নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শঙ্খচিল

রুপন হাবিব রহমান

রুপন হাবিব

রুপন হাবিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিচারহীনতার রীতি আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে ?

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

অপরাধ সে ছোট হোক কিংবা বড় হোক, মানব চক্ষুর গোচরে কিংবা অগোচরে যেভাবেই ঘটুক না কেন- মানবাত্বার মনে তা অনুতাপ জাগাবেই। মানব সৃষ্ট আইনে তার বিচার হোক বা না-ই হোক অপরাধীর আত্মা তাকে পুড়াবেই। কিন্তু আমাদের দেশে কিছু লোক আছে, বিশেষ করে রাজনীতিবিদ যারা ছোট ছোট অপরাধ করে নিজেকে পোক্ত করে। অত:পর বড় অপরাধে জড়িয়েও সে নিজেকে সেয়ানা ভাবে, অনেক সময় নিজেকে গর্বিতও ভাবে। এসব ব্যক্তির অনুসারীরও কিন্তু এদেশে অভাব নেই। তারা বিনা বাক্যে অন্ধের মত এসব নেতাদের সমর্থন করে যায়। অনেক সময় রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তির কারণে ‘কথিত’নেতাদের অপরাধ-দুর্নীতির বিচারকার্য তামাদি হয়ে যায়। সরকার বদলের সাথে সাথে পূর্ববর্তী সময়ে করা দুর্নীতির মামলাগুলো রাজনৈতিক হয়রানীর অভিযোগ এনে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায় এসেই ফখর উদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়েরকৃত শত শত দুর্নীতির মামলা বিশেষ কমিশন গঠনের মাধ্যমে প্রত্যাহার করা হয়। অতীতেও বিভিন্ন সরকারের আমলে নিয়মিত এমন ঘটনা ঘটেছে। খুনের মত ঘটনারও যাতে বিচার না হয়, সেই ব্যবস্থাও আইন করে নিশ্চিত করা হয়। এভাবেই দেশে বিচারহীনতার রীতি চলে আসছে। আর তাই দুর্নীতি, খুন-খারবি এমনকি ক্রসফায়ারের নামে হত্যা বা গুমের ঘটনার পরিসংখ্যান প্রতিবছরইে বেড়ে চলেছে।
বিচারহীনতার এ প্রেক্ষাপটে যুদ্ধাপরাধের মত মানবতা বিরোধী অপরাধের হোতারাও তাই যুগ যুগ ধরে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে হৃষ্ট-পুষ্ট হয়ে নিজস্ব প্রভাব বলয় সৃষ্টি করতে পেরেছে। এ বলয় ধর্মীয় এবং রাজনীতির লেবাসে জড়িয়ে এখন এমনই শক্তিশালী যে, দেশের ভেতরে বাইরে তুমুল আলোড়ন তুলে। মুজাহীদ-সাকা’র ফাঁসির রায় কার্যকরের পর এমনই অভাবনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি নিজামীর যুদ্ধাপরাধের আপিলের রায় ঘোষণার পূর্বমুহূর্তে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপার্সন প্রকারান্তরে পাকিস্তানপ্রেমী দল ও তাদের দোসরদের প্রিয়ভাজন হতে চেয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম একজন সেক্টর কমান্ডোরের স্ত্রী হিসেবে তার কাছে জাতি এটা আশা করেনি। আসলে জাতি হিসেবে আমরা এতটাই দুর্ভাগা যে স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও আমাদের মহান শহীদদের আত্মত্যাগ এবং মহান অর্জনগুলো নিয়ে বিভ্রন্তি সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চাই।
দুনিয়ার এমন কোন জাতি নেই যে, তারা তাদের রাষ্ট্রীয় অর্জনগুলো নিয়ে বিতর্ক করে। প্রত্যেক দেশেই নিজেসেদের স্বাধীনতা ও এর মহান অর্জনগুলোকে ক্ষুদ্র রাজনীতির উর্ধ্বে তুলে ধরে। তাই মাঝে-মধ্যে কিছু লোকজনের কথা শুনে মনে হয়, মাত্র ৯ মাসে যদি আমরা স্বাধীন না হয়ে ৯ বছর যুদ্ধের পর স্বাধীনতা পেতাম, তাহলে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের কোন বিষয় নিয়ে কেউ কোন বিতর্ক করার সুযোগ এবং সাহস পেতো না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.