![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’
এক অতি সুন্দরী ললনা প্লেনে করে নিজ দেশে যাচ্ছেন। তার পাশের সিটেই বসেছেন একজন শান্ত ও সৌম্য দর্শন পাদ্রি। যথাযথ সম্ভ্রম প্রদর্শনপূর্বক ওই সুন্দরী ললনা পাদ্রিকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ফাদার, আমি আপনার কাছে কি একটি অনুগ্রহ প্রার্থনা করতে পারি!?’
-পাদ্রি জবাব দিলেন, ‘অবশ্যই অবশ্যই পারবে হে আমার চাইল্ড। বলো, তোমার জন্য কি করতে পারি?’
-সুন্দরী : ফাদার, সমস্যাটা এখানেই। আমি অনেক টাকা খরচ করে অত্যাধুনিক একটি ‘হেয়ার রিমুভার’ কিনেছি। কিন্তু এর ফলে কাস্টমসের ধার্যকৃত ডিক্লারেশন সীমা অতিক্রম করে ফেলেছি। আমি নিশ্চিত, কাস্টমস আমার এই অত্যন্ত দামী ও প্রয়োজনীয় জিনিসটি বাজেয়াপ্ত করে ফেলবে! আপনি কি মনে করেন, আপনার এই জুব্বার ভেতরে এ দ্রব্যটি লুকাতে পারবেন?
-পাদ্রি : অবশ্যই পারব, মাই চাইল্ড। কিন্তু আমি যে, মিথ্যে বলতে পারি না।
-সুন্দরী : বিশ্বাস করুন ফাদার. আপনার চেহারাটি এত নিষ্পাপ ও শান্ত সৌম্য যে, কাস্টম অফিসার আপনাকে ঘুণাক্ষরেও কোনো রকম সন্দেহ করবে না। কোনো প্রশ্নও করবে না। কাজেই আপনার জন্য কোনো মিথ্যা কথা বলার দরকার পড়বে না।
এটা বলে পাদ্রির হাতে হেয়ার রিমুভারটি ধরিয়ে দিলেন সুন্দরী। প্লেনটি বিমানবন্দরে পৌঁছার পর যথারীতি পাদ্রি কাস্টমসের সম্মুখে উপস্থিত হলেন। কিছুটা সন্দেহজনক মনে হওয়ায় কর্তব্যরত লেডি কাস্টম অফিসার জিজ্ঞেস করে বসলেন-‘ফাদার, আপনার কাছে কি ডিক্লেয়ার করার মতো কোনো দ্রব্য রয়েছে?
-পাদ্রি : জবাব দিলেন, ‘আমার মাথা থেকে কোমর পর্যন্ত ডিক্লেয়ার করার মতো কোনো দ্রব্য নেই, মাই চাইল্ড!
এ রকম অদ্ভুত জবাব পেয়ে কাস্টম অফিসার কিছুটা অবাক হলেন! কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, তাহলে কি ধরে নেবো যে, আপনার কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত কিছু রয়েছে?
-পাদ্রি স্মিত হেসে জবাব দিলেন, তোমার এ ধারণাটি পুরোপুরি মিথ্যা নয়, মাই চাইল্ড! সেখানে একটা মার্ভেলাস স্মল ইনস্ট্রুম্নেট রয়েছে! ছোট্ট চমৎকার এ বস্তুটি নারীরা অত্যন্ত গোপনে ব্যবহার করে থাকেন! কিন্তু আমি তোমাকে গ্যারান্টি দিতে পারি যে, আমার এ দ্রব্যটি আজতক কোনো নারী কর্তৃক ব্যবহৃত হয়নি!!!
