![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশে বর্তমানে বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ ২৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশী। রিজার্ভের এ স্ফীতিতে গার্মেন্টসসহ অন্য সকল পণ্য রফতানীর চেয়ে জনশক্তি রফতানীর ভূমিকা কোন অংশে কম নয় বরং বেশী। কারণ শিল্প পণ্যের কাঁচামালসহ যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানী বাবদ রফতানীর আয়ের আবার বিরাট একটি অংশ খরচ হয়ে যায়। তাই জনশক্তি রফতানীর ওপর এ যাবতকালের প্রতিটি সরকারই বেশী গুরুত্ব দিয়ে আসছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেই মূলত অদক্ষ ও আধা-দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা থাকায় সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমে সেসব দেশে লেক যাচ্ছে। সৌদি আরবে নিকট অতীতে সাময়িক সময়ের জন্য জনশক্তি রফতানী বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি সীমিতআকারে পুরুষ অদক্ষ শ্রমিক পাঠানোর ব্যাপারে দুই সরকারের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। প্রায় দেড় বছর আগে থেকে দেশ থেকে সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমে মহিলা গৃহকর্মী পাঠানো শুরু হয়। সৌদি আরবে মহিলা গৃহ পরিচারিকা পাঠানোর ব্যাপারে বিভিন্ন মহল থেকে সে সময় সমালোচনা ও মৃদু প্রতিবাদ শুরু হয়। কিন্তু মুসলমানদের পূণ্যভূমিতে মহিলা গৃহ পরিচারিকা পাঠালে তাদের কোন অবমাননা হবে না- এ বিশ্বাস থেকেই মানুষের মনে তা তেমন কোন রেখাপাত করেনি। কিন্তু সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে দু’জন ও জর্জান থেকে ফেরা একজন মহিলা শ্রমিকের সর্বস্ব হারানোর এবং শরীরীকভাবে নির্যাতিত হওয়ার মর্মস্পর্শী বিবরণ জাতীয় দৈনিক পত্রিকালোতে ছাপা হওয়ায় অনেকেই হতবাক এবং বেদনাহত হয়েছেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো আমাদের মাননীয় শ্রম ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী অনেকটা নিশ্চিন্ত হয়েই বলে দিলেন মধ্যপ্রাচ্য ফেরত এসব নারীর অভিযোগ সত্য নয়। আবার আমদের বিদেশ মিশনগুলোর কর্মকর্তারাও বললেন, তাদের এ ধরনের কোন অভিযোগের কথা জানা নেই। তাহলে আমরা কি ধরে নেব ঐ মহিলারা মিথ্যে কথা বলছেন। নিজেদের বহু কষ্টে জমানো অর্থ অথবা জমি বিক্রির টাকায় বিদেশ গিয়ে মাত্র তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে ফিরে এসে আবার নিজেদের সম্ভ্রম হারানোর অভিযোগ কি করে মিথ্যে হতে পারে- তা’ আমার বোধগম্য নয়। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই, দীর্ঘদিন ধরে ইন্দোনেশিয়া থেকে সৌদি আরবে মহিলা গৃহপরিচারিকা পাঠানো হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইন্দোনেশিয়ান গৃহপরিচারিকারা তাদের ওপর সৌদি গৃহকর্তাদের অমানুষিক পাশবিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ করে আসছেন। অন্তত ৪০ জন এ ধরনের নির্যতন সইতে না পেরে নিজেদের গৃহকর্তাকে খুন করেন। এর ফলে ‘কথিত’ ইসলামী রাষ্ট্রের লেবাসধারী সৌদি সরকার তার নাগরিকদের খুনের অভিযোগে ঐ নারীদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে। এনিয়ে সৌদি ও ইন্দোনেশিয়ান সরকারের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে। এ কারণে সম্প্রতি সৌদি নেতৃত্বাধীন সুন্নি মুসলিম দেশগুলোর সামরিক জেটে ইন্দোনেশিয়া যেগ দেয়নি।
প্রায় ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত ও দুই লক্ষাধিক মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের আর কোন মা-বোন রুটি রুজি করতে গিয়ে তাদের সম্ভ্রম হারাক-তা কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ মেনে নিতে পারে না। আমরা যদি আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন জাতি হয়ে থাকি, তা’হলে সরকারের উচিত হবে- দ্রুত এসব অভিযোগের পূর্ণতদন্ত করে সৌদি সরকারের সাথে এ বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসে এর কড়া প্রতিবাদ জানানো। প্রয়োজনে সব নারী গৃহপরিচারিকাদের সরকারি উদ্যোগে দেশে ফিরিয়ে আনা ও ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা এবং ভবিষ্যতে নারী শ্রমিক বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে সর্বদিক বিবেচনায় রাখা।
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
'বিদেশী কর্ম সংস্হান মন্ত্রীর' অফিসে ই-মেইল করতে বলুন
৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনিও তো চান যে, সরকার বিদেশে চাকুরী খুঁজুক, দেশে কিছু করার দরকার নেই
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩০
জাহিদ হাসান মিঠু বলেছেন:
সহমত।