নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিরব

জ্ঞানেন্দ্র মোহন চন্দ এফসিএ

০১১২১৯৬২

জ্ঞানেন্দ্র মোহন চন্দ এফসিএ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাংবাদিক ও লেখক প্রবীর সিকদারের অপরাধ ও পূর্বাপর৷

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩

তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, “কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্রের ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানি প্রদান করা হয়, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ৷”

এই অপরাধের দণ্ড সর্বোচ্চ ১৪ বছর এবং সর্বনিম্ন ৭ বছর কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা জরিমানা।
ইতিমধ্যে সবাই অবগত হয়েছেন নির্ভীক প্রবীর সিকদারের অতীত কর্মকান্ড সম্পর্কে। প্রবীর সিকদার প্রকৃত অর্থে সুবিধাভোগী শহীদ পরিবারের মত সেও একজন শহীদ পরিবারের সদস্য। একাত্তুরে তার পরিবারের বাবা কাকা সহ ১৩ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। শহীদ পরিবারের সদস্য হলেও তার নিজস্বতা আছে। অন্যদের মত মিডিয়ার সামনে আনুকুল্য পাওয়া এবং সহানুভুতি পাওয়ার জন্য শহীদ পরিবারের সদস্য হিসাবে দাঁত বের করে দাড়ায় না। যতবার তাকে মিডিয়ায় দেখা গেছে বা তার লিখা ছাপা হয়েছে সব কিছুতেই তার নিজস্বতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এবং প্রতিবাদী রুপ প্রকাশ পেয়েছে যা চেতনার এবং গনমানুষের।

তার বেশীর ভাগ লিখা এবং কর্মকান্ড দেশ বিরোধী অপশক্তির বিরোদ্ধে । ৫৭ ধারার বিধান মতে #অপরাধ কথাটির যেভাবে সঙ্গায়িত করা হয়েছে তাতে যেকোন ব্যাক্তি সংঘুব্ধ হতে পারে, যে কারও অনুভুতিতে লাগতে পারে। যেমন চোরকে চোর ডাকাতকে ডাকাত, রাজাকারকে রাজাকার, ভূমিদস্যুকে ভূমিদস্যু বললে তার অনুভুতিতে লাগবে এটাই স্বাভাবিক। সে যদি ফেবু ব্যবহারকারী বা লেখকের চেয়ে শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী হয় এবং দেশীয় আইন, প্রশাষন এবং শাষক যদি তাকে আনুকুল্য দেয় তবে লেখক প্রবীর সিকদারের পরিনতি বরন করবে এটাই স্বাভাবিক এবং বাস্তব।

প্রবীর সিকদার একজন শহীদ পরিবারের সদস্যই নন। তিনি নিজেও একজন সাহসী মানুষ। লিখা বা সাংবাদিকতার কারনে তাকে মৃত্যুর দোরগোড়া থেকে ফেরত আসতে হয়েছে আজকের অবস্থান সৃষ্টি করার জন্য। হারিয়েছেন একটি পা, একটা হাত তার অকেজো। সারা শরীরে শত শত বোমার স্প্রীন্টার। তার লেখনী তাকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। লাখ মানুষ প্রতিবাদ করছে তার প্রতি করা অবিচারের। রাস্তায় দাড়াচ্ছে শতশত মানুষ তার মুক্তির দাবিতে। ৫৭ ধারার কাল আইন সংশোধন বা বাতিলের দাবি এখন মুখে মুখে। এতদিন যা করে আসছিল গোটিকয়েক ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিষ্ট।

প্রবীর সিকদার তার লেখালেখির কারনে বিভিন্ন অপশক্তি এবং তার অনুসারীরা প্রাননাশের হুমকি দিয়ে আসছিল্। পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছিল কিন্তু প্রশাষন তার অভিযোগ আমলে নেয়নি। পুলিশ আমলে নিয়েছে ঠিকই তবে প্রবীর সিকদারকে রক্ষার জন্য নয়। অপরাধী এবং অপশক্তিকে আড়ালের জন্যই তাকে আইনের আওতায় নেয়া হয়েছে ৫৭ ধারার ক্ষমতাবলে।

প্রবীর সিকদার হয়তো আইনের সুন্দর পরিসমাপ্তিতে বের হয়ে আসবে তবে সেই ক্ষত বয়ে বেড়াবে অপশক্তি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.