![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষের সুখ নির্ভর করে সুখের উপর। একটু সুখের গন্ধ পেলেই কেবল একজন নতুন সুখের লোভ করে। নয়ত সুখের প্রশ্নে মানুষ বরাবরই গণ্ডমূর্খ থাকত। সুখ জিনিসটা বলে কয়ে আসে না। ডেকে আনতে হয়। গোপন রাখতে হয়। কেবল পদধ্বনি শুনে আপনাকে বুঝতে হবে হ্যা, সুখ এসেছে।
সুখ জিনিসটা এবস্ট্রাক্ট হলেও, এর জীবন্ত একটা প্রভাব আছে আমাদের মাঝে। তিক্তবিরক্ত জীবন যখন কোহেকাফের উদ্যানে ঘুমিয়ে পড়ে, বুঝতে হবে সুখ ঐশ্বরিক দূত হয়ে আপনাকে দাওয়াত দিতে এসেছে। কল্পনা ভেঙ্গে যাবে, ঐশ্বরিক দূত বিদায় নেবে, কিন্তু সেই প্রভাবটা জীবন্ত হয়ে বেঁচে থাকবে। আবার মন্ত্রনা দেবে আপনাকে সেই দাওয়াতে যোগ দেবার জন্য। আপনি রাজপুত্রের বেশে কিছুক্ষনের জন্য সবার মধ্যমনি হয়ে যাবেন। আবার নিজেই নিজেকে ছুড়ে ফেলে দেবেন যুদ্ধের ময়দানে। ব্যাক্তিত্বের এহেন পরিবর্তন করাটা স্বাভাবিক হিসেবে মেনে নিতে হবে। আপনাকে রাজপুত্র আর সৈনিক হবার মত মনসিক শক্তিসম্পন্ন হতে হবে।
যতদিন না পর্যন্ত চিরস্থায়ী-ক্ষণস্থায়ী এর ভেতর পার্থক্য না বুঝবো, ততদিন রাজপুত্র আর সৈনিক এর এই ইন্টারচেঞ্জ আমাদের ভেতর আরও প্রকট আকার ধারন করবে। লাইফের মিস্ট্রি শুরু হয় জন্ম দিয়ে, শেষ হয় মৃত্যু দিয়ে। দুইটাই চিরস্থাই। মাঝখানের ক্ষণস্থায়ী জীবনটাই যত সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু। যতদিন না এই তিনটা বিষয়কে আমাদের বুদ্ধির সাথে না মেলাতে পারব, ততদিন পৃথিবীতে গরীবদের অসহায় নামে ডাকা হবে, ততদিন ধনীদের সুখের অভাবে ভুগতে হবে।
সুখের সাথে মানুষের দেহের সম্পর্ক কম, আবেগের সম্পর্ক বেশী। আবেগ দিয়ে সুখকে উপলব্ধি করতে হয়। তারপর সে সুখ মন হয়ে শরীরে পৌছায়। আবেগহীন প্রান সুখহীন চাতক পাখির মত। জীবন থাকে, জীবন শক্তি থাকে না। মুষলধারে বৃষ্টি থাকে, আবেশ থাকে না। আবার আবেগ মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে, সেই মুষলধারের বৃষ্টি বন্যায় পরিনত হয়।
প্রতিটা আবেগজাত চিন্তা একটা স্ট্রং মেসেজ বহন করে। যাদের জন্য কিছু সুখ বরাদ্দ করে দেয়া হয় তারা আবেগের ঝুলি নিয়ে দুনিয়ায় আসে, আবার যাদের জন্য কিছু দুঃখ পার্মানেন্ট করে দেয়া হয় তারা আবাগের বোঝা নিয়ে দুনিয়ায় আসে। এখন ঝুলি আর বোঝার ভেতরকার পার্থক্যটা বুঝতে হবে। বুঝলেই লাইফটা হালকা..... একদম হালকা।
©somewhere in net ltd.