নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই যখন নীরব, আমি একা চীৎকার করি \n-আমি অন্ধের দেশে চশমা বিক্রি করি।

গিয়াস উদ্দিন লিটন

এত বুড়ো কোনোকালে হব নাকো আমি, হাসি-তামাশারে যবে কব ছ্যাব্‌লামি। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গিয়াস উদ্দিন লিটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাবলীগ ওয়ালার খপ্পরে !! :P

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২



এলাকায় আমরা যারা শিক্ষিত সমাজ বলে পরিচিত ছিলাম তাঁরা ছিলাম সংখ্যায় ৬/৭ জন। যে দেশে নাম দস্তখত করতে পারলেই শিক্ষিত বিবেচনা করা হয় সেদেশে ইন্টার পরীক্ষা দিয়ে রেজাল্টের অপেক্ষায় থাকা তরুণরাতো রীতিমত শিক্ষিতের বাপ! বিকাল বেলায় আমরা মোল্লার চা দোকানে বসে আড্ডা দিতাম। দোকানের পিছনে একটা ক্যারামবোর্ডে ছিল এখানে জুনিয়ররা প্রায় সারাক্ষণই খুটখাট শব্দ তুলত।

একদিন তাহের কাকাকে দোকানে ঢুকতে দেখে আরেকজন বলে উঠল- কাগা বাকশালী আইছে, এই পিচ্ছি কাগারে চা দে।
চায়ের প্রস্তাবে ‘বাকশালি’ কাগা দমবার পাত্র নন। তিনি বললেন- খালি বাকশালিদের দোষ, ভাঙ্গা সুটকেস থেকে কোকো জাহাজ, ডান্ডি ডাইং আর কোটি কোটি টাকা কেমনে বাহির হয় সেটা বুঝাই ক শালার বেটা।

মজার খুনসুটিতে যাকে শালার বেটা সম্বোধন করা হয়েছে সে কি একটা জবাব দিতে যাচ্ছে এমন সময় হুড়মুড় করে ৮/১০ জনের একটা দল দোকানে ঢুকে পড়ল। ড্রজন দেড়েক ক্রিমিনালকে একসাথে পেয়ে আগুন্তকদের চোখ খুশিতে চক চক করছে। পোশাক দেখে আমরা অনুমান করে ফেললাম এরা কারা? দেখলাম কোন প্রকার দেখাদেখি বা অনুমানে না গিয়ে ক্যারাম বোর্ডের দু;খেলোয়াড় পেছনের ভাঙ্গা বেড়া দিয়ে জানমারা দৌড় দিয়েছে। ধরা খেয়ে গেছি এমন একটা ভাব আর চেহারায় আতংকের ছাপ নিয়ে আমরা সকলে উঠে দাঁড়ালাম।

পাঠক অনুমান করে ফেলেছেন যে, আমরা রেপিড একশন ব্যাটিলিয়ান তথা র্যা বের পাল্লায় পড়েছিলাম। অনুমান ভুল। আমরা তাবলীগ ওয়ালার খপ্পরে পড়েছিলাম।

লাদেনের মত দাড়িওয়ালাজন দলের আমির। ইনি সকলের সাথে মোসাফাহা করলেন।মোসাফাহা করার জন্য আমার হাতটা ধরার পরে কোন এক বিচিত্র কারনে তিনি আমার হাত ছাড়ার কথা ভুলে গেলেন! দুনিয়া আখেরাত,কবর আজাব আর তাবলীগের পথই যে দ্বীনের সঠিক পথ এই নিয়ে ঝাড়া বিশ মিনিট বক্তৃতা দিলেন।

সব শেষে ‘বাদ মাগরেব মসজিদে ঈমান ও আমলের আলোচনা হবে, আমরা সবাই হাজির হই বহুত ফায়দা হবে।‘’ বলে তিনি আমাদের মসজিদে আহবান করলেন। দলের ৩/৪ জন কাপড় ঠিক নাই বলে কেটে পড়ল।
‘কাপড় ঠিক নাই’ বিষয়টা আমার মাথায় ঢুকেনি, এই নিয়ে বেশি না ভেবে কয়েকজন সহ আমি দলের পিছু নিলাম।

