![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নিতান্তই একজন জ্ঞানান্ধ মানব। অন্যের হাতে জ্ঞানের মশাল দেখে নিজেকে তা থেকে মুক্তি দেওয়ার সাধ জন্মালো। তাই অনুসন্ধান শুরু করলাম। ছুটছি আপন কক্ষপথে। অন্যের কক্ষপথে। জ্ঞান চাই। আমার জ্ঞান চাই। প্রচুর। অসীম। আমার অসীম জ্ঞান চাই। যে জ্ঞান আমাকে মুক্তির পথ দেখাবে। যে জ্ঞান আমাকে আমার স্রষ্টার কাছে সমর্পিত করতে উদ্ভূত করবে। কিন্তু পাই না। এই জগতের লোভ, লালসা, কাম, ক্রোধ, হিংসা, বিদ্বেষ সেই সুযোগ দেয়না। তখন আমি তা থেকে বিচ্যুত হই। তারপর কলম ধরি। সেই জ্ঞানের বিপরীত দিকে ধাবমান হই। নিজেই সৃষ্টি করতে চাই। কিন্তু তাতো সম্ভব নয়। যে কাজ সর্ব কল্যাণকারীর। যে কাজ শুধু মাত্র এক জনের জন্যই। তা আমি কোন -কি কারণে করতে পারি? এখন আমি সে পথ থেকে বিচ্যুত। সম্পূর্ণ বিচ্যুত। তাই জ্ঞানের গর্ভে বিলীন হয়ে যাই। নিজেই লিখি! হ-য-ব-র-ল বাক্য বানাই। যার কোন অর্থ নিজেও জানি না। কেউ তার অর্থ খুঁজলে উত্তর দেই না। এর চেয়ে বেশি আমি আর কিছছুই নই।
প্রতিদিন পত্রিকার পাতাতে চোখ বুলাতেই যখন, লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত ভাষার বর্ণমালায় লেখা; অপহরণ, খুন, ধর্ষণ ইত্যাদি ইত্যাদি লেখাগুলো রেটিনাতে প্রতিচ্ছবি আঁকে; তখন সত্যিই খুব খারাপ লাগে। অাজ তনু নাম ধারী একটি প্রাণের ছেদ পড়ল। কাল হয়তো অন্য কারো, পরশু.....! উহ্ঃ কিভাবে সম্ভব!
একটি শিশু জন্মের পূর্ব থেকেই তার পিতামাতার বুকে স্বপ্নের বীজ বপন করে দেয়। আর সেই বীজ যদি অঙ্কুরিত হয়ে অঙ্কুর থেকে চারা, চারা থেকে গাছে পদার্পণের সময় কোনো কালো হাত উপরে ফেলে! তখন সেই বপিত স্বপ্নগুলো যারা ধারণ করে থাকে; তাদের অবস্থা কে বুঝবে?
আমরা স্রষ্টার সৃষ্ট সর্বশ্রেষ্ঠ জীব। আমরাই প্রাণীর মধ্যে পেয়েছি উন্নত মস্তিষ্ক। আর সেই মস্তিষ্ক যদি বিকৃত বুদ্ধি সম্পন্ন হয়, তার ব্যবহার যদি জগতের কল্যাণে না আসে, সেই বুদ্ধি যদি ডেকে আনে হানাহানি; যা কারো কাম্য নয়। তখন দু'পা বিশিষ্ট লেজহীন প্রাণীদের কি সর্বশ্রেষ্ঠ বলা চলে?
দুই পা, দুই হাত আর একটি মাথা থাকলেই মানুষ হয়না। কিংবা শারীরিক ভাবে সব থাকলেও নয়। মানুষ হতে হলে প্রয়োজন মনুষ্যত্বের। প্রয়োজন প্রেম ভালোবাসার। প্রণয়ের। আর তাই অপরাধীকে শাস্তি দিয়ে অপরাধ দমানো যায়না। এ প্রসঙ্গে একটি অতি পরিচিত তথ্য উল্লেখ করা যেতে পারে। তথ্যটি এরকম-- আগুনে ঘি ঢেলে আগুন নেভানো যায়না। এ অসম্ভব। বরং হিতে বিপরীত হয়। অপরাধীকেও শাস্তি দিয়ে অপরাধ কমানো যায়না। আর যদি তা সম্ভবই হতো তাহলে প্রতিনিয়ত এত সব শাস্তির পরে কেউ এসব নিকৃষ্ট কাজে হাত দিত না। এর জন্য প্রয়োজন পরিবারের সতর্কতা ও প্রেম।
আমার এই কথার এই অর্থ নয় যে, আমি অপরাধীকে চুমু দিতে বলছি! অপরাধীকে অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে তা না হলেও যে মনুষ্যত্ব বিকৃত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। তবে এটাতো চিরন্তন সত্য যে, আধাঁর সরাতে হলে অবশ্যই আলো প্রয়োজন। আর এ আলো হোক শাস্তির না হয় প্রেমের। তবে এই শাস্তির চেয়ে প্রেমর মহিমা বেশি নয় কি?
সমগ্র পৃথিবীর এই সামাজিক জীব গুলোর ইউনিট হলো তার দেশ। না। তার বিভাগ। না। এর ইউনিট হলো স্বস্ব পরিবার। আজ আমরা যদি আমাদের পরিবারের প্রত্যেকটি প্রাণে মনুষ্যেতর বীজটি ভালো ভাবে রোপন করে দিতে পারি তবেই সেই সব অপকর্মকারীর হাত থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব। নচেৎ গতি নরন্যথা, গতি নরন্যথা!
তাই আসুন আজ যে মনুষ্যত্বহীনেরা জগতকে কালিমা লিপ্ত করতে উদ্যত হয়েছে বা করে চলেছে; তাদের সুপথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করি। আমি আপনি আমরা, আমাদের সবার প্রচেষ্টাতেই পেতে পারি একটি ভবিষ্যৎ সুন্দর বসবাসযোগ্য পৃথিবী। মনে রাখবেন, আজ অন্যের পায়ের নিচে মাটি কম্পিত হচ্ছে। কাল যে আপনার হবেনা; তা কিন্তু স্বয়ং আবহাওয়াবিদও বলতে পারবে না!
আমাকে ফেসবুকে পেতে: http://www.facebook.com/pm.kobi
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: শিক্ষা, প্রেম, ভালবাসার অব্শ্যই প্রয়োজন আছে। কিন্তু, 'চোর না শোনে ধর্মের কথা' - বলে যে একটি প্রবাদবাক্য আছে সেটার কী?
৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২
হেমন্ত মন্ডল বলেছেন: তা ঠিক আছে। আর সে কারণেই তো পরিবার থেকে সন্তানদের সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩
হেমন্ত মন্ডল বলেছেন: ধন্যবাদ! #আশারাফুল ইসলাম
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩
আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: ভালো!
Click This Link