![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
অনেকদিন পর বাংলাদেশের মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা একসাথে একটি বড় ইস্যুতে সাড়া দিয়েছে। মিডিয়া আর জনগণ সমানতালে অন্তর্বর্তী সরকারের ডাউনফল নিয়ে রসিকতা করছে। আসলে বাঙালির স্বভাবই এমন ক্ষমতায় যেই থাকুক না কেন, সাধারণ মানুষের এক ধরনের নেতিবাচক মনোভাব থাকবেই। পান খেতে গিয়ে যদি চুন একটু বেশি হয়ে যায়, সেটাও সরকারের দোষ! আর আজকের ঘটনাটা তো আরও ভয়াবহ।
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে মোবাইলটা হাতে নিতেই দেখলাম, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন এক ঘোষণা দিয়েছেন—আগামী ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের সব পণ্যের ওপর ৩৫% শুল্ক। আগে ছিল ৩৭%, এখন কমে ৩৫% । চিঠিতে তিনি আরও বলে দিয়েছেন—বাংলাদেশ যদি আমেরিকার মাটিতে ফ্যাক্টরি বানায়, তাহলে শুল্ক শূন্য। মানে, "তোমার দেশের সস্তা লেবার ছেড়ে, আমার দেশে আসো" এই হচ্ছে নতুন বাণিজ্যনীতি!
গত এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি বেশি, তাদের ওপর অতি উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আগের ১৫ শতাংশের ওপর আরও ৩৭ শতাংশ বাড়িয়ে মোট ৫২ শতাংশ করে দিয়েছিলেন। এখন ট্রাম্পের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, তা কমে ৩৭ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভিয়েতনামের ওপর ৪৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প, কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে সেই শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কমানো হয়েছে মাত্র ২ শতাংশ! তাই নেটিজেনদের মনে প্রশ্ন বাংলাদেশের সঙ্গে এমন আচরণ ট্রাম্প করলেন কেন?
আরও চমক আছে শুধু বাংলাদেশ না, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, লাওস, তিউনিসিয়া, এমনকি কাজাখস্তানও বাদ গেল না। তবে অনেকে শুল্ক আমাদের থেকে কম। তালিকাটা দেখে মনে হচ্ছে ট্রাম্প নিজে বসে বসে বিশ্ব মানচিত্রে শুল্কের রং তুলছেন! এখনকার ট্রাম্প এক রকম ‘বদ্ধ উন্মাদ’, যেন পাগলের মতো আচরণ করছেন। তিনি এখন নোবেল পুরস্কার পেতে চান ! অন্যদিকে আরেক আন্তর্জাতিক অপরাধী নেতানিয়াহুও এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। দুজন মিলে গাজায় ‘রিসোর্ট’ বানানোর পরিকল্পনা করছেন বলেও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এই অদ্ভুত ট্রাম্প কেন বাংলাদেশকে এত কঠোর শুল্কের মুখে ফেললেন, তার ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারছে না।
অনেকে দোষ দিচ্ছেন বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা এবং রোহিঙ্গা বিষয়ক উপদেষ্টা খলিলকে। বলা হচ্ছে, তারা নাকি সঠিকভাবে লবিং বা ডিল করতে ব্যর্থ হয়েছেন। যদিও প্রধান উপদেষ্টা চেষ্টার কোনো কমতি রাখেননি ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বদলাতে। গত মাসে তিনি লন্ডনে এয়ারবাস কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যাতে ইউরোপকে দেশের সিচুয়েশন বুঝিয়ে এয়ারবাস কেনা থেকে সরে এসে বোয়িং থেকে বিমান কেনার পথ সুগম করা যায়। এমনকি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করার কথা থাকলেও তা বাতিল হয়ে যায় যেখানে প্রধান উপদেষ্টা এয়ারবাসের চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার বিষয়ে হয়তো কথা বলতেন ।
অর্থাৎ, বোঝা যাচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান নীতিনির্ধারকরা বোয়িংয়ের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন। বাণিজ্য সচিবও বলেছেন, বাংলাদেশ বোয়িং থেকে আরও বিমান কিনবে এই বার্তা ট্রাম্প প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। শেখ হাসিনার শাসনামলে ইউরোপকে সন্তুষ্ট রাখতে এয়ারবাসকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। সে সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন আরও বোয়িং বিমান কেনার, কিন্তু তখন শেখ হাসিনা ইউরোপের দিকেই ঝুঁকে পড়েছিলেন।
এখন আশার কথা হলো ট্রাম্প এখনো বাংলাদেশকে পুরোপুরি ধ্বংস করেননি। এখনো সময় আছে নতুন কোনো কূটনৈতিক তৎপরতায় কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার। বাংলাদেশের উপর আরোপিত টারিফ কমিয়ে ভিয়েতনামের কাছাকাছি নেয়া যায় কিনা তার জন্যে বর্তমানে বাণিজ্য উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা সবার অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রে। রোহিঙ্গা বিষয়ক উপদেষ্টা খলিলও সেখানে আছেন কি না, তা নিশ্চিত নয়।
এই খবর শোনার পর আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে যেন ঈদের আনন্দ নেমে এসেছে ! তারা কেউই শিল্প ধ্বংস, গার্মেন্টস খাতের ধস নিয়ে ভাবছে না তারা কেবল দেখতে চায় প্রফেসর সাহেব (মুহাম্মদ ইউনূস) কীভাবে হোঁচট খান। বাস্তবতা হলো, শেখ হাসিনা যদি এখন ক্ষমতায় থাকতেন, তিনিও এই পরিস্থিতি পুরোপুরি সামাল দিতে পারতেন না। কারণ ট্রাম্প ব্যক্তিগত মর্জিমাফিক সিদ্ধান্ত নেন, যুক্তির ভিত্তিতে নয়। মাঠে খেলা ট্রাম্প খেললেন একাই, গোলও দিলেন একাই, আমরা শুধু দর্শক। এখন প্রশ্ন: আমরা কী করবো ? পাল্টা শুল্ক বসাবো ? উত্তরও ট্রাম্প দিয়ে রেখেছেন "তাহলে তোমার শুল্ক যত, তার সঙ্গে আমারটা জুড়ে নেব !"
