নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করব,মানবতার সমাজ গড়বো ইনশাআল্লাহ।

মোঃ হৃদয় মোল্লা

বিএসসি অনার্স(রসায়ন)নরসিংদী সরকারি কলেজ

মোঃ হৃদয় মোল্লা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিয়ারা কি মুসলিমদের কুরআনে বিশ্বাস করে?

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৮

তাকিয়া [ধর্মীয় কারণে মিথ্যাচার]তে অভ্যস্ত শিয়ারা যেমন মুসলিমদের সামনে এ নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে, তেমনি কিছু সরলপ্রাণ মুসলিম ভাই মনে করেন -- "শিয়াদের যতই ভিন্ন মত থাকুক, ওরাও তো আমাদের মত একই কুরআনে বিশ্বাস করে!"
কিন্তু আসলেই কি তাই? আসলেই কি শিয়ারা দ্বীন ইসলামের কিতাব আল কুরআনে পূর্ণরূপে বিশ্বাস করে?

শিয়াদের ধর্মীয় বিধি-বিধানের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত ও প্রসিদ্ধ গ্রন্থ হচ্ছে - মুহাম্মদ ইবন ইয়াকুব আল-কুলাইনীর ‘আল কাফী’ (الكافي)। এটি তাদের নিকট সব থেকে বিশুদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য "হাদিস" গ্রন্থ। এই গ্রন্থের ৩টি খণ্ডের ১ম অংশ উসুলুল কাফী (أصول الكافي) তে শিয়াদের আকিদা-বিশ্বাস সন্নিবেশিত আছে। তাদের আকিদার রেফারেন্স দিতে হলে এই কিতাব থেকেই দিতে হবে। এই আকিদা না মানলে সে মূলধারার শিয়াই না। এই গ্রন্থে باب أنه لم يجمع القرآن كله إلا الأئمة و أنهم يعلمون علمه كله অধ্যায় [ইমামগণই আল-কুরআনকে পরিপূর্ণ সংকলন করেন এবং তারাই তার পরিপূর্ণ জ্ঞান রাখে] শিরোনামের অধীনে বর্ণনা করা হয়েছে:

“জাবের থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি আবূ জাফর(আ) [জাফর সাদিক]-কে বলতে শুনেছি, মানুষের মধ্যে মিথ্যাবাদী ছাড়া কেউ দাবি করতে পারে না যে, আল্লাহ যেভাবে কুরআন নাযিল করেছেন, সে তা পরিপূর্ণভাবে সেভাবে সংকলন করেছে; বরং আলী ইবন আবি তালিব ও তার পরবর্তী ইমামগণই আল্লাহ যেভাবে তা নাযিল করেছেন, ঠিক সেভাবে সংকলন ও সংরক্ষণ করেছেন।”
কুলাইনী তার উসুলুল কাফী (أصول الكافي) নামক গ্রন্থের ৬৭ পৃষ্ঠায় (ভারতীয় ছাপা) আরও বর্ণনা করেন:
.
“আবূ আবদিল্লাহ[জাফর সাদিক] বললেন: “… যতক্ষণ না কায়েম বা মাহদীর উত্থান ঘটবে, যখন সে কায়েম বা মাহদীর উত্থান হবে, তখন আল্লাহর কিতাবকে তার সীমারেখায় রেখে পাঠ করা হবে; আর তিনি কুরআনের ঐ কপিটি বের করবেন, যা আলী(আ) লিপিবদ্ধ করেছিলেন।
তিনি আরও বললেন, আলী(আ) যখন তা লিপিবদ্ধ করে অবসর হলেন, তখন তিনি জনগণের নিকট তা বর্ণনা করলেন এবং তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন: এটা আল্লাহ তা‘আলার কিতাব, যেমনিভাবে তা মুহাম্মাদ(ﷺ)এর প্রতি আল্লাহ তা‘আলা নাযিল করেছেন; আমি দু’টি ফলক থেকে তা সংকলন করেছি।
তখন লোকেরা বলল: আমাদের নিকটে তো কুরআন সংকলিত রয়েছে; এর কোন প্রয়োজন আমাদের নেই। অতঃপর আলী বললেন: জেনে রাখ! আল্লাহর শপথ, আজকের এই দিনের পরে তোমরা তা আর কখনও দেখতে পাবে না; কারণ, যখন আমি তা সংকলন করি, তখন আমার উপর দায়িত্ব ছিল যে, আমি তা তোমাদেরকে জানাব, যাতে তা তোমরা পাঠ করতে পার।”
.
নাউযুবিল্লাহ, কুরআন বিকৃতির তত্ত্ব কেউ বিশ্বাস করলে তার ঈমান থাকার কথা নয়; আর তারা সেই কুফরী বিশ্বাসটিকে মহান সাহাবী আলী(রা) এর দিকেই সম্পর্কযুক্ত করল। -_-
.
শিয়ারা তাদের ‘কুরআনের’(!) তাফসিরগুলোতে মুসলিম উম্মাহর আল কুরআন নিয়ে কী মন্তব্য করে? চলুন দেখি।
.
শিয়া মুফাসসির মোল্লা হাসান তার তাফসিরের শুরুর অংশে উল্লেখ করেন:
“আবূ জাফর(আ) [জাফির সাদিক] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: যদি আল্লাহর কিতাবের মধ্যে কম-বেশি করা না হত, তবে কোন বিবেকবানের কাছেই আমাদের হক (অধিকার) গোপন থাকত না।”
[মোল্লা হাসান, তাফসীরুস সাফী (تفسير الصافي), পৃ. ১১]

