহাবেকুবীয় বিষয়। অবশ্য একজন মহাবেকুব হিসাবে আপনি সেটা করতেই পারেন। আপনারে বরং একটা স্ক্রীণশট দেই। ১৯৯৪ সালের ২৩শে নভেম্বর আমাদের নেত্রী কি বলেছিল, দ্যাখেন। জয় বাংলা!!! =p~

২৭ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,




ভাবীজি শুধু "তোমার টাকা আমার টাকা, আর আমার টাকা আমার টাকা' বলে খ্যান্ত দিয়েছেন তাতে বড় বাঁচা বেঁচে গেছেন। য়দি বলে বসতো, তোমার চাকুরী -বেতন-গাড়ী সবই আমার, তোমার সহায় সম্পত্তিও আমার সহায় সম্পত্তি, তোমার বেডরুম যা আমারও বেডরুম তার মধ্যে দিয়ে প্রতিবেশীদের যেতে আসতে দেবো, তোমার টাকা যা আমারও টাকা তা দিয়ে তাদের আমি উপঢৌকন পাঠাবো, তোমার ছাদগাছের আম-পুকুরের ইলিশ যা সবই আমার তাও দিয়ে দেবো উৎসবে পার্বনে????? :((
তখন তো "হোমলেস" হয়ে আপনাকে হ্যারিকেন হাতে রাস্তায় ফ্যা ফ্যা করতে হতো। :P

ভোট নিয়া আলোচনা হরমু না কিরপান্নে ? ভাবীজান যদি কৈয়া হালাইতো, "তোমার ভোটও আমার ভোট" তহোন যাইতেন কৈ ? নাগুরিক ওদিকার রক্ষা হরতে গিয়া আম্নেরে একটা ভোট দেতে হৈলে জাল ভোটই দেতে হৈতো। :P

৯| ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:০৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ২০০৮ নির্বাচন ছিল বাংলার ইতিহাসে স্মরণকালের শ্রেষ্ঠতম নির্বাচন। আপনার আমার জীবদ্দশায় এ ধরনের নির্বাচন আর দেখে যেতে পারবেন কিনা সন্দেহ।

এমন কৌতুক শোনার জন্যই আসলে ব্লগার হা. কালবৈশাখীরে আমি এতো পছন্দ করি। একটা অসাংবিধানিক, অবৈধ নির্বাচনরে স্মরণকালের শ্রেষ্ঠতম নির্বাচন কইতেও বুকের পাটা লাগে!!

২০০৮ এর নির্বাচন যারা পরিচালনা করছিলো, তারা নিজেরাই তো অবৈধ ছিল। তাইলে কেমনে কি? ব্লগে আমার মুখ কিন্তু ছুটায়েন না ভাইজান। তার চেয়ে বেশী কথা না কয়া ভোট চোর সরকাররে নিয়াই খুশী থাকেন। জয় বাংলা!!! :P

২৭ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,




বাক-স্বাধীনতায় বিশ্বাস করিলে সবার সব কথাই শুনিয়া যাইতে হইবে.... সে সব কথা কেবল এক কান দিয়া ঢুকাইয়া অন্য কান দিয়া বাহির করিয়া দেওয়াও হইবে আপনার মৌলিক অধিকার। B-)

১০| ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বলেছেন - "সংবিধানে একটা ধারা বা উপধারা যুক্ত করা হলো - জয়লাভের জন্য একজন পটেনশিয়াল সাংসদকে ৫০% ভোট পেতে হবে। তাতেই কি কোনো নির্বাচন বাতিল হয়ে যাবে?"
কেন যাবে ? আর ভোটে "পটেনশিয়াল" কিম্বা "নন-পটেনশিয়াল" প্রার্থী বলতে কিছু আছে কি ? সবাই-ই তো নিজেকে "পটেনশিয়াল" প্রার্থীই ভাবেন, তাইনা? একজন প্রার্থী যদি ৫০% ভোট পান তবে ঐ নির্বাচনী এলাকায় কমপক্ষে ৬০-৭০% ভোট কাষ্ট হওয়ার কথা। সে নির্বাচন তো "বাতিল" হওয়ার কথা নয়। বরং গ্রহনযোগ্য।


বিষয়টা আবার ক্লিয়ার করে বলি। ধরুন, সংবিধানে ন্যূনতম ৫০% বা ৫১% ভোট পাওয়ার ধারা সংযুক্ত হলো। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ৪৯% ভোট পেলেন জনৈক প্রার্থী (তিনি ১ম হলেন), ৫১% ভোট না পাওয়াতেই কি ঐ ভোট বাতিল হবে? এ দেশে তা হওয়ার সম্ভাবনা কতখানি?