মাস দুয়েক আগের ঘটনা। সকালে গ্রামের একটা ছেলে পানিতে পড়ে মারা গেছে।বিকাল পর্যন্ত তার জানাজা হয়নি।হওয়ার কোন সম্ভাবনাও নাই। কারন ছেলেটার বাবা নামাজ পড়েনা। বেনামাজির ছেলেকে দাফন করে ইমাম আর সমাজ পতিরা দোজখের টিকেট কনফার্ম করতে চাচ্ছিলেন না। এমতাবস্থায় থানা থেকে পুলিশ গিয়ে ইমাম আর সমাজপতিদের দাবড়ানী দিয়ে লাশ দাফন করায়।
এসআই মানুষ, ডিউটি করতে গেছস, তোর কি ঠ্যাকা পড়ছে যে গনজাগরনী সংঘের লিটনেরে খোঁজ করতে হবে? গ্রামের মানুষ দুইয়ে দুইয়ে চার মিলাতে ওস্তাদ।বাপজান ছিলেন পাঁচ ওয়াক্ত জামাতের মুসল্লি,তাই অল্পের জন্য ‘মুরতাদ’ হওয়া থেকে রক্ষা পেলাম।(নাস্তিক ট্যাগ তখনো চালু হয়নি)

তবে মুরুব্বিয়ানে কেরাম আমার ‘মুরতাদ’ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে পুর্ন সজাগ ছিলেন। এই ক্ষনে আমার ঈমানী চেতনা জাগ্রত করার একটা মোক্ষম সুযোগ পেয়ে তারা বাপজানকে পরামর্শ দিয়ে আমাকে এই তাবলীগ জমাতের সাথীভাই করে দিলেন।
(বাকি কাহিনী অন্য কোন দিন)

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেষ থেকে উপরের দিকের ২য় প্যারাগ্রাফটা কেমন এতিম, উহার বাপ-মা কোথায়?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের মর্ম ধরতে পারছিনা গাজী সাহেব।

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: আপনে ব্লগার! ঠিকাচে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ঠিক আছে, তবে লো রেঞ্জ। :D

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: স্কুল লাইফে এরকম অনেক দাওয়াত পেয়েছি, যেতেও হয়েছে মসজিদ বা মাদ্রাসায় বয়ান শোনার জন্য। তবে, তাবলীগে যাওয়া হয় নি।

আপনি তাবলীগে গিয়েছিলেন? অভিজ্ঞতা শোনার অপেক্ষায় রইলাম।

মৃতের জানাজা ও দাফন না করানোটা আমার কাছে চরম নিষ্ঠুরতা ও অমানবিক মনে হয়। ছেলেটা বাচ্চা, ওর বাবার দোষ ওর ঘাড়ে? যাই হোক, এরকম কোনো ঘটনা দেখার সুযোগ থেকে আল্লাহ আমাকে রক্ষা করেছেন।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ''নিম হেকিম খাতরায়ে জান,
নিম মোল্লা খাতরায়ে ঈমান।'
কম জানা ডাক্তার জানের জন্য হুমকি,কম জানা মোল্লা ঈমানের জন্য হুমকি।
কম জানা মোল্লাদের কারনে আমাদের সমাজে অনেক অমানবিকতা আর নিষ্ঠুরতার প্রচলন রয়েছে।

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৫

খোলা মনের কথা বলেছেন: ‘কাপড় ঠিক নাই’ বিষয়টা আমার মাথায় ঢুকেনি কাপড় ঠিক নাই মানে পবিত্র নাই এমনটা মনে হলো।

যখন মাধ্যমিকে পড়ি তখন বিকালে আমাদের প্রাইমারী স্কুলে ক্রিকেট খেলতাম। যখনই দেখতাম দল বেধে তাবলীগের লোক আসতেছে তখনই সবাই খেলা বাদ দিয়ে দৌড়ে স্কুলের পিছনে চলে যেতাম। তার ভিতর রাস্তার পাশে ফিল্ডিং করা প্লেয়ার গুলো ধরা খেয়ে যেত। কিছু দিন আমিও ধরা খেয়েছি। তাদের ভয় যেন পুলিশের ভয়ের থেকে বেশি ছিল......