শিয়া আলেম নুরী আত-তাবারসী ‘ফসলুল খিতাব’ (فصل الخطاب)-এর মধ্যে বলেন:
“আমীরুল মুমিনীনের [অর্থাৎ আলী(রা)] একটি বিশেষ কুরআন ছিল, যা তিনি রাসূলুল্লাহ(ﷺ) ইন্তিকালের পর নিজেই সংকলন করেন এবং তা জনসমক্ষে পেশ করেন; কিন্তু তারা তা উপেক্ষা করে। অতঃপর তিনি তা তাদের দৃষ্টি থেকে গোপন করে রাখেন; আর তা ছিল তার সন্তান তথা বংশধরের নিকট সংরক্ষিত, ইমামত তথা নেতৃত্বের সকল বৈশিষ্ট্য ও নবুয়তের ভাণ্ডারের মত যার উত্তরাধিকারী হয় এক ইমাম থেকে অপর ইমাম। আর তা প্রমাণ (মাহদী) এর নিকট সংরক্ষিত রয়েছে। -আল্লাহ আল্লাহ দ্রুত তাকে মুক্ত করে দিন- ; তিনি তখন তা জনসমক্ষে প্রকাশ করবেন এবং তাদেরকে তা পাঠ করার নির্দেশ দিবেন; আর তা সংকলন, সূরা ও আয়াতসমূহের ধারাবাহিকতার দিক থেকে বিদ্যমান এই কুরআনের বিপরীত; এমনকি শব্দসমূহও কম-বেশি করার দৃষ্টিকোণ থেকে তার বিপরীত। আর যেখানে সত্য আলী’র সাথে; আর আলী সত্যের সাথে, সেখানে বিদ্যমান কুরআনের মধ্যে উভয়দিক থেকেই পরিবর্তন রয়েছে; আর এটাই উদ্দেশ্য।”
[ফসলুল খিতাব (فصل الخطاب), পৃ. ৯৭]
.
হ্যাঁ, সে (নূরী তাবরসী) এ রকম ভাষ্য ও শব্দে এ জঘন্য কথাটি বলেছে, নাউযুবিল্লাহ। আল্লাহ এদের উপর অভিশাপ বর্ষণ করুন।

হোসাইন আন-নুরী আত-তাবারসী ‘ফসলুল খিতাব’ (فصل الخطاب) নামক গ্রন্থের মধ্যে আরো বলেন:
“অনেক প্রবীণ রাফেযীর নিকট থেকে বর্ণিত আছে যে, আমাদের নিকট যে কুরআন বিদ্যমান আছে, তা ঐ কুরআন নয়, যা আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মদ(ﷺ) এর উপর নাযিল করেছেন; বরং তা রদবদল করা হয়েছে এবং করা হয়েছে তাতে কম-বেশি।”
[ফসলুল খিতাব (فصل الخطاب), (ইরানি সংস্করণ) পৃ. ৩২]

শিয়া মুফাসসির মোল্লা হাসান বর্ণনা করেন:
“আবূ জাফর থেকে বর্ণিত, আল-কুরআন থেকে অনেক আয়াত বাদ দেয়া হয়েছে; আর কতগুলো শব্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
[মোল্লা হাসান, তাফসীরুস সাফী (تفسير الصافي), পৃ. ১১]

