নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক চারিত্রিক সনদপত্র প্রাপ্ত

হাবিব রহমানন

সকল প্রকার চলচ্চিত্র দেখতে ও চলচ্চিত্র নিয়ে লেখতে ভালোবাসি। তাছাড়া কবিতা পড়তে ভালো লাগে, মাঝেমাঝে নিজেও দু-এক লাইন লেখার চেষ্টা করি। fb/bd.r.habib

হাবিব রহমানন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অস্কার নমিনেটেড মুভি রিভিউঃ Hacksaw Ridge (2016)!

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৩

One of the greatest war heroes in American history never fired a bullet…সিনেমার ট্যাগলাইনে ওয়ার-হিরো “ডেসমন্ড ডস” কে ঠিক এভাবেই বর্ণনা করা হয়েছে। সত্য ঘটনা অবলম্বনে বর্ণনা করা হয়েছে এমন এক সৈনিকের গল্প যা সিনেমার সুপারহিরোদেরও হার মানায়।

যেকোন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পেছনে অস্ত্রহাতে মোকাবেলা করার পাশাপাশি প্রয়োজন প্রত্যেকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অবদানের। দেশের ডাকে সাড়া দেয়া, দেশের প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়ানোর জন্য দরকার প্রচণ্ড মনোবল ও ইচ্ছাশক্তির। এমনি এক স্বদেশপ্রেমী কে সিনেমার মাধ্যমে পরিচয় করানো হয়েছে, যে কিনা অস্ত্র হাতে না নিয়েও যুদ্ধে কন্ট্রিবিউশনের জন্য সর্বোচ্চ সম্মানসূচক “মেডেল অফ অনার” পেয়েছিলো।

Hacksaw Ridge (2016)
Director: Mel Gibson
Writers (Screenplay): Robert Schenkkan & Andrew Knight
Cast: Andrew Garfield, Sam Worthington, Luke Bracey, Hugo Weaving, Vince Vaughn
Genre: Drama, War, Biographical
IMDb rating: 8.4/10


গল্প সংক্ষেপঃ
ডেসমন্ড ডস (অ্যান্ড্রু গারফিল্ড) ছোটবেলায় তার এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মাধ্যমে ধার্মিক মায়ের কাছ থেকে দীক্ষা পান যে “পৃথিবীতে সবচেয়ে বাজে পাপ হচ্ছে মানুষ খুন করা” এবং সে এই নীতিতে অটুট বিশ্বাসী।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যখন ডাক পরে, লিকলিকে শরীরের যুবক ডেসমন্ড ডসও যুদ্ধে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়, তবে অস্ত্রহাতে নয়, একজন সেনা-চিকিৎসক (combat medic) হিসেবে। সেনা ক্যাম্পে ট্রেইনিং-এ যোগ দেয়ার পরে সে অস্ত্র হাতে নেয়া ও মানুষ হত্যায় অস্বীকৃতি জানায়।
এই ঘটনার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় সম্মুখীন ও পরবর্তীতে যুদ্ধে নিজের সাহসী অবদানের গল্পের মাধ্যমেই সিনেমার গল্প সাজানো হয়। সিনেমার মজা নষ্ট না করার স্বার্থে বিস্তারিত আলোচনা এড়িয়ে গেলাম।


শারীরিকভাবে সুঠাম দেহের অধিকারী না হয়েও দেশের স্বার্থে যুদ্ধে অংশগ্রহণের ইচ্ছেশক্তি, নিজের নীতিতে অটুট থেকে দায়িত্ববোধ পালন এবং সহকর্মী সৈন্যদের প্রতি মমতাবোধের ঘটনাগুলো উদ্দীপনা হিসেবে কাজ করেছে।
সাথে ছিলো সুনির্মিত যুদ্ধের লড়াইয়ের দৃশ্যগুলো তথা যুদ্ধের ভয়াবহকতার উপস্থাপনা! দারুণ স্ক্রিপ্টেড, চাপা উত্তেজনা ও ইমোশনাল দৃশ্যগুলোর সাথে পরিমিত ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, সবকিছু মিলিয়েই দারুণ এক অভিজ্ঞতা।

দীর্ঘ বিরতির পর “হ্যাকসো রিজ” এর মাধ্যমে পরিচালনায় ফিরেন “Braveheart” খ্যাত মেল গিবসন, যিনি অভিনেতা হিসেবেও সমান জনপ্রিয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এক সৈনিকের ইমোশনাল জার্নিকে খুব দক্ষভাবে পর্দায় উপস্থাপন করেছেন। ফলাফল সরূপ Golden Globe,BAFTA সহ সিনেমাটিরঅস্কারে ছয়টি ক্যাটাগরিতে নমিনেশন। তাছাড়া “American Film Institute” এর ২০১৬-টপ টেনে যায়গা করে নিয়েছে।


অ্যান্ড্রু গারফিল্ড পূর্বে পর্দায় সুপারহিরো চরিত্রে অভিনয় করলেও এবার অভিনয় করেছেন বাস্তব জীবনে এক হিরোর চরিত্রে। সহজসরল ও ভায়োলেন্স অবিশ্বাসী একজন যুবকের চরিত্রে অ্যান্ড্রু গারফিল্ডের অভিনয় ছিল চমকপ্রদ। পেয়েছেন অস্কারে বেস্ট এক্টরের নমিনেশনও, জিতে গেলেও অবাক হবোনা।
গারফিল্ড পুর্বে Never Let Me Go, The Social Network ,The Amazing Spider-Man 1&2, 99 Homes এর মাধ্যমে নিজের প্রতিভার আভাস দেখিয়েছে আগেই। গত বছর এই সিনেমার পাশাপাশি অভিনয় করেছেন লেজেন্ডারি পরিচালক মার্টিন স্কোরসেজির “Silence” সিনেমাতেও।
তাছাড়া পার্শ্ব চরিত্রে ভিন্স ভোগান, হুগো ওয়েভিংসহ অন্যদের অভিনয়ও অনেক ভালো লেগেছে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০০

নাইমা ছিদ্দিকা রিসা বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২১

হাবিব রহমানন বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৫

মোঃআরিফ রাজ বলেছেন: good post

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২১

হাবিব রহমানন বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.