সর্বোপরি তারা ভাল কথা গুলোই বলতো। নিজের খেয়ে পকেটের টাকা খরচ করে নিজের সময় ব্যয় করে অন্যকে ভাল পরামর্শ দেওয়া, ভাল পথ দেখানো এটা খারাপ মনে হয়নি আমার কাছে।

তবে কিছু লোক আছে তাবলীগে যারা অর্নাগল কথা বলে মানুষকে বিরক্ত করে ফেলে এটার পক্ষে আমি না। মানুষের সময় অবস্থা ইত্যাদি বুঝা উচিৎ

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সর্বোপরি তারা ভাল কথা গুলোই বলতো। নিজের খেয়ে পকেটের টাকা খরচ করে নিজের সময় ব্যয় করে অন্যকে ভাল পরামর্শ দেওয়া, ভাল পথ দেখানো এটা খারাপ মনে হয়নি আমার কাছে। সঠিক বলেছেন।
আমিও এঁদের পছন্দ করি। একটা তথাকথিত ইস্লামী দলের লোক ছাড়া সকলেই এঁদের পছন্দ করে।

৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৯

খোলা মনের কথা বলেছেন: বাচ্চা ছেলেকে জানাজা যে সমস্ত হুজুরে করেনি তারা অন্যয় করেছে। তারা ইসলাম সম্পর্কে ভাল জানে না। বাবা কাফের মুশরিক হতে পারে তার জন্য ছেলের জানাজা হবে না কেন?? ঐ সমস্ত হুজুরদের মাইর পাওনা হয়ে গিয়েছিল....

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমাদের সমাজে ধর্মের নামে অনেক কু প্রথা প্রচলিত আছে। তবে এখন অবস্থার অনেক উন্নতি হচ্ছে।

৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২০

রাজীব নুর বলেছেন: হুজুররা লাইন ধরে এসে দাওয়াত দিতে আসে। এদের দেখলেই আমি পালিয়ে যাই। আর এদের খপ্পরে পড়ে গেলে বলি আমি হিন্দু। তখন আর আমার সাথে কথা বলে না। তারা ইসলামের দাওয়াত দিতে আসে। আমাকে সহযোগিতা করতে আসে না। তারা যদি বলতো আসেন আপনাকে চাকরী দিবো। অথবা বিদেশ ্ট্যুর এর ব্যবস্থা আছে। তাহলে এদের আমিই খুজে বের করতাম।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: লাইন ধরে যারা আসে এরা সবাই হুজুর নয়।
তাবলিগ- ইসলাম সম্পর্কে কিছুই যারা জানেনা তাদের অনেক উপকারে আসে ।
এদের খপ্পরে পড়ে গেলে বলি আমি হিন্দু। হাসতেই আছি----

৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৩

কলাবাগান১ বলেছেন: ব্লগার দের কমেন্ট নাকি ব্লগারদের ব্যাকগ্রাউন্ড চেনায়.....আরো ৬ মাস কেন চাকরী করতে হবে??? সরকারী মেডিক্যাল ভাতা নেওয়ার জন্য???

