নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জিফান

আমি কারো সাতেও নেই পাঁচেও নেই

জিফান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের এই অরাজকতার জন্য কি সরকার কিছুটা হলেও দায়ী নয়?

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৯

দেশজুড়ে একদিকে যেমন চলছে শাহবাগের গণআন্দোলন সাথে চলছে জামায়াত-শিবিরের সহিংস আন্দোলন। দুটি আন্দোলনের দাবি যেমন ভিন্ন তেমনি আন্দোলন দুটির ধরনের মাঝেও একটা পার্থক্য সাধারণ জনগণের কাছে পরিলক্ষিত আর তা হল শাহবাগের গণআন্দোলন শান্তিপূর্ণ আর জামায়াত-শিবিরের আন্দোলন সহিংস।



আচ্ছা জামায়াত-শিবিরের আন্দোলন এরকম সহিংস কেন? সর্বজনের মতে এটাই জামায়াত-শিবিরের চরিত্র।তাহলে কি বাকীদলগুলো ফুলের মত পবিত্র ? এরকম সহিংস আন্দোলন কি অন্য কোন দল করে নি ? ৯/১১ এর সময় বর্তমান সরকারের দল আওয়ামীলীগ কি এরকম আচরণ করে নি ?বলাবাহুল্য, ১৯৯৬ সালে জামাত-ই ইসলাম কে সাথে নিয়ে সরকার বিরোধী সহিংস আন্দোলন চালায় আওয়ামিলীগ। এদেশের মানুষ কি সব ভূলে গিয়েছে? যাইহোক, উপরের আন্দোলন দুটি প্রসঙে আসা যাক।



কেন শাহবাগের গণআন্দোলন এত শান্তিপূর্ণ আর কেন জামায়াত-শিবিরের আন্দোলন এরকম সহিংস? চিত্রটা তো অন্যরকমও হতে পারত।কেন হল না?



শাহবাগের গণআন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা একরকম আর জামায়াত-শিবিরের আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা আরেকরকম।



শাহবাগের মত একটা জায়গা যেটাকে রাজধানীর প্রানকেন্দ্র বলা হয়, যে জায়গা অবরুদ্ধ করে রাখা মানে সারা শহরের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে আসা যাওয়া করাটা দুরূহ একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়, যেখানে বারডেম এর মত একখানা হাসপাতাল অবস্থিত সে শাহবাগের আন্দোলনে পুলিশ কড়া নিরাপত্তা দান করছে আন্দোলনকারীদেরকে আন্দোলন চালিয়ে যাবার জন্য, দিনের পর দিন তারা আন্দোলন চালিয়ে গেলেও পুলিশের কোন মাথাব্যথা নেই.....আর জামায়াত-শিবির রাজপথে নেমে ২-১ দিলের হরতাল পালন করতে চাইলে সেখানে পুলিশের আর ধৈর্যের সীমা থাকে না।



শাহবাগ থেকে যখনই কোন মিছিল বের হয় পুলিশ ল্যাপ অব অনার দিয়ে সামনে থেকে গার্ড দিয়ে কড়া নিরাপত্তার সহিত আন্দোলনকারীদের সহযোগীতা করে থাকে। অন্যদিকে জামায়াত শিবির কোন মিছিল করতে গেলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের সামনে দাড়িয়ে যাচ্ছে। এমনি এমনি কি পুলিশ মার খায় ? জামায়াত-শিবিরের লোকজন কি এমনি এমনি চড়াও হয়? আপনার কাজের সামনে কেউ বাধা হয়ে দাড়ালে কি আপনার মেজাজ ঠিক থাকবে? শাহবাগের যে আন্দোলনকে আমরা শান্তিপূর্ণ বলছি সে আন্দোলনে এখন যদি পুলিশ বাধা দেয় তাহলে কি তারা সহিংস হবেন না?



সরকার যদি একটু নমনীয় হত, যদি সরকার তার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এভাবে আক্রমণাত্মক হতে না দিত তবে এতকিছু ঘটত না। কৈ ... জামায়াত-শিবিরের আন্দোলন ঠেকাতে পুলিশ,বি.জি.বি. নামিয়ে এত কিছু করে লাভ হল কোথায়? উল্টো সিতে বিপরীত হয়ে গেল তো। মিডিয়ায় যতই প্রচার করা হোক হরতাল ঢিলেঢালাভাবে পালিত হচ্ছে.....সাধারণ মানুষ তো জানে দেশের এখন কি দশা।এ ধরনের পরিস্থিতিতে কি সরকারের মাথা ঠান্ডা রাখা উচিৎ ছিল না ? তাচাড়া সরকারের উচিৎ যেকোন একপক্ষকে সমর্থন না দিয়ে দুপক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা। এভাবে ঘাড় ত্যাড়ামি না করলেও মনে হয় চলত। এর জন্য আসলে ভাল মন লাগে।মন ছোট হলেই এসব বিপত্তি বাধে।কোন সহিংসতার ফলাফলই ভাল হয় না। এখনকার ফলও ভাল হবে না।

কথায় আছে এক হাতে তালি বাজে না। দোষ শুধু জামায়াত-শিবির আর বিরোধীদলের উপর দিলে তো হবে না। নিজেদের চর্কায়ও তেল দিতে হবে।বাংলাদেশের মানুষ তো আর সবসময় বোকা থাকবে না। দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ঝামেলা হলে আশেপাশের সব মানুষেরই সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে ঐ দুই প্রতিবেশী ঝগড়া চালিয়ে গেলে কোন লাভ হবে না,বিপত্তি শুধু বাড়বেই। ঠিক তেমনি সরকারের উচিৎ ত্যাড়ামি না করে একটু সহনশীল হওয়া। এটা দেশের স্বার্থে । ব্যক্তির চেয়ে দলের চেয়ে অবশ্যই দেশ বড়। না হলে কিন্তু আমরা যারা সাধারণ মানুষ তারাই শুধু ভুগতে থাকব।





সরকারের দায়িত্ব দেশের অরাজকতা নিয়ন্ত্রণ করা।তবে নিজেরা সহিংস হয়ে না। এমন কোন ব্যবস্থা নিয়া ঠিক হবে না যাতে দেশের জনগণের কোন দুর্ভোগ হয়।সহিংসতা কখনোই সহিংসতা দিয়ে প্রতিরোধ করা যায় না।একটা দেশের সরকারকে চালাক চতুর হতে হয়। মাথামোটা হলেই এরকম সমস্যা পোহাতে হবে।সবকিছু তো সাধারণ জনগণের কপালেই শুধু জুটে।X((



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.