যায় যায় দিন-এ একবার সফিক রেহমান তার 'দিনের পর দিন' ধারাবাহিকে মইন-মিলার জবানিতে উল্লেখ করেছিলেন, এরশাদ আমলে কোনো এক নির্বাচনের ফলাফল তার আগের দিন সন্ধ্যার খবরে রেডিওতে প্রচার হয়ে গিয়েছিল।

কোনো এক নির্বাচনে দিনভর দেখলাম ভোটকেন্দ্র খালি, কোনো ভোটার নাই। রিপোর্টাররা দিনের বেলায় হারিকেন জ্বেলে ভোটার খুঁজছেন, সর্বসাকুল্যে ২-৩ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে বলে বিভিন্ন চ্যানেল প্রচার করলো। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে হাসিমুখে জানানো হলো ৪০% ভোট কাস্ট হয়েছে।

২-৩% ভোটকে যদি ৪০% ভোট বানানো যায়, ০% ভোটকেও ৫১% বানানো কোনো ব্যাপার না। দুর্নীতি বা কারচুপির কোনো উর্ধ্বসীমা নাই।

ন্যূনতম ভোট কাস্ট হওয়া বা জয়লাভের জন্য ন্যূনতম ভোট পাওয়ার শর্ত পৃথিবীর অল্প কয়েকটা দেশে আছে বলে মনে পড়ে। আমাদের দেশে এ ধারা সংযুক্ত হলে এবং সঠিক পদ্ধতির নির্বাচন করা হলে ৩০০ আসনের ভোট সম্পন্ন করতে কয়েক যুগ লেগে যাবে :) কারণ, প্রথমবার খুব অল্প কয়েকজনই ৫০-৫১% পাবেন :) ২য়, ৩য় বার পর্যন্ত নির্বাচন করতে হবে ইন শাল্লাহ।

সঠিক পদ্ধতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আপনার মনেও এ প্রশ্নটার উদয় হতো না। তাই, একটা শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের দরকার। ১৯৯১ নির্বাচনের কথা স্মরণ করুন। সারা দেশ জুড়ে ছিল একটা উৎসবমুখর পরিবেশ। এমন আনন্দঘন পরিস্থিতি এ দেশে অতীতে দেখা গেছে বলে মনে পড়ে না। ভবিষ্যতেও আর আসবে, এমন কোনো ভাব কি দেখতে পাচ্ছেন কোথাও?

২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,




বারে বারে এসে মন্তব্য করাতে মনে হচ্ছে, সম্পূর্ণ ঘূণে ধরা সিষ্টেম দেখে দেখে আপনি ক্ষোভাক্রান্ত। আপনার মতো আপামর মানুষজনও ক্ষোভাক্রান্ত এবং হতাশ। আমিও ।
এটা ঠিক, একটি শক্তিশালী এবং সার্বভৌম নির্বাচন কমিশন এবং সুষ্ঠ নির্বাচনের খাতিরে তাদের ভয়-ডরহীন নির্বাচনী বিধিমালা থাকলে অবশ্যই দেশে আজকের এই অরাজকতা তৈরী হতোনা এবং এই মহাবেকুবকেও কোনও বেহুদা প্রশ্ন করতে হতোনা।

