![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নিতান্তই একজন জ্ঞানান্ধ মানব। অন্যের হাতে জ্ঞানের মশাল দেখে নিজেকে তা থেকে মুক্তি দেওয়ার সাধ জন্মালো। তাই অনুসন্ধান শুরু করলাম। ছুটছি আপন কক্ষপথে। অন্যের কক্ষপথে। জ্ঞান চাই। আমার জ্ঞান চাই। প্রচুর। অসীম। আমার অসীম জ্ঞান চাই। যে জ্ঞান আমাকে মুক্তির পথ দেখাবে। যে জ্ঞান আমাকে আমার স্রষ্টার কাছে সমর্পিত করতে উদ্ভূত করবে। কিন্তু পাই না। এই জগতের লোভ, লালসা, কাম, ক্রোধ, হিংসা, বিদ্বেষ সেই সুযোগ দেয়না। তখন আমি তা থেকে বিচ্যুত হই। তারপর কলম ধরি। সেই জ্ঞানের বিপরীত দিকে ধাবমান হই। নিজেই সৃষ্টি করতে চাই। কিন্তু তাতো সম্ভব নয়। যে কাজ সর্ব কল্যাণকারীর। যে কাজ শুধু মাত্র এক জনের জন্যই। তা আমি কোন -কি কারণে করতে পারি? এখন আমি সে পথ থেকে বিচ্যুত। সম্পূর্ণ বিচ্যুত। তাই জ্ঞানের গর্ভে বিলীন হয়ে যাই। নিজেই লিখি! হ-য-ব-র-ল বাক্য বানাই। যার কোন অর্থ নিজেও জানি না। কেউ তার অর্থ খুঁজলে উত্তর দেই না। এর চেয়ে বেশি আমি আর কিছছুই নই।
কবিতা= কথা + বিন্যাস + তান
কথা: কবিতা লিখতে হলে কবিতাতে সুন্দর কথার মালা থাকতে হবে। কথা যদি পাঠকের মনে অনুভূতি না জাগাতে পারে তবে সে কবিতা, কবিতার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনা। তাই সুন্দর কথা দিয়ে কবিতা লিখুন।
বিন্যাস: বিন্যাস কবিতার মূল একটি অংশ। কবিতা লেখার ক্ষেত্রে পঙ্কতি, স্তবকে সাজাতে হয়। আর এই সাজানোর প্রক্রিয়াই হলো বিন্যাস। কবিতার বিন্যাস মাত্রা নির্নয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তান: তান হলো কবিতার সুর। কবিতা পাঠ করতে হলে ছন্দ আকারে পাঠ করতে হয়। তা না হলে কবিতা গল্পে পরিনত হয়। কবিতাতে তাই অবশ্যই তান সুন্দর হওয়া বাঞ্চনীয়।
এছাড়া কবিতা লেখার আরও অনেক নিয়ম আছে। বই কিনে নিতে পারেন।
ধন্যবাদ।
লেখক: প্রশান্ত মন্ডল
©somewhere in net ltd.