![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনুসরণ নয়, অনুকরণ নয়, নিজেকে খুঁজতে চাই, নিজেকে জানতে চাই, নিজের পথে চলতে চাই ।
ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী ফিলিস্তিনের হেবরন শহর । এ শহরের আল-আফা গ্রামে বাস করে আব্দুল্লাহর পরিবার । ২৮ বছরের টগবগে যুবক আব্দুল্লাহ সদ্য বিয়ে করেছে । মনের মত স্ত্রী পেয়ে খুব খুশি সে । তারা স্বামী স্ত্রী ছাড়াও তাদের সাথে আবদুল্লার ছোট ভাই আব্দুল কারিম ও থাকে ।
আব্দুল্লাহ উচ্চশিক্ষিত যুবক । হয়তো ভাল চাকরিও পেতেন । কিন্তু দেশটা যে ফিলিস্তিন ! বিয়ে করেছেন যে সায়মাকে, সেও উচ্চ শিক্ষিত । বয়সে স্বামীর ২ বছরের ছোট সায়মা মিশরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন । কিন্তু মিশর সরকারের আপত্তিতে দেশে ফিরে যেতে হয় সায়মাকে ।
আবদুল্লার বাবার ছিল অনেক সম্পত্তি । ধীরে ধীরে তা ইসরায়েলের আওতাভুক্ত হয় ।
ফিলিস্তিন। এক অঘোষিত কারাগার । প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন ছুতায় ফিলিস্তিনিদের হেনস্তা কড়া, ঘর তল্লাশি কড়া ইসরায়েল আর্মির রুটিন কাজ । ফিলিস্তিনি নারীরা তল্লাশির সময় সাধারণত আড়ালেই থাকে । তারা পরপুরুষদের সামনে বেরুতে চায়না ।
একদিন সকালের প্রথম চুম্বন করছিল আব্দুল্লাহ-সায়মা । কয়েকজন সৈন্য আসে আবদুল্লার ঘর তল্লাসি করতে । তাদের কাছে নাকি সংবাদ আছে চরমপন্থিরা এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছে । সায়মা অভিযোগ অস্বীকার করে । হানাদার সেনাদের চোখ ছুটে গেল সায়মার দিকে । সকালের হাল্কা পোশাকে অপূর্ব লাগছিল তাকে । সুডৌল সুউচ্চ বুক প্রকাশ পাচ্ছিল কোমল কাপড়ের উপর দিয়ে । গোল, তুলতুলে মুখ দিয়ে জাদুকরি ভঙ্গিমায় উচ্চারিত হচ্ছিল প্রতিবাদের ভাষা ।
চালাক ইসরাইলী মেজর পরিকল্পনাটি করে ফেলেছিল তখনই । সে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অজুহাতে গ্রেফতার করে আব্দুল্লাহকে । এবার নরম হয়ে এসেছিল সায়মার মুখ । সে আকুতি জানাচ্ছিল তার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য । সায়মা যখন অফিসারের পায়ে ঝুঁকে পরে , তার জামার ভেতর দিয়ে দেখা যাচ্ছিল অর্ধ উলঙ্গের মত । পাগল হয়ে যায় অফিসার । কিন্তু সে ঠাণ্ডা মাথার খুনি । সে সায়মার কথায় কান না দিয়ে ধরে নিয়ে যায় আব্দুল্লাহকে ।
ঠিক এর একমাস পর । দুপুর বেলা । কাজকর্ম সেরে বাথটবে গোসল করছিল সায়মা । প্রথম কয়দিন খুব বেশি মন খারাপ থাকলেও এখন আর সেরকম নেই সায়মা । সে নিজেকে বুঝিয়ে নিয়েছে । এরকম তো আরও অনেকে আছে, যাদের বাবা, ভাই, স্বামী ইসরাইলী কারাগারে বন্দি । তো কেদে কি লাভ হবে? সে এখন মন দিয়েছে বাড়ির কাজকর্মে । স্বামীর কথা যে বেমালুম ভুলে গেছে তা নয় ।
খালি ঘরে উলঙ্গ হয়ে গোসল করছিল সায়মা । অনেকদিন থেকে তার শরীরে কারো স্পর্শ পরে না । ভরা যৌবনের একটা মেয়ের কাছে তার স্বামীর থেকে দূরে থাকা কত কঠিন তা এখন টের পাচ্ছে সায়মা । গায়ে সাবান লাগিয়ে স্পর্শকাতর অঙ্গগুলো ঢলছিল সায়মা । মাঝে মধ্যে চরম উত্তেজনায় শব্দও বেরুচ্ছে তার মুখ থেকে । এমন সময় দরজায় নক হল । সায়মা বলল, 'কে?'
