![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সচেতন মুক্তমনা বুদ্ধিজীবি সাংবাদিক লেখক গবেষক দার্শনিকগনকে অপশক্তি কর্তৃক হত্যা নতুন কিছু নয়। শুরু যদি হয় সক্রেটিস থেকে শেষটা হয়তো নিলয় নিল। হয়তো আগামিতে এভাবেই চলবে।
কখনও হত্যা করা হয়েছে শাষকদের অপনীতির বিরুদ্ধাচরন করায়। কখনওবা ধর্মের নামে নাস্তিক উপাধি দিয়ে। ৭১ এ হত্যা করা হয়েছে ইসলাম বিরোধী বলে। কখনও হত্যা করা হয়েছে বা দেশ থেকে বিতারন করা হয়েছে গোষ্ঠিগত এবং ধর্মান্ধতার স্বার্থে বা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে।
৭৫ এ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে বৈষয়িকতার স্বার্থে। ধর্ম যেখানে ছিল গৌণ। বাকশাল ঘোষনার পর সামন্তপ্রভুরা এবং জোদ্দাররাসহ দেশের অগ্রসরমান গোষ্ঠী আতকে উঠে। যার ফল হিসাবে বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে এবং জাতীয ৪ নেতা সহ অসংখ্য দেশপ্রেমী মানুষকে প্রান দিতে হয়।
এখনকার বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট অনেকটা সেরকমই। দায়মোচনের সংকল্পে ব্রতী হয়ে মুজিব তনয়া ৭১ এর যুদ্ধাপরাধী সহ মুজিব পরিবার ও চারনেতা হত্যাকারীদের বিচারের আশা ব্যক্ত করেন। শুরু হয় ১৯৯৬ সাল থেকে। প্রথম দিকে ২০০১ সালের পরে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির লক্ষে প্রথম আঘাত হানা হয় কবি সাহিত্যিক বিচারক রাজনীতিক সাংস্কৃতিক কর্মী ও সাংবাদিকদের উপর এবং চড়ান্ত আঘাত হানা হয় ২১ আগষ্ট। ব্যর্থ হয়ে যায় ২০০৮ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার মধ্য দিয়ে।
শেষ রক্ষা হয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে আরম্ভ হয় নতুন চক্রান্ত। ৭১ সালে যে গোষ্ঠী আমার দেশের বুদ্ধিজীবিদের ইসলামের শত্রু আখ্যায়িত করেছিল আজ সেই গোষ্ঠীই মুক্তমনা সৃজনশীলদের নাস্তিক উপাধি দিয়ে ধর্মপ্রান জনগোষ্ঠীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে এবং নির্বিচারে এবং নিশংসভাবে হত্যাজজ্ঞ চালাচ্ছ। বিষয়গুলো পুরোটাই অপরাজনীতি এবং ধর্মান্ধ ও জঙ্গিগোষ্ঠির নতুন কৌশল।
এই কৌশলে সরকার প্রশাষন এবং রাষ্ট্র অনেকটাই বিভ্রান্ত। বিভ্রান্তি কাটিয়ে রাষ্ট্রকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে গেলে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। তা নাহলে সমস্ত অর্জনই বিফলে যাবে এবং দেশ পিছিয়ে যাবে অর্থনীতি পর্যুদস্ত হবে।
©somewhere in net ltd.