এখনো আমাদের মনে রাখা দরকার এই সময়টা একটি রূপান্তরকাল। এর মধ্যে আবার নতুন করে বড় বিপদের মুখে পড়া কতটা যুক্তিযুক্ত? ট্রাম্প মূলত আমেরিকার ব্যবসা ছাড়া আর কিছুই ভাবেন না। অথচ আমেরিকার রাষ্ট্রদূত, দূতাবাস সবাই জানার কথা দেশে কী হচ্ছে। কিন্তু ট্রাম্পের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ যেন সুখে আছে তাই হয়তো সে চায় দেশটি উচ্চ শুল্ক বহন করুক !
এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলগুলোরও আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ তারাও এই ‘পাগলাটে’ ট্রাম্পের সঙ্গে ডিল করতে পারত না। যেখানে প্রফেসর সাহেব নিজেই হিমশিম খাচ্ছেন, সেখানে অন্যদের অবস্থা আরও খারাপ হতো। বিএনপির জন্য তো ভয় আরও বেশি। চীনের সঙ্গে তাদের ইদানিং যে ঘনিষ্ঠতা দেখা যায় ভবিষ্যতের জন্য তা অশনি সংকেত হয়ে দাঁড়াতে পারে। সুতরাং এখন বাংলাদেশের উচিত পশ্চিমাদের সঙ্গে যেকোনো মূল্যে সম্পর্ক ভালো রাখা। চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে ধীরে ধীরে সরে আসা দরকার। এই কঠিন সময়ে বিচক্ষণ কূটনীতিই পারে দেশকে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকট থেকে বাঁচাতে।
০৮ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এটেনশন পাওয়া যায় এমন শিরোনামে ।
২| ০৮ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: বাংলাদেশ এতো হালকা না, যে ট্রাম্প কিম্বা অন্য কেউ ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিবে।
০৮ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: চায়নার সাথে বিএনপির বেশি দহরম মহরমে ভয় লাগে ।
৩| ০৮ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ট্রাম্প ঝড়ে বাংলাদেশ উড়বে না।
প্রথমত, বাংলাদেশের রপ্তানির ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের দেশে তৈরী পোশাক শিল্প। অর্থাট, মোট রপ্তানি আয়ের ৮০% আসে এই শিল্প থেকে।
এখন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়, যার মধ্যে প্রধানত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উল্লেখযোগ্য। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রপ্তানির প্রায় ৫০% ই গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে, যার আর্থিক মূল্য ছিল ১৯.৩৭ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্র ছিল দ্বিতীয় বৃহত্তম গন্তব্য, যেখানে মোট রপ্তানির ১৮.৭২% পোশাক গেছে। এছাড়াও, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, স্পেন, ফ্রান্স, এবং মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি হয়।
বাংলাদেশ ডেসটিনেশন চেঞ্জ করলেই, সমস্যার সমাধান হতে পারে। এজন্যে প্রয়োজন জোর কূটনীতি। ইউরোপে ডঃ ইউনুসের ভালো গ্রহণযোগ্যতা আছে।
০৮ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আগে ঝড় সামলাক। পরে এসব ভেবে দেখা যাবে ।
৪| ০৮ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫
কামাল১৮ বলেছেন: চীন বা রাশিয়া কোন দেশের সরকার তাড়ানোর তালে থাকে না যেটা অহরহ করছে আমেরিকা।আমেরিকা অনেক দেশের সরকার তাড়াতে গিয়ে অনেক দেশের বারটা বাজিয়ে দিয়েছে।তারা এটা নিয়েই গবেষণা করে দিনরাত।কাকে তাড়ায়ে কাকে আনা যায়।
এটা একটা দুষ্ট চক্র।
০৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:৩৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: চায়না-রাশিয়া কেমন ভালো তা সবাই জানে ।
৫| ০৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:৫৫
মেঘনা বলেছেন: রাজনৈতিক কারণে ইউনুস ইন্ডিয়ার সাথে সম্পর্ক ভালোকরতে পারবেনা।
০৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:৫৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি কি ভারত নিয়ে লিখেছি ? আপনি যেমন নিজের দেশের দোষ দেখেন না আমিও বলবো সব দোষ ভারতের ।
৬| ০৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:১০
নিমো বলেছেন: বাংলাদেশ উড়বে না, তবে ছ্যাঁচড়া পার্টি, নানু উপদেষ্টার উড়ার সম্ভাবনা আছে।
০৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:৩০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইদের খুশি আজ একটা দল চিপায় চাপায় শুকনা খায় ।
৭| ০৯ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:১৩
মেঘনা বলেছেন: @ সৈয়দ কুতুব,
আমেরিকা,ইউরোপ, চীন, রাশিয়ার মতো ইন্ডিয়াও বাংলাদেশের রাজনীতি এবং অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
০৯ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:২৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশের কোনো দোষ নেই ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- শিরনাম দেখে ভয় পাইছি!