আইনের বদলে বেআইন-ই যেখানে রাজত্ব করে সেখানে সমস্ত সম্ভাবনাই অসম্ভব এবং সমস্ত অসম্ভাবনাও সম্ভব। তাই "২-৩% ভোটকে যদি ৪০% ভোট বানানো যায়, ০% ভোটকেও ৫১% বানানো কোনো ব্যাপার না। " এমন কথা বলতে পেরেছেন।
নির্বাচন কমিশন যেহেতু মেরুদন্ডহীন তাই সরকারের নিয়ন্ত্রন থেকে তারা বেরুতে পারবেনা কখনই কিন্তু তারা তো সংবিধানে একটা ধারা বা উপধারা যুক্ত করে বলতে পারে - জয়লাভের জন্য একজন প্রার্থীকে নূন্যতম ৫০% ভোট পেতে হবে। এটা নিশ্চয়ই তারা পারে । ( অবশ্য কোনও সরকারই এমনটা চাইবেনা :( )
বলেছেন - "প্রথমবার খুব অল্প কয়েকজনই ৫০-৫১% পাবেন :) ২য়, ৩য় বার পর্যন্ত নির্বাচন করতে হবে ইন শাল্লাহ।"
২/৩ কেন ৪/৫বার হলেও জনগণের ক্ষতি কি ? "দেশ সেবা করতে না পারলে মরেই যাবেন" জাতীয় প্রার্থীরা তখন বুঝবে কতো ধানে কতো চাল। বারবার কোটি কোটি টাকা খরচ করে ঐসব লোকেরা অহেতুক হ্যাপা পোহাতে যাবেন কি ? বলবেন, তাহলে নির্বাচন হবেনা। ১১টা নির্বাচন করেই বা আপনারা কি পেয়েছেন ???? বরং ভোট প্রাপ্তির নূন্যতম শতাংশ দেয়া থাকলে জনপ্রিয় ও এলাকায় গ্রহনযোগ্য কেউ ভোটে প্রার্থী হতে হয়তো সাহস পেতেন। জাল ভোটের সম্ভাবনা সত্বেও সেটা জনগণের জন্যে মন্দের ভালো হতো।

১১| ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভোট বাতিল বলতে বর্তমান ফলাফল গ্রহণ না করে ২য় দফা নির্বাচনের কথা বুঝিয়েছি :)

১২| ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:০০

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: এবার মিডনাইট ইলেকশন নয় নয়, দিনে দুপুরে ডাকাতির জোড় সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: মেঠোপথ২৩,




তা হয়তো যাচ্ছে কিন্তু আপনি কি মেঠোপথে হারিয়ে গেছেন ? :D

প্রশ্নটা ছিলো, নির্বাচিত হতে হলে নির্বাচনে ভোট প্রাপ্তির নূন্যতম কতো শতাংশ ভোটের প্রয়োজন সেটা। কিন্তু মন্তব্য সেই মেঠোপথ ছেড়ে উন্নয়নের পীচঢালা পথে গেছে...।

১৩| ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২০

জুন বলেছেন: কারো পোস্টের মন্তব্যে নাকি মন্তব্যের উত্তরে দেখলাম আপনি প্রশান্ত মহাসাগরের পাশে বইসা আছেন। আর এই সাহসেই আপ্নে এত এত বেকুবি (অতি চালাকীয়) প্রশ্ন করতাছেন #:-S আর আমরা যারা বুড়িগঙ্গা থুক্কু সাক্ষাৎ জাহান্নামের অগ্নিকুন্ডের সামনে বসবাস করতাছি তারা এমন প্রশ্নের কথা স্বপ্নেও চিন্তা করতে পারি না, কাউরে জিজ্ঞেস করতেও পারি না, আর এই পোস্টে মন্তব্য করারও সাহস রাখি না আহমেদ জী এস :(
+

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




শুধু বেকুব-ই নয়, মহাবেকুব বলিয়াই মনে হয় প্রশ্ন করিয়া মহাপাতকের কাজটি করিয়া ফেলিয়াছি! :||
জাহান্নামের অগ্নিকুন্ডে থাকিলে শুধুই পুড়িয়া যাইতাম, প্রশ্ন করিবার সুযোগ পাইতাম না..... :((

১৪| ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

অক্পটে বলেছেন: বাংলার গোয়েবলস এসে দুটো মন্তব্য করে গেছে। মজা পাইলাম তার অবস্থা দেখে। রাতের গণতন্ত্রই ভালো।

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: অক্পটে,




অক্পটে স্বীকার করিতেছি, কি বলিবো ভাবিয়া পাইতেছি না......... #:-S

১৫| ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার চমৎকার লেখাটি দেখে লগইন করলাম মন্তব্য করার জন্য কিন্তু উপরে একজনের মন্তব্য দেখে ভাষাই হারিয়ে ফেললাম; মাথা ঝিমঝিম করছে আর ভাবছি মানুষ কি করে এতো অন্ধ হতে পারে?! ~ আমিও ভাষায় হারায় হেলছি- কোন কথা নাই আর।

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার বউ সব সময়ে বলে, তোমার টাকা আমার টাকা, আর আমার টাকা আমার টাকা। X( এটা শুধু আপনার গিন্নীর কথা নয়- খাঁটি বাঙ্গালী সব বউদের কথা। সুধা মিয়ার বউ আর কি দোষ করল??? :)
আপনি কালবৈশাখীকে এত ভালবাসেন জেনে আমার চৌক্ষের পানি ধরে রাখতে পারছি না!!