আপনি বুঝবেন না এই মন্তব্য....যাকে বলেছি সে বুঝবে

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: :D :D

৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৫

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: প্রথমেই বলে নেই- আপনার লেখার শেষ দু প্যারার হঠাৎ আগমন কেমন যেন খাপছাড়া মনে হচ্ছে।

তাবলিগ দুইটা দিক থেকে আমার পছন্দ না। একটা হলো- মসজিদে ঘুমায়। মসজিদে এতেকাফ ছাড়া ঘুমাতে হয়না। এটা তারা নিজেরা বৈধ করে নিয়েছে। দ্বিতীয়টি হলো- তাদের প্রতিষ্ঠাতার আকীদা। সৌদী ঘরানার ওহাবীবাদের কাছাকাছি মতদর্শী এরা।
একবার আমি এদের খপ্পরে পড়ে গেলাম। পালানোর উপায় না পেয়ে আমি তাদের সবক দিতে শুরু করলাম। জানলাম, সবাই কলেজ ভার্সিটির ছেলেপেলে। আমি বললাম, আপনারা কলেজ ইউনিভিার্সিটিতে পড়ে মাসরাসায় পড়ুয়া একজনকে আসছেন ধর্মের ওপর লেকচার দিতে। আপনারা কী জানেন, এটা ইসলামের প্রাথমিক যুগ না। তখন একটা আয়াত হলেও প্রচার করতে বলঅ হয়েছিলো। এখন তাফসির বলেন, আর হাদীস বলেন, আরেকজনকে বলতে গেলে শিক্ষকের কাছে ধর্মীয় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হয়। একটা লেভেল যাকে খেলাফত বলা হয়- সেই খেলাফতপ্রাপ্ত হয়ে কথা বলতে হয়। আপনার সেটা নেই। এর ফলে ইসলাম তো প্রচার করতে পারবেন না। পারবেন বিভ্রান্তি ছড়াতে। এদের জন্য আল্লাহর রসুল সতর্কতাও জারি করেছেন, বলেছেন, কেয়ামতে এদের জিহ্বা কাটা হবে। অন্য ধর্মে সাধারণ মানুষকে ধর্মগ্রন্থ পড়ার তা আলোচনার সুযোগ সীমীত রাখা হয়েছে। ইসলামে এটা অবারিত। এ শর্তে যে, পান্ডিত্য অর্ন না করতে পারলে, আয়াত নাজিলের প্রেক্ষাপট না বুঝলে, আরবী ভাষায় দক্ষতা না থাকলে, তাজবীদ বালাগাত না বুঝলে, জয়িফ মওজু হাদীস না বুঝলে ধর্মের কী বুঝবেন তারা। বাংলায় দুই একটা বই পড়ে সেই লেখকের চিন্তা ধারণ করে তারপর আবার লেকচার দিতে যান।
যাই হোক, আমার ওয়াজ শুনে এরা মাথা নিচু করে চলে যায়।
অন্যদিকে ধর্মের বাইরে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য তাবলিগকে ভালোই মনে হয়। বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া যায়। অনেকেরে সাথে মেশা যায়। চল্লিশ দিন একটানা নামাজ রোজা করলে একটা ভালো মেডিটেশনের জায়গা। সব মিলিয়ে তাবলিগের ভালো দিকও আছে। তবে তাদের দাওয়াত দেয়ার পন্থাটা বিরক্তিকর। মানুষকে বিরক্ত করা ঠিক না।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কিছু কিছু কম জানা তাবলিগওয়ালা ওন্যের বিরক্তির কারন হয়।
যেসব বয়স্ক মানুষ সুরা কেরাত, মাসলা, মাসায়েল জানেনা তাদের জন্য উৎকৃষ্ট শিক্ষালয় হচ্ছে তাবলীগ ।

৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০২

সরকার আলী বলেছেন: কাপড় ঠিক নাই কথার অর্থ-

দামি দামি পোষাক পরিধান করে কি আর লাভ,
নামাজের জন্য ডাকলে বলো- পোষাক নাপাক।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন সরকার আলী ।

