নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গান ওয়ালা

এক জন অতি মাত্রার অলস মানুষ

গান ওয়ালা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শৈশব,একজন বৃহন্নলা এবং বর্তমান

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৪৬



আমার শৈশব কৈশোর পুরাটাই কাটসে রংপুরে। আমার সময় থেকেই ক্রিকেট খেলাটা জনপ্রিয় ছিল। সবার সাথে আমি খেলতাম, কিন্তু খুব যে ভাল খেলতাম, তা বলা যাবে না। তাই বেশিরভাগ সময় আমার জায়গা হোত বাউন্ড্রির কাছে।
আমাদের ওখানে সোহেল নামে এক বড় ভাই ছিল। সেও খারাপ খেলত, তা বলব না, মোটামুটি পর্যায়ের ছিল। কিন্তু ভাইটার সাথে সবাই খুব বাজে ব্যাবহার করত, মানে যারা ওখানে খেলত আর কি। তার প্রধান কারন ছিল, ওনার স্বভাব মেয়েলি বলে।
সোহেল ভাই আমাকে খুব স্নেহ করত। এক দিন শুনলাম ওনাকে নাকি বাসা থেকে বের করে দিসে। এর প্রায় ৫-৬ মাস পর আবার ভাইকে খেলার মাঠের আশে পাশে দেখি। কিন্তু ভাই শাড়ি পড়ে আসত। অই বয়েসে হিজরা কি জিনিস তা বুঝতাম না, কিন্তু সবাই তাকে পাস কাটায় চলত। না হয় ওনার সাথে খুব বাজে ব্যাবহার করত। আস্তে আস্তে ওই ভাই ও সবার সাথে খারাপ আচরন শুরু করল। কি ধরনের খারাপ, তা বলে বোঝানো একটু কঠিন। তার পর ও, আমি ওটাকে খারাপ ই বলব। মাঝে মধ্যে খেলার মাঝে সে আমাদের টেনিস বল নিয়ে চলে যেত। কেউ আনতে গেলে, তার সাথে কি কি করত, বলা সম্ভব না। কিন্তু আমি যখন ই ওনার কাছে বল চাইতে যাইতাম, আমার সাথে কোন ধরনের খারাপ আচরন করত না। এবং বিনা বাক্য ব্যায় করেই দিয়ে দিত। আমার সাথে যখন কথা বলত তখন সাভাবিক ছেলে কণ্ঠেই বলত, বাকিদের সাথে মেয়েলি আচরন করত। তখন যেটা মনে হতো, যারা তার সাথে খারাপ আচরণ করে, উনি তাদের সাথেই এমন ব্যাবহার টা করেন, যারা তার সাথে ভাল আচরণ করে, তাদের সাথে সেও ভালই আচরণ করে।
যখন থেকে হিজরা দের ব্যাপার টা বুঝলাম, তখন থেকে আমি সব হিজরার মধ্যে সোহেল ভাইকেই দেখতাম। আমি সব সময়ই চেস্টা করতাম, তাদের সাথে ভাল ব্যাবহার করা, সম্ভব হলে সাহায্য করা, যখন তারা হাত পাতত। আমার মনে আশে, ২০১৪-১৫ সালের দিকে একবার আমার বসের সাথে সিএনজি তে করে কোথাও যাচ্ছিলাম। এই সময় এক হিজরা এসে সাহায্য চাইলে, আমার বস ওরে খেদায় দেয়। পড়ে আমি নিজে ওকে ডাক দিয়ে টাকা দিয়েছিলাম।
গত বছরের কথা, মানে ২০১৭ সালের আমি, ঝুমা, ঝুমার এক বান্ধবি ও বন্ধু সহকারে আড্ডা দিতে গেসি হাতিরঝিলে। ভার্সিটি লাইফে এই জায়গায় অনেক আড্ডা দিলেও, পাস করার পর থেকে আর জাওয়া হতো না। আড্ডা সাধারনত ক্যাফেতেই দিতাম। সেদিন বাসা থেকে বের হবার সময় ভুলে মানিব্যাগে টাকা ঢুকাই নাই। তো,বের হয়ে দেখি মানিব্যাগ এ ১০০ টাকার মত আছে। জাই হোক, বসার কিছুক্ষনের মধ্যে এক হিজরা এসে হাজির। তাকে “সাহায্য” দিতে হবে। আমি খুব Politely বললাম, আজকে আমার কাছে টাকা নাই, থাকলে দিতাম। তার পর সে যেসব কথা বলা শুরু করল, তাতে মাথা ঠাণ্ডা রাখাটা কঠিন ছিল আমার জন্য। আমি যেই দাড়া হয়ে কথা বলতে গেলাম সেই সে আরও দুই ডিগ্রি বেশি বাজে ব্যাবহার শুরু করল এবং তাদের সর্দারনী কে ফোন করে ডেকে আনল, সম্ভবত তার নাম বৈশাখী ছিল। ৪-৫ জন হিজরা মিলে ওখানে আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় কথা বলা শুরু করল। ঝুমা আর অর বান্ধবি ওই অবস্থায় কান্না করে দিল। শেষ পর্যন্ত আমার মানিব্যাগের ওই ১০০ টাকা দিয়ে অখান থেকে চলে আসলাম। আশে পাশের লোক জন দাড়ায় তামাশা দেখল।