মোল্লা হাসান আরও বলেন:
“আহলে বাইত তথা নবী পরিবারের সুত্রে বর্ণিত এসব কাহিনী ও অন্যান্য বর্ণনাসমূহ থেকে বুঝা যায় যে, আমাদের মধ্যে প্রচলিত কুরআন [[ অর্থাৎ যেই কুরআন মুসলিম উম্মাহ পাঠ করে ]] মুহাম্মাদ(ﷺ) এর উপর অবতীর্ণ কুরআনের মত পরিপূর্ণ নয়; বরং তার মাঝে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তার পরিপন্থী আয়াত যেমন রয়েছে; আবার তেমনি পরিবর্তিত ও বিকৃত আয়াতও রয়েছে। আর তার থেকে অনেক কিছু বিলুপ্ত করা হয়েছে; তন্মধ্যে অনেক জায়গায় আলী’র নাম বিলুপ্ত করা হয়েছে; আবার একাধিক বার "آل محمد" (মুহাম্মদের বংশধর) শব্দটি বিলুপ্ত করা হয়েছে; আরও বিলুপ্ত করা হয়েছে মুনাফিকদের নামসমূহ এবং ইত্যাদি ইত্যাদি। আর এটা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পছন্দসই ক্রমধারা অনুযায়ী সাজানোও নয়।”
[মোল্লা হাসান, তাফসীরুস সাফী (تفسير الصافي), পৃ. ১৩]

আর কুলাইনী বর্ণনা করেন:
“আবূ আবদিল্লাহ(আ) {জাফর সাদিক} থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: নিশ্চয় জিবরাঈল আ. যে কুরআন মুহাম্মাদ(ﷺ) এর নিকট নিয়ে এসেছে, তাতে আয়াত সংখ্যা সতের হাজার।”
[উসুলুল কাফী (أصول الكافي), (ভারতীয় সংস্করণ) পৃ. ৬৭১]

শিয়াদের কাল্পনিক “কুরআনে”(??!!) আয়াত ১৭,০০০; অথচ আল্লাহ তা’আলা যেই কুরআন নবী মুহাম্মাদ(ﷺ) এর উপর নাজিল করেছেন, তার আয়াতসংখ্যা ৬২৩৬।
এরপরেও কেউ কিভাবে দাবি করতে পারে যে শিয়া ধর্মের লোকেরা মুসলিমদের আল কুরআনে বিশ্বাস করে? যারা আল কুরআনেই ঠিকমত বিশ্বাস স্থাপন করে না তারা আবার কেমন মুসলিম?

সম্মানিত কিতাব আল কুরআনের ব্যাপারে আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা‘আলা বলেন:

“আলিফ-লাম-মীম, এটা সেই কিতাব; এতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তকীদের জন্য তা পথ প্রদর্শক”
(সূরা আল-বাকারাহ: ১-২)

তিনি আরও বলেন:

“আমিই কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং অবশ্যই আমি তার সংরক্ষক”।
(সূরা আল-হিজর: ৯)

তিনি আরও বলেন:
“তাড়াতাড়ি ওহী আয়ত্ব করার জন্য তুমি তোমার জিহ্বা তার সাথে সঞ্চালন করো না। এটা সংরক্ষণ ও পাঠ করাবার দায়িত্ব আমারই। সুতরাং যখন আমি তা পাঠ করি, তখন তুমি সেই পাঠের অনুসরণ কর; অতঃপর এর বিশদ ব্যাখ্যার দায়িত্ব আমারই।”
(সূরা আল-কিয়ামাহ: ১৬-১৯)

তিনি আরও বলেন:
“আমি আমার বান্দার প্রতি যা অবতীর্ণ করেছি, তাতে তোমাদের কোন সন্দেহ থাকলে তোমরা তার অনুরূপ কোন সূরা নিয়ে আস।”
(সূরা আল-বাকারাহ: ২৩)

