নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিরব

জ্ঞানেন্দ্র মোহন চন্দ এফসিএ

০১১২১৯৬২

জ্ঞানেন্দ্র মোহন চন্দ এফসিএ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাইরিষ্ট থেকে ব্লগার ।

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১২

নিজের চিন্তা ভাবনা পরামর্শ উপদেশ গদ্য কবিতা গল্প গান এবং উদ্ভাবন ও নতুন আবিষ্কার ডায়রিতে লিখে অনেকেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন এবং অমর হয়েছেন মানুষের মাঝে । শত হাজার বছর ধরে মানুষ তাদের বন্ধনা করে । অনেকেই আবার তাদের আচার আচরন পথ চলা এমনকি পরিধেয় পোষাক পরিচ্ছদকেও আদর্শ মনে করে । অনেক কিছুই আবিষ্কৃত হয়েছে মহামানবদের মৃত্যুর পরে । যার বেশীর ভাগ আবিষ্কার ডায়রি থেকে । আগে যারা ডায়রি লিখতেন তাদেরকে বলা হতো ডাইরিষ্ট ।
আগের দিনে মানুষেরা যাদেরকে আমরা মনিষী বলে থাকি তাড়া লিখতেন পাথর খুদাই করে, কাঠের বা বাশের উপরে, কখনও গাছের পাতায়, মাটির গুহায় তারপরও তাদের লেখনিকে মানুষ আবিষ্কার করেছে এবং ভবিষ্যতের স্বার্থে সংরক্ষন করেছে।
আগেকার দিনে মানুষ মুক্তচিন্তা করত নিজের মতন করে । দমন পীড়ন তখনও ছিল যেখানে সাধারন মানুষের সম্পৃক্তা ছিল নগন্য ।এখন যুগ পাল্টে তথ্য প্রযুক্তিতে ভর করেছে যা অন্য যুগে বসে কল্পনাও করা অসম্ভব ছিল । এখনকার দিনে বিশ্ব হয়ে গেছে একটা পরিবারে । সবাই সবার খোজ খবর রাখে তথ্য প্রযুক্তির বদৌলতে ।এড়িয়ে যাওয়ার যেমন উপায় নেই তেমনই উপায় নেই পাস কাটিয়ে যাওয়ার ।
যুগের বিবর্তন বা উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পাথর কাঠ বাশ মাটির লিখা রুপান্তরিত হয়েছে কাগজ কলম পেন্সিলে ।রঙবেরঙের লেখা ।রকমারি লেখা , হরেক রকম মতাদর্শ ।গ্রহন করতেও পারেন নাও করতে পারেন । সবটাই যার যার ব্যক্তিগত এবং নিজস্ব ।চাপিয়ে দেয়ার কোন ব্যাপার নাই । ঠিক যেন দোকান । থরে থরে পন্য সাজানো আছে আপনার পছন্দ হলে বা কাজে লাগলে কিনবেন নচেৎ না । বলপূর্বক কাউকে বাধ্য করা যাবে না গ্রহন করতে বা বর্জন করতে ।
উন্নয়নের ধারা ধারাবাহিকতায় এবং মানুষের চিন্তা চেতনা বিকশিত হওয়ায় 2nd half of second century AD তে শুরু হওয়া ডায়রি লিখা এখন অন লাইন ডায়রি বা ব্লগ এ রুপান্তরিত হয়েছে ।আগের যুগের ডাইরিষ্ট এখন ব্লগার নামে পরিচিতি লাভ করেছে ।যা শুরু হয়েছে মুলতঃ ১৯৮৩ র শেষ দিকে ।
ব্লগ লেখা ডায়রি লেখারই রুপান্তর । ডায়রি ছিল অফ লাইনে আর ব্লগ অন লাইনে ।ব্লগে যেমন মুক্তচিন্তার প্রসারের সুযোগ আছে তেমননি রক্ষনশীলতা বা গোরামি ধরে রাখারও সুযোগ আছে ।সবটাই নির্ভর করবে কে কাকে কিভাবে প্রকাশ করতে চায় বা কোন আদলে তার চিন্তা ভাবনা ।
লিখিতি বার্তা, মতামত, তথ্য আদান প্রদান এবং ভাব বিনিময়ের জন্য যুগে যুগে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহৃত হয়ে আসছে যেমন টেলিগ্রাফির প্রচলন ছিল ১৭৯২ থেকে ১৮৩৭ নাগাদ যা এখন অনেকটাই সেকেলে ।টেলেক্স প্রচলন হয় ১৯৩০ এর দিকে, ব্লগিং শুরু হয় ১৯৮৩ র শেষ দিকে, ইলেক্ট্রণিক মেইল চালু হয় ১৯৯৩ র দিকে, ওয়েব সাইট ও নেট ওয়ার্কিং ১৯৯০ এ, ফেসবুক ২০০৪ এ এবং টুইটার ২০০৬ এ । এর সাথে আরও নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার হচ্ছে মানুষের যোগাযোগকে আরও সহজ করতে এবং সহজ ব্যবহারযোগ্য করতে ।সবই বিজ্ঞানের অবদান ।
কতিপয় মানুষ যারা ধর্মীয় সংস্কারের বলয়ে আবদ্ধ তাড়া বিজ্ঞানের সমস্ত আবিষ্কারের সুভল ভোগ করছে কিন্তু আবিষ্কার সম্পর্কে তাদের নেতিবাচকতার কমতি নেই ।সমাজ সংস্কার হচ্ছে সেখানে তাদের সনাতনি ধারনাকে ধরে রাখতে হবে ।স্বাস্থ্য শিক্ষা সমাজ উন্নয়নের সব উপকরণ তারা ভোগ করছে কিন্তু সংস্কারকে তাড়া ভয় পায় ।গোষ্ঠিগত দ্বন্দ এখন চড়মে । সেটা অন লাইন এবং অফ লাইন দুটোতেই ।অফ লাইনে সাধু না হয়ে মানুষ সাধু সাজার চেষ্টা করছে তেমনি অন লাইনে ব্লগার না হয়ে শুধু মাত্র কুৎসা রটানোর জন্যে ব্লগার সেজে বসে আছে অনেকেই । অফ লাইনের ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক এবং পারিবারিক দ্বন্দ এখন অন লাইনে । যার ভয়ংকর পরিসমাপ্তি ঘটে অফ লাইনে ।
অন লাইনে সংস্কারাচ্ছন্ন ডাইরিষ্ট বা ব্লগাররা ধর্মীয় উন্মাদনার বক্তব্য ছড়িয়ে দেশের বা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মানুষ গুলোকে বা জনগোষ্ঠিকে বিভান্ত করছে এবং প্রগতিশীল মুক্তমনা বা মুক্তচিন্তার বিকাশকে রুদ্ধ করার পায়তারা করছে ।আর সে সুযোগে এক শ্রেনীর সুবিধাবাদী চক্র সুযোগ বুঝে মধ্য পন্থায় থেকে ফায়দা লুটে নিচ্ছে ।যার পরিনাম হচ্ছে নিশংসতা এবং রক্তপাত এবং আইনের শাষন হচ্ছে বাধাগ্রস্থ ।দ্বিচারিতা এবং দ্বৈতআচরনের কারনে অপরাধীরা নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে এবং কিছু সাধারন এবং সচেতন মানুষ স্বাভাবিক মৃত্যু থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং অসহায় হয়ে পড়ছে পরিবার পরিজন ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.