নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক চারিত্রিক সনদপত্র প্রাপ্ত

হাবিব রহমানন

সকল প্রকার চলচ্চিত্র দেখতে ও চলচ্চিত্র নিয়ে লেখতে ভালোবাসি। তাছাড়া কবিতা পড়তে ভালো লাগে, মাঝেমাঝে নিজেও দু-এক লাইন লেখার চেষ্টা করি। fb/bd.r.habib

হাবিব রহমানন › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতির পাতায় মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র “হাঙর নদী গ্রেনেড (১৯৯৭)”!!!

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মান করা সিনেমার মধ্যে আমার অন্যতম প্রিয় একটি সিনেমা হচ্ছে ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া “হাঙর নদী গ্রেনেড” নামক সিনেমাটি। ছোটবেলায় স্বাধীনতা দিবস অথবা বিজয় দিবসে বিটিভিতে প্রায় এই সিনেমাটি সম্প্রচারিত হত বলে অনেকবার দেখা হয়েছে। তখন সিনেমাটির নামও জানতাম না ভাল করে কিন্তু সিনেমা দেখার সময় এক প্রকার ভাল লাগা,আবেগ, মুক্তিযুদ্ধ চেতনা কাজ করতো ভিতরে। এখনো স্পষ্ট চোখের সামনে ভাসে সুচরিতার সেই দুজন তরুণ মুক্তিযুদ্ধা কে বাঁচানোর জন্য নিজের বোবা ছেলে “রহিজ/রইজ” কে পাকসেনাদের হাতে তুলে দেয়ার সেই বিষাদময় দৃশ্যটি। এই দৃশ্যটা আসার সময় আমার মা প্রতিবারই কেঁদে দিতেন। আজ হঠাৎ সিনেমাটির কথা মনে পরে গেল। নিশ্চিত বলা যায় ৯০ দশকে অথবা কাছাকাছি সময়ে যাদের জন্ম তাদের এই সিনেমাটি অনেকবার দেখেছেন।
সিনেমাটিতে মুক্তিযুদ্ধ কে অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলার পাশাপাশি আবহমান গ্রাম বাংলার দৃশ্য গুলোও দেখার মত ছিল। কৃষক চরিত্রে সোহেল রানার হাল চাষ করা, চার দিয়ে মাছ ধরা অথবা “বুড়ি” চরিত্রে গ্রামের চঞ্চল-তরুণীর সারা গ্রামে বয়ে বেরানো, বৈরাগীনি চরিত্রে অরুনা বিশ্বাস সহ আরো অনেক গ্রাম বাংলার সচিত্র দেখানো হয়েছে খুব সুন্দর ভাবে।

প্রয়াত পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম এই সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। প্রথমে সেলিনা হোসেন এর বিখ্যাত উপন্যাস “হাঙর নদী গ্রেনেড” অবলম্বনে সত্যজিৎ রায় সিনেমাটি নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন কিন্তু পরে বিভিন্ন কারনে আর করা হয়নি। পরবর্তিতে লেখিকা সেলিনা হোসেন এর সাথে আলোচনা করে চাষী নজরুল ইসলাম সিনেমাটি নির্মান করেন।

হাঙর নদী গ্রেনেড (১৯৯৭)
পরিচালনাঃ চাষী নজরুল ইসলাম
গল্পঃ সেলিনা হোসেন
অভিনেতাঃ সোহেল রানা,চম্পা,সুচরিতা,অরুনা বিশ্বাস, রাজীব,মিজু আহমেদ প্রমুখ।

ইউটিউব লিংকঃ

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ছবিটি আমারও খুব প্রিয়

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৬

হাবিব রহমানন বলেছেন: নিঃসন্দেহে :)

২| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ক্লাসিক সাহিত্যের ক্লাসিক চলচ্চিত্রায়ণ।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৬

হাবিব রহমানন বলেছেন: :)

৩| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ছবিটি আমিও কয়েকবার দেখেছি।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৭

হাবিব রহমানন বলেছেন: দেখারই কথা, বিটিভিতে প্রায় প্রচার করা হত :)

৪| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

কল্লোল পথিক বলেছেন: কিন্তু পরিচালক কে কেউ মনে রাখেনি।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩০

হাবিব রহমানন বলেছেন: কি যে বলেন :)
এমন মানুষ কমই পাওয়া যাবে যারা চাষী নজরুল ইসলাম কে চেনে না :)

৫| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১

লা পাতা বলেছেন: সুন্দর রিভিউ । ভাল লিখেছেন । :)

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

হাবিব রহমানন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ :)

৬| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১২

উল্টা দূরবীন বলেছেন: ছবিটি দেখেছি। রিভিউর জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩০

হাবিব রহমানন বলেছেন: ঠিক রিভিউ বললে ভুল হবে :) অনুভূতি প্রকাশ বলতে পারেন

৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



রিভিউ পড়ে মন ভরে নাই।

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২১

হাবিব রহমানন বলেছেন: আসলে এটা ঠিক রিভিউ না, অনুভূতি প্রকাশ অথবা নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত বলতে পারেন :)
তাই বিস্তারিত লেখা হয়নি।

৮| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১১

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: অসাধারণ একটি মুভি। মুভিটি প্রতিবার দেখার সময় আমারও ঠিক আপনার মত অনুভূতি হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.