![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকল প্রকার চলচ্চিত্র দেখতে ও চলচ্চিত্র নিয়ে লেখতে ভালোবাসি। তাছাড়া কবিতা পড়তে ভালো লাগে, মাঝেমাঝে নিজেও দু-এক লাইন লেখার চেষ্টা করি। fb/bd.r.habib
“ঢাকা অ্যাটাক” মুক্তির পর থেকে বাংলা চলচ্চিত্রাঙ্গনে বেশ ফুরফুরে একটা আবহাওয়া যাচ্ছিলো। কখনো রিভিউ না দেয়া কিংবা লিখতে না জানা মানুষ গুলোও সিনেমাটির প্রতি তাদের ভাল লাগা প্রকাশ করেছে। বেশ তৃপ্তির একটি দৃশ্য। এমন একটা পরিস্থিতিতে খুব প্রত্যাশা নিয়ে ডুবের প্রথম শো দেখে ফেললাম এবং এক রাশ হতাশা নিয়ে বের হওয়া লাগলো।
অবশ্য প্রত্যাশার সাথে ভয়ও ছিলো। প্রত্যাশার কারন ফারুকীর ব্যাচেলর, মেইড ইন বাংলাদেশ, থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার ও টেলিভিশন বেশ ভাল লেগেছিল। বিশেষ করে বলাকা সিনেমাহলে টেলিভিশন দেখে বেশ আনন্দ পেয়েছিলাম। সাথে ইরফান খানের মতো বড় মাপের অভিনেতার প্রথম বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। আর ভয় ছিল কারন আরেকটা “পিপড়াবিদ্যা” না দেখতে হয়।
কেন ভাল লাগেনি সেই আলোচনায় চলে যাই। প্রথমত অফ-ট্রাকের তথা আর্ট ফিল্ম গুলোর ক্ষেত্রে দর্শকদের প্রত্যাশা থাকে কোন মন মুগ্ধকর গল্পের আদলে তৈরি হবে। যে গল্পের সিনেমা দেখে দর্শক গভীরভাবে ভাববে, পর্দার চরিত্রগুলোর গল্প হৃদয় ছুঁয়ে যাবে, জীবনবোধের অন্য এক সচিত্র অনুভব করা যাবে। সিনেমার চরিত্রের বেদনায় নিজে বেদনা সিক্ত হবে। সেই দিক থেকে “ডুব” ব্যার্থ।
প্রাথমিক দৃষ্টিতে অথাৎ ট্রেইলার, আলোচনা-সমালোচনা দেখে মনে হয়েছিল ডুব মূলত পারিবারিক টানাপোড়ন-দ্বিধাদ্বন্দ্বের গল্পের আদলে তৈরি করা মানসম্মত ড্রামা নির্ভর সিনেমা হতে যাচ্ছে। কিন্তু সিনেমার টোন এমন থাকলেও কোথাও এসবের সঠিক উপস্থাপন ছিল বলে মনে হয়নি। কোন চরিত্রের প্রতি রাগ লাগলোনা, প্রেমবোধ ও সহমর্মিতা জাগলো না, ভাল খারাপ কিংবা উভয় উপস্থিতি নিয়ে মনে কোন সংশয় সৃষ্টি হয়নি। তাছাড়া সিনেমাটি দেখা শুরু করার পর থেকে যতই সময় যাচ্ছিলোনা ততই ভাবছিলাম “এখন ভাল লাগছেনা, সামনে হয়তো বিশেষ কিছু আসবে” কিন্তু এটা ভাবতে ভাবতেই সিনেমা শেষ হয়ে গেলো। সুতরাং সিনেমাটি ভাল লাগার প্রশ্নই উঠেনা।
আর যদি হুমায়ূন আহমেদের বায়োপিক প্রসঙ্গে বলি তাহলে বলবো এটাকে বায়োপিক না বলে বড়জোর পলিটিক্যালি কারেক্ট থাকার জন্য “ইনস্পায়ার্ড” বলা যায়। কেন বায়োপিক মন হয়নি আমার? মনে আছে হুমায়ূন স্যার যেদিন মারা যান সেদিন কুমিল্লার মেসে বসে পত্রিকা পড়ছিলাম, এক বড় ভাই এসে বললেন খবরে দেখাচ্ছে হুমায়ূন আহমেদ মারা গেছেন। অনেকক্ষণ মন খারাপ ছিল। কিন্তু এই সিনেমায় জাবেদ হাসানের মৃত্যুতে আমার খারাপ লাগেনি কেন? অথবা জাবেদ হাসানের কিছু সিদ্ধান্তের প্রতি অভিমান কাজ করেনি কেন? এত বছর পরে তাহলে হুমায়ূন আহমেদের প্রতি আমার ভালোবাসা বা অভিমান কমে গেছে? নাহ, কমেনি। বরং আমার অনুভূতি জাগানোর মত উপাদান ছিলনা সিনেমায়। সিনেমা এক কথায় বলতে গেলে “তিনি আসলেন , চা খেলেন এবং চলে গেলেন” এই চা খাওয়া আর চলে যাওয়ার মাঝখানে গুরুত্বপূর্ণ বা মনে দাগ কাটার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি।
একটা ব্যাক্তিগত তিক্ততা শেয়ার করি, শ্যামলী সিনেমাহলে মুভি দেখি অনেক বছর হল, কিন্তু এবারের মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কখনো। কিছু থার্ড-ক্লাস দর্শক ছিল হলে যাদের বিরক্তিকর চিক্কার চেঁচামেচি, অহেতুক ও খোঁড়া শ্রুতিকটু মন্তব্য খুবই পীড়া দিয়েছে সারাক্ষণ। সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে দয়া করে সিনেমাহলের পরিবেশ নষ্ট করবেন না। আপনার কারনে অন্যদের সিনেমা দেখায় ডিস্টার্ব হোক এটা কখনোই কাম্য নয়।
যাক এই হচ্ছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর “ডুব” নিয়ে আমার ব্যাক্তিগত মতামত। আমি চেষ্টা করেছি সম্পূর্ণ সৎ থেকে নিজের মতামত জানানোর, তৈলাক্ত রিভিউ দিয়ে নিজের কাছে নিজে ছোট হতে পারবোনা। সিনেমাটি দেখা না দেখা এখন একান্তই আপনাদের ব্যাক্তিগত ব্যাপার। ধন্যবাদ।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৮
হাবিব রহমানন বলেছেন: সবসময় এমন হয়না যদিও
২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪৯
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: ধন্যবাদ হে ভ্রাতা .
ডুবের পয়লা রিভিউ পড়লাম.
জান্নাতুল ফেরদাউস ভাই কইল -
এইটা বায়ো পিক না এইটা প্রফাইল পিকচার ??
ঘটনা কদ্দুর সত্য?
আপনাদের মুরগীর রানের বদলে মুসুর ডাল দিয়ে ভাত খাইয়ে বিদায় দেয়ার মত ঘটনা ঘটেছিল কিনা ?
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০৪
হাবিব রহমানন বলেছেন: হা হা , "আপনাদের মুরগীর রানের বদলে মুসুর ডাল দিয়ে ভাত খাইয়ে বিদায় দেয়ার মত ঘটনা ঘটেছিল কিনা " একদম এটাই ছিল
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫০
তারেক ফাহিম বলেছেন: এখনও প্রেক্ষাগৃহগুলো সচারাচার