নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“ছোট ছোট মুখ জানে না ধরার দুখ, হেসে আসে তোমাদের দ্বারে। নবীণ নয়ন তুলি কৌতুকেতে দুলি দুলি চেয়ে চেয়ে দেখে চারিধারে\"_____ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গফুর রায়হান

গফুর রায়হান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"আমিত্ব"

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫২

গুলিস্তান পার্কের মুমূর্ষু কাকটা আমায় দেখে অবাক হয়ে ভাবছিলো, অবিকল তার মত দেখতে একটা প্রানী কিভাবে হাত পা গজিয়ে রাস্তায় হাটছে!!
আমি কিছু মনে করিনি। কারন, কাকটা আমার মত দেখতে হলেও, আমি কাকটার মত নই। আমি তেত্রিশ হাজার লাইনের মহাকাব্য লিখেছি। সে শুধু "কা! কা!" করে ডেকেছে। আমি ফরেস্ট অফ আর্ডেনে দীর্ঘ ১৩ দিন ১৩ রাত জেগে জেগে কবিতা লিখেছি। অথচ কাকটা সেখানে যাবার যোগ্যই হয়নি। যে যা ভাবে, তাকে তা ই ভাবতে দেয়া শ্রেয়। এতে করে একপক্ষ মানুষিক প্রশান্তি পায়, আর একপক্ষ ইতিহাসে নাম লেখায়।

স্টেডিয়াম মার্কেটের হিজড়া কল্যান সমিতির নিচে দাঁড়িয়ে ভাবছিলাম, এই সংস্থার পরিচালক হিজড়া কি না। হিসেব করে দেখলাম না হওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। তারপরও এই পরিচালকের পরিচয় একপ্রকার অথর্ব। সে না পারবে কখনো বুক ফুলিয়ে বলতে, না পারবে কখনো মুখ ফুটে জানাতে। অথচ আমি গতকাল রাতেও একগাদা এঞ্জেলকে সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছি, আমি পৃথিবিতে রাজত্ব করতে যাচ্ছি, অতয়েব তাদের সাথে যাচ্ছি না। তারা একরাশ হতাশা নিয়ে চলে গিয়েছিলো আকাশে। আমি ফিরেও তাকাইনি।

এইতো সেদিন। মিশরের এ্যালেক্সান্দ্রিয়ায় একগুচ্ছ কাঠগোলাপ নিয়ে গিয়েছিলাম ক্লিওপেট্রার সমাধিস্থলে। সমাধিফলকে খোদাই করে দিয়েছিলাম দুইলাইনের ভালোবাসা। তপ্ত রোদকে কোরাস সঙ্গী করে গেয়েছিলাম স্বরচিত মরমী গান। শত শতাব্দীর ঘুম ভেঙ্গে দিলাম শুধুমাত্র কয়েক মুহুর্তে। মুগ্ধ হয়ে আমি উপহার পেলাম তার বর্নীল আঁচলে লুকানো মিষ্টি কিছু শাসন। এর পরেও যারা আমাকে ধিক্কার দেবে, অকেজো ভাববে, তারাই পৃথিবীর অপচয়, তারাই মারাত্মক পর্যায়ের অন্ধ।

যারা এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে এসেছে, এবং যাদের কোন উদ্দেশ্য ছিলো, তারা কোন না কোন ক্ষেত্রে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। এদের ভিতর কেউ পরীক্ষার খাতায় লিখে সবার সামনে থেকেছে, আর কেউ পরীক্ষায় খারাপ করেও পরীক্ষার প্রশ্নের টপিক হয়েছে। অথচ আমি হচ্ছি তাদের সংমিশ্রন। পরীক্ষা ঠিকই দেই, আবার পরীক্ষায় পাশের চিন্তায় পরীক্ষায় খারাপও করি। হোক খারাপ, আমি দুই দলেই বিরাজ করি। তারা কোনভাবেই আমাকে উপেক্ষা করতে পারবে না। অথচ আমাকে নাকি চাকরীর জন্য বিসিএস এর মত কমেডি অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে হবে!!
৬০ ভাগ কোটা সিস্টেমের বিরুদ্ধে অনশন করতে হবে!!

কুয়াশার ধোঁয়াও ধোঁয়া, আবার সিগারেটের ধোঁয়াও ধোঁয়া। দুইটার রুপগত সিমিলারিটি এক হলেও, গুনগত ডিফারেন্স দুই মেরুর দুই বাসিন্দা। আমাকে যারা সিগারেটের ধোঁয়া মনে করে হৃদয়কে শান্তি দেয়, তারা হয়ত জানেনা আমি কিছুদিন আগেও কুয়াশা হয়ে পদ্মায় ঝড় তুলেছি। স্তব্দ রেখেছি ভাসমান জীবন। থামিয়ে রেখেছি শত শত ওয়াটার ভেসেল। পদ্মাজলে মিলিয়ে যাবার আগ পর্যন্ত তারাই আমাকে মুগ্ধ হয়ে দেখেছে। এদের কে বোঝাবে!! কে দেবে এদের নুন্যতম হিতাহিত জ্ঞান!!

ওকে!! যারা ভাবার তারা ভাবো।
আমি আমার পক্ষে আজীবন বাদশা থেকে যাবো।
শুধু দুই অমর অধ্যায় আমার থেকে মুল্যবান থেকে যাবে,
এক রবীন্দ্রনাথ এবং দুই জীবনানন্দ।
বাকী সব মুল্যবানরা আমার দলে।
ভ্রু কুঁচকানোরা ভেসে যাক নীল নদে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.