নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুপুর বেলা, মাঘ মাসের এই দুপুর বেলাগুলি খুব আলসে। লাইব্রেরির মালিকের কি যেন হয়েছে, তাই শাটার নেমে গেছে দোকানের দুপুরবেলাতেই। ৬ তালার চিলেকোঠার ঘরটায় কেমন যেন আলসেমি মাখা, বাইরে রোদটাও মিস্টি। চমৎকার একটা দুপুর। হোটেল থেকে ডাল, ফুলকপি আর সীম দেয়া ভাজি, একটা ডিম ভাজি, আর ভাত নিয়ে এসেছে আজ হোসেন। ভারী একটা স্নান শেষে, খাবার খেয়ে, স্টোভ এ চা বসিয়ে দিয়েছে৷ ছোট্ট ঘরের জানালা দিয়ে পুরো মহল্লাটা দেখা যায়৷ এই দুপুরে সব গুলি ছাদ খা খা করছে অদ্ভুত শুন্যতায়। ভালই লাগছে৷ মন জুড়ানো এক কাপ চা খেয়ে জম্পেশ একটা ঘুমের আয়োজন করল হোসেন। এই ঘুম এই দুপুরের চাহিদা। এমন আলসেমির দুপুর কি সব সময় পাওয়া যায়?
লো ভোলটেজে ফ্যান ঘুরছে, দেখতে দেখতে তলিয়ে গেল হোসেন
দুপাশে সরিষার ক্ষেতের মাঝ খানে ঘাস মাখা রাস্তায় দিয়ে হেটে চলছে একজন চল্লিশোর্ধ্ব পুরুষ আরেকজন শৈশব এ প্রানবন্ত ছোট্ট ছেলে। ছেলেটা আগে আগে, একটু লাফিয়ে লাফিয়ে হাটছে, খুশিতে টগবগ৷ হাতে বাজার থেকে সদ্য কেনা নাটাই আর ঘুড়ী। লোকটি হাসতে হাসতে বলছে
-আস্তে যা বেটা, আস্তে যা
মাথা ঘুড়িয়ে ছেলেটা বলছে
- আব্বা তাড়াতাড়ি আসেন না একটু।।
সরিষার ক্ষেত পেড়িয়েই, কাচা রাস্তায় ওঠার মুখেই আরও কিছু বাচ্চাদের ভীড়৷ হাওয়াই মিঠাই ওয়ালা।
ছেলেটির চোখ এক আকুল আবদারে জলজল করে ওঠে, মেলা থেকে ঘুড়ী কিনেছে, হাওয়াই মিঠাই চাইলে আব্বা রাগ করবে না তো?
- আব্বা! হাওয়াই মিঠা কিনে দিবেন ?
- দিব বেটা, একটু আস্তে যা, পড়ে যাবি তো
কে শোনে আর, সম্মতি পেয়ে আনন্দে যেন নিজই ঘুড়ী হয়ে ঊড়ে গিয়ে পৌছাতে চাইল হাওয়াই মিঠাওয়ালার কাছে।
দৌড়াচ্ছে, ছোট্ট বুকে হাপর উঠে যাচ্ছে, ছোট্ট ফুসফুসে বাতাস কমে যাচ্ছে, কিন্তু দৌড়াচ্ছে। পা বেধে এক সময় আছড়ে পড়ল ছেলেটা৷ হাটু ছিলে গেছে, সারা গায়ে মাটি, ধূলা, শখের ঘুড়ি টা ছিড়ে একাকার। চোখ ফেটে, ব্যাথায় কান্না পাচ্ছে, কিন্তু বাবার সামনে কাদতে লজ্জায় দাত, মুখ চেপে ধরে আছে।
লোকটা কোথায়? কেউ হাত বাড়িয়ে আসছে না যে ? ওঠ বেটা বলে কেউ এগিয়েও আসছে না৷ সবাই উধাও হয়ে গেল কিভাবে? আশ্চর্য! হাওয়াই মিঠাই ওয়ালাটাও কোথায় গেল?
