নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই যখন নীরব, আমি একা চীৎকার করি \n-আমি অন্ধের দেশে চশমা বিক্রি করি।

গিয়াস উদ্দিন লিটন

এত বুড়ো কোনোকালে হব নাকো আমি, হাসি-তামাশারে যবে কব ছ্যাব্‌লামি। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গিয়াস উদ্দিন লিটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেভাবে হত্যা করা হয় প্রেসিডেন্ট জিয়াকে-

৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

১/


রাতের শেষ প্রহরে তিনটি সামরিক পিকআপ জিপ এসে দাঁড়ালো চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের গেটের সামনের রাস্তায়। একটি পিকআপ থেকে একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেলের কাঁধে র রকেট লঞ্চার থেকে ছুটে গেল একটি রকেট। ঘুমন্ত রাস্ট্রপতির কক্ষ তাক করে ছোড়া রকেটটি লক্ষভ্রস্ট হয়ে সার্কিট হাউজের ছাদের একাংশ উড়িয়ে নিয়ে গেল ।

তারপর আরেক মেজরের কাঁধে থাকা রকেট লঞ্চার থেকে আরেকটি রকেট ছুটে গিয়ে আঘাত হানল বাংলোতে ঢুকার দরজার ঠিক উপরে। আক্রমণকারীরা রাস্তা থেকেই আকাশে বাতাসে সাব মেশিন গানের গুলি ছুড়তে ছুড়তে সার্কিট হাউসের প্রধান প্রবেশ পথের দিকে এগিয়ে যায়, দৃশ্যত সার্কিট হাউসের প্রহরায় নিয়োজিত পুলিশ ও প্রেসিডেন্টস গার্ডস রেজিমেন্টের সদস্যদের ভয় দেখিয়ে নিষ্ক্রিয় করার উদ্দেশ্যে।

ঝড় বৃষ্টির পরে প্রহরীদের অধিকাংশই ঘুমিয়ে পড়েছিল। গুলির শব্দে ঘুম ছুটে গেলে তারা এলোমেলো গুলি চালাতে আরম্ভ করে, কিন্তু তা বেশিক্ষন অব্যাহত রাখতে পারেনা। প্রতিপক্ষের প্রবল আক্রমনের মুখে প্রধান প্রবেশ পথের পুলিশ প্রহরিরা অচিরেই অস্ত্র ফেলে দিয়ে উবু হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ে। কিংবা বুকে হামা দিয়ে সরীসৃপের মত এদিক সেদিক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন পালটা গুলি আসতে শুরু করে সার্কিট হাউসের বাংলোয় ঢুকার দরজায় প্রহরারত প্রেসিডেন্টস গার্ড রেজিমেন্টের সদস্যদের স্বয়ংকৃয় চীনা রাইফেল থেকে। আক্রমণকারীরা সেদিকে লক্ষ্য করে এক পশলা বুলেট বৃষ্টি ঝরালে পালটা গুলি আসা বন্ধ হয়ে যায়।

সামরিক যুবকেরা আকাশে বাতাসে গুলি বৃষ্টি ঝরাতে ঝরাতে পিকআপ ভ্যান শুদ্ধ ঢুকে পড়ে সার্কিট হাউসের লনের ভিতরে। দরজার সামনে এসে তারা দুপদাপ জিপ থেকে লাফিয়ে নামে; ডানে বামে সাব মেশিন গানের নল ঘুরিয়ে আবার ফাঁকা গুলি চালিয়ে বাংলোতে প্রবেশের মুল দরজার সামনের বারান্দায় উঠে পড়ে; সেখনে রক্তে ডোবা মেঝেতে গুলিবিদ্ধ দুই প্রহরীর দেহ লাফ মেরে ডিঙিয়ে যায়, এবং আকাশমুখি গুলি করতে করতে “কে কোথায় আছ হাতিয়ার ফেলে শুয়ে পড়” বলে চিৎকার করতে করতে ঢুকে পড়ে সার্কিট হাউসের মুল বাংলোর ভিতরে।

কিন্তু সিড়ির গোড়ায় দাঁড়ানো প্রেসিডেন্টস গার্ড রেজিমেন্টের সদস্যদের একজনের স্বয়ংকৃয় চীনা রাইফেল গর্জে ঊঠে, ফলে সঙ্গে সঙ্গে বিপরিত দিক থেকে এক ঝাক বুলেট ছুটে গিয়ে বিদ্ধ করে তাকে,এবং তার ছিন্ন ভিন্ন দেহটি সিঁড়ির পাশের দেয়ালে আছাড় খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার আগেই তার হাতের স্বয়ংকৃয় রাইফেল স্বশব্দে পড়ে যায় কাঠের মেঝেতে। গার্ড রেজিমেন্টের অন্য সৈন্যরা এদিক সেদিক পালিয়ে প্রান রক্ষা করে। আক্রমণকারী যুবকদের কয়েকজন অস্ত্র উঁচিয়ে নিচ তলার করিডোরের এ মাথা থেকে ও মাথা দাপিয়ে বেড়ায়। কয়েকজন চিৎকার করতে করতে একেক লাফে সিঁড়ির তিনটি করে ধাপ ডিঙিয়ে উঠে যেতে থাকে দোতলায়।

দোতলার করিডোরে কেউ নেই। প্রেসিডেন্টস গার্ড রেজিমেন্টের সদস্যরা নিজেদের প্রাণ নিয়ে সরে গেছে রাস্ট্রপতির স্যুইটের দরজা থেকে। হঠাত করিডোরের শেষ মাথার একটি কক্ষের দরজা খুলে যায়।স্বয়ংকৃয় চীনা রাইফেল হাতে বেরিয়ে আসেন প্রেসিডেন্টস গার্ড রেজিমেন্টের তরুণ অফিসার ছয় ফুট দীর্ঘ ক্যাপ্টেন হাফিজ। সিঁড়ির মাঝামাঝি থেকে ছুটে যাওয়া বুলেটের আঘাতে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ার আগে সে গুলি চালায় সিঁড়ি লক্ষ্য করে। সিঁড়িতে কঁকিয়ে ঊঠে আক্রমণকারী দলের ক্যাপ্টেন জামিল। কাঁধে গুলি খেয়ে দেয়ালে পিঠ ঠেসে উপরের পাটির দাঁত দিয়ে নিচের ঠোঁট জোরে কামড়ে ধরে বসে পড়ে সে।
করিডোরের শেষ মাথায় ক্যাপ্টেন হাফিজের রাইফেল থেমে যায় এবং খসে পড়ে হাত থেকে, কাঠের মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে সে নিজের দেহ থেকে রক্ত নির্গমনের শব্দ শুনতে শুনতে শ্রুতির জগত অতিক্রম করে যায়।

