![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকল প্রকার চলচ্চিত্র দেখতে ও চলচ্চিত্র নিয়ে লেখতে ভালোবাসি। তাছাড়া কবিতা পড়তে ভালো লাগে, মাঝেমাঝে নিজেও দু-এক লাইন লেখার চেষ্টা করি। fb/bd.r.habib
১৮৯০ সালে মোশন পিকচার ক্যামেরার আবিস্কারের মাধ্যমে সিনেমার মুল ইতিহাসের শুরু। ১৮৯৫ সাল থেকে শুরু করে ১৯২৭ সাল পর্যন্ত ছিল নির্বাক চলচ্চিত্রের (সাইলেন্ট ফিল্ম) যুগ, যদিও ১৯৩৬ পর্যন্ত কিছু নির্বাক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। বিশেষ করে চার্লি চ্যাপলিনের সিটি লাইটস (১৯৩১), মডার্ন টাইমস (১৯৩৬) সিনেমাগুলো সবাক চলচ্চিত্র (টকিং পিকচার) যুগের সূচনার পরেও নির্মিত হয়েছে।
তবে সবাক চলচ্চিত্রের যুগের শুরু হয়েছিল ১৯২৭ সালে “দ্য জাজ সিঙ্গার” সিনেমার মাধ্যমে। প্রথম সবাক চলচ্চিত্র হিসেবে এই সিনেমার সাফল্যের পর অনেক প্রযোজক ও পরিচালকরা আগ্রহী হয়ে উঠে। দর্শকদের কাছেও সিনেমার এই নতুন রুপ তুমুল জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে।
সাইলেন্ট ফিল্ম যুগ থেকে টকিং পিকচারের যুগের ট্রান্সফরমেশনের ফলে অনেক প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জন্য সবকিছু চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠে। টকিং পিকচারের জনপ্রিয়তার কারনে সিনেমার অনেক কলাকুশলী ও এক্টরদের নতুন করে অভিনয় চর্চা ও ভয়েস ওয়ার্কশপ করতে হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় কেও কেও সফল হয়েছে, কারো আবার ক্যারিয়ারের সমাপ্তিও ঘটেছে।
“সিঙ্গিন ইন দ্য রেইন” সিনেমার গল্পও গড়ে উঠে সাইলেন্ট ফিল্ম থেকে টকিং পিকচারে রূপান্তরের বিভিন্ন ঘটনা গুলোকে কেন্দ্র করে এবং এই ঘটনা গুলো বর্ণনা করা হয়েছে হাস্যরসাত্মক ঘটনার মাধ্যমে।
সিনেমার শুরুতেই দেখা যায়, জনপ্রিয় সাইলেন্ট ফিল্ম স্টার “ডন লকোউড” তার নতুন সিনেমার প্রিমিয়ারে এক সাংবাদিক কে তার সিনেমার ক্যারিয়ারের সাফল্যের অতিরঞ্জিত(!) গল্প শুনাচ্ছে, যেখানে সে তার ছোটবেলার বন্ধু কজমো ব্রাউনের সাথে প্রথমে ডান্সার ও স্টান্টম্যান হিসেবে কাজ করে পরবর্তীতে সিনেমায় যুক্ত হয়।
সিনেমার মজা রক্ষার স্বার্থে প্লট নিয়ে আপাতত এতটুক আলোচনা করলাম।
সিনেমার সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হচ্ছে গল্পের উপস্থাপন ও ব্যঙ্গপূর্ণ-হাস্যরসাত্মক সংলাপ। হলিউডের সিনেমার ১৯২০-১৯৩০ সময়কার বাস্তব ঘটনা গুলোকে হিউমারের মাধ্যমে এমন পরিপূর্ণভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে দর্শকদের চলচ্চিত্রের তখনকার ইতিহাস জানার পাশাপাশি দারুণ সময়ও কাটবে। তাছাড়া সিনেমাটি কমেডি, প্রেম ও বন্ধুত্বের গল্পের সমাহারও বলা যায়।
ইতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনা করার স্বার্থে সিনেমার গান গুলোর কথা বিশেষভাবে বলতে হয়। প্রত্যেকটি গানের ধরন ও মর্মার্থ বেশ চমৎকার। টাইটেল সং “Singin’ in the Rain”-এ প্রথম প্রেমে পড়ার গল্পে অনুভূতি প্রকাশ করা হয়েছে। “You Were Meant for Me” গানটিতে দেখানো হয়েছে প্রেমের আকুতি ও আকাঙ্ক্ষা।