মাথা ব্যথা করছে হোসেনের। ঘুম ভেংগে গেছে৷ হঠাৎ ভেনেগে যাওয়ায় মাথাটা ধরেছে বেশ। আলসে দুপুর পেরিয়েছে সেই কখন, বিকেল ফুরোবার পথে। এমন একটা সপ্ন, হোসেন বহুকাল দ্যাখে না।
শেষ বিকেলে, হোসেন জানালা দিয়ে রাস্তায় তাকিয়ে থাকে৷ ঝিম ধরা মাথায়, সব কিছু হাওয়াই মিঠাই মনে হয়।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩
ঘুটুরি বলেছেন: ধন্যবাদ, চেস্টা করছি আরো ভালভাবে লিখবার
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কেমন যেন দীর্ঘশ্বাসযুক্ত লেখা
ভালো লেগেছে
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪
ঘুটুরি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, হ্যা কিছু দীর্ঘশ্বাস আছে, কিছু অভাব আছে।
৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন হাওয়ার মিঠাই ঘুড়ি একেবারে শৈশবে ফিরে গেলাম।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৯
ঘুটুরি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, চেষ্টা করছি আরো ভালভাবে লিখবার
৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সে পড়েই বুঝতে পেরেছি
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২০
ঘুটুরি বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৬
নিভৃতা বলেছেন: ভীষণ ভালো লিখেছেন। কষ্টমাখা ভালো লাগা।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২১
ঘুটুরি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ছোট্ট অথচ দারুণ একটা গল্প। মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিলো।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২২
ঘুটুরি বলেছেন: সত্যি বলছেন? খুব ভালো লাগছে এমন একটা মন্তব্য পেয়ে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার গল্পের হাত বেশ ভালো।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৩
ঘুটুরি বলেছেন: ধন্যবাদ। চেষ্টা করব ধরে রাখবার
৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৬
ইসিয়াক বলেছেন: খুব সুন্দর।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৩
ঘুটুরি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৩
চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: আপনার লেখার ধাঁচ সুন্দর, যা মনে আসে লিখতে থাকুন। এমনিতেই ভালো লেখা হয়ে যাবে
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৪
ঘুটুরি বলেছেন: অনুপ্রেরনা পেলাম আপনার মূল্যবান মন্তব্য থেকে। অনেক ধন্যবাদ
১০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কী চমৎকার মায়াভরা লেখা ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৬
ঘুটুরি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
১১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১২
দিকশূন্যপুরের অভিযাত্রী বলেছেন: ভাল লাগল।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৪
ঘুটুরি বলেছেন: ধন্যবাদ
১২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭
মিরোরডডল বলেছেন: হোসেনের জীবনে একটা নিঃসঙ্গতা না পাওয়া শূন্যতা আছে ।
‘আব্বা হাওয়াই মিঠাই কিনে দিবেন?
‘দিব বেটা , একটু আস্তে যা , পরে যাবি তো
বাবা ছেলের কথোপকথন যতটাই ভালো লাগা ঠিক ততটাই কষ্ট ।
এখানেও বাবাকে না পাওয়ার একটা অনুভূতি থেকে এই স্বপ্ন । কেমন যেন হারিয়ে খুঁজি এরকম একটা কিছু ।
আপনার লেখাগুলো পড়লে মনে হয় পরিচিত কেউ একজন
ভালো থাকবেন ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৫৯
ঘুটুরি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার বিশ্লেষনগুলি একদম টু দ্যা পয়েন্টে হিট করেছে। আপনি লেখাটি পড়েছেন, ভেবেছেন এবং মন্তব্যে জানিয়েছেন, এটা অনেক বড় সম্মান। জানিনা তবে মনে হয় কিছু কিছু অপূর্নতাই হয়ত পূর্নতা।
যদি পরিচিত মধ্য পড়ে যাই তবে সে এক দারুন ব্যাপার হবে কি বলেন? ভালো থাকবেন
১৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৩
মিরোরডডল বলেছেন: সুন্দর বলেছেন “কিছু অপূর্ণতাই হয়তো পূর্ণতা”
মোটেও দারুন ব্যাপার হবে না । চেনা জগত থেকে অচেনাতে হারাতে কিছুক্ষণের জন্য এখানে আসি ।
এটা অন্যরকম একটা অনুভূতি । আমার আপন ভুবনে আমি । নো ওয়ান নোজ ।
আমার পরিচিত কয়েকজন আছে এখানে যারা জানেনা আমি আছি । এটা মজার :- )
অনলি ওয়ান নোজ ইটস মী কিন্তু সেই একজন...
কিছুনা , থাক ।
আপনার নতুন লেখার অপেক্ষায় । নতুন কোন রহস্যময় লেখা ।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২৮
ঘুটুরি বলেছেন: আমার অজ্ঞতাকে ক্ষমা করবেন, দুঃখিত আপনার মন্তব্যের প্রতিউত্তর দিতে অনেক দেরী হয়ে যাওয়ায়। একাকীত্তের স্বাদ একবার পেয়ে বসলে কোলাহল তখন বিরক্তিকর মনে হয়। তবে একাকীত্ত উপভোগ করলে এক ব্যাপার, যদি উপভোগ্য না হয় তবে সীমিত সঙ্গ থাকা যেতে পারে। সীমাবদ্ধতাই আমাদের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা।
১৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫০
মিরোরডডল বলেছেন: There’s nothing to be sorry. All good.
‘সীমাবদ্ধতাই আমাদের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা’
কথাটা সত্যি । ভালো থাকবেন ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর লেখনী।