আক্রমণকারী যুবকেরা এবার রাস্ট্রপতির কক্ষের সেগুন কাঠের ভারী দরজায় লাথি,ঘুশি ও কনুইয়ের ধাক্কা মারতে শুরু করে।

২/


চট্রগ্রামের মসজিদগুলির মাইক থেকে ফজরের আজান বেজে উঠার আগেই হঠাৎ রাস্ট্রপতির ঘুমন্ত দেহটি তড়াক করে স্বয়ংকৃয় ভাবে উঠে বসে।বিভ্রান্ত বড় বড় চোখে ঘাড় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিজের ডানে বামে তাকিয়ে তিনি ঠাওর করার চেষ্টা করেন, তিনি এখন কোথায়? কোথাও কিছু বিস্ফোরিত হল কিনা, পৃথিবীটা কেঁপে উঠল কিনা। কিন্তু পর মুহুর্তে প্রচন্ড আরেক বিস্ফোরণে তাঁর এ স্নায়বিক বৈকল্য কেটে যায়। তিনি ধরতে পারলেন শব্দটা গোলা বিস্ফোরণের এবং নিজেকে আবিস্কার করলেন চট্ট্রগ্রাম সার্কিট হাউসে। তাঁর টনক নড়ে। কারণ সামরিক গোয়েন্দারা তাঁকে চট্ট্রগ্রাম আসতে বারন করেছিল।

ঝট করে তাঁর মনে ভেসে উঠল ডিজিএফআই এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাব্বতজান চৌধুরীর উদ্বিগ্ন মুখচ্ছবি। কাল সকালে তিনি যখন চট্ট্রগ্রামে আসার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন, তখন মোহাব্বতজানের ফোন আসে- স্যার আপনার সাথে খুব জরুরি কথা ছিল।
- কি কথা বল।
- স্যার ওয়ান টু ওয়ান বলা দরকার,স্যার আমি কি এক্ষুনি আসতে পারি?
- আমিতো এয়ারপোর্টে যাচ্ছি।
- আপনি কি স্যার বাসা থেকে বের হয়ে গেছেন?
- না, এক্ষুনি বেরোব।
- তাহলে স্যার আমি আসি?
- আসো আসো, জলদি!

আসতে বললেন বটে, কিন্তু তাঁর জন্য রাষ্ট্রপতি অপেক্ষা করলেন না। চা শেষ না করেই উঠে কাপড় পরে নিলেন। তার পর বেরিয়ে পড়লেন।গাড়িতে উঠার মুহুর্তে মোহাব্বতজান চৌধুরী এসে হাজির। রাষ্ট্রপতি তাঁকে বল্লেন-‘তুমি আমার গাড়িতে উঠে বসো।এয়ারপোর্টে যেতে যেতেই শোনা যাবে কি এমন জরুরি কথা তোমার।‘

সেনানিবাসের মঈনুল রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে প্রেসিডেন্টের গাড়ী এয়ারপোর্টের দিকে এগিয়ে চলল। মোহাব্বতজান চৌধুরী রাস্ট্রপতিকে বললেন, ‘স্যার আজকের চিটাগাং ভিজিটটা কি ক্যান্সেল করা যায়না?’ তাঁর কন্ঠের আকুতি প্রেসিডেন্টের কাছে নাটুকেপনা মনে হয়। তিনি দেখে আসছেন বাড়তি সুনজর ও বদান্যতার লোভে প্রত্যেকটা লোক ভক্তি-ভালবাসার কী অভিনয়ইনা করে। বরাবরের মতই বিরক্ত হলেন তিনি। তাঁর জানা আছে সামরিক গোয়েন্দা প্রধান তাঁকে কি বলার জন্য এই সাত সকালে ছুটে এসেছেন। তাই মৃদু ভর্তসনার সুরে তাঁকে বল্লেন-‘ডোন্ট বি রিডিকুলাস। কি বলতে চাও পরিষ্কার করে বল।
- আমি স্যার এটাই বলতে চাইছি, প্লিজ ক্যান্সেল দা ভিজিট।‘
- হোয়াই?
- স্যার আমার লোকজন যতটা খবর পেয়েছে, চিটাগাং ক্যান্টনমেন্টের অবস্থা মোটেই স্বাভাবিক না। ভীষণ অস্বাভাবিক এবং সন্দেহজনক।কিছু একটা কন্সপিরেন্সি হচ্ছে,আমি স্যার নাইন্টি নাইন পার্সেন্ট নিশ্চিত।ফ্রিডম ফাইটার অফিসারদের মুভমেন্ট,কথাবার্তা সবকিছু স্যার ভীষণ সন্দেহ জনক মনে হচ্ছে।
- ইউ এন্ড ইয়োর পিপল অলরেডি টোল্ড অল দিজ স্টোরিজ মেনি টাইমস,নাউ টেল মি ইফ ইউ হ্যাভ এনি কংক্রিট ইন্টেলিজেন্স; হোয়াট দেট কন্সপিরেন্সি? হু ইজ প্লটিং হোয়াট?
গোয়েন্দা প্রধান ঢোক গিললেন। তাঁর কাছে ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সুনির্দিস্ট কোন গোয়েন্দা তথ্য নেই। তিনি কেবল সন্দেহের কথা বলতে এসেছেন, আর রাস্ট্রপতির জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে নিজের শংকা-উদ্বেগ জানাতে এসেছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর চোখে মুখে সেটাই দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু শঙ্কাতো নিছক শঙ্কা, কোন তথ্য নয়।
-স্যার ভিজিট ক্যান্সেল করা যদি একেবারেই সম্ভব না হয়,তাহলে স্যার ঠিক আছে। আই উইশ ইয়োর জার্নি বি সেফ। কিন্তু স্যার প্লিজ রাতে চিটাগাং থাকবেন না। মিটিং শেষ করে ঢাকায় ব্যাক করলেই স্যার ভাল হবে।
- তোমার আর কিছু বলার আছে?
- জি স্যার, ওখানে রাতে থাকাটা ঠিক হবেনা।
- আচ্ছা, আর কিছু?
- জি না স্যার, এটুকুই।
- পেছনে তোমার গাড়ি আছে না?
- জি স্যার আছে।
- আচ্ছা তুমি তাহলে এখানে এসো।

বিমান বন্দর পৌঁছানোর আগেই রাষ্ট্রপতি রাস্তার উপর গাড়ী থামাতে বললেন। মোহাব্বতজান চৌধুরী পেছনে থাকা নিজের গাড়িতে উঠে পড়লেন। প্রেসিডেন্টের গাড়ী বহর বিমান বন্দরের দিকে চলে গেল। গোয়েন্দা প্রধানের গাড়ি উল্টো ঘুরে ছুটে চলল তাঁর বাসভবনের দিকে।

