![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকল প্রকার চলচ্চিত্র দেখতে ও চলচ্চিত্র নিয়ে লেখতে ভালোবাসি। তাছাড়া কবিতা পড়তে ভালো লাগে, মাঝেমাঝে নিজেও দু-এক লাইন লেখার চেষ্টা করি। fb/bd.r.habib
পৃথিবীতে প্রেম-ভালোবাসা আবেগ অথবা অনুভূতির সংমিশ্রণে সর্বদায় রহস্যময়। কখনো প্রেমময় সম্পর্ক প্রশংসায় মুখরিত হয়েছে কখনো আবার জর্জরিত হয়েছে সমালোচনায়। যুগে যুগে ভালোবাসার সম্পর্ক গুলো সম্মুখীন হতে হয়েছে নৈতিকতার সীমারেখায়, পারিবারিক অনিশ্চয়তায় , সামাজিক বাঁধা এবং ধর্মীয় ভাবনায়। তাই প্রেম-ভালবাসার ব্যাপারটি আপেক্ষিক বলায় শ্রেয়, ভালমন্দ অনেকটা নির্ভর করছে ব্যাক্তি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গির উপর। তেমনি একটি বিতর্কিত ঐতিহাসিক প্রেমের গল্প “বাজিরাও মাস্তানী”। আঠারো শতকে মারাঠা সাম্রাজ্যের পেশোয়া “বাজিরাও বাল্লাল” ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী “মাস্তানী” এর মহাকাব্যিক প্রেমের গল্প নিয়ে তৈরি “বাজিরাও মাস্তানী” সিনেমাটি।
বাজিরাও মাস্তানী (২০১৫)
জনরাঃ হিস্টোরি । রোমান্স । ড্রামা
আইএমডিবি রেটিংঃ ৭.৩/১০
কাস্টঃ রনভীর সিং, দীপিকা পাড়ুকোন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, তানভি আজমি প্রমুখ।
স্ক্রিনপ্লেঃ প্রকাশ আর কাপারিয়া
সিনেমাটোগ্রাফারঃ সুদীপ চ্যাটার্জি
সঙ্গীত ও পরিচালকঃ সঞ্জয় লীলা বনশালী
সিনেমার গল্পের শুরু হয় আঠারো শতকের ছত্রপতি(রাজা) সাহু এর মন্ত্রীসভায় নতুন পেশোয়া নিয়োগ নিয়ে। নিজের বুদ্ধিমত্তা ও যুদ্ধের রণকৌশলীর দক্ষতার কারনে “বাজিরাও বাল্লাল” নতুন পেশোয়া হিসেবে নির্বাচিত হয়।
দায়িত্ব পাওয়ার পরেই শুরু হয় তার যুদ্ধ জয়ের দুঃসাহসী অভিযান। অসামান্য দক্ষ রণকৌশলীর জন্য জয়ী হতে থাকেন একের পর এক যুদ্ধে। এইদিকে যুদ্ধে থাকা অবস্থায় বাজিরাও এর জন্য মহলে অপেক্ষা করতে থাকে তার স্ত্রী “কাশীবাঈ”।
অন্যদিকে বুন্দেলখণ্ডের রাজা “ছত্রশাল” যুদ্ধের জন্য সাহায্য চেয়ে তার কন্যা “মাস্তানি” কে পাঠান পেশোয়া বাজিরাও এর কাছে। এখান থেকেই মাস্তানির সাথে বাজিরাও এর পরিচয়, পরবর্তিতে প্রনয়ে রুপান্তরিত হয়। তারপর সম্পর্কের টানাপোড়ন নিয়ে সিনেমার গল্প এগিয়ে যায়।
সঞ্জয় লীলা বনশালীর অনেকটা ড্রিম প্রোজেক্ট ছিল এই সিনেমা। দীর্ঘ বারো বছর আগে তিনি এই সিনেমাটি নির্মান করতে চেয়েছিলেন, কাস্টিং ভাবনা ছিল বাজিরাও চরিত্রে সালমান খান, মাস্তানী চরিত্রে ঐশ্বরিয়া রায় এবং কাশীবাঈ চরিত্রে রানী মুখার্জি। কিন্তু বিভিন্ন কারনে এতদিন হয়ে উঠেনি সিনেমাটি। শেষ পর্যন্ত ২০১৩ সালের “রামলীলা” জুটি রনভীর ও দীপিকা এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়া কে নিয়ে বনশালী নির্মান করলেন “বাজিরাও মাস্তানী”
ব্যাক্তিগতভাবে সঞ্জয় লীলা বনশালীর সিনেমা ভাল লাগার কারন গুলো হচ্ছে, গল্প বলার নাটকীয় ধরন, রাজকীয় সেট ডিজাইন, সঙ্গীত ও তার পার্ফেকশনিস্ট স্বভাবের মেকিং।
হাম দিল দে চুকে সানাম, দেবদাস, ব্ল্যাক, সাওয়ারিয়া, রামলীলা সিনেমা গুলো তার বড় প্রমান। এই সিনেমাতেও এই বিষয় গুলোতে সে হতাশ করেনি। ফলাফল এবারের ফিল্মফেয়ারে ১৪টি নমিনেশনেসহ মোট ৯টি ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার পায় সিনেমাটি।