আমরা দেখলাম যে শিয়ারা আলী(রা) এর নামে কিছু মিথ্যা ঘটনা তৈরি করেছে এবং আলী(রা) এর বংশধরদের অর্থাৎ তাদের ইমামদের উপর এক “কাল্পনিক কুরআন” এর মতবাদ সৃষ্টি করে তাতে বিশ্বাস করেছে। মুসলিম উম্মাহ যে কুরআন পড়ে, তাকে তারা বিকৃত মনে করে। তাদের নিজ গ্রন্থগুলোতে সুস্পষ্টভাবে এসব জিনিস লেখা আছে। অথচ আল্লাহ তা’আলা নিজেই আল কুরআনে এর সংরক্ষণের ঘোষণা দিয়েছেন। মুসলিম আলেমগণ যুগে যুগে এই কথার সত্যতা প্রমাণ করে গিয়েছেন। যেখানে কুরআনের একটি আয়াত অবিশ্বাস করা কারো ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবার জন্য যথেষ্ট সেখানে পুরো আল কুরআনকে বিকৃত বলে বিশ্বাস করে যারা, তারা কিভাবে মুসলিম বলে গণ্য হতে পারে? আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের সকলেই বিশ্বাস করেন যে, ‘আল-কুরআন বিকৃত’-এই কথায় বিশ্বাসীরা কাফির, মুসলিম মিল্লাত (জাতি) থেকে বহিষ্কৃত। শিয়া আলেমদের এই বানোয়াট অভিযোগুলো লুফে নিয়ে আজ খ্রিষ্টান মিশনারী ও নাস্তিক-মুক্তমনারা আল কুরআন ও ইসলামের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অপপ্রচার চালাচ্ছে।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
পুরো পৃথিবীতে একটি মাত্র ধর্ম ও একটি ভাষা থাকলে ভাল হতো।
তারপরেও আশঙ্কা থেকে যায়। ধর্মের মধ্যে ভাগাভাগি থাকতো। তারাই আবার কাটাকাটি মারামারি করে রক্তারক্তি করে মরত।

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: শিয়ারা কি মানুষ না?
বিশ্বাস অবিশ্বাসের কথা পরে।

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুসলমানেরা বিভিন্ন দলে আলাদা বা বিভক্ত হয়ে যেতে দেখে, নবীজীও (স) চিন্তিত হয়ে ছিলেন।
সে জন্য আয়াতও নাজেল হয়েছিল।

সূরা আন-আমর এর ১৫৯ নম্বর আয়াতে বলেছেন - ‘যারা দ্বীন সন্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন, দলে বিভক্ত হয়েছে হে নবী! তাদের সাথে তোমার কোনও সম্পর্ক নেই;

খোদার সরাসরি আদেশের পরও বিভক্তি ঠ্যাকানো যায় নি।
খলিফারা, সাহাবিগন, ইমামগন নিজস্ব স্টাইলে নিজেদের সুবিধামত মতবাদে নিজেদের নামে ইসলাম চালু করছিলেন। একপক্ষ অপর পক্ষকে কাফের বলে গেছেন। হানাহানি করে গেছে বছরের পর বছর। রসুল যুগের ৪ খলিফার ৩ জনই প্রতিপক্ষের হাতে নিহত হয়েছিল। যুদ্ধও হয়েছে বহুবার।

প্রবল কোন্দলের ভেতর নবী মহম্মদের (স) মৃত্যুসংবাদ দেরিতে প্রচার হয়েছিল। প্রতিপক্ষের হাতে লাশ ছিনতাই হওয়ার আতঙ্কে নবিজির জানাজা দেয়া পর্যন্ত সম্ভব হয় নি। বেডরুম থেকে লাশ বের করেনি, ২-৩ দিন অনেক বাক-বিতন্ডার পর রুমের ভেতরই ১০-১২ জনের সংক্ষিপ্ত জানাজা শেষে রুমের ভেতরই কবর দেয়া হয়েছিল।

এরপর যুদ্ধবিগ্রহ এলাকা দখল চলছিল, কোন্দলও চলছিল ..
এরপর ২য় -৩য় জেনারেশন ও তাদের চ্যালারা নিজস্ব উপ মতবাদ প্রচলন করে সেটাকেই খাঁটি ইসলাম বলে চালু করেছিলেন।
এরপর আধুনিক কালে একটি সুন্নি অংশ মওদুদি, কাদিয়ানি, ও শিয়ার একটি অংশ বাহাউল্লা (বাহাই) ইত্যাদি কথিত স্কলারদের মাধ্যমে আধুনিক উপ মতবাদ চালু হয়। আগের মতই একে অপরকে কাফের আখ্যায়িত করছে।
শিয়া সুন্নি হাম্বলি মালেকি ছালেকি সুফি সব মতবাদকে গুনলে দেড়শো ছাড়িয়ে যাবে।

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আর কত কাঁদা ছোড়া ছুড়ি!
বাহ আপনিতোো বেশ ক্ষমতাশালী! তাদের ব্যাপারে রায় পর্যন্তদিয়ে দিচ্ছেন!
নিজের খবর ঠিকাছেতো?