এসব ভাবনা রাস্ট্রপতিকে কিংকর্তব্যবিমুঢ় করে দেয়। খাটের কিনারে তিনি থ হয়ে বসে থাকেন।
তখন তাঁর মাথার ভিতর কারা যেন চিৎকার শুরু করে, তারপর হঠাৎ শব্দ আসে মাথার বাইরে থেকে, দরজার দিক থেকে; তাঁর ঘাড় চট করে ঘুরে যায়, চোখ ছুটে যায় দরজার দিকে। দরজায় ধাক্কা পড়ছে; তিনি এগিয়ে জান দরজার দিকে--।



৩/


চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে প্রেসিডেন্ট জিয়ার স্যুইটের দরজা খুলে যায়। বিস্ময় ও প্রশ্ন ভরা চোখে বেরিয়ে আসেন সাদা ধবধবে পাঞ্জাবী পরিহিত রাস্ট্রপতি। যুবকেরা তাকে ঘিরে দাঁড়ায়, কেউ কিছু বলতে চায়,রাস্ট্রপতিও তাদের কিছু বলতে চান। ঠিক তখন “জিয়া কোথায়? জিয়া কোথায়?” চিৎকার করতে করতে সিঁড়ি ভেঙ্গে যেন উড়ে আসে এক যুবক; রাস্ট্রপতি কোন কথা উচ্চারণ করার আগেই গর্জে উঠে যুবকটির হাতের চায়নিজ এসএমজি; মাগজিনের আটাশটি বুলেট একসঙ্গে বেরিয়ে এসে ঝাঁঝরা করে দেয় রাস্ট্রপতির পেট,বুক ও মুখমণ্ডলের এক পাশ।

অন্য যুবকেরা চিৎকার করে উঠে “কি করলেন? কি করলেন?”

একঝাঁক বুলেটের আঘাতে রাস্ট্রপতির দেহটি দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়ে গেল কাঠের মেঝেতে। মুহুর্তেই নিথর হয়ে গেলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। চোখের পলকে তাঁর পরনের ধবধবে সাদা পাঞ্জাবী ভিজে উঠল টকটকে লাল রক্তে। তাঁর ছিন্ন ভিন্ন পেট,বুক,গলা ও মুখমণ্ডলের শিরা উপশিরা থেকে তিব্র বেগে রক্ত বেরিয়ে ফেনায়িত হতে থাকল।

সেনানিবাস থেকে আসা সশস্ত্র যুবকেরা এবার স্তম্ভিত ও বড় বড় চোখে পরস্পরের দিকে তাকায়।
“আপনারা এইটা কি করলেন?” বলে কেঁদে উঠে একজন।
সিঁড়িতে গোঙাতে গোঙাতে চেতনা হারাল গুলিবিদ্ধ ক্যাপ্টেন জামিল।তাকে কাঁধে তুলে নিল একজন। সিড়ি বেয়ে দুপদাপ নামতে শুরু করল সবাই।

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের দোতলার কাঠের করিডোরে রাস্ট্রপতির স্যুইটের দরজার কাছে রক্তে ভেজা কাঠের মেঝেতে নিথর পড়ে রইল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রাণহীন ছিন্নভিন্ন দেহ।

১৯৮১ সালের আজকের এই দিনে নিহত হন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান; মরহুমের জান্নাতবাস কামনা করছি।

(লকডাউন সময়ে মশিউল আলমের লিখা “দ্বিতীয় খুনের কাহিনী” বইটি পড়লাম।উপরের লেখাটি উক্ত বই থেকে সংগৃহীত ও সম্পাদিত। জিয়া ও মঞ্জুর হত্যা কি এক ঢিলে দুই পাখি শিকারের গল্প? প্রেসিডেন্ট জিয়া ও জেনারেল মঞ্জুর হত্যাকান্ডের ঘটনা নিয়ে গড়ে উঠেছে “দ্বিতীয় খুনের কাহিনী” বইটি। অনুসন্ধান ও গবেষণায় রুদ্ধদ্বার এ সত্য কাহিনী তুলে আনা হয়েছে ইতিহাসের অন্ধকার থেকে, এ কাহিনী গোয়েন্দা গল্পকেও হার মানায়।)

মন্তব্য ৯৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৯৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
উনি আজ বেঁচে থাকলে খারাপ হতো না।

৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: উনি ছিলেন একজন দুরদর্শী রাস্ট্রনায়ক ।

২| ৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


৩০০ মুক্তিযোদ্ধাকে সৈনিককে ফাঁসী দিয়ে হত্যাকারী এই অজগরকে হত্যা করা করার দরকার ছিলো অনেক আগেই; দু:খের বিষয়, মুক্তিযোদ্ধা অফিসারেরা কিছুতেই পেরে উঠছিলো না, ১৯তম প্রচেষ্টায় তাঁরা সফল হয়েছিলেন। ১৪ মুক্তিযোদ্ধা অফিসার নিজের প্রান দিয়ে বাকী মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদের রক্ষা করে গেছেন।

৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দুজন হত্যাকারী পালিয়ে গেছেন বলে শুনেছিলাম।
ছদ্মবেশ ধরেননি তো গাজী সাহেব ? :D

৩| ৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, "উনি আজ বেঁচে থাকলে খারাপ হতো না। "

-তা খারাপ হতো না, হয়তো, ১ জন মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকও বেঁচে থাকতো না, সবাইকে ফাঁসী দিতে পারতো এই বিযাক্ত বিশ্বাসঘাতক।

৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন:
আত্মগোপনের জন্য মার্কিন মুল্লুক ভাল জায়গা।
অন্তত আপনি বেঁচে যেতেন। B-)

৪| ৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, " উনি ছিলেন একজন দু"রদর্শী রাস্ট্রনায়ক । "

-আইয়ুব ও ইহাহিয়া খানের অভাব অনুভব করছেন?

৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গণশিক্ষা, সবুজ বিপ্লব, খাল কাটা এসব যে দুরদর্শি পদক্ষেপ ছিল তা অনেকের বন্ধক দেয়া মাথায় ঢুকবেনা।
হিজবুল বাহারে জিয়ার বক্তব্য কি ছিল আপনি জানেন?

৫| ৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " আত্মগোপনের জন্য মার্কিন মুল্লুক ভাল জায়গা। অন্তত আপনি বেঁচে যেতেন"

-আপনার ১৪ গোষ্ঠীর মাঝে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক ছিলো বলে মনে হচ্ছে না। ৩০০ জন মুক্তিযওদ্ধার ফাঁসী আপনার কাছে কম ছিলো?

নোয়াখালী ও ব্রাম্মণবাড়িয়া থেকে সর্বাধিক রাজাকার হয়েছিলো। আইয়ুব ও ইয়াহিয়ার বুটের লাথি যথষ্ট ছিলো না, জিয়ার বুটের লাথিরও দরকার ছিলো?

৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রেগে জাচ্ছেন কেন গাজী সাব।
মুক্তিযুদ্ধতো আপনি ইজারা নিয়েছিলেন, এজন্য আপনার ১৪ বা ২৮ গোস্টির বাইরে কেউ চান্স পায়নি।
আপনাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে আপনি তাঁকে চুমা দিতেন?

৬| ৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "হিজবুল বাহারে জিয়ার বক্তব্য কি ছিল আপনি জানেন? "

-হিজবুল বাহারে বক্তব্য ছিলো, "আমি আইয়ুবের সন্তান, তোমরা যারা আইয়ুব ও ইয়াহিয়ার সন্তান, তাদের বড় ভাই আমি"।

৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:০০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনি তখনো হিয়ারিং এইড ব্যবহার করতেন?
সময়ে ব্যাটারী না পাল্টালে ওটা শোনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করে ।

৭| ৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

বিজয় নিশান ৯০ বলেছেন: জিয়া তার সাঙ্গপাঙ্গদের হাতে খুন হন। জিয়া হত্যার সঠিক বিচার হয় নি । বিএনপি এই নিয়ে কখনো উদ্যোগ নেই নি ,। সামরিক আদালতে ১৩ জনকে বিচারের নামে হত্যা করে এরশাদের ক্যাঙ্গারু আদালত ।
জিয়ার শাসন নিয়ে অন্যদিন কথা বলা যাবে । তিনি যদি ১৫ই আগস্টের খুনিদের সাথে আপস না করে তাদের বিচারের আওতায় আনতেন তাহলে হয়তো এভাবে খুন হতেন না।
হিজবুল বাহার জিয়ার ভুল পদক্ষেপ ছিল। ছাত্রদের বিলাসী করে তুলেছিল এই ধরনের আয়োজন । জিয়া যেহেতু সামরিক শাসক ছিলেন তাই তিনি গোয়েন্দা সংস্থার উপর নির্ভর করতেন । তিনি জগা খিচুড়ি দল গঠন করেন। তাই তার দলের এই অবস্থা ।

৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:০২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমরা কেউ শত ভাগ শুদ্ধ নই।
জিয়ার শাসনামলের চুলচেরা বিশ্লেসন পোস্টের উদ্যেশ্য নয়।
দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিন বিজয় নিশান ৯০ ।

৮| ৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " রেগে জাচ্ছেন কেন গাজী সাব। মুক্তিযুদ্ধতো আপনি ইজারা নিয়েছিলেন, এজন্য আপনার ১৪ বা ২৮ গোস্টির বাইরে কেউ চান্স পায়নি। আপনাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে আপনি তাঁকে চুমা দিতেন? "

-মাথায় লজিক আছে, বাংগালীরা আইয়ুব খান ও ইয়াহিয়া খানের সামরিক ক্যু'র বিপক্ষে সংগ্রাম ও মুক্তুযুদ্ধ করার পর, ক্যু-করা জেনারেলকে কি কারণে দেশের ক্ষমতায় থাকতে দেবে?
আপনারা জাতির জন্য মুক্তিযুদ্ধ করা ৩০০ জনের ফাঁসীর চেয়ে ক্যু-করা জেনারেলকে ভালোবাসেন, আপনারা কোন ধরণের লোকজন?

৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:২৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধা হলেই তাঁর সব কাজ হালাল হয়ে যায়না।
আপনার ঘৃণার তেজস্কৃয়তার কাছে আমাদের ২/৪ কোটির ভালবাসা নস্যি।

৯| ৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:১১

বিজয় নিশান ৯০ বলেছেন: কেউ শতভাগ শুদ্ধ হবে , এটা আশা না করাই ভাল ।
তবে শাসকদের ভুল নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হবে, এটা আশা করা যায়

৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:২৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শাসকদের ভুল নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হবে, এটা আশা করা যায় সঠিক ।

১০| ৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:১৭

জাতির বোঝা বলেছেন:
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
উনি আজ বেঁচে থাকলে খারাপ হতো না।

তিনি আজ বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসি হয়ে যেত। তাছাড়া এতদিন ক্ষমতা টিকিয়ে ও রাখতে পারতেন না । কেননা ওই সময়েই আন্দোলন শুরু হয়ে গেছিল।

জিয়া বাংলাদেশের একটি বিষ বৃক্ষ।

৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: @ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

১১| ৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

বিচারবিহীন যে কোন হত্যাকান্ডই দুঃখজন।
তবে ইতিহাস কা্উকে ক্ষমা করেনা। কিন্তু
দুঃখ ক্বেউ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়না।
আল্লাহ তার সকল গোনাহ মাফ করে দিন।
আমিন

৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমিন।

১২| ৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩

বিজয় নিশান ৯০ বলেছেন: জিয়া হত্যা নিয়ে বেশ কিছু বই আছে । সেসব পরে দেখতে পারেন।।

৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দুয়েকটা নাম বলেন বিজয় নিশান ভাই , আমি সংগ্রহের চেষ্টা করব।
পিডিএফ লিঙ্ক হলে আরো ভাল হয়।

১৩| ৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনারা রাজনীতি না জানায়, বার্মার মিলিটারী কি করেছে (রোহিংগা), পাকী মিলিটারী কিভাবে বাংগালী হত্যা করেছে, মিশরের মিলিটারী কি করে দেশ দখল করে রেখেছে, এসব বুঝেন না।

৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার পোস্ট থেকে বুঝার চেষ্টা করছি। আপনি আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিষয়ে ভাল জ্ঞান রাখেন। এ কথা আগেও বলেছি।

রাজনীতি জানি কি, না জানি সেদিকে যাচ্ছিনা, এটুকু জানি জিয়া একজন দেশপ্রেমী শাসক ছিলেন।

১৪| ৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬

বিজয় নিশান ৯০ বলেছেন: আমি পিডিএফ সমর্থন করি না। তাই লিঙ্ক দিলাম না
এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য
বাংলাদেশ ঃ রক্তাক্ত অধ্যায়
জিয়া- মঞ্জুর হত্যাকাণ্ড তারপর
বাংলাদেশ ; রক্তের ঋণ
বঙ্গবন্ধু , জিয়া , মঞ্জুর হত্যাকাণ্ড জতুগৃহ

রকমারি লিঙ্ক দিলাম । আবার ভাইবেন না তাদের কেউ ।

৩০ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দ্বিতীয় আর চতুর্থ বই পড়েছি।
লিস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ জানবেন জনাব বিজয় নিশান ৯০ ।

১৫| ৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: জিয়াকে হত্যা না করলে, দেশের কি পরিমান উন্নতি হতো?

