নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শঙ্খচিল

রুপন হাবিব রহমান

রুপন হাবিব

রুপন হাবিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

তনু হত্যাকান্ড ঃ তদন্ত কার্যক্রম কি বিস্মৃতির আড়ালে হারিয়ে যাবে ?

২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:২৭

মো. হাবিবুর রহমান
কুমিল্লার মেধাবী শিক্ষার্থী, সংস্কৃতিকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকান্ডে তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এ সংক্রান্ত তদন্ত এখনো প্রাথমিক র্পযায়ইে ঘুরপাক খাচ্ছ। এ পরিস্থিতিতে তনুর পিতা-মাতাসহ সারা দেশে এ পৈশাচিক ঘটনার বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছাত্র-জনতা হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ছেনে। অনেকে হয়ত ঢাকার গুলশানে ১ জুলাইর জঙ্গি হামলা পরর্বতী পরস্থিতিরি কারণে বিষয়টি ভুলেই গেছেন।
গত মে মাসে কুমল্লিা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা বিএমএ’র ব্যানারে একজোট হয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে ডিএনএ পিপোর্ট হাতে না পাওয়া র্পযন্ত তারা ময়নাতদন্ত প্রতবিদেন জমা দেবেন না। শেষ পর্যন্ত তাদেরই জয় হলো। ডিএনএ রিপোর্টের কপি তাদের দেওয়া হলো এবং যথারীতি গত ১১ জুন তারা একটি দায়সারা গোছের রিপোর্টও প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশে গত ৩০ র্মাচ তনু’র লাশ কবর থেকে উত্তোলন করার দশ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক মৃতু্র কোন কারণ খোঁজে পাননি।
ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই দেশে এতদিন ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এর ভিত্তিতে প্রদত্ত তদন্ত প্রতিবেদন ও সাক্ষী প্রমাণের মাধামে আদালত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে তার রায় প্রদান করনে। সুর্দীঘ অতীত থেকে এমনটাই হয়ে আসছে দেশে। তাই বহুল আলোচতি এই মামলার ক্ষেত্রে সবার মনে প্রশ্ন জাগছে যে, কার হাতরে পুতুল সেজে চিকিৎসকরা একটি তরুণ প্রতিভার নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে প্রথম ও দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত রিপোর্টে খুনের কারণ আবিস্কার করতে ব্যর্থ হলেন? আবার অনেকে এ-ও মনে করছনে, তাদের সহকর্মীকে (প্রথম 'ভুয়া' ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রদানকারী) বাঁচাতে চিকিৎসকরা একজোট হয়ে ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার বাহানা করে অযথা বিলম্ব করেন। আবার একই কারণে হয়ত দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও লাশ পঁচে যাওয়ায় খুনরে কারণ খােঁজে পাওয়া যায়নি বলে তাদের ওপর অর্পিত মহান দায়িত্ব শেষ করেন। তাই সচতেন মহল থেকে দাবি উঠে যে উক্ত ময়নাতদন্তেরই আবার তদন্ত হওয়া উচিৎ। কিন্তু দেশে বিরাজমান বাস্তবতায় এটা অসম্ভব। সেজন্য মানবতার সেবক নামধারী চিকিৎসকদের মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত হোক এই প্রার্থনা করা ছাড়া আমাদের বোধ হয় আর কিছুই করার নেই। অপরদিকে সিআইডি'র তদন্তকারী দলও হয়ত ময়নাতদন্তের অস্টষ্ট রিপোর্টের দোহাই দিয়ে কালক্ষেপন করছে। দেশের আলোচিত তনু হত্যাকান্ডটি মানুষ এখন ভুলতে বসেছেন। কারণ ইতোমধ্যে আরও অনেক ভয়ংকর ঘটনা দেশে ঘটেছে। তাই মামলাটিও হয়ত এক সময় স্থবির হয়ে