![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’
বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের কি দায়িত্ব তা তাদের নীতিমালায় স্পষ্ট থাকলেও তাদের কার্যক্রম দেখে আমরা অবাক হই! কারণ সাধারণ ছাত্র জনতা যেভাবে ট্রাফিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন গত পাঁচ দিন ধরে, সেখানে ট্রাফিক পুলিশের লোকেরা রাস্তার এক পাশে দাঁড়িয়ে কেউ বা আবার এসব ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে ছাত্রদের কার্যক্রম গুলো দেখে যাচ্ছেন অসহায়ের মতো! আমার মনে হয় ঘটনাক্রমে ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত কিছু ঘুষখোর, অসাদু পুলিশগুলো এসব ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ট্রাফিক বিভাগের অনেক অজানা কিছু নিয়ম-কানুন শিখে নিচ্ছেন। কিভাবে কাগজপত্র দেখতে হয়! কত দ্রুত গাড়ীর চেক করে রাস্তা ক্লিয়ার করে দিতে হয়। কাগজপত্র না থাকলে তাদের কি দায়িত্ব ও কাজ থাকে সেটাও খুব মনোযোগ দিয়ে দেখছিলেন ঐসকল অসাদু ট্রাফিক পুলিশগুলো। যদিও কিছু অসাধু ট্রাফিক পুলিশ ছাত্রদের কার্যক্রম দেখে বিরক্ত হচ্ছিলেন কারণ গত পাঁচ দিন ধরে তাদের অবৈধ রুটি-রুজিতে হাত দিয়েছেন এসব কোমল কঁচি ছাত্ররা! হা হা হা।
যদিও তারা এসবে বিরক্ত আমার মনে হয় দেশের সকল নাগরিক এই কোমল কঁচি ছাত্রদের কাজকর্মে দারুণ খুশি। যদিও এসব কারণে সাধারণ লোকের অফিস-আদালতে আসা-যাওয়া কিছুটা কষ্ট হচ্ছে বৈকি, তারপরেও রাস্তায় এক ধরণের ভিন্ন আঙ্গিকে ট্রাফিক শৃঙ্খলা দেখে আমরা সাধারণ জনগণ কষ্টের তুলনায় অনেক বেশি খুশি বোধ করছি। যেটা ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্ব ছিলো সেটা তারা কখনোই করতে পারেনি যা এসব ছাত্ররা করে দেখিয়ে দিচ্ছে।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে দেশের টাকা নষ্ট করে এসব অপদার্থ ট্রাফিক পুলিশ দিয়ে কার লাভ হচ্ছে?! বরং প্রতিনিয়তই রাস্তায় দুর্ঘটনা আর জ্যামের পিছনের এই বিভাগের সরাসরি হাত রয়েছে বলে মনে করি। আমি মন ভরে সাধুবাদ জানাচ্ছি এসব কোমল কঁচি ছাত্রদের সততার সহিত রাস্তায় শৃঙ্খলা আনয়নে ভূমিকা রাখার জন্য। সাথে সাথে অবৈধ ভাবে যারা ক্ষমতায় থেকে দেশের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়তই এবং এই জাতির দুঃখ দুর্দশা দেখে এবং শুনে দাঁত কেলিয়ে হাঁসছেন তাদের অবিলম্বে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে কিংবা দায়িত্ব থেকে নিজ দায়িত্বে সরে গিয়ে, দেশের সাধারণ মানষকে জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেবেন। এবং দ্রুততার সাথে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে কর্তৃপক্ষ কার্যকর ভুমিকা পালন করবেন।
সর্বশেষ বলবো, কাউকে ছাড় নয় আবার কাউকে সুবিধা নয়। সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। জয় হোক কোমল কঁচি ছাত্র জনতার।
২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর ঢাকায় প্রথমবার ইমার্জেন্সি লেন আবার তা দিয়ে এম্বুলেন্স যেতে পারছে । এলাকাঃ খিলখেত।
স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর ঢাকায় প্রথমবার ইমার্জেন্সি লেন আবার তা দিয়ে এম্বুলেন্স যেতে পারছে । এলাকাঃ খিলখেত।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩
রুপম হাছান বলেছেন: যেটা দেশের আইন পারেনি, পারেনি করে দেখাতে সরকারের চাপোষা ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ। সেখানে ছোট ছোট ছাত্ররা তা করে দেখিয়েছে। তবুও অহমিকা আর আত্মগরিমা কমছেনা বরং এইসব কোমল কচি ছাত্রদের দমাতে এক জগণ্য অপরাধের দিকে পা বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার।
যেটা গতকালকে ঝিগাতলা এরিয়াতে ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে করা হয়েছে। শুধু ছাত্রদের চোখ তুলে কিংবা হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি এই নরপশুর লীগাররা, করেছে ৭১ এর আদলে নারীদের সম্ভ্রমহানী শেষে হত্যা!!!
মহান আল্লাহ এসব অবৈধ লীগারদেরকে ফেরাউনের/কেনানের মতো বাংলার জমিন থেকে অপমানের সহিত ধ্বংস করে দিন। আমীন।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯
রুপম হাছান বলেছেন: গুলশান-মহাখালী-এয়ারপোর্ট রোড় ক্রস মোড় থেকে তোলা ছবি।