৩০ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এটা সত্য যে একজন দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাস্ট্র নায়ক দেশকে উন্নতির চুড়ায় নিয়ে যেতে পারেন।
ধন্যবাদ নিন রাজিব ভাই।

১৬| ৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একজন রাষ্ট্রপতির মৃত্যুর দিনে উনার বিদেহী আত্মা মাগফেরাত কামনা করছি।
অবশ্যই তিনি একজন ভাল রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
দারুন আবেগ মাখানো লেখনিতে মৃত্যুকালীন চিত্রপট দারুন ফুটে উঠেছে।

প্রতিটি ব্যাক্তিরই সফলতা ব্যার্থতা থাকে। কেউ এর উর্ধে নন।
কিন্তু কেবলই অন্ধ হয়ে কারো নামে নোংরামো করা্ও এক ধরনের ব্যার্থতার জ্বালা মনে হয়।

লেখক বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধা হলেই তাঁর সব কাজ হালাল হয়ে যায়না। আপনার ঘৃণার তেজস্কৃয়তার কাছে আমাদের ২/৪ কোটির ভালবাসা নস্যি।
সহমত ভায়া।

অবশ্য দুর্জনেরা বলে - বদ কাজের লোকেরা নাকি মালিক মরে গেলে তার নামে কুৎসা গেয়ে শান্তি পায়! ;)

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য।
অনেক ধন্যবাদ জানবে ভৃগু'দা।

১৭| ৩০ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, " রাজনীতি জানি কি, না জানি সেদিকে যাচ্ছিনা, এটুকু জানি জিয়া একজন দেশপ্রেমী শাসক ছিলেন। "

-ভালো কথা, ৩০০ জন মুক্তিযোদ্ধা সৈনিককে ফাঁসী দেয়া অবশ্যই দেশ প্রেমিকের কাজ; বার্মার জেনারেলরাও দেশ প্রেমিক, ১৩ লাখ রোহিংগা বাংলাদেশে।

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বলতে গেলে অনেক সত্য কথা এসে যায়।
সমস্যা হল অনেক সত্যে আপনাদের মাথা গরম হয়ে যায়।
তাই ক্যাচাল এড়াতে কোন পাল্টা প্রত্যুত্তরে যাচ্ছিনা।
ধন্যবাদ জানবেন গাজী সাহেব।

১৮| ৩০ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



@বিদ্রোহী ভৃগু,
আপনি বলেছেন, " লেখক বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধা হলেই তাঁর সব কাজ হালাল হয়ে যায়না। আপনার ঘৃণার তেজস্কৃয়তার কাছে আমাদের ২/৪ কোটির ভালবাসা নস্যি। সহমত ভায়া। "

-৩০০ জন মুক্তিযদ্ধার ফাঁসী আপনাকে অবশ্যই সুখী করেছে।

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।

১৯| ৩০ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উনি টাকার লোভ সামলাতে পারলেও ক্ষমতার লোভ সামলাতে পারেন নাই।

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর

২০| ৩০ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০

কল্পদ্রুম বলেছেন: সর্বোচ্চ ক্ষমতার মানুষরা একটা সময় ওভার কনফিডেন্সে ভোগেন।এটাই তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন কল্পদ্রুম

২১| ৩০ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৬

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: বড়দের কাছে শুনেছি ওনার নাড়িভূড়ি বেরিয়ে গেছিল। কুত্তার মত মরেছিল।
চাঁদগাজী সাহেবের তথ্য যদি সঠিক হয় (৩০০ মু্ক্তিযোদ্ধার ফাঁসি) তাহলে ভালোই হয়েছে।

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পাঠোত্তর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিন মীর আবুল আল হাসিব ।

২২| ৩০ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন:



@ চাঁদগাজী,
৩০০ মুক্তিযোদ্ধা ফাঁসি সংক্রান্ত তথ্য কোন বইতে পাব?? কোন আর্টিকেল এর লিঙ্ক থাকলে আশা করি দিবেন।

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: @ চাঁদগাজী

২৩| ৩০ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ যা লিখে তা কারো না কারো বিরুদ্ধে চলে যায়। আর এখান থেকেই ভুল বুঝাবুঝি তৈরি হয়। যা দুঃখজনক।

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনি একজন ভদ্রলোক, আমি ভদ্র লোকদের পছন্দ করি।

২৪| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ৯:১২

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনারা যে যাই বলেন না কেন আমার ধারনা গাজী সাহেবের ক্রাশ হচ্ছে খালেদা জিয়া। এই কারনেই এত রাগ জিয়ার উপড়। =p~ =p~ উনার রাগটা বেশ ব্যক্তিগত পর্যায়ের রাগ বলে মনে হচ্ছে। =p~

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ জানবেন ঢাবিয়ান ।

২৫| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ৯:১৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: salute

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ছবিটা আগে দেখিনি।

২৬| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৩৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: জিয়ায়র রহমান ও খালেদা জিয়ার বিএনপির মাঝে আকাশ জমিন পার্থক্য। তাই জিয়াউর রহমানকে পছন্দ করা মানেই তারেক, খালেদার লুটেরা বিএনপিকে সমর্থন করা নয়। এই দেশে সুশাষন বলতে জিয়ার আমলটাকেই বোঝায়। আপনি এই সময়ে স্বনামে জিয়াকে নিয়ে লেখার যে দুঃসাহস দেখালেন তাকে স্যলুট জানাই।

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: একটা বইএ পড়া কাহিনী নিজের মত করে লিখেছি, নিজের থেকে কিছু লিখিনি। এখানে সাহসের কিছু নেই ঢাবিয়ান।

২৭| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিশ্বের যেকোন দেশে যেকোনো রাষ্ট্রনায়ক কখনো 100% মানুষের জনপ্রিয়তা পান না। তাদের কট্টর সমালোচক যেমন থাকবেন তেমনি থাকবেন অসংখ্য গুণমুগ্ধ ভক্তকুল। সাধারণ মানুষের মতো এহেনো রাষ্ট্রনায়কদের বার্ধক্যজনিত কারণে চলে যাওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু একজন মানুষকে এভাবে মেরে ফেলাটা অবশ্যই কাপুরুষতা এবং বর্বরতার চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত। অপরাধীর বিচারের জন্য আইন আদালত আছে। কিন্তু রাতের অন্ধকারে বন্দুকের নলে কাউকে শেষ করে দেওয়াটা কোনো সুস্থ মানুষের যুক্তি হতে পারে না।

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পোস্টের সেরা মন্তব্য। অনেক ধন্যবাদ জানবেন পদাতিক চৌধুরি ।