যাবে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নাঠ্যকর্মী তনু’র ক্ষত-বক্ষিত লাশ গত ২০ র্মাচ রাতে ময়নামতি সেনানিবাস এলাকার ভেতরের একটি নালা সংলগ্ন ঝোপের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। এখানে উল্লেখ্য তনু’র পিতাও ময়নামতি সেনানিবাস বোর্ডের অফিস সহকারি হিসেবে কর্মরত। সেনানিবাসের মত একটি সংরক্ষতি এলাকার (যেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার খুবই সীমতি) ভেতর থেকে তনু’র লাশ উদ্ধাররে খবর জানাজানি হওয়ার পর তার সহপাঠীরা এর প্রতিবাদে আন্দোলন গড়ে তুলেন। পরর্বতীতে বিচারের দাবিতে সারা দেশে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সোচ্চার হন। কিন্তু এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় শুরু থেকেই হত্যা মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে থাকে। অপরদকি, বিচারপ্রার্থী নিহত তনুর পিতা-মাতাসহ পরিবারের সদস্যদের জবানবন্দি গ্রহনের অযুহাতে প্রথমদিকে আইন-শৃংখলা বাহিনীর মাধ্যমে নানাভাবে হয়রানী, ইন্টারোগশেন ও ভয়ভীতি প্রর্দশন করার অভিযোগ উঠে।
এখন প্রশ্ন হলো কার প্রভাবে তনু হত্যা মামলাটি প্রভাবান্বতি হয়ে তদন্ত কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। কে এমন ক্ষমতাধর ব্যক্তি যার প্রভাবে প্রথম ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পর্যন্ত বদলে গেলো। নিহত তনু’র শোকাহত মা প্রথম ময়নাতদন্তের পরই সেনাবাহিনীরএকজন সার্জেন্ট ও একজন সিপাহীর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেন। আমার ভাবতে অবাক লাগে সুনির্দিষ্টভাবে দু'জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পরও তদন্তকারী কর্মকর্তা এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেননি। অবস্থাদৃশ্যে মনে হয় বিষয়টি আমলেই নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে এনিয়ে জল অনেক ঘোলা হলেও সেনা কর্তৃপক্ষ র্কতৃপক্ষও তাদের ঐ দু’সদস্যকে বরখাস্ত করেননি। অথবা মামলা তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেননি।
আমাদের সংবধিানে বলা আছে, ধনী, গরীব নির্বিশেষে সকলের জন্যই আইন সমানভাবে প্রযোজ্য। কোন বিষয়ে যে কারোরই প্রচলিত আইনে বিচার চাওয়ার অথবা বিচার পাওয়ার অধকিার আছে। তবে মাঝে মধ্যে প্রভাব-প্রতিপত্তির কাছে সাধারণ ভুক্তভোগি মানুষের সেই অধকিার হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাও আমাদের কাছে অপরিচিত কোন বিষয় নয়। আমাদের সমাজে তাই একটি কথা প্রচলতি আছে যে, ‘জোর যার মুল্লুক তার’। আমরা কি তাহলে সেই মুল্লুকেই বাস করছি। যেখােনে শুধু প্রভাবশালীরাই বিচার পাবে। আর নিরীহ ভুক্তভোগীদের জন্য বিচারের বাণী নীরবে কাঁদবে। নিহত তনুর বিচারর্প্রাথী পিতা-মাতার সাথে আমরাও এ প্রশ্নটি সরকারের কাছে রাখতে চাই। - লেখক: সাংবাদিক

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:১০

অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: ভাই, এই লেখা লিখে আর কি লাভ ! টাকার কাছে, ক্ষমতার কাছে বিবেক এবং সত্য দুটিই এখানে আজ পরাজিত !
বিশেষ করে ডাক্তারদেরকে বলা চলে আধুনিক চিকিৎসক নামধারী রক্তচোষা জীব !
তবে তনুর বাবা মাকে কাঁদিয়ে কেউ যে লাভবান হবে এটা অন্তত বিশ্বাস করা যায় না ! আপাঃতত এটুকুই শোকাহত দেশবাসীর জন্য শান্তনা !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.