তার পর অনেক দিন বাইরে কোথাও বশি নাই, ক্যাফে ছাড়া। এক পর্যায়ে ওই ঘটনাকে একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে ভুলেও গিয়েছিলাম। গত সপ্তাহে ঝুমার থিসিস রিপোর্ট জমা দিসে, এই খুশিতে সে আমাকে মিষ্টি খাওয়াইতে চাইলে, আমি ওর সাথে স্টার এ গিয়া ফালুদা খাই। তার পর ২ জন হাটতে হাটতে ধানমন্ডি লেকের ধারে যাই। অইখানে দাড়ায় একটা সিগেরেট ধরানোর কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ২ জন হিজরা এসে হাজির, পুরাতন বায়না, সাহায্য দিতে হবে। হাতে খুচরা কিছু টাকা ছিল, ৫-৭ টাকা হবে হয়ত। ওরা চাওয়ার সাথে সাথেই কোন তর্ক ছাড়াই ওই গুলা তাদেরকে দিতে যেই গেলাম, তারা ওই টাকা নিবে না। কম হয়ে গেছে, ২০ টাকার নিচে হবে না। পুরাতন বাজে অভিজ্ঞতার জন্য সাথে আরও কিছু টাকা যোগ করে তাদের বিদায় করে, নিজেরাও ওখান থেকে বিদায় হলাম। তার পরও ওদের বলতে শুনলাম, এই বার আমাদেরকে ভালয় ভালয় ছেড়ে দিসে, আমাদের কপালে নাকি দুঃখ লেখা ছিল!!
আমি কখনই হিজরা বিদ্বেষী ছিলাম না। ওদেরকে মায়ার চোখেই দেখতাম। কিন্তু গত কিছু ঘটনার পর থেকে ওদের জন্য আমার মায়া কাটায় দিসে। ওদেরকে দেখলেই বিরক্ত লাগতেসে। সমস্যা টা যারই হোক, সমাধান টা অতি দ্রুত করা দরকার। এই সব সাধারন ঘটনা থেকে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে বেশি সময় হয়ত লাগবে না! আমার শৈশব কৈশোর পুরাটাই কাটসে রংপুরে। আমার সময় থেকেই ক্রিকেট খেলাটা জনপ্রিয় ছিল। সবার সাথে আমি খেলতাম, কিন্তু খুব যে ভাল খেলতাম, তা বলা যাবে না। তাই বেশিরভাগ সময় আমার জায়গা হোত বাউন্ড্রির কাছে।
আমাদের ওখানে সোহেল নামে এক বড় ভাই ছিল। সেও খারাপ খেলত, তা বলব না, মোটামুটি পর্যায়ের ছিল। কিন্তু ভাইটার সাথে সবাই খুব বাজে ব্যাবহার করত, মানে যারা ওখানে খেলত আর কি। তার প্রধান কারন ছিল, ওনার স্বভাব মেয়েলি বলে।
সোহেল ভাই আমাকে খুব স্নেহ করত। এক দিন শুনলাম ওনাকে নাকি বাসা থেকে বের করে দিসে। এর প্রায় ৫-৬ মাস পর আবার ভাইকে খেলার মাঠের আশে পাশে দেখি। কিন্তু ভাই শাড়ি পড়ে আসত। অই বয়েসে হিজরা কি জিনিস তা বুঝতাম না, কিন্তু সবাই তাকে পাস কাটায় চলত। না হয় ওনার সাথে খুব বাজে ব্যাবহার করত। আস্তে আস্তে ওই ভাই ও সবার সাথে খারাপ আচরন শুরু করল। কি ধরনের খারাপ, তা বলে বোঝানো একটু কঠিন। তার পর ও, আমি ওটাকে খারাপ ই বলব। মাঝে মধ্যে খেলার মাঝে সে আমাদের টেনিস বল নিয়ে চলে যেত। কেউ আনতে গেলে, তার সাথে কি কি করত, বলা সম্ভব না। কিন্তু আমি যখন ই ওনার কাছে বল চাইতে যাইতাম, আমার সাথে কোন ধরনের খারাপ আচরন করত না। এবং বিনা বাক্য ব্যায় করেই দিয়ে দিত। আমার সাথে যখন কথা বলত তখন সাভাবিক ছেলে কণ্ঠেই বলত, বাকিদের সাথে মেয়েলি আচরন করত। তখন যেটা মনে হতো, যারা তার সাথে খারাপ আচরণ করে, উনি তাদের সাথেই এমন ব্যাবহার টা করেন, যারা তার সাথে ভাল আচরণ করে, তাদের সাথে সেও ভালই আচরণ করে।
