![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকল প্রকার চলচ্চিত্র দেখতে ও চলচ্চিত্র নিয়ে লেখতে ভালোবাসি। তাছাড়া কবিতা পড়তে ভালো লাগে, মাঝেমাঝে নিজেও দু-এক লাইন লেখার চেষ্টা করি। fb/bd.r.habib
মুভির পটভূমি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কাল। জাপানের এই অ্যানিমেশন মুভিটি যুদ্ধবিরোধী মুভি, যেখানে দেখানো হয়েছে এক জোড়া ভাই- বোনের যুদ্ধের সময় বিভিন্ন প্রতিকুলার মধ্য দিয়ে যাওয়ার গল্প। দুই ভাই-বোনের মাধ্যমে পরিচালক যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে জাপানের সাধারণ মানুষের দুঃখ, দূদর্শা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
গল্পসংক্ষেপঃ
কাহিনী শুরু হয় মৃত্যুর সাথে লড়াই করতে থাকা এক কিশোর(সেইতা) এর ফেলে আসা যুদ্ধচলাকালীন ভয়াবহ দিন গুলোর বর্ণনার মাধ্যমে। জাপানে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের শেষের সময় একের পর এক বিমান হামলা হচ্ছিলো।
বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে যায় দুই ভাই-বোন সেইতা আর সেতসুকোর বাড়িঘর সাথে গোটা শহর। তাদের বাবা নৌবাহিনীতে যুদ্ধে আছেন এনং মা বিমান হামলায় গুরুত্বর আহত হয়ে মারা যান।
তারপর শুরু হয় দুজনের দুর্বিষহ দিনগুলো। নিজেদের জীবন বাচাতে আশ্রয় নেন দূর সম্পর্কের আত্মীয় এর বাসায়। কিন্তু সেখানে অবহেলায় আর অনাদরের কারনে টিকে থাকতে পারেনি এবং শেষ আশ্রয় টুকু বিদায় জানাতে হয়। অনাহারে, কস্টে তখন আশ্রয় নেয় পরিত্যক্ত একটি বম্ শেল্টারে।
সময়ের সাথে সাথে তাদের দিনগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হতে থাকে।
যারা মুভিটি এখনো দেখেননি তাড়াতাড়ি দেখে ফেলুন, আপনার সময় নষ্ট হবেনা গ্যারান্টি দিচ্ছি।
কিছু কথা বলার লোভ সামলাতে পারছিনা। হাজার কস্টের মাঝেও রাতে ঘুটঘুটে অন্ধকারে সেইতা আর সেতসুকো অনেক গুলো জোনাক পোকা ধরে এনে শেল্টারে আলোর ব্যাবস্তা করা অথবা সেইতা তার ছোট বোনটির মুখে খাবার দেয়ার অপ্রাণ চেষ্টা আপনাকে আবেগপ্রবণ করবে। এতো করুণ সময়ের মাঝেও ছিল ভাই-বোন এর নির্মল ভালোবাসা।
আপনার নিজের অজান্তেই চোখের পানি ঝড়বে,যখন জোনাকি পোকা গুলো মারা যাওয়ার পর সেতসুকো কবর দেয়ার সময় প্রশ্ন করে ” জোনাকি পোকারা কেনো এতো অল্পবয়সে মারা যায়? আর মা কেনো মারা গেলো ” হৃদয় বিদারক একটি দৃশ্য।
যারা মনে করেন অ্যানিমেশন শুধু বাচ্চাদের জন্য তাদের এই মুভিটা দেখা উচিত। অ্যানিমেশন মুভির মাধ্যমে এতো সুন্দর করে গল্প বলার জন্য পরিচালক বাহবা পেতেই পারেন।
স্টুডিও জিবলীর সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে তারা জানেন যে এই স্টুডিও কত ভালো অ্যানিমেশন মুভি উপহার দিয়েছেন। জিবলীর স্টুডিও এর সেরা কাজ বলবো আমি এই মুভিটিকে। আরেকটি ছোট তথ্য হল মুভিটির পরিচালক “ইসাও তাকাহাতা” ছিলেন যুদ্ধে সেই বম্ ব্লাস্টে সারভাইব করা এক মাত্র এনিমেটর। বুঝতেই পারছেন পরিচালকের নিজস্ব অনুভূতিও কাজ করেছে এই টোটাল প্রজেক্টে।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১০
হাবিব রহমানন বলেছেন: আপনার মন্তব্য এর জন্য ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: অ্যানিমেশন মুভির মাধ্যমে এতো সুন্দর করে গল্প বলার জন্য পরিচালক বাহবা পেতেই পারেন। -- এত সুন্দর একটা মুভির সাথে সহজ সরল কথায় আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য আপনিও পাঠকের বাহবা পেতেই পারেন। ক্ল্যাপস! ক্ল্যাপস! ক্ল্যাপস!
আপনার প্রথম লেখাটায় প্রথম মন্তব্য দিলাম, প্রথম 'লাইক'ও করলাম।
এই ব্লগে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনার বিচরণ আনন্দময় হোক, স্বচ্ছন্দ হোক! নিরাপদ হোক!