![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শীতের রাতটা যত ভয়ংকর সকালটা তার চেয়ে সুন্দর মনে হয় ।জীবন বাচাঁনোর যত যন্ত্র সকাল হবার সাথে সাথেই জেগে ওঠে ।যতই সকাল হয় ততই টেনশান বাড়তে থাকে ।এক সময় গোটা মাথার ইঞ্জিনটা টেনশানে পরিপুর্ণ হয়ে ওঠে, এই সময়টা আমাদের জন্য বিপদপুর্ণ ।এটাকে বলা হয় লাইফ কন্ট্রল সময়। আমরা এই সময়টাতে অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি যা অধিকাংশ সময়েই ভুল সিদ্ধান্তে পরিণত হয় ।
ফেসবুকে ঢুকলেই পড়াগুলো সব ভুলে যাই ?
আমি যদি পালটা প্রশ্ন করি কেন ভুলবেন না ?
আসলটা ঘটে আমাদের অবচেতন মনে (Subconcious mind Process) যেটা আমরা নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারি না ।কোন দুর্ঘটনা ঘটলে আমরা সেটাকে ভুলার জন্য বিভিন্ন ধরনের বিনোদনে (খেলা-ধুলা,গান-বাজনা, ইন্টারনেট) জড়িয়ে পড়ি ।পড়াশুনাকেও আমাদের ব্রেইন দুর্ঘটনা হিসাবে দেখে কারণ আমরা চাপে পড়েই পড়াশুনা করি আনন্দ পাবার জন্য কিংবা তথ্য সংগ্রহের জন্য সব সময় নয়।অতিরিক্ত পড়াশুনার পর আপনি অটোমেটিক্যালি বলবেন "থাক অনেক হয়েছে এবার একটু খেলি, ফেসবুক চালাই, গান শুনি, ভিডিও দেখি" ।যখনই আপনি এরকম কিছু করবেন তখন আপনার ব্রেন যে বিষয়ে বিনোদন করছে ঐ বিষয়টিকে সংক্রিয়ভাবে উত্তেজনায় পরিনত করছে আর ঐদিকেই প্রভাবিত করছে ফলে আপনার পড়ার সব তথ্য ভুলে যাচ্ছেন। এমনটা হয় কেন?
আমরা যখন কোন কিছু মেমরি করার চেষ্টা করি তখন ব্রেনে স্থির বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে অপটিকাল লোবে মেমরি হয় ।আমরা যখন বিনোদন করি তখন ফ্রন্টলবে বিদ্যুৎ প্রবাহ বাড়তে থাকে আর যখন উত্তেজিত হয় তখন সমস্থ নিউরোন একমুখি তথ্য আদান প্রদান করে ফলে মেমরি করা পড়াগুলো মুছে যেতে থাকে ।
আসলে আমাদের ব্রেন সব সময় স্বাধীন চিন্তা-ভাবনা করতে চাই কিন্তু সামাজিক বিভিন্ন কারণে আমরা সেগুলোকে বাধা গ্রস্থ করি ।মানুষের স্বরুপ প্রকৃতি হচ্ছে পাগল ,পাগলামি মানুষের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ।আমরা সেই গরিলা-শিমপাঞ্জির বিবর্তিত রুপ । তাদের ডিএনএ এখনও আমাদের জিনে ধারণ করছি ।
।আমাদের ব্রেনের একটা অংশ একবার বিকশিত হয়ে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমান অবস্থায় পৌছেছি ।এই অংশটাকে বলে চিন্তন প্রক্রিয়া অংশ।এটা অন্য পশুদের বিকাশ ঘটেনি আর এটাই মানুষ থেকে পশুকে আলাদা করেছে ।
আমাদের ব্রেনের কোন অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হলে চিন্তা-ভাবনা প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। ফলে পশুর মত আচরন করি আমরা যাকে পাগল বলি ।
যাইহোক পড়াশুনা আমরা নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য করছি ।পড়াশুনা থেকে বিনোদন আলাদা করতে হবে ।আমি এর আগেই একটা ব্লগ লিখেছিলাম প্রেম-ভালবাসা কিছু নয় সব কিছুই চোখের নেশায় কাছে পাবার আকাংঙ্খা যা শারিরিক ।যে জিনিসটা যত দুরে সেটা পাবার আকাঙ্খা ততই বেশি, চাঁদ আকর্ষন করে, মঙ্গলগ্রহও আকর্ষন করে ।যে জানার ইচ্ছা আমাদের কৌতুহল করে তাই আমাদের আকর্ষন করে ।বিনোদন আমাদেরকে আকর্ষন করে কিন্তু আমরা মানুষ চিন্তা করার ক্ষমতা দিয়ে সব কিছু আমাদেরকে নিয়ন্ত্রন করতে হবে ।তানাহলে চার-পাচ ঘন্টার পড়াশুনা বৃথা যাবে।
©somewhere in net ltd.