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




হা...হা... আপনাদের কাজ-কারবার দেখে আমিও ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। :(
খিতা খইতাম ??????? :P

১৬| ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:২২

রাজীব নুর বলেছেন: চারপাশ দেখিয়ে শুনিয়া আমি বোবা হইয়া গেছি।
আমাকে ক্ষমা করিয়া দিইবেন।
মুরুব্বীরা বলেন, বোবার শত্রু নাই।

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,




বোবা হইবারই কথা, কারন চারপাশের হাল-হকিকত সব দেখিয়া ফেলিয়াছেন। সব দেখিয়া শুনিয়া কথা আসিবার কথা নয়! 8-|

১৭| ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




জনাব মহাবেকুব সাহেব
মহাবেকুবের কার্যালয়
বাঙ্গাল মুল্লুক



জনাব,
বিনিত নিবেদন এই যে, আপনি মহাবেকুব। আর আমি সহকারী মহাবেকুব। আপনি যা ভাবছেন বা ভেবেছেন তা আমিও তাই ভেবেছি। শুধু পার্থক্য এই, আমি যা বলতে পারিনি লিখতে পারিনি। আপনি লেখার ভাষায় তা উল্লেখ করেছেন।

সহকারী মহাবেকুব হিসেবে আমার ছোট একটি প্রস্তাব ছিলো, নির্বাচন খাতে যেই সরকারি খরচ আছে বাজেট আছে উক্ত খরচ / উক্ত বাজেট নির্বাচন নামক অনুষ্ঠান না করে আমাদের রুটি হালুয়া খিচুড়ি সহ লবন চিনি আটা পেঁয়াজ তৈল ইত্যাদি রেশন বাবদ দিলে বাধিত হই। সম্প্রতি কাঁচা মরিচের উপর যেই তুফান গিয়েছে তাতে করে আমি সহকারী মহাবেকুব এছাড়া আর কোনো বিল প্রস্তাব অথবা চিন্তা ভাবনা করতে পারছি না।

আর বাকি থাকে দেশে সংসদ নির্বাচন সহ মেয়র চেয়ারম্যান মেম্বার কমিশনার নির্বাচন কিভাবে হবে? আমার মনে হয় এই খুচরো বিষয়ে খুচরো খরচের আর প্রয়োজন নেই। নির্বাচন ছাড়াও আমাদের যোগ্য বলিষ্ঠ নেতা নেত্রী যার যার আসন চেয়ার বুঝে (দখল) নিতে পারবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।

নির্বাচন নামক পাতানো হাডুডু খেলা আপাতত বন্ধ হোক। পাতানো হাডুডু খেলা দেখে আর মজা পাচ্ছি না। তাই মজা পাওয়ার জন্য আপাতত খাবলা খাবলা চিনি খাচ্ছি এবং চিনির দর বাড়িয়ে যাচ্ছি। আমার মতো যারা মজা পাওয়ার জন্য চিনির উপর চাপ তৈরি করছেন তাঁদের কষ্ট করে চিনি ভক্ষণ থেকে মুক্তি দেওয়া হোক, আর চিনিকে চাপমুক্ত করা হোক। চিনি থেকে কবিগুরুর গান মনে পড়েছে "আমি চিনি গো চিনি ওগো বিদেশিনী"


বিনিত নিবেদক,



সহকারী মহাবেকুব
বাঙ্গাল মুল্লুক



৩০ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




মহাবেকুবের সহকারী হইলে মহাবেকুবের মতোই তো ভাবিতে হইবে!
নির্বাচন নামক পাতানো হাডুডু খেলা আপাতত বন্ধ হোক। এটাও তো মহাবেকুবেরই ভাবনা ছিলো অনেক আগে থেকেই :P ....
ভোট : ইফ দ্য কান্ট্রি ইজ দ্য আনসার, হোয়াট ইজ দ্য কোয়েশ্চেন ?