২৮| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৪৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পোষ্ট পড়ে মনে হয় খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষন করা।পার্টি গেছে এখন কবরটা যাওয়ার অপেক্ষা।খালকাটা ফাটা এসব জিয়ার মাথা থেকেআসে নাই,এসছে আইয়ুবের মাথা থেকে।ষাটের দশকে(৬২তে আমি নাইনে পড়ি)আমাদে গ্রামের তিন দিকে খাল কাটা হয় এবং একটা নতুন রাস্তার জন্য মাটি ফেলা হয়।তখন যেমন দেখেছি আইয়ুব খানকে ঠিক তেমনি অনেকদিন পর উলশি যদুনাথ পুরের রাস্তায় দেখেছি জিয়াকে হাটতে।হাতের ডান্ডা ও হাঁটার ভঙ্গি হুবহু এক।

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিন।

২৯| ৩১ শে মে, ২০২০ রাত ১:২১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:

ছবি: দুই বন্ধু। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী।

গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই, আমি রাজনৈতিক যেকোনো ধরণের লেখা থেকে ইস্তফা নিয়েছি। তারপরও আজ বলতে বাধ্য হয়েছি রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গে এতোটুকু বলতেই হবে। আপনার লেখায় কিছুটা অসম্পূর্ণতা আছে। প্রেসিডেন্ট কাউতে তুমি করে বলতেন না। তিনি সবাইকে আপনি করে বলতেন।

সার্কিট হাউজে বীর উত্তম জিয়াউর রহমান নিরস্ত্র ছিলেন। জিয়াউর রহমানের কাছে যদি লোডেড কারবাইন থাকতো তাহলে সেদিন তথাকথিত বিদ্রোহী কাপুরুষের দলের লাশের বন্যা বইয়ে দিতেন, আর তার প্রিয় ব্যারেটা-৭৬ থাকলেও তিনি দশ দশ টা কাপুরুষকে কুকুরের মতো মেরে সার্কিট হা্উজের হাবে ফেলে দিতেন। কাপুরুষরা একজন বীরকে নিরস্ত্রভাবে হত্যা করেছে।

আরো বলছি তৎকালীন বাংলাদেশ সেনাবিহিনীর এমন কোনো অফিসার ছিলো না যে জিয়াউর রহমানের সাথে বক্সিং রিংয়ে লড়ার মতো দুঃসাহস করতে পারে, চোয়াল ভেঙ্গে দেয়ার মতো বক্সিং ক্ষমতা ছিলো তার। দুঃখজনক হচ্ছে কোনো কাপুরুষ সাহস করেনি জিয়াউর রহমানের সাথে সামনাসামনি লড়ার। কাপুরুষের দল নিরস্ত্র বীর উত্তম জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছে।

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন ঠাকুরমাহমুদ

৩০| ৩১ শে মে, ২০২০ রাত ২:০৯

সোহানাজোহা বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ স্যার, এই পোস্টে আপনার মন্তব্য খুবই প্রয়োজন ছিলো। আপনাকে ধন্যবাদ। সাথে অবস্যই অবস্যই ধন্যবাদ ব্লগার গিয়াস উদ্দিন লিটন সাহেবকে, তিনি এমন দিনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্য সম্বলিত একটি পোস্ট দিয়েছেন। ব্লগার গিয়াস উদ্দিন লিটন সাহেব এই পোস্ট দিয়ে আমাদের কৃতজ্ঞ করেছেন।

বীর উত্তম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমিন এন ধন্যবাদ সোহানাজোহা

৩১| ৩১ শে মে, ২০২০ রাত ২:৫১

প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন: আর্মি অফিসার জিয়া বাংলাদেশের রাস্ট্রপতি হয়েছিল কোন আইনে ??? কোন আইনে সামরিক কর্মকর্তা রাষ্ট্রপতি হয় ?? গাঁজা কোথা থেকে কিনেন ??

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার দোকান আছে নাকি ?

৩২| ৩১ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইয়াহিয়া গণহত্যা চালিয়ে ৩০ লাখ বাংগালীকে হত্যা করেছে; ওর সৈনিকেরা ও রাজাকারেরা মিলে ২ লাখ বাংগালী নারীকে নির্যাতন করেছে; আইয়ুব বাংগালীদেরকে বুটের নীচে ও বিহারীদের পায়ের নিচে রেখেছিলো; আজকেও কিছু মুরগী বাংগালী আইয়ুবের পুত্র রাইফেল জিয়া ও শিয়াল এরশাদেকে আমাদের সামনে বীর হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে; পিগমীর দল।

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ

৩৩| ৩১ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:৩৫

সুপারডুপার বলেছেন:



ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কাপুরুষের দল নিরস্ত্র বীর উত্তম জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছে।
---------------------------------------------------------------------------------------------

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ সুপারডুপার

৩৪| ৩১ শে মে, ২০২০ ভোর ৫:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এই হত্যার বিচার তার নিমক হারাম বৌ আর বাচ্চাগুলো কখনোই করলো না। এরকম অযোগ্য বৌ ও বাটপার পোলা যে তিনি রেখে যাবেন সেটা কি কখনো ভেবেছিলেন?

সামরিক সরকার কখনোই টেকে না। শেষের দিকে অর্থনীতি ধ্বসের প্রেক্ষপট শুরু হয়েছিলো। ধারনা করা যেতে পারে আর কয়েকবছর বেঁচে থাকলে সেও ক্ষমতায় পাকা বন্দোবস্ত করে জনগনের ঘৃনিত নেতার পরিনত হতো।

রক্তের নদী বেয়ে যার ক্ষমতায় আরোহন তার বিদায় এভাবেই হবে।

হোয়াট গোস এরাউন্ড কামস এরাউন্ড।

প্রতিটা রক্তের হিসাব দিতে হয়েছে নিজের জীবন দিয়ে। তার সম্তানরাও এর ঋন পরিশোধ করছে।

তবুও কি এদের লজ্জা হয় না যে নিজের পিতার বিচারটাও শুরু করেনি??

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ উদাসী স্বপ্ন

৩৫| ৩১ শে মে, ২০২০ ভোর ৬:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



মুক্তিযুদ্ধের বীর সিআইএ ও পাকীদের খপ্পরে পড়ে রাজাকারদের বীর হয়েছে।

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনি জিয়াকে মুক্তিযুদ্ধের বীর বলছেন?
আপনার মুরুব্বিরা অবশ্য তা বলেনা।

৩৬| ৩১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:২২

নীল আকাশ বলেছেন: এই দেশের শ্রেষ্ঠ বীর পুরুষের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ করছি।

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ নীল আকাশ

৩৭| ৩১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

নীল আকাশ বলেছেন: কিছু বেহায়াদের জন্য অনেক কিছুই লিখতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু বড় ভাই ঠাকুরমাহমুদ যা বলেছেন তারপর আর কিছু বলার বাকি থাকে না।
উনার মতো এত বড় বীরপুরুষ এই দেশে আর কে কবে জন্ম গ্রহণ করেছে?