Bajirao Mastani সিনেমটির ভাল লাগার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে নাটকীয় প্রেমের উপস্থাপন , চোখ ধাঁধানো সেট ডিজাইন, সিনেমাটোগ্রাফি, শ্রুতিমধুর গান, অসাধারন ডায়লগ এবং অসামান্য অভিনয়।
আর আশাহত হয়েছি পর্যাপ্ত যুদ্ধের দৃশ্য না দেখানোর জন্য। সিনেমার ট্রেইলার দেখে আশা করেছিলাম যে ঐতিহাসিক কয়েকটি মন-মুগ্ধকর যুদ্ধের দৃশ্য দেখতে যাচ্ছি বোধহয়। তাছাড়া সিনেমার প্রথম দিকের গল্প অনেকটা ধরগতির মনে হয়েছে। এই দুটো দিক ছাড়া বাকিসব বেশ ভাল ছিল।
অভিনেতাদের মধ্যে প্রথমেই রনভীর সিঙ্গের কথা বলি, নিঃসন্দেহে রামলীলার পরে এটা তার ক্যারিয়ারের সেরা কাজ ছিল। একজন মারাঠা যোদ্ধার চরিত্রে তার শারীরিক কাঠামো, অঙ্গভঙ্গি, ভাষা দারুন মানানসয় ছিল। রনভীর এই চরিত্রের প্রস্তুতির জন্য ১৮দিন টানা হোটেলের কামড়ায় বন্দী থেকে নিজেকে তৈরি করেছিল এবং সে সফল, পেয়েছে প্রথমবারের মত ফিল্মফেয়ারে সেরা অভিনেতার পুরষ্কার।
মাস্তানীর চরিত্রে দীপিকা পাড়ুকোন এর অসামান্য অভিনয় ভুলার নয়। তার সৌন্দর্য, ডায়লগ বলার ধরন, ইমোশনাল দৃশ্য গুলোতে এক্সপ্রেশন সত্যি প্রশংসনীয়। আশা করি মাস্তানী চরিত্রে সিনেমাপ্রেমিরা তাকে আজীবন মনে রাখবে।
সিনেমায় রনভীর আর দীপিকার কেমেস্ট্রি দারুন ছিল।
কাশীবাঈ চরিত্রে প্রিয়াংকার পার্ফমেন্স ছিল সেরা, পতিব্রতা নারী, ধৈর্যের নিদারুণ প্রমান আর বিষাদের অভিব্যাক্তির দারুন নিদর্শন ছিল এই ক্যারেক্টারটিতে। ব্যাক্তিগতভাবে সিনেমায় এই ক্যারেক্টারটির জন্যই নৈতিকগত দিক থেকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা অসাধারন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে এই ক্যারেক্টারটি। প্রিয়াঙ্কা এই পার্ফমেন্স এর জন্য ফিল্মফেয়ারে বেস্ট সাপোর্টীং এক্ট্রেস এর পুরষ্কারও পেয়েছেন।
তাছাড়া রাধাবাঈ চরিত্রে তানভি আজমিও দারুন পার্ফমেন্স করেছেন। বিধবা মায়ের চরিত্রে বেশ ভাল অভিনয় করেছেন তিনি। সিনেমার অন্যান্য চরিত্র গুলোও নিজনিজ জায়গা থেকে ভাল অভিনয় করে গেছেন।
পরিশেষে, সিনেমার গল্প বিতর্কিত হলেও ঐতিহাসিক ট্র্যাজেডি আর গল্প উপস্থাপনের কারনে সিনেমাটি অনেক ভাল লাগবে আশা করি।
২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৭
হাবিব রহমানন বলেছেন: হুম, বোঝলাম
২| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮
রাজজাকুর বলেছেন: ডায়ালগ গুলোই বেশি ভাল লেগেছে।
২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৮
হাবিব রহমানন বলেছেন: একমত
৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২
হাসান রাজু বলেছেন: ভালো প্রিন্ট কি টরেন্টে পাওয়া যাচ্ছে ?
আর আপনার রিভিউ ভালো লেগেছে । ধন্যবাদ ।
২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২২
হাবিব রহমানন বলেছেন: ধন্যবাদ
টরেন্ট ডাউনলোড লিংকঃ Bajirao Mastani 2015 720p BluRay x264
৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৮
কাজী আসিফ বলেছেন: বিতর্কিত কাহিনি বললেন কেন!
২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০২
হাবিব রহমানন বলেছেন: প্রথমত পরকীয়া প্রেমের গল্প, যা নিঃসন্দেহে কন্ট্রোভার্শিয়াল টপিক। তাছাড়া এই গল্প এর ক্ষেত্রে সামাজিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও কিছুটা বিতর্ক রয়েছে
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: এইটার কথা শুনসি অনেক। তবে দেখার আগ্রহ জাগে নি।