এটা একটা ভালো প্রস্তাব- নির্বাচন না করে নির্বাচন আয়োজনের সকল টাকা খাদ্যপণ্যে ভর্তুকি দেয়া হোক।

১৮| ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৩৯

করুণাধারা বলেছেন: নূন্যতম কত শতাংশ ভোট পেতে হবে! সেই নূন্যতম ভোট না পেলে কি পরিষদ/ সংসদে নির্বাচিত হতে পারবেন না!! আমার মনে হয় এত হিসাব করার চাইতে বিনা ভোটে নির্বাচিত করাটাই উত্তম। :|

৩১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,




জ্বী, বিনা ভোটে নির্বাচিত করাটাই উত্তম এবং ইহাতে নির্বাচনের খরচ বাবদ জনগণের পয়সা বাঁচিয়া যাইবে আর ধাওয়া - পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটিবেনা। B-) শান্তুিপূর্ণ নির্বাচন হইয়াছে, বলিতে পারা যাইবে! :||

১৯| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:১৭

সোহানী বলেছেন: ক'দিন ধইরা বিবিধ প্যাচালে কিঞ্চিত ভাষাহারা :( । তা্র মইধ্যে আফনের প্রশ্ন শুইনা দিশাহারা। এরপর স্ক্রল কইরা নীচে কিছু মন্তব্য দেইখা জ্ঞানহারা :-P

৩১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




আপনার এমন সৃষ্টিছাড়া মন্তব্য দেখিয়া এবং পাঠ করিয়া আমিও চেতনাহারা........ :((

সুপার্ব মন্তব্য +++++++++

২০| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৪৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সর্বনিম্ন ভোটের সিমা বাঁধিয়া দিলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতা লইয়া প্যাঁচ লাগিবে বলিয়া মালুম হয়।

৩১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: মরুভূমির জলদস্যু,




" সর্বনিম্ন ভোটের সিমা বাঁধিয়া দিলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতা লইয়া প্যাঁচ লাগিবে বলিয়া মালুম হয়।"
একেই বলে সঠিক বিশ্লেষণ....... ;) :|

২১| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: পরীক্ষায় যেমন ১০০ নম্বরের মধ্যে ৩৩ এর কম পাইলে ফেইল আর বেশি পাইলে পাশ।

আজ থেইক্কা আমি গেঁয়োভূত নিয়ম কইরা দিলাম যদি কোন ইলেকশনে ৩৩.৩৩ পার্সেন্ট এর কম ভোটারের উপস্থিতি থাকে তাহলে সেই ইলেকশন মানে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবেনা, যতদিন পর্যন্ত ৩৩.৩৩ পার্সেন্ট এর বেশি মানুষ ভোট কেন্দ্রে না যাবে ততদিন পর্যন্ত পুনঃ নির্বাচন দিয়েই যেতে হবে।

এইবার আপ্নেরা মানলে মানেন না মানলে নাই।

৩১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: গেঁয়ো ভূত,




পাশ ফেলের যুক্তি সঠিক বলিয়া মালুম হইতেছে কিন্তু আপনি কি নির্বাচন কমিশন যে, পাশ-ফেলের নিয়ম জারী করিবেন ???? :(

২২| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথা মোটেও বেকুবের মত হয় নাই। বেশ বুদ্ধিমানের মতই যুক্তি প্রদর্শন করেছেন। কারণ কোন নির্বাচনে যদি মাত্র ১১% ভোট পড়ে তাহলে ৮৯% লোকের মতামত না নিয়েই নেতা নির্বাচিত হোল। এমন কি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই মানুষ নেতা হয়ে যাচ্ছে। আমরা এগুলি কবে শিখবো আল্লাহই মালুম।

০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,




"কোন নির্বাচনে যদি মাত্র ১১% ভোট পড়ে তাহলে ৮৯% লোকের মতামত না নিয়েই নেতা নির্বাচিত হোল। এমন কি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই মানুষ নেতা হয়ে যাচ্ছে।"
সেই বেহুদা প্রশ্নইতো করেছি! যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামতই নেই সেখানে সংখ্যালঘিষ্টদের মতামতে নির্বাচিতদের বৈধতা দেয়া কি গনতন্ত্রকে সঠিক ভাবে তুলে ধরে ?