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নীল আকাশ

৩৮| ৩১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


@নীল আকাশ,
আপনি বলেছেন, " কিছু বেহায়াদের জন্য অনেক কিছুই লিখতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু বড় ভাই ঠাকুরমাহমুদ যা বলেছেন তারপর আর কিছু বলার বাকি থাকে না।
উনার মতো এত বড় বীরপুরুষ এই দেশে আর কে কবে জন্ম গ্রহণ করেছে? "

-মেজর জিয়া ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের বীর, উনি কি করে আপনাদের বীরে পরিণত হলেন?

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পুনঃপুন মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৩৯| ৩১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪১

আল ইফরান বলেছেন: উপরের অনেকে হত্যার বিনিময়ে হত্যার পক্ষে কথা ইনিয়ে বিনিয়ে বলতে চাচ্ছে।
এইসব চেতনাধারী কি-বোর্ড প্রগতিশীল ভন্ডদের জন্য করুনা।

গিয়াসউদ্দিন লিটন ভাইকে অনেক ধন্যবাদ এই নিষ্ঠুর দিনটিকে এত সুপরিশীলিত ভাবে তুলে ধরার জন্য।
ভারত ও তার দেশী দোসরদের ষড়যন্ত্রের দায় আমাদের এখনো বহন করতে হচ্ছে।
আল্লাহ বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বেহেস্ত নসীব করুন।

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমিন।
আপনাকেও ধন্যবাদ আল ইফরান

৪০| ৩১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:০০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




@চাঁদগাজী ভাই, ব্লগার নীল আকাশ সালাত (নামাজ) দোয়া ব্লগে লেখার কারণে কি সাউদি বিন লাদেন হয়ে গেছেন? আর আওয়ামী লীগ নিয়ে লিখলেই যে কেউ মুক্তিযোদ্ধা? ব্লগে এই যন্ত্রনা আর কতোদিন থাকবে? হিজবুল্লাহ আনসারুল্লাহ গায়েবুল্লাহ সম্পর্কে আপনার ধারণা এতো দুর্বল কেনো? বাঁশেরকেল্লা’কে সামহোয়্যারই ব্লগের সাথে তুলনা করছেন কোন দুঃখে?

গত পঞ্চাশ বছরে জিয়ার মতো আরেকটা সন্তান বাংলাদেশ দিতে পারেনি। - এই দায়ভার কার?

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পুনঃপুন মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নি ন ঠাকুরমাহমুদ

৪১| ৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬

সুপারডুপার বলেছেন:



এই পোস্ট থেকে, নিচের স্ক্রিনশট :


৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কিছুই বুঝে আসেনি ।

৪২| ৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সুপারডুপার, সায়েমুজ্জামান এক্ষেত্রে ঠিক আছে যে ইসলামী জ্ঞান কতটুকু। নবী মোহাম্মদের পোস্ট লিখতে গিয়ে শিয়াদের লিংক এবং অন্যান্য কমেন্টে ওসব শিয়াদের বক্তব্য বলে এড়িয়ে দেয়া এমনকি ইসহাক তাবারীর বই এর রেফারেন্স দিয়ে আবার সেখানকার সে কস্টকর ব্যাপার গুলো এড়িয়ে যাওয়া প্রমান করে ওসব পোস্ট ইনারা লিখেন বই পড়ে নয়, বিভিন্ন ওয়েবসাইছে মড্রেটদের লজিক পড়ে।

অনেক আছে এক ব্লগার ছিলেন প্রতিদিন একটা করে কোরানের আয়াত বাংলাতে লিখে পোস্ট দিতেন। বই পাগল ছিলো তার নাম। একবার এটিমের পোলাপান তারে শিবির বললে আমরা সবাই মিলে এর প্রতিবাদ করি কারন সে কোরান নিয়ে পোস্ট দিয়েছে। তখন আমি নিজেও ধার্মিক ছিলাম।

তার কয়েকমাস পর যখন ব্লগ উত্তাল হলো শিবিরের ব্যান করা নিয়ে তখন বইপাগলের চেহারা খসে পড়লো এবং হুট করে শিবিরের পক্ষ নিয়ে জামাতীদের গুনগান গেয়ে পোস্ট দিলো।

এদের আরো একটা ব্যাপার হাস্যকর লাগে এরা নিজেদের পোস্টে লাইক বাড়ানোর নিজের অন্য আইডি দিয়ে লাইক দেয়। এটা হাস্যকর। একটা হিন্টস দেই, ব্লগনিকের সাথে ৩৯ লাগানো তার আরেক নিক এবং অনেক পোস্টেই সে লাইক পাবেন।

এখন আসি জিয়ার ব্যাপারে। যারা বলছেন হত্যার বদলে হত্যার সাফাই দাওয়া তাদের জন্য বলছি

১) জিয়ার হত্যা এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকে কেউ মন থেকে সায় দেয় নি কিন্তু প্রতিটা বাঙ্গালী জানে তাদের হত্যা না করা হলে বাংলাদেশের সামনে দুর্দিন ছিলো। জিয়ার জন্য কেন দুর্দিন সেটা জানার জন্য আপনাকে সাহস করে প্রশ্ন করতে হবে। আমি পোস্ট দিতে পারবো না কারন আমাকে কাল রাতে জেনারেল করা হইছে তবে সে পোস্টের কমেন্টে সব দলিল সহই ব্যাখ্যা করবো জিয়াকে নিয়ে বিএনপির লোকজন কত মিথের সৃস্টি করেছে

২) জিয়াকে হত্যা করা হয়েছে তারপর বিএনপি সর্বমোট তিনবার ক্ষমতায় এসেছে এবং তাদেরকে যখনই প্রশ্ন করতাম ভাই আপনারা জিয়ার বিচার করছেন না কেন তখন সবাই সেই বিতর্কিত কোর্ট মার্শালের কথা বলে। প্রত্যুত্তরে যখন বলি ভাই সেখানে কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার হয় নাই শ্রেফ ক্যু নিয়ে এবং সেনাবাহিনীতে ক্যু নিয়ে যেমন মার্শাল কোর্ট অর্ডিন্যান্স আছে তেমন কাউকে হত্যা করা নিয়েও আছে। এরপর তারা বলে ওখানে নাকি জিয়ার হত্যার কথা ইনক্লুড ছিলো। এটা হলো সব পাতিনেতা যারা স্বভাবতই অশিক্ষিত তাদের কথা। কিন্তু আপনি যখন বই পত্র ঘাটবেন, জিয়ার সময়কার অফিসারদের লেখা দেখবেন সেখানে তার ঘুনাক্ষরে কথা ছিলো না বরংচ লাস্টবার ক্ষমতাশীল বেশ কিছু মন্ত্রী নেতাদের ভূমিকা ছিলো সন্দেহজনক। এসবের সদুত্তর তারা কখনো দিতে পারবে না।