১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লিটন ভাই আমি আপনার অদ্যকার লেখাটি
ইতিবাচক হিসেবে দেখছি না। এটা আমার
ব্যক্তিগত মত। আমি ধর্মের বিষয়ে সবসময়
পজেটিভ দেখতে চাই সবাইকে। কাউকে ধর্ম
নিয়ে অযথা বাক বিতন্ডায় জড়ানোর ক্ষেত্র
তৈরী করে দিতে নারাজ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভাই আদতে আমিও আপনার মত ধর্মভিরু মুসলমান।
আমার এই পোস্ট আপনার সুক্ষ ধর্মানুভুতিতে কোন জায়গায় আগাত করল বুঝতেছিনা নুরু ভাই।
যাক আপনার মতের প্রতি শ্রদ্ধা, আমার মতের প্রতিও আপনার অনুরুপ দৃস্টিভঙ্গি কাম্য।

১১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৫৯

সোহানী বলেছেন: আপনি কি মনে করেছেন শুধু দেশে এদের খপ্পোরে শুধু পড়ে!!!!!!! নেহি......... এখানে আরো জোরেশোরে চলে। এবং বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান সহ আরো অনেক দেশের সংঘবদ্ধ দল। ওদের ডেডিকেশান যদি দেখেন.....। আমি অবাক হই, কি পরিমান সেক্রিফাইস তারা করে ইসলামের জন্য।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আসলে দ্বীনের একনিষ্ঠ সেবক হচ্ছে এই তাবলীগ ওয়ালারা।
এরা নিজের অর্থ, শ্রম,সময় ব্যয় করে অন্যের পারলৌকিক মঙ্গলের জন্য কাজ করে।

১২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৫৮

সুপারডুপার বলেছেন: পশ্চিমা বিশ্বে তাবলীগি ভার্সন হচ্ছে ক্রিস্টানদের Jehovah's witnesses (লিংক: যিহোবার সাক্ষিরা) । হয়তো Jehovah's witnesses 'রা তাবলীগ ওয়ালাদের কাছে থেকে, অথবা তাবলীগ ওয়ালারা Jehovah's witnesses দের কাছে থেকে দাওয়াত দেওয়ার সিস্টেম কপি করেছে। দুটাই বেশ মজার।

যাই হোক, তাবলীগে গেলে এক পাতে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া ভালোই হয়, সাথে বিলিয়ন বিলিয়ন নেকী ও ইনকাম করা যায়। তাবলীগ ওয়ালাদের সব স্বার্থ ও আকর্ষন পরপারে /মাটির নিচের জগতের দিকে। ইহকালে /মাটির উপরের জগতে তাদের কোনো আকর্ষন নাই। আর তাই তাদের কোনো শত্রুও নাই।

বেহেশত পাওয়ার একটা সহজ উপায় হতে পারে : তাবলীগে জয়েন করা।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: 'দুনিয়া আখেরাতের শশ্যক্ষেত্র' এই যদি হয় তাহলে এদের কাজকে বেঠিক বলার সুযোগ নাই।

১৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বর্তমানে আমজনতার দ্বীনী সঠিক কিছু সহজে জানার মাধ্যম হচ্ছে তাবলীগ।

অনেকে না জেনে না বুঝে শুধুিই এর সমালোচনা করে।

ভাল কে ভাল বলতে না পারাও এক ধরনের হীনমন্যতা।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পোস্টটি লিখার সময় আমার চিরাচরিত রম্য স্টাইল থেকে বেরুতে পারিনি। আদতে আমি একজন তাবলীগ পছন্দ মানুষ, তাবলীগওয়ালাও বলতে পারেন।
কাছ থেকে দেখছি তাবলীগের কার্যক্রম ও এর লক্ষ্য উদ্দেশ্য। আমায় সবচেয়ে অভিভূত করেছে তাবলীগের সাথি ভাইদের আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের জান, মাল, সময় নিয়ে আল্লাহর পথে বের হওয়া, সুন্দর ও কোমল ব্যবহার, নিজে কষ্ট করে দ্বীনি ভাইয়ের উপকার করার মানসিকতা।

