![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’
দেশের বড় একটি অংশ কাজ করে বিভিন্ন কল-কারখানায়, অফিস-আদালতে, স্কুল-কলেজ, হাঁটে-বাজারে এবং রাস্তা-ঘাটে। কৃষক, কামার-কুমার, জেলে এদের কথা বাদ দিলাম। তারা কখনো-সখনো এমন রাস্তা ব্যবহার করার সুযোগ পায়। কারণ তারা বেশির অংশই থাকে গ্রামে-গঞ্জে। তাদের মধ্যে থেকে কিঞ্চিত ব্যক্তিরা প্রয়োজন হলে উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় করার খাতিরে হয়তো শহর কিংবা বাজারে আসতে হয়।
এখন আসি বাকী অংশের কথা নিয়ে। তাদের মধ্যে আমি একজন। প্রতিদিন আমাকে অফিসের কাজে রাস্তায় বের হতে হয়। এবং অফিসে আসার মাধ্যম হিসেবে গাড়ী ব্যবহার করতে হয়। ৮-৯ কিলোমিটার (মিরপুর পল্লবী থেকে বিজয় স্বরণী হয়ে মহাখালী, আমতলী পর্যন্ত) পথ সকালে হেঁটে এসে অফিস করা দূরহ। যদিও অফিস থেকে বের হয়ে গাড়ী না পেলে মাঝে মাঝে ক্যান্টনমেন্ট এর ভিতর দিয়ে হেঁটে প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ চলে আসি অর্থাৎ মিরপুর ১৪ পর্যন্ত। তারপর পল্লবী পর্যন্ত বাকি পথ গাড়ী ব্যবহার করে আসি। সত্যিকার অর্থে নগরে সকল সুযোগ-সুবিধা থাকার পরেও আমাদেরকে কেনো এমন কষ্ট করতে হবে!? কেনো সকাল ৮টায় বের হয়ে এই ৯ কিলোমিটার পথ আসতে সাড়ে দশটা বাজবে!? এই কষ্টটার মূলে রয়েছে রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম। যদিও এর জন্য সরকারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একের পর এক প্লানসহ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে বলে মনে হয় না।
কারণ, যাদের উদ্দেশ্যে আইন করা হয় এবং এই আইন বাস্তবায়ন যাদের হাতে; তারাই তো আইনের সঠিক প্রয়োগ করছে না। তা হলে নগর জীবনে মানুষের ভোগান্তি কমবে কেনো? বরং উল্টো বেড়েছে। আগে রাস্তায় জ্যাম থাকতো এখন রাস্তার উপর ফ্লাইওভারেও জ্যাম চলছে এক সাথে। তবে নগর জীবনের বসবাসকৃত নাগরিকদের (যারা মূলত বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত এবং প্রতিদিন সকালে কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করতে হয়) সমস্য অনেকাংশে কমে আসতে পারে যদি আমাদের দেয়া নির্দেশনাগুলো পূরণ করতে পারেন। তবে এগুলো যারা বাস্তবায়নের দায়িত্বে আছেন, তাদের নিম্নরুপ :
০১। শহর/নগর ট্রাফিক বিভাগ ০২। সড়ক ও যোগাযোগ বিভাগ এবং ০৩। সিটি কর্পোরেশন।
নির্দেশনাগুলো নিম্নরুপ :
✔ ০১। সকাল ৭ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৪ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত কোনো প্রাইভেট গাড়ী (কার, কাইক্রো, জীপ) শহর/নগর কেন্দ্রিক রাস্তায় বের করা যাবে না। শুধু পাবলিক গাড়ী চলবে। ঐ সকল ব্যক্তিরাও পাবলিক সার্ভিসে চড়ে অফিসে যাবেন।
✔ ০২। বামপাশের লেন কখনোই বন্ধ করা যাবে না। এবং কোনো কারণেও ট্রাফিক সিগন্যাল বলবৎ রাখা যাবে না।
✔ ০৩। যত্রতত্র লেন ক্রসিং করা যাবে না। এবং যত্রতত্র থেকে যাত্রী উঠানো যাবে না।
✔ ০৪। নির্দিষ্ট ষ্টপেজ ছাড়া কোনো পাবলিক গাড়ী (হউক সিটিং এবং লোকাল) দেড় মিনিটের বেশি দাঁড়াতে পারবে না। নির্দিষ্ট ষ্টপেজের জন্য যাত্রী সংখ্যা নির্ধারিত করে দিতে হবে।
✔ ০৫। ০১, ০২, ০৩, ০৪ নম্বর লেনের গাড়ী নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। তবে সে সকল পাবলিক গাড়ী নির্দিষ্ট পয়েন্টে এলেই কেবল তার পথে যাওয়ার জন্য গাড়ীর সিগন্যাল বাতি জ্বালিয়ে লেন ক্রসিং করতে পারবে। এবং যাত্রী উঠানো এবং নামানোর সময়ও তা করতে পারবে। এছাড়া লেন ক্রসিং অমান্য করা যাবে না।
✔ ০৬। কখনো-সখনো রাস্তায় কাজ হলে উভয় দিকের গাড়ী চলাচল উপযোগী রাস্তা রেখে অর্থাৎ বিকল্প রাস্তা রেখে কাজ করতে হবে।
✔ ০৭। রাস্তার দুই পাশ থেকে অবৈধ দখলকৃত পুটপাথ পথচারীদের জন্য উম্মুক্ত রাখতে হবে। কখনোই তা ভাসমান দোকানদারদের দখলে দেয়া চলবে না।
✔ ০৮। এবং প্রতিটি সিগন্যাল বাতি কিংবা ট্রাফিক পয়েন্টে দেড় মিনিটের বেশি সিগন্যাল সক্রিয় রাখা যাবে না। এবং প্রতিটি রোড়ের জন্য তা সমান ভাবে কার্যকর থাকতে হবে। এখানে সাধারণ কিংবা ভিআইপি রোড় যাই হোক কোনো ভাবেই তা দেড় মিনিটের বেশি/কম করা যাবে না। উদাহরণ স্বরুপ বলছি-যেমন রেঙ্কস ভবন মোড়ে ৬ টা কানেকশান পায়। সে হিসেবে সিগন্যাল পাবে ৩ টি। অর্থাৎ প্রতিটি সিগন্যালে ২টি বিপরীত দিকে গাড়ী চলবে। সেখানে আমি যদি প্রথম সিগন্যালটি পাই তবে আমার ট্রাফিক সিগন্যাল ক্লিয়ার পাবে দেড় মিনিট হিসেবে সাড়ে চার মিনিট এর সময়। কিন্তু দেখা গেলো সেখানে আমাকে ১৫-১৭ মিনিট সিগন্যালে থাকতে হয়। এটা ঠিক করতে হবে ট্রাফিক বিভাগকে।
এখন আমরা আশা করতে পারি, যদি উল্লেখিত (০৮) আটটি নির্দেশনা যথাযথ ভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তবে শহর/নগরের ট্রাফিক জ্যাম শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। আর আমরাও গেয়ে থাকবে-আমাদের দেশেই হয়েছে এমন পথ সবে/আড়াই ঘন্টার পথ যায় আধা ঘন্টায় তবে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১
রুপম হাছান বলেছেন: আমরাও। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৮
বিজন রয় বলেছেন: আশায় আছি।