৩) জিয়া যে কোর্ট মার্শাল করেছিলো সেখানে প্রায় অর্ধশতাধিক অফিসারকে শুধু নামের মিলের কারনে হত্যা করেছিলো যার সরাসরি নির্দেশ ছিলো জিয়ার। এবং এরাই যখন বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে কান্নাকাটি করে তখন মনে হয় এরা নিজেদের নেতা জিয়ার সে পাপের প্রায়েশ্চিত্ত বা শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে এই মায়াকান্না করতে আগ্রহী।

জিয়ার হত্যাকাণ্ড কখনোই সাপোর্ট করি না কিন্তু জিয়া যদি তখন অলিগার্কি ফর্ম করতো হয়তো তার এক বছর বা দেড় বছর পর দেশের অর্থনীতি থেকে শুরু করে ব্যাংকিং ব্যাবস্থা ধ্বসে পড়তো। এটা দুর্ভিক্ষ হতো না কারন ততদিনে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অবস্থান দৃঢ় এবং সাহায্যপাবার হাত বেশ বড় হবার কারনে এড়ানো যেতো কিন্তু ততদিনে দেশে বাকশালের থেকেও নীচুস্তরের অলিগার্কি শুরু হতো। ঠিক এমনটাই করতে চেয়েছিলো বিএনপি ও চারদলীয় ঐক্যজোট ২০০৬ এর পর। সেটা সফল হয়নি।

আমাদের কপাল খারাপ যে তার চেয়েও আরও বড় জানোয়ার লুটেরা এখন ক্ষমতায়।

আপনারা বলতে পারেন দিয়া মন্দের ভালো। আমি বলবো তারপরও সে মন্দ।

অপরাধকে বাংলাদেশের মানুষ কেন যে শিনা টান করে অপরাধ হিসেবে গন্য করে তাকে ঘৃনা করতে পারে না, অন্ধ দলদাসে পরিনত হয় তার ফল কিন্তু তারা এখনো পাচ্ছে

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ নিন উদাসী স্বপ্ন ।

৪৩| ৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

সুপারডুপার বলেছেন: উদাসী স্বপ্নকে জেনারেল করে, যুক্তিকে এই ভাবে গলা টিপে ধরাতে খুবই ব্যাথিত হলাম। তিতা সত্যকে সত্যিই ধর্মকানা ও দলকানারা ভয় পায়।

০১ লা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ নিন সুপারডুপার

৪৪| ০১ লা জুন, ২০২০ রাত ৩:৩৪

মোঃমোজাম হক বলেছেন: এমন একটি পোস্টের জন্য আন্তরীক শুভেচ্ছা।
আজকাল জিয়াকে নিয়ে লেখার সৎসাহস অনেকেরই নেই।
প্রেসিডেন্ট জিয়া স্বল্প সময়ে বাংলাদেশের জন্য যা দিয়ে গিয়েছেন তা ভুলার নয়। যে চাটুকাররা ৩০জন মুক্তিযাদ্ধা হত্যার দোষারোপ করতেছে, তাদেরকে বলছি মুজিব হত্যার বিচারে কি মুক্তিযাদ্ধাদের ফাঁসি হয়নি?

০১ লা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন মোঃমোজাম হক

৪৫| ০১ লা জুন, ২০২০ রাত ৩:৩৪

মোঃমোজাম হক বলেছেন: এমন একটি পোস্টের জন্য আন্তরীক শুভেচ্ছা।
আজকাল জিয়াকে নিয়ে লেখার সৎসাহস অনেকেরই নেই।
প্রেসিডেন্ট জিয়া স্বল্প সময়ে বাংলাদেশের জন্য যা দিয়ে গিয়েছেন তা ভুলার নয়। যে চাটুকাররা ৩০জন মুক্তিযাদ্ধা হত্যার দোষারোপ করতেছে, তাদেরকে বলছি মুজিব হত্যার বিচারে কি মুক্তিযাদ্ধাদের ফাঁসি হয়নি?

০১ লা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ

৪৬| ০১ লা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

সুপারডুপার বলেছেন:



লেখক বলেছেন: কিছুই বুঝে আসেনি ।

-যারা একটু মনোযোগ দিয়েছেন, তারা বুঝে গিয়েছেন। এই ব্লগে সরাসরি আঙ্গুল দিয়ে ধরিয়ে দিয়ে সত্য কথা বললে গুনাহ হতে পারে। ভালো থাকবেন লিটন ভাই। অনেক অনেক শুভকামনা :-

@উদাসী স্বপ্ন, বুঝতে পারার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

০২ রা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ সুপারডুপার

৪৭| ০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ৯:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কর্নেল মতির বিদেশের কোর্স বাতিল করেন প্রেসিডেন্ট জিয়া। জেনারেল মঞ্জুরকে সৈন্যের কমান্ড থেকে সরিয়ে স্টাফ কলেজে দেন জিয়া। আগে থেকেই জিয়ার সাথে মঞ্জুরের দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল। তবে মতির দল যে জিয়াকে মেরে ফেলবে এটা মঞ্জুর আগে থেকে জানতেন না। তবে যেহেতু ঘটনা তার অধিনস্ত লোকেরা ঘটিয়ে ফেলেছিল তাই তিনি সব দায়িত্ব নিজের উপর নিয়ে নেন। হত্যাকারী অনেক কে মিথ্যা বলে বা ভুল তথ্য দিয়ে সাথে আনা হয়েছিল। তবে এরশাদ সাহেব মাঝখান দিয়ে নিজের রাস্তা পরিষ্কার করে ফেলেন। সেনা বাহিনীর পাকিস্তান ফেরত অফিসারদের এতে সায় ছিল। অনেক গুলি মুক্তি যোদ্ধা অফিসারকে হত্যা করা হয় যাদের মধ্যে অনেকে দোষী ছিলেন না। প্রেসিডেন্ট জিয়া সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে কৌশলের চেয়ে অস্ত্রের ব্যবহার বেশী করে বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছিলেন। ফলে তার বিরুদ্ধে মুক্তি যোদ্ধা অফিসারদের আক্রোশ বেড়েই চলেছিল। তার অবশ্যম্ভাবী পরিনিতি এই হত্যা কাণ্ড।

২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.