নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কফি কথা....

০৮ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৬

কফি কথা....

কফি আসক্তি নিয়ে গত ১৪/১৫ বছরে ব্লগ, ফেসবুকে আমি বেশ কয়েকটি পোস্ট দিয়েছি....

নিঃসন্দেহে কফি একটি জনপ্রিয় পানীয় যা ক্যাফিন সমৃদ্ধ এবং এর কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা উভয়ই রয়েছে। কফিকালচার এখন একটা সামাজিক এবং অফিসিয়াল মানদণ্ডে বিবেচিত হয়। প্রেমে, অপ্রেমে, আড্ডা, সামাজিকতায় কফি ছাড়া এখন চলেই না। আমিও বাসায় কিম্বা অফিসে এসে এক কাপ কফি খেয়েই দৈনন্দিনতা শুরু করি। কারন কফির ক্যাফেইন শরীরকে কিছুটা চাংগা করে রাখে। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত দিনে অন্তত চার মগ কফি খেতাম। আস্তে-ধীরে নামতে নামতে এখন শুধু সকালে এক মগে এসে দাঁড়িয়েছে। সেখান থেকেও কমিয়ে আনতে কৌশল করে মগের সাইজ ছোট করে নিয়েছি। কারণ, এই কফি হলো ঘুমের চরম শত্রু। কফি সকাল বেলা কাজের এক দারুন রেমিডি হলেও আপনার ‘ভালবাসার নেশা' এই কফির কাপ বা মগটায় সাইজের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে! কফির উপকারিতা এবং উপকারিতা নিয়ে যতই চিকিৎসা বিজ্ঞানী এবং পুষ্টিবিজ্ঞানে সতর্কতা/ সাবধানতা প্রচার হোক- বিশ্বে গড়পড়তা প্রতি বছর ৮% এবং বাংলাদেশে ১৮% কফির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে!

উপকারিতাঃ
মানসিক সতর্কতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি: ক্যাফেইন মস্তিষ্কে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে মনোযোগ ও কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

শারীরিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিঃ কফি পেশীগুলোকে উদ্দীপ্ত করে এবং শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।

লিভারের জন্য উপকারীঃ কফি লিভারের রোগ, যেমন সিরোসিস এবং ফ্যাটি লিভার রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধঃ কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।

অপকারিতাঃ
অতিরিক্ত ক্যাফেইন সেবনঃ অতিরিক্ত কফি পানে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, উদ্বেগ, অস্থিরতা, এবং অনিদ্রার মতো সমস্যা হতে পারে।

পাকস্থলীর সমস্যাঃ খালি পেটে কফি পান করলে অ্যাসিডিটি, গ্যাস্ট্রিক এবং আলসারের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

হজমের সমস্যাঃ কফি কিছু মানুষের ক্ষেত্রে হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে।

মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাবঃ অতিরিক্ত কফি সেবন উদ্বেগ ও বিষণ্ণতার কারণ হতে পারে।

সতর্কতাঃ
কফি পানের পরিমাণ সীমিত রাখা উচিত। দিনে ২-৩ কাপ কফি পান করাই যথেষ্ট। খালি পেটে কফি পান করা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। যাদের হৃদরোগ, উদ্বেগ বা অনিদ্রার সমস্যা আছে, তাদের কফি পানের ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সবশেষে, কফি একটি উপভোগ্য পানীয় হতে পারে, কিন্তু এর উপকারিতা এবং অপকারিতা উভয় সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি।

কফির ক্যাফেইন আমাদের স্নায়ুতন্ত্রে এক ধরনের ‘পজিটিভ উত্তেজনা তৈরি করে! অন্যদিকে শরীর আর মস্তিষ্কের মাঝে চলে এক বিপরীত রীতি।
আসলে কফি খেলে, শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে ‘অতিরিক্ত’ সক্রিয় হয়ে ওঠে, কিন্তু পরে শরীরই ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
অনেক সময় দুশ্চিন্তা, পেটের সমস্যা আর অস্থিরতা বাড়ায়। ব্লাক কফির ক্রিয়া বা প্রতিক্রিয়া দ্রুত হয়। আবার মিক্সড কফি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা তৈরী করে।
কফি শরীরের পানির পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে, অর্থাৎ ডিহাইড্রেশন বাড়ায়!
দিনের শেষে কফি খেলে ঘুমের চক্র নষ্ট হয়, এর প্রভাব প্রায় ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে পারে!
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কফির অতিরিক্ত ব্যবহার কারনে অস্থিরতা, হৃদস্পন্দন বাড়া এবং পেশীর স্পাজম হতে পারে।

তাহলে কফি কতোটা খাওয়া উচিত?
সাধারণত দিনে ১-২ কাপ কফি ঠিক আছে, কিন্তু আমার মতো যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তারা বিকেল ৪টার পর কফি এড়িয়ে চলুন।
গর্ভবতী নারীদের জন্য দৈনিক ক্যাফেইনের সর্বোচ্চ সীমা ২০০ মি গ্রা।
কফি যেমন অনেকের কর্মময় জীবনের শুরু, আবার অনেকের জন্যই সেটা ক্লান্তি আর অনিদ্রার কারন হতে পারে।
প্রতিটি শরীরের তার নিজস্ব সীমা থাকে।” তাই কফির প্রভাব প্রত্যেকের শরীরে আলাদা।

যাদের ঘুম কম, উদ্বেগ বেশি- তাদের জন্য কফি ‘বন্ধু’ না হয়ে ‘শত্রু’ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সুতরাং “কফি অল্প খাও এবং সময়টা উপভোগ করো”, এটা কফির মুলমন্ত্র হওয়া উচিত। কফি কালচার যেন কষ্টের কারন না হয়ে দাড়ায়।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৪১

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: এরকম একটা পোষ্ট ফেসবুকের কফি হাউজ নামের একটা গ্রুপে পড়েছি, আমি কমেন্টও করেছি। ওইটাই কি আপনার পোষ্ট?

০৮ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:০৩

জুল ভার্ন বলেছেন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ৪/৫ টা কফি হাউজ গ্রুপ আছে। কফি হাউজ গ্রুপের একটার সদস্য আমিও এবং আমি কফি নিয়ে একাধিক পোস্ট দিয়েছি, অন্যসব সদস্যদের মতো। সেখানে কফি নিয়ে মেডিক্যাল টার্মে কফির উপকারিতা উপকারিতা সম্পর্কে লিখেছিলেন গ্রুপের এডমিন ডাক্তার শ্যামরানী। সবার লেখা পোস্টের বিষয়বস্তু প্রায় কাছাকাছি হলেও যে যার মতো করে লিখেন। আমি আমার মতো করে লিখেছি এবং এটা ব্লগ, ফেসবুকে পুনঃপ্রকাশ।

২| ০৮ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৫০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সুন্দর তথ্য।

০৮ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:০৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে এর চাইতে অনেক বেশী তথ্য পাবেন গুগল সার্চ দিয়ে।

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভালো লেগেছে কফি নিয়ে আপনার লেখা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.