-লেডি কাস্টম অফিসার অট্টহাসি হেসে বললেন, ‘চলে যান ফাদার, পরের জন আসেন।’
অতঃপর,
আজ দেশের প্রথম শ্রেণীর কিছু পত্রিকা, সুশিল সমাজ, বুদ্ধিজীবি, শিক্ষক সমাজ, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতী, বিভিন্ন টিভি চ্যানেলসহ, সব্যসাচী নামে অভিহিত এক দিকপাল সহস্র নাগরিক কমিটি, বিভিন্ন মতাদর্শের রাজনৈতিক ব্যক্তিদ্বয়, সাংস্কৃতিক অঙ্গন, তথা সকল প্রকার প্রশাসন আজ যেভাবে সমাজে ঘটে যাওয়া অন্যায়গুলো-গুম, খুন, হত্যা, ধর্ষণ, লুট-তরাজ, অপদখল, ডাকাতি, হামলা-মামলার বিরুদ্ধে আপোষীয় মনোভাব প্রকাশ করে চলেছেন, কোনো রকম হাঁক-ডাক ছাড়া যেভাবে এসব অন্যায়কে গোপন করে, সত্যকে গোপন করে, অন্যায়কে ন্যায় বলে প্রচার করছেন, মিথ্যাকে সত্য বলে প্রচার করছেন, তারা ঠিক ঐ পাদ্রীর ন্যায় সত্যগুলোকে জুব্বার ভেতরে যেভাবে গোপন করে রাখার চেষ্টা করছেন তারা হয়তো সাময়িক কিছু লোকের জন্য সুযোগ-সুবিধা তৈরি করে দিতে সক্ষম হচ্ছেন মূলতপক্ষে ঐসকল লোকদ্বয় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে দেশ তথা দেশের চলমান সহনশীল গণতন্ত্রকে হত্যা করে চলেছেন। যার করুণ পরিণতি থেকে কেউ রক্ষা পাবে না।
১৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:০৯
রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব মান্তনু চৌধুরী ভাই। সত্যিকার অর্থে মজা পাওয়ার জন্য লিখিনি তথাপি একটি রসালো উদাহরণ দিয়ে বর্তমান প্রেক্ষাপট বুঝাতে চেয়েছি।
পুনরায় আমার আঙ্গিনা পরিদর্শন করার জন্য আমন্ত্রণ রইল।
২| ১৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭
জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: রসালো একটি উদাহরণ সহ বাংলাদেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন। ভাল লাগল।
লেখাটির সব ঠিক আছে কিন্তু কোথায় একটুখানি যেন একপেশে হয়েছে।
আসলে আমাদের রক্ষাপেতে হলে একপেশে মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে।
ধন্যবাদ।
১৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
রুপম হাছান বলেছেন: সত্যিকার অর্থে আপনার প্রোফাইল নামের সাথে আপনার উত্তরের যথেষ্ট মিল পেয়েছি। আর তাই আপনাকে আমার পক্ষ থেকে স্পেশাল ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভাই মূলতপক্ষে একপেশে লেখার যুক্তিকতা কখনোই অনুভব করি না, আর তাই নিজের অধিকার গুলো যখন দেখি অবহেলিত কিংবা কারো কর্তৃক অপদখল হচ্ছে কিংবা কেউ ইচ্ছে করে তার অধিকার খর্ব করছে তখন যদি সেই দাবীগুলি পুণরুদ্ধারে প্রশ্নগুলি উপস্থাপিত নিজ রুপে তবে তাকে একপেশে বলা কি ঠিক হবে?
আমি সব সময় মনে করি, সরকার এবং জনগণ উভয় উভয়ের বিরোধী। কারণ সরকার তার ভালো চাইবে দেশ শাসন করার জন্য। অর্থাৎ সেটা জনগণের ভালো হোক কিংবা খারাপ। আর জনগণ যেটা ভালো মনে করে সেটা তো আর সরকার খুব সহজে মেনে নেয় না বলেই এতো বিপত্তি। একটু ভেবে দেখলে আশা করি পুরো বিষয়টি আপনি বুঝতে পারবেন।
আর তাই একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে, কোনো দল, মতের উর্ধ্বে উঠে যদি চিন্তা করেন, তবেই হয়তো এর সঠিক সমাধান পেয়ে যাবেন।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ। এবং পুনরায় আমার আঙ্গিনা পরিদর্শন করার জন্য আমন্ত্রণ রইল।
৩| ১৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯
রাতুলবিডি৪ বলেছেন: শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: মজা পেলাম :-)
১৭ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:০০
রুপম হাছান বলেছেন: পরের মাথায় কাঁঠাল ভাঙ্গার দরকার কি ভাই রাতুল? হা হা হা। আপনার কাছে কেমন লেগেছে, তা জানতে পারলে আরো বেশি ভালো লাগতো।
প্রতিটি লেখার দু’টি দিক থাকে। একটি ভালো আরেকটি খারাপ হতে বাধ্য। তবে খারাপ ভালো যাই হোক, অন্যায়ের প্রতিবাদ হোক- যেথায়, যখন-তখন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই রাতুল। অন্যর সাথে নিজের সহমত প্রকাশ করার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: মজা পেলাম :-)