আমরা কিছুই শিখবোনা, বুঝতে চাইবোও না। আমরা আসলে জ্ঞানপাপী, নিজেদের স্বার্থ যেটাতে ঠিক থাকে সেটাই শুধু আমরা বুঝি এবং বোঝাই।
আর তত্ত্বকে সেভাবেই ব্যাখ্যা করি। :||

২৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৫৯

জাহিদ অনিক বলেছেন: পোষ্ট টা পড়িয়া অনেকক্ষণ নিজের সহিত নিজে আলাপন করিয়া বুঝিতে পারিলাম যে -
হুউম্মম - ইহা তো আর কবিতা নহে আবার বাংলার কোনো সাহিত্য আলোচনাও নহে। তাই এই বিষয় লইয়া মন্তব্য দান করা আমার কম্ম নহে।

তবে - রাজনৈতিক জ্ঞান আমার ভোঁতা হইলেও ইহা ঠায় বুঝিতে পারিয়াছি যে - আপনার প্রশ্ন খানা খুবই জটিল ও জন গুরুত্বসম্পন্ন; তাই মনে মনে কেবলই কহিয়া যাই -

কেন না জনগণই তাহা হইলে ইহা মানিয়া লউক যে, শূন্য হউক আর লক্ষ'ই হউক; একখানা মঞ্চ পাতিয়া ভোট লওয়ার ব্যবস্থা যেহেতু করা হইয়াছিলো সেহতু শূন্য ভোটেই হোক; শতভাগ ভোটেই হোক জয় কাহাউকে করিয়া দেওয়া হউক।

ভাবি, এই গরীবের দেশে এক ভোট দুইবার লইবার পয়সাও বোধয় নাহি আর; আবারট এও শুনিতে পাই যে, কাহারও কাহারও ভোট অন্যকেহো দিয়া উপকৃত করিয়াছেন। তাহা হইলে শূন্য ভোটই বা কেন হইবে।

আর এই ছোট কাজের জন্য কেনইবা মহারাজাকেই বা ডাকাডাকি; জনগণ সামাঝদার বটে; উহারাই একখানা পার্লামেন্ট সদৃশ বসাইয়া নিজেরা আলোচনা করিয়া লইলেও হয় যে, কিভাবে কী ভাবিলে আর বেশি কিছু ভাবিতে হইবে না।

২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: জাহিদ অনিক,




কিভাবে কী ভাবিলে আর বেশি কিছু ভাবিতে হইবে না; ইহাই তো ভাবিতেছি যে, কী ভাবিবো !

গণতন্ত্রের স্বরূপ বুঝিতে গিয়া ভাবিতে ভাবিতে পোস্টখানাই লেখা হইয়া গিয়াছে । যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামতই নাই সেইখানে "গণতন্ত্র" কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে ইহা বুঝিয়া উঠিতে পারি নাই। কারন -
গণতন্ত্র কথাটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হচ্ছে জনগণের শাসন বা কর্তৃত্ব। গণতন্ত্র এমন এক ধরনের শাসন ব্যবস্থা যে শাসন ক্ষমতা সমাজের সদস্যদের কাছে থাকে। গণতন্ত্রের মূল কথা হচ্ছে শাসন সংক্রান্ত ব্যাপারে শাসিতের সম্মতি লাভ এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কার্য্যকর অংশগ্রহন।
যেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সম্মতি নাই, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কার্য্যকর অংশগ্রহন নাই তাহা জনগণের রায় বলিয়া মানিয়া নিতে কষ্টবোধ হয়। এবং গণতন্ত্রের স্বরূপ লইয়া প্রশ্ন জাগিয়া ওঠে।
১৭ নম্বর প্রতিমন্তব্যে একখানা লিংক দেওয়া হইয়াছে। সেখানে যাইয়া দেখিতে পারেন, কিভাবে কী ভাবিলে আর বেশি কিছু ভাবিতে হইবে না। ;)

২৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের স্কুলে পাশ করার জন্য ন্যূনতম ৪০% নম্বর পেতে হতো, যদিও বোর্ডের নিয়মানুযায়ী ৩৩% নম্বর পেলেই চলতো। অনেক উন্নত দেশের নির্বাচনেও আজকাল ৫১% ভোট পড়ে না। তাই আমি ভাবছি যে একটা কেন্দ্রে মোট ভোটারের ৪০% ভোট পড়লেই সেটাকে গ্রহণযোগ্য বলে গণ্য করা যেতে পারে। আর একজন প্রার্থীকে বিজয়ী হিসেবে গণ্য করা যাবে তখনই, যখন তিনি মোট প্রদত্ত ভোটের ন্যূনতম ৪০% ভোট পাবেন এবং একই সাথে সকল প্রার্থীদের মধ্যে সর্বাধিক ভোট পাবেন।
"দুর্নীতি বা কারচুপির কোনো উর্ধ্বসীমা নাই" - ছোট্ট এই বাক্যটি দিয়েই হাল আমলের চমৎকার একটি জীবন ঘনিষ্ঠ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই
পোস্টে অনেকগুলো ভালো মন্তব্য এসেছে, আপনার প্রতিমন্তব্যগুলোও চমৎকার হয়েছে। তবে সোহানী এর মন্তব্য এবং আপনার প্রতিমন্তব্যটি তার মধ্যে সর্বোত্তম হয়েছে বলে মনে করি।
গেঁয়ো ভূত এর প্রস্তাবটা আমার প্রস্তাবের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে। আমার প্রস্তাবটা না মেনে ওনারটা মেনে নিলেও আমার কোন আপত্তি থাকবে না। এতদ্বিষয়ে আইন প্রণয়ন করবে কে?
রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনকারী একটা জাতি ৫২ বছরেও তাদের জাতীয় নির্বাচন পদ্ধতিটা ঠিক করতে পারলো না, এটা পরবর্তী প্রজন্মসমূহের জন্য সীমাহীন হতাশা এবং আমাদের জন্য চরম লজ্জার একটি বিষয়।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,



হ্যা, আপনার বলা - "মোট প্রদত্ত ভোটের ন্যূনতম ৪০% ভোট পাবেন এবং একই সাথে সকল প্রার্থীদের মধ্যে সর্বাধিক ভোট পাবেন।" এমনটাও হতে পারে। য়দিও তা দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারদের মতামত প্রকাশিত হয়না যেখানে গনতন্ত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতার কথাই বলে। যেমন ৫০% ভোটারের উপস্থিতিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার তকমা দেয়া যায়না! সমান সমান বলা চলে মাত্র।
এই মহাবেকুবের "বেহুদা" প্রশ্নে আসলে এটাই জানতে চাওয়ার ছিলো যে , গণতন্ত্রের মূল কথা যেখানে শাসন সংক্রান্ত ব্যাপারে শাসিতের সম্মতি লাভ এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কার্য্যকর অংশগ্রহন, সেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সম্মতি না থাকিলে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কার্য্যকর অংশগ্রহন নাই হইলে তাহা জনগণের রায় বলিয়া মানিয়া নিতে কষ্টবোধ হয় কিনা। এবং গণতন্ত্রের স্বরূপ লইয়া প্রশ্নটাও জাগিয়া ওঠে কিনা।

এটা একটা বেহুদা প্রশ্ন হলেও মনে হয়, বেশ বেহুদা একটা প্যাঁচাল লাগিয়ে দিয়েছি উত্তরটা আসলে কি হওয়া উচিৎ তা নিয়ে।
বুঝতে পারছি, গণতন্ত্রের চেহারার সৌন্দর্য্য শুধু তত্ত্বের আয়নাতেই দেখতে সুন্দর কিন্তু বাস্তবে তার চেহারা গুটিবসন্তের দাগে ভরা!

রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনকারী একটা জাতি ৫২ বছরেও তাদের জাতীয় নির্বাচন পদ্ধতিটা ঠিক করতে পারলো না, এটা পরবর্তী প্রজন্মসমূহের জন্য সীমাহীন হতাশা এবং আমাদের জন্য চরম লজ্জার একটি বিষয়।
নতুন আর একটি লজ্জার ইতিহাস রচিত হতে যাচ্ছে মনে হয়!
এই ইতিহাস থেকে আমাদের পরিত্রানের কোনও উপায় নেই, যতোদিন পর্য্যন্ত না সামন্তবাদী-জমিদারী মনোভাব নিয়ে দেশটাকে পৈত্রিক সম্পত্তি ভাবা থেকে আমরা বিরত হবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.