নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক চারিত্রিক সনদপত্র প্রাপ্ত

হাবিব রহমানন

সকল প্রকার চলচ্চিত্র দেখতে ও চলচ্চিত্র নিয়ে লেখতে ভালোবাসি। তাছাড়া কবিতা পড়তে ভালো লাগে, মাঝেমাঝে নিজেও দু-এক লাইন লেখার চেষ্টা করি। fb/bd.r.habib

হাবিব রহমানন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী “এন্ড্রু কিশোর”!!!

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮

মা শিক্ষিকা মিনু বাড়ৈ তার প্রিয় শিল্পী কিশোর কুমারের নামের সাথে মিল রেখে সন্তানের নাম রাখলেন। শখের বশে রাখলেও তিনি হয়তো ভাবেননি যে তার এই সন্তানই হবে বাংলা সিনেমার গানের ইতিহাসের জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী।

বলছিলাম বাংলা গান ও বাংলা সিনেমার গানের জগতের সফল সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব "এন্ড্রু কিশোর" এর কথা। এই নামটি বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত। সেই ৮০ দশক থেকে শুরু করে বর্তমান সময়েও সফলভাবে গেয়ে যাচ্ছেন। চার দশক ধরে আমাদের উপহার দিয়ে যাচ্ছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান।
এন্ড্রু কিশোরের জনপ্রিয় গান গুলোর তালিকা করা দুরূহ ব্যাপার, কেননা বাংলা সিনেমার ইতিহাসে তার মত প্লেব্যাক সিঙ্গার খুব কমই আছে যে কিনা অসংখ্য সুপারহিট গান উপহার দিয়েছেন। বর্তমানে আমরা বিভিন্ন শিল্পী কে ফলো করলেও আমরা_যাদের ৯০ দশকের কাছাকাছি জন্মসাল তারা বড় হয়েছি রেডিও তে, টেপ রেকর্ডারে, সাদাকালো/রঙিন টিভিতে সবসময় এন্ড্রু কিশোরের গান শুনে।
এন্ড্রু কিশোর ১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহন করেন।
বাবা ক্ষীতিশ চন্দ্র বাড়ৈ ও মা মিনু বাড়ৈ।

এন্ড্রু কিশোর প্রাথমিকভাবে সংগীত পাঠ শুরু করেন রাজশাহীর আবদুল আজিজ বাচ্চুর কাছে।
১৯৭৯ সালে বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক আলম খানের সূর ও সংগীতে "প্রতীজ্ঞ" সিনেমার 'এক চোর যায় চলে' গানের মাধ্যমে প্লেব্যাকে জীবন শুরু করেন। তারপরে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
বলা হয়ে থাকে, তৎকালীন সময়ে সঙ্গীত পরিচালক আলম খানের সূরে এন্ড্রু কিশোরের গান মানেই ছিল সুপারহিট।
ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, কি যাদু করিলা, জীবনের গল্প আছে বাকী অল্প, সবাই তো ভালোবাসা চায়, আমি একদিন তোমায় না দেখিলে, আমি পাথরে ফুল ফুটাবো, ভালোবাসিয়া গেলাম ফাঁসিয়া ইত্যাদি গান গুলোই তার বড় প্রমান।



তাছাড়া আলাউদ্দিন আলী, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, আনোয়ার পারভেজসহ কাজ করেছেন আরো অনেক বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালকদের সাথে। বর্তমানের অনেক তরুন সঙ্গীত পরিচালকদের সাথেও সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
নায়ক রাজ রাজ্জাক থেকে শুরু করে ফারুক, আলমগীর, সোহেল রানা, জসিম , জাফর ইকবাল, ইলিয়াস কাঞ্চন ,সালমান শাহ, মান্না, রুবেল, ওমর সানী, রিয়াজ, ফেরদৌস, শাকিব খানসহ বর্তমানের অনেক তরুন অভিনেতারাও তার কন্ঠে ঠোঁট মিলিয়েছেন। আর সব ধরনের অভিনেতাদের সাথে তার কন্ঠ কেমন যেন মানিয়ে যায় সবসময়।

তাছাড়া একাধারে উপহার দিয়েছেন একক-দ্বৈত সব ধরনার দেশাত্মবোধক, প্রেম ,বিরহ, ফোক এবং কৌতুকপূর্ণ গান। দ্বৈত গান গেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমীন, রুনা লায়লা, কনক চাপাদের মত বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীদের সাথে।
সংগীতে তার অসাধারন অবদানের জন্য তিনি অনেকবার "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার" পেয়েছেন।
বাংলা সিনেমার সংগীতাংগন সবসময় এন্ড্রু কিশোরের কাছে ঋণী থাকবে। বাংলা সিনেমার গানের রাজ্যে আরেকটি এন্ড্রু কিশোর আসেনি আর কখনো আসবেনা।

এন্ড্রু কিশোরের কিছু বিখ্যাত গানের তালিকাঃ
আমার সারাদেহ খেয়ে গো মাটি, আমার বুকের মধ্যখানে, আমার বাবার মুখে, আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে, তোমায় দেখলে মনে হয়, পড়ে না চোখের পলক, প্রেমের সমাধি ভেঙ্গে, সবাই তো ভালোবাসা চায়, তুমি আমার জীবন ইত্যাদি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঈশ্বর তার ওপর একটু বেশিই পক্ষপাতিত্ব করে ফেলেছেন। আহা! কী গলা একটা!

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫

হাবিব রহমানন বলেছেন: একমত :)

২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে!’ গানটি এখনও ভুলিনি।
আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

হাবিব রহমানন বলেছেন: ভুলার মত গানও এটা না :) শুভেচ্ছা নিবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.