আমি এঁদের “ফাযায়েলে আমল”ফাযায়েলে সাদাকাত, মুন্তাখাব হাদীস, হায়াতুস সাহাবা ইত্যাদি গ্রন্থগুলি সম্পর্কে আমি জেনেছি। এসব গ্রন্থে মুলত ইসলামকে জানার ও মানার ব্যাপারে আগ্রহ সৃষ্টি করা হয়। আমার বেশ ভাল লেগেছে।

১৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: লাইন ধরে যারা আসে এরা সবাই হুজুর নয়।
তাবলিগ- ইসলাম সম্পর্কে কিছুই যারা জানেনা তাদের অনেক উপকারে আসে ।
এদের খপ্পরে পড়ে গেলে বলি আমি হিন্দু। হাসতেই আছি----

হিন্দু বললে তারা আর ঘাটায় না। মুহুর্তের মধ্যে চলে যায়। তাদের কথা মতো আমি যদি ৪০ দিনের জন্য চলে যাই। আমার ঘর সংসার কে দেখবে?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: তাদের কথা মতো আমি যদি ৪০ দিনের জন্য চলে যাই। আমার ঘর সংসার কে দেখবে? এখানে তাবলীগের যুক্তি হচ্ছে- আল্লাহ না করুন যদি আপনি অসুস্থ হয়ে ৪০ দিন হাস্পাতালে পড়ে থাকেন তখন আপনার পরিবার দেখবে কে?
যাক, তাবলীগ বিধর্মিদের দাওয়াত দেয়না। আলেম ও যারা পুর্বে একবার তাবলীগে সময় লাগিয়েছে এঁদেরও দাওয়াত দেয়না। তবে এঁদের দোয়া চায়।

১৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১২

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমার নানা এবং কয়েকজন মামা কঠিনভাবে তাবলীগ করেন। অনেকবার দেখেছি ঈদের সময় মামা চিল্লাতে, মামি এবং ছেলেমেয়েরা এতিমের মত ঈদ করে.... বিষয়টা ভালো লাগেনি।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ইসলামে বৈরাগ্যের স্থান নেই।
সমাজ,পরিবার নিয়ে ধর্মিয় জীবনযাপনকে ইসলাম উৎসাহিত করে।

১৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৫

মা.হাসান বলেছেন: আপনি যেহেতু খপ্পর থেকে বাইর হইতে পারছেন, সদকা হিসাবে মেলায় দেখে হইলে কিছু মুড়ি-চানাচুর বিলাইয়া দিয়েন ;)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: না ভাইজান, বেরুই নি বলতে পারেন আমিও একজন তাবলীগ ওয়ালা।

১৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন ,




হা...হা...হা... র‍্যাবের চেয়েও মারাত্মক খপ্পর।
চ্যাংড়া বয়সে এমন খপ্পরে যখন পড়তুম তখন সাহস ছিলোনা বলে মুখস্ত বিদ্যার মতো বলতুম - "হ্ হুজুর যামু"। এতে ছুটকারা পেয়ে আবার মনে মনে " আল্লায় বাচাইছে" বলে আল্লাহতায়ালার শোকরগোজারীও করতুম।
এর পাশাপাশি আর যেটা মনে হতো সেটা এই - " ইসলাম শিকাইবেন ? আম্নেহগো চাইয়া ইসলাম যে কম জানি হেডা আম্নেহগো কইছে কেডা ? " :P
এই ডায়লগটা সাবালক হওয়ার পরে একবার তাবলীগের দাওয়াত দিতে আসা একটা দলকে দিয়েছিলুম। ওনারা এমন অবাক চোখে আমার দিকে তাকালেন যে বুঝলুম, আমার দোজখ কনফার্ম................ :(