অন্যদিকে ” Make ‘Em Laugh” গানে আর্টিস্টদের বিভিন্ন হাস্যরসাত্মক বাস্তব সচিত্র ও ফিজিক্যাল কমেডির দারুণ নিদর্শন দেখানো হয়েছে। Moses Supposes গানটিও বেশ মজাদার ছিল। Broadway Melody তে শিল্পীদের স্ট্রাগল ও সাথে কিছু বাস্তব ঘটনার মিশ্রণ।
সর্বোপরি একটি সার্থক মিউজিক্যাল মুভি হিসেবে গড়ে তুলতে গান গুলো অনেক সাহায্য করেছে।
ব্যাক্তিগতভাবে সিনেমায় সবচেয়ে প্রিয় পারফর্মেন্স ছিল কজমো ব্রাউন চরিত্রে ডোনাল্ড ওকনর’এর। সিনেমায় তার হিলেরিয়াস ডায়লগ গুলো ছিল লেজেন্ডারী। লেখার শেষে সিনেমার কিছু নির্বাচিত সংলাপের লিংক দিয়ে দিয়েছি, ওগুলো স্ক্রিনে দেখলেই বুঝতে পারবেন হিউমারের কত নিদারুন ব্যাবহার করা হয়েছে। এই অসাধারণ কমিক ক্যারেক্টারে পারফর্মেন্সের জন্য তিনি গোল্ডেন গ্লোবে সেরা অভিনেতার পুরুস্কারও পেয়েছেন।
সিনেমার মুল অভিনেতা ও সহ-পরিচালক জীন কেলিও বরাবর দারুণ ছিল। সিনেমার শুরুতেই ফ্ল্যাশব্যাকে তার গল্প বলার ধরন বেশ বিনোদিত করেছে। সিঙ্গিন ইন দ্য রেইন গানেও তার উপস্থাপন বেশ ভাল ছিল।
নির্বোধ ও কর্কশ কণ্ঠের অধিকারিণী লিনা ল্যাম্নটে চরিত্রের জীন হ্যাগানের দারুণ পারফর্মেন্সের জন্য অস্কারে মনোনয়নও পেয়েছেন। ক্যাথি চরিত্রে ডেবি রেন্ডলসও দারুণ ছিল। সিনেমায় জীন কেলি ও তার ক্যামেস্ট্রি বেশ উপভোগ্য ছিল।
সিনেমাটি অ্যামেরিকান ফিল্মস ইন্সটিটিউটের(AFI) সর্বকালের সেরা সিনেমার তালিকায় পঞ্চম ও মিউজিক্যাল সিনেমার তালিকায় প্রথম স্থানে আছে। আইএমডিবির সেরা ২৫০ সিনেমার লিস্টে ৯৪তম স্থানে ও রটেন টম্যাটোস-এর ১০০% ফ্রেশনেসের পাশাপাশি সর্বসেরা সিনেমার তালিকায় ১৩ নাম্বারে অবস্থান করছে। সুতরাং সিনেমার মান নিয়ে কোন কনফিউশনে ভুগতে হবেনা। ক্লাসিক মিউজিক্যাল মাস্টারপিস।
সিনেমাটির মুগ্ধতার কারনে এতকিছু লেখা, আশা করি আপনাদেরও ভাল লাগবে। প্রত্যেক সিনেমা প্রেমীদের এই সিনেমাটি দেখা উচিত বলে মনে করি। সিনেমার বেস্ট কিছু সার্কাস্টিক ডায়লগ/নির্বাচিত সংলাপঃ
১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১৩
হাবিব রহমানন বলেছেন: আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে "মেইক দেম লাফ" গানটা
২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮
অতঃপর হৃদয় বলেছেন:
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০
হাবিব রহমানন বলেছেন: কী?
৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১৯
শাহাদাত হোসাইন সুজন বলেছেন: দেখার ইচ্ছা আছে
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫০
হাবিব রহমানন বলেছেন: জানাবেন কেমন লাগলো।
৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা শুধু আমার সবচেয়ে প্রিয় মিউজিক্যাল না, সব ধরনের প্রিয় ছবির সেরা পাঁচে থাকবে। অসম্ভব আনন্দ পেয়েছিলাম।
তবে আপনার পোস্টটা সে তুলনায় নীরস লাগলো
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৮
হাবিব রহমানন বলেছেন: সিনেমার চেয়ে অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করেছি বেশি, তাই হয়তো!
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৮
রিফাত হোসেন বলেছেন: