![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকল প্রকার চলচ্চিত্র দেখতে ও চলচ্চিত্র নিয়ে লেখতে ভালোবাসি। তাছাড়া কবিতা পড়তে ভালো লাগে, মাঝেমাঝে নিজেও দু-এক লাইন লেখার চেষ্টা করি। fb/bd.r.habib
নীরাম/টাইম/সময়……
পৃথিবীতে দুই ধরনের “সময়” আছে। ভাল সময় ও খারাপ সময়, এই দুই ধরনের “সময়” এর মধ্যবর্তীতে মানুষের জীবনে ঘটে যায় বিভিন্ন রোমাঞ্চকর ঘটনা আর এমন কিছু রোমাঞ্চকর ঘটনার হিউমার মিশ্রিত মিলবন্ধনের প্রেক্ষাপটেই এই সিনেমাটি তৈরি।
Neram (2013)
জনরাঃ থ্রিলার । কমেডি
আইএমডিবি রেটিংঃ ৭.৪/১০
ভাষাঃ মালায়ালাম ও তামিল
পরিচালক, স্ক্রিনপ্লে & এডিটরঃ এলফোন্স পুতরে
কাস্টিংঃ নিভিন পউলী, নাজরিয়া নাজিম,ববি সিমাহ প্রমুখ
গল্প সংক্ষেপঃ সদ্য চাকরীচ্যুত ম্যাথিউ (নিভিন পউলী) তার বোনের বিয়ের জন্য লোকাল লোন শার্ক ও গ্যাংস্টার রাজা (ববি সিমাহ) এর কাছ থেকে ৫০হাজার টাকা ধার নেই এবং নিদিষ্ট সময়ে সুদসহ টাকা ফেরত দেয়ার পতিশ্রুতি দেয়। অতঃপর লোন পরিশোধ করার সময় আসলে ম্যাথিউ কোন উপায় না পেয়ে তার বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার নেয়। অন্যদিকে ম্যাথিউয়ের চাকরীচ্যুত হওয়ার সুবাদে তার বাগদত্ত জিনা (নাজরিয়া নাজিম) এর বাবা বিয়েতে আপত্তি জানালে জিনা ম্যাথিউ এর কাছে আসার জন্য বাসা থেকে বের (পালিয়ে) হয়ে আসে। যার কারনে জিনার বাবা “জনকুট্টি” থানায় তার নামে অপহরণের মামলা করে। এই ঘটনাগুলো সহ ঘটতে থাকে আরো মজার ও রোমাঞ্চকর ঘটনা।
সিনেমাটি ভাল লাগার ক্ষেত্রে অনেক উপাদান রয়েছে। থ্রিলার ও ডার্ক কমেডির পারফেক্ট কম্বিনেশন এই মুভিতে বিদ্যমান রয়েছে। প্রতিটা সিকুয়েন্সে পাঞ্চলাইন ও হিউমারে পরিপূর্ণ, বিশেষ করে সেকেন্ড হাফে। সিনেমাটোগ্রাফিও ভালোয় ছিল। তাছাড়া সময় অতিবাহিত হওয়ার ক্ষেত্রে ম্যাথিউ এর টুথপেস্টের পেস্ট অল্প অল্প করে শেষ হওয়ার দৃশ্যের মত অনেক দৃশেই পরিচালক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন। আর সিনেমার অনেক দৃশ্যে স্লো মোশন ব্যাবহার করা হয়েছে যা ঐ সময়ের জন্য মানানসয় লেগেছে। আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ঠিকঠাক ছিল, গানের কথা বললে “ভাতিল মেল্লে” ও “পিস্তা” গানটি অনেক এন্টারটেইনিং লেগেছে।
আর সিনেমার গল্প বলার ধরন আপনাদের পরিচিত মনে হবে। পরিচিত লাগার কারণও আছে। যেমন সিনেমার শুরু হয় পরিচালক কোয়েন্টিন টারান্টিনোর ১৯৯৪ সালে “Empire Magazine” কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারের একটি উক্তির “I steal from every movie ever made” মাধ্যমে। সুতরাং বুঝায় যাচ্ছে এলফোন্স পুতরে সাহেব টারান্টিনোর বেশ বড়সড় ফ্যান। সুতরাং মেকিং এ কিছুটা প্রভাব কাজ করাটা স্বাভাবিক।
আর পরিচালকের মুভি সেন্স যে অনেক হায় তার একটা ছোট উদাহরণ দেয়, সিনেমার একটি দৃশ্যে দেখানো হচ্ছে ম্যাথিউ এর বন্ধু ফিল্ম মেকিং এর ক্লাস নিচ্ছে,সেই ক্লাসের দেয়ালে মাস্টারপিস “12 Angry Men” সিনেমার নাম লেখা আছে। তাছাড়া সে নিজেও ফিল্ম মেকিং এর উপর ডিপ্লোমা করেছে। পরিচালকের ডেবিউ সিনেমা এটা ও তার দ্বিতীয় সিনেমা এ বছর মুক্তি পাওয়া “Premam” বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
অভিনয় প্রসঙ্গে বললে মালায়ালাম সিনেমা দেখা শুরু করার সুবাদে ইতিমধ্যেই নিভিন এর ফ্যান হয়ে গেছি। নিভিন অভিনীত Bangalore Days, Thattathin Marayathu , Ohmm Shanthi Oshaana, Premam সিনেমা গুলোতে তার পারফমেন্স দেখলে যে কেউ মুগ্ধ হবে নিশ্চিত। বিশেষ করে একই পরিচালকের “প্রেমাম” মুভিতে তার পার্ফমেন্স অসাধারন লেগেছে। এই মুভিতেও হতাশ করেনি।
আর নাজরিয়া নাজিম,যদিও এই সিনেমাতে খুব একটা সুযোগ পায়নি তবুও সে সিনেমাতে আছে এটাতেও একটা প্রশান্তি কাজ করেছে। খুব মিষ্টি একটা মেয়ে, ব্যাক্তিগত ভাবে Ohm Shanthi Oshaana, Bangalore Days,Raja Rani,Samsaaram Aarogyathinu Haanikaram সিনেমা গুলোতে তার পার্ফমেন্স ভাল লেগেছে। তার সিনেমা দেখেছে অথচ তার প্রেমে পড়েনি এমন ঘটনা বোধয় কমই ঘটেছে। যাক, সিনেমায় “ভাতিল মেল্লে” গানটিতে নিভিন আর তার কেমেস্ট্রি ভাল ছিল।
আর আমার দৃষ্টিতে এই সিনেমায় ভিলেন “রাজা” চরিত্রের ববি সিমহার অভিনয় ছিল সেরা। তার এক্সপ্রেশন ও ডায়লগ ডেলিভারি প্রশংসনীয়। তাছাড়া অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করা ছোট ভিলেন,লম্বা ভিলেন, কালো ভিলেন,সাদা ভিলেনদেরও ভাল লেগেছে অনেক (আমাকে রেসিস্ট ভাববেন না প্লিজ,সিনেমা শেষে “পিস্তা” গানটা দেখলেই বুঝবেন এমনটা কেন বলেছি)।
সুতরাং সময় করে দেখে ফেলুন থ্রিলার ও কমেডি ধরনার এই অসাধারন সিনেমাটি।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৭
হাবিব রহমানন বলেছেন: দেখে ফেলুন অসাম সিনেমা
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখিতে হইবেক।