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভাল লোকের পাশাপাশি এমন লোকেরাও তাবলীগের কাজে অংশ নেয় যাদের এখনও আত্ম-সংশোধন হয়নি । এরুপ জনেরা নিজেদের নাজাতপ্রাপ্ত ও অন্যদের ইমান বেকার, অপূর্ণ বা ত্রটিযুক্ত মনে করে। এরাই কারো দোজখের টিকেট,কারো বেহেস্তের টিকেট কনফার্ম করে।

১৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: তাবলীগে নাকি খাওয়ার শর্ট পড়েনা কখনো।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শর্ট পড়লেও এরা বলেনা খাবার কম হয়েছে, যা রান্না হয় তা মজা করে খায়।

১৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: নিজের খেয়ে যা করেছে তা কম কিসের!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সঠিক বলেছেন।

২০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: সংসদের সামনে চাচার বাসায় গিয়াছি ! তখন ১৯৯৬ সালের ব্যাফক হরতাল , ভাঙচুর চলিতেছে ! পোলাপাইন মাঠে খেলিতেছে ! হঠাৎ রব উঠিল --- মিলিটারি আসিতেছে , মিলিটারি আসিতেছে !! আমি শংকিত হইয়া তাকাইলাম ! পরিস্থিতি কি এতই খারাপ হইয়া গেলো !! মিলিটারি নামাইতে হইলো !!

চারিদিকে তাকাইয়া তবলীগ জামাতের একদল ধর্মপ্রান মুসলমান ছাড়া আর কাহাকেও দেখিলাম না ! হাসিয়া ফেলিলাম !

ইস্কুলে যখন উপরের ক্লাসে পড়ি একটা পাকিস্তানি জামাত মসজিদে আসিয়াছিল ! আব্দুর রহমান নামে একজন বালুচি ছিলেন জামাতে ! জিগার আঠার মতন আমার পিছে লাগিয়াছিলেন ! শেষে বিরক্ত হইয়া উল্টাসিধা বলিয়াছিলাম !

এখন ভাবি আল্লাহ কতবড় এহসান করিয়াছিলেন ! এই মোবারক মেহনতের কোন তুলনা হইতে পারে না ! মুসলমানের জন্য বিরাট রহমত ! যাহারা সমালোচনা করিতেছেন তাহাদের প্রতি ওলামায়ে কেরামের ভাষায় বলিতে পারি----নাবালেগ কখনও বালেগ হওয়া কি জিনিস তাহা বুঝিতে পারে না !!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমাদের এখানেও একবার তুর্কির একদল এসেছিল। স্থানীয় কওমি মাদ্রাসার এক শিক্ষক উনাদের দোভাষী হিসেবে কাজ করেছিলেন।

২১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: নিজের সংসারের খবর না রেখে অন্যের মোষ তাড়াতে ব্যস্ত তারা। আমাদের মসজিদে এক ঈদের দিনে উনারা অবস্থান করছিলেন। আমার বড় ছেলেটা আবার মেট্রিক পরিক্ষার পর চিল্লাচিল্লি কইরা আইছিল, তো ছেলেকে পটায়ে ইদের দিন এক বেলা খাবারের ছওয়াব আদায় করে নিল। ওর মায়ের ঈদটাই মাটি করেছে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এরা সাধারনত কারো আতিথেয়তা গ্রহন করেনা, এক্সেপ্ট ''সাথি ভাই''। আপনার ছেলে এঁদের সাথি ভাই সেই হিসাবে হয়তো খেয়েছে।

২২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কিন্ত আমার কথা হল, ঈদের দিন ওরা বাহিরে কেন ?ওদের আত্মীয়-স্বজন ছেলে মেয়ে কি নাই? থাকলে ওদের সাথে নিয়ে ঈদ করাটা কি জরুরী না?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ওদের আত্মীয়-স্বজন ছেলে মেয়ে কি নাই? থাকলে ওদের সাথে নিয়ে ঈদ করাটা কি জরুরী না? জরুরি।
কিন্তু তারা হয়তো এর চেয়েও জরুরি মনে করছেন মসজিদে থাকাকে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.