-আমি কারিম ।
-আমি গোসল করছি । এখন কি দরকার?
-ভাবী, ভাইয়ার খবর নিয়ে একজন লোক এসেছেন ।
সায়মার হৃদয় মোচড় দিয়ে উঠলো । কারাগারে কেমন আছে ও? কোন দুঃসংবাদ নয় তো?
-আমি আসছি । উনাকে মেহমানখানায় বসাও ।
সেই মেজর গ্রিল শ্যামন নামের এই তরুণ অফিসারকে পাঠিয়েছিল সায়মাকে তার কাছে নিয়ে যাবার জন্য । শ্যামনকে সে বলে দিয়েছিল, সায়মার সাথে কোন বেয়াদবি কড়া চলবে না । যথেষ্ট সম্মানের সাথে তাকে নিয়ে আসতে হবে ।
গোসল শেষে কাপড় পরে খোলা চুলে শ্যামনের সাথে দেখা করতে গেল সায়মা । সদ্য গোসল করে আসা সায়মাকে অপূর্ব লাগছিল । শ্যামল পবিত্র এ মুখের দিকে চেয়ে ভুলে গেল সবকিছু । সে সব খুলে বলল । পরে সায়মার কাহিনী শুনে সে বুঝতে পারল এটি বড় সাহেবের খাবার । এর দিকে দৃষ্টি দেওয়া চলবে না । সে সায়মাকে বলল তার সাথে যেতে । গেলে সে তার স্বামীকে নিয়ে আসতে পারবে । অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজি হয়ে গেল সায়মা ।
গাড়ির ড্রাইভিং সিটে শ্যামন এবং তার পাশের সিটে সায়মা বসল । হাতের কাছে এমন একজন অসহায় সুন্দরী মেয়ে, কিছুতেই ধৈর্য ধরতে পারছিল না শ্যমন । সে সুদর্শন, সুঠাম দেহের একজন ইসরাইলী অফিসার । কিছুতেই তার ভয় পাওয়া উচিত নয় ।
এক নির্জন স্থানে গাড়ি থামিয়ে সে সায়মাকে জড়িয়ে ধরল । সায়মার কাছে শ্যামনের এমন আচরণ ছিল অপ্রত্যাশিত । সে কিছু বুঝে উঠার আগেই শ্যামনের হাত খুঁজে পেল সায়মার বুকের খাঁজ । তার অঙ্গগুলো সাড়া দিতে চাচ্ছিল, কিন্তু তার বিবেক সায় দিচ্ছিল না । শেষে সে মনে করল এর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কোন উপায় নেই । কিন্তু ভালয় ভালয় যদি তার স্বামী মুক্তি পেয়ে যায় তাতেই চলবে । কিন্তু সে জানতোনা তার জন্য সামনে আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করছে ।
তাই সে একটু আধটু বাধা দিয়ে আত্মসমর্পণ করল শ্যামনের কাছে । শ্যামন খুবলে খেল তার শরীরের মধ্যভাগ ।
মেজরের কাছে পৌছার পর শুরু হল আসল লড়াই । সেখানে ইসরাইলী সেনাবাহিনীর কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন তাদের রিসিভ করার জন্য । সায়মা বুঝতে পারলো আশু বিপদের সতর্ক সংকেত । কিন্তু তখন আর তার কিছুই করার নেই । সে নিজেই ধরা দিয়েছে শিকারির কাছে ।
এই রাতই ছিল সায়মার শেষ রাত । ইসরাইলী পশুরা একসাথে তার মুখ, যোনি এবং নিতম্ব ব্যবহার করতে চাইছিল । কিন্তু সায়মার অব্যাহত প্রতিবাদের সাথে পেরে উঠছিল না তারা । অফিসাররা কাজ সমাধা করার পর থাকে সৈনিকরা সে স্থান দখল করে । সারারাত ব্যাপি অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয় তার উপর । কিন্তু তারপরও মরেনি সে ! পরবর্তীতে তার রক্তরাঙা শরীরটিকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় অন্ধকার কারাগারের মেঝেতে । হয়তো সেখানেও কেউ ছিল যে সবেগে তরল পদার্থ ঢুকিয়ে দেয় সায়মার নিম্নভাগ দিয়ে । এবং সেখানেই দেওালের সাথে মাথা কুটে মৃত্যু হয় তার ।
ইসরায়েল, ফিলিস্তিন, এটাই সম্পর্ক তাদের মধ্যে ।
ইসরায়েলের ছেলেরা বনাম ফিলিস্তিনি নারীরা ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:২১
আহসানের ব্লগ বলেছেন: এটা কি হলো ?