![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে সরকার বর্তমানে যতই সন্তুষ্টি প্রকাশ করুক না কেনো মানুষের মনে এক ধরনের অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে। বিশেষ করে নারীদের মনেই নিরাপত্তাহীনতা বেশী কাজ করছে। ৪ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক নারী সমাবেশে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘লুটেরা বুর্জোয়া শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষাকারী কোনো সরকারের পক্ষেই নারীর অধিকার, নারী মুক্তি তো দূরের কথা, নারীর ন্যূনতম নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করাও সম্ভব নয়। দেশের শ্রমজীবী মানুষসহ সব নারীকে তাদের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করতে হবে। প্রয়োজনে নিরাপত্তার জন্যে নিজস্ব ব্রিগেড গড়ে পাল্টা আঘাত হানতে হবে।’ সিপিবি সভাপতির এই বক্তব্যের প্রতি সহমত প্রকাশ করে বলতে চাই, সমাজে নারীদের শিক্ষার হার বাড়লেও তারা নানামুখী বঞ্চনা ও লোভের শিকার। একইসাথে বাজার অর্থনীতির নামে সস্তা শ্রমমূল্যের শিকার হচ্ছেন আমাদের নারীরা।
আমাদের সামাজিক বাস্তবতায় পরিবার থেকেই শুরু হয় নারীদের শৈশব-কৈশোরের উচ্ছলতা ও সৃষ্টিশীলতা কেড়ে নেওয়ার প্রতিযোগিতা। এর ধারাবাহিকতা চলতে থাকে আমৃত্যু। সে নিজেকে কখনো স্বাধীন মনে করতে পারে না। রাস্তায় চলাফেরার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার অনিশ্চিয়তা তাড়া করে তাকে কর্মক্ষেত্রে নিয়ে যায়। আবার সেখানেও প্রায়ই তাকে পুরুষরূপী ভোগবাদী সহকর্মীদের সাথে কাজ করতে গিয়ে আরেক ধরনের অস্বস্তির মধ্যে থাকতে হয়। অধিকাংশ নারীই এভাবে নিজের জন্য নয়, সংসার-পরিবারের জন্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই জীবনের সোনালী দিনগুলো বিসর্জন করে দিন। এ অবস্থার পরিবর্তন দরকার। যে সমাজে নারী যত বেশী নিরাপত্তা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ভোগ করে, সে সমাজ তত বেশী উন্নত। এই সত্যটুকু বুঝতে হবে সবাইকে। তাই নারীর ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমাজে ব্যাপকভিত্তিক সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানোর পাশাপাশি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রাথমিক লেভেল থেকেই পুরানো মানসিকতার পরিবর্তন আনতে পদক্ষেপ নিতে হবে। এটা করা সম্ভব হলে অদূর ভবিষ্যতে নারীরা তাদের সম্মান, নিরাপত্তা নিয়ে সাচ্ছন্দে থাকতে পারবে। সমাজ-রাষ্ট্রও পাবে প্রকৃত উন্নতির স্বাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৫
বিজন রয় বলেছেন: বলেছেন ভাল। কিন্তু করবে কে? রাষ্ট্র?