যখন থেকে হিজরা দের ব্যাপার টা বুঝলাম, তখন থেকে আমি সব হিজরার মধ্যে সোহেল ভাইকেই দেখতাম। আমি সব সময়ই চেস্টা করতাম, তাদের সাথে ভাল ব্যাবহার করা, সম্ভব হলে সাহায্য করা, যখন তারা হাত পাতত। আমার মনে আশে, ২০১৪-১৫ সালের দিকে একবার আমার বসের সাথে সিএনজি তে করে কোথাও যাচ্ছিলাম। এই সময় এক হিজরা এসে সাহায্য চাইলে, আমার বস ওরে খেদায় দেয়। পড়ে আমি নিজে ওকে ডাক দিয়ে টাকা দিয়েছিলাম।
গত বছরের কথা, মানে ২০১৭ সালের আমি, ঝুমা, ঝুমার এক বান্ধবি ও বন্ধু সহকারে আড্ডা দিতে গেসি হাতিরঝিলে। ভার্সিটি লাইফে এই জায়গায় অনেক আড্ডা দিলেও, পাস করার পর থেকে আর জাওয়া হতো না। আড্ডা সাধারনত ক্যাফেতেই দিতাম। সেদিন বাসা থেকে বের হবার সময় ভুলে মানিব্যাগে টাকা ঢুকাই নাই। তো,বের হয়ে দেখি মানিব্যাগ এ ১০০ টাকার মত আছে। জাই হোক, বসার কিছুক্ষনের মধ্যে এক হিজরা এসে হাজির। তাকে “সাহায্য” দিতে হবে। আমি খুব Politely বললাম, আজকে আমার কাছে টাকা নাই, থাকলে দিতাম। তার পর সে যেসব কথা বলা শুরু করল, তাতে মাথা ঠাণ্ডা রাখাটা কঠিন ছিল আমার জন্য। আমি যেই দাড়া হয়ে কথা বলতে গেলাম সেই সে আরও দুই ডিগ্রি বেশি বাজে ব্যাবহার শুরু করল এবং তাদের সর্দারনী কে ফোন করে ডেকে আনল, সম্ভবত তার নাম বৈশাখী ছিল। ৪-৫ জন হিজরা মিলে ওখানে আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় কথা বলা শুরু করল। ঝুমা আর অর বান্ধবি ওই অবস্থায় কান্না করে দিল। শেষ পর্যন্ত আমার মানিব্যাগের ওই ১০০ টাকা দিয়ে অখান থেকে চলে আসলাম। আশে পাশের লোক জন দাড়ায় তামাশা দেখল।
তার পর অনেক দিন বাইরে কোথাও বশি নাই, ক্যাফে ছাড়া। এক পর্যায়ে ওই ঘটনাকে একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে ভুলেও গিয়েছিলাম। গত সপ্তাহে ঝুমার থিসিস রিপোর্ট জমা দিসে, এই খুশিতে সে আমাকে মিষ্টি খাওয়াইতে চাইলে, আমি ওর সাথে স্টার এ গিয়া ফালুদা খাই। তার পর ২ জন হাটতে হাটতে ধানমন্ডি লেকের ধারে যাই। অইখানে দাড়ায় একটা সিগেরেট ধরানোর কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ২ জন হিজরা এসে হাজির, পুরাতন বায়না, সাহায্য দিতে হবে। হাতে খুচরা কিছু টাকা ছিল, ৫-৭ টাকা হবে হয়ত। ওরা চাওয়ার সাথে সাথেই কোন তর্ক ছাড়াই ওই গুলা তাদেরকে দিতে যেই গেলাম, তারা ওই টাকা নিবে না। কম হয়ে গেছে, ২০ টাকার নিচে হবে না। পুরাতন বাজে অভিজ্ঞতার জন্য সাথে আরও কিছু টাকা যোগ করে তাদের বিদায় করে, নিজেরাও ওখান থেকে বিদায় হলাম। তার পরও ওদের বলতে শুনলাম, এই বার আমাদেরকে ভালয় ভালয় ছেড়ে দিসে, আমাদের কপালে নাকি দুঃখ লেখা ছিল!!
আমি কখনই হিজরা বিদ্বেষী ছিলাম না। ওদেরকে মায়ার চোখেই দেখতাম। কিন্তু গত কিছু ঘটনার পর থেকে ওদের জন্য আমার মায়া কাটায় দিসে। ওদেরকে দেখলেই বিরক্ত লাগতেসে। সমস্যা টা যারই হোক, সমাধান টা অতি দ্রুত করা দরকার। এই সব সাধারন ঘটনা থেকে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে বেশি সময় হয়ত লাগবে না!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.