আচ্ছা যদি আগ্রহী হ আলোচনায় কিছু টপিক নিয়ে আলাপ করি-
আপনি কি মুসলিম?
কিভাবে মুসলিম হলেন?
জন্মসূত্রে না অর্জন সূত্রে যেভাবে আল্লাহ হতে বলেছেন!

এটুকুর সমাধান হলে পরে না হয় আগ্রহ থাকলে বাকী গল্প ;) হবে!

জ্ঞান অর্জন করো দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত!

৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০২

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: মুসলিমেরা এত দলে বিভক্ত কেন ? অন্য দেশের কথা বাদ দেন, বাংলাদেশেও এতো বেশী দল আছে গণনার বাহিরে চলে গেছে। এক মোল্লা আরেক মোল্লাকে সহ্য করতে পারে না।এরা নিজেরা নিজেরা বিভেদ সৃষ্টি করে, নিজেরা নিজেরা মারামারি করে ব্যস্ত থাকে। এরা ইসলামের কি খেদমত করবে ? কিসের ইসলাম প্রচার করবে?

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধারণা করছি আপনি একজন সুন্নী মুসলীম। আমিও তাই। কিন্তু কথা হলো আপনার আমার মত সারাবিশ্বে যত সুন্নী মুসলিম শাসিত দেশ আছে, তাদের নেতারা আছে আর জনগন আছে, তারা শান্তি - মানবাধিকার - ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কি এমন মহান কার্যগুলো করছি যে গলা বড় করে শিয়ারা অমুক, শিয়ারা তমুক বলে মুসলমানিত্ব খারিজ করে দিচ্ছি?

৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৭

রানার ব্লগ বলেছেন: এর আগে বলেন আপনি কি বিশ্বাস করেন ??

শিয়ারা কি মুসলিম ??

আশা করি উত্তর পাবো ।

৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৫

নীল আকাশ বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: প্রবল কোন্দলের ভেতর নবী মহম্মদের (স) মৃত্যুসংবাদ দেরিতে প্রচার হয়েছিল। প্রতিপক্ষের হাতে লাশ ছিনতাই হওয়ার আতঙ্কে নবিজির জানাজা দেয়া পর্যন্ত সম্ভব হয় নি। বেডরুম থেকে লাশ বের করেনি, ২-৩ দিন অনেক বাক-বিতন্ডার পর রুমের ভেতরই ১০-১২ জনের সংক্ষিপ্ত জানাজা শেষে রুমের ভেতরই কবর দেয়া হয়েছিল।
আপনার এই লেখার যথাযথ সূত্র পেশ করুন।

শিয়া সুন্নীদের হিসাব আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রোজ হাসরের ময়দানে নিবেন। আমি কিংবা আপনি এটা বিচার করার দায়িত্বে নেই। আপনি যত টুকু জেনেছে সত্য সেটাই মেনে চলুন।

৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: Funeral Prayer for the Messenger of Allah (Allah bless him)
(Answered according to Hanafi Fiqh by Daruliftaa.com)
Did the companions of the Allah’s beloved perform the Salath Janaza of Prophet Mohammed (Allah bless him & give him peace)? If the answer is yes, then who led the prayer? If the answer is no, then why?

ANSWERঃ In the name of Allah, Most Compassionate, Most Merciful,

The funeral prayer (salat al-Janazah) of the Messenger of Allah (Allah bless him & give him peace) was offered by the Sahaba (Allah be pleased with them all).

Ibn Hisham relates from Ibn Ishaq in his renowned biography of the Messenger of Allah (Allah bless him & give him peace), al-Sirah al-Nabawiyya:

“When the Companions (Allah be pleased with them all) finished bathing and shrouding the body of the blessed Messenger of Allah (Allah bless him & give him peace) on the Tuesday, they placed his body on his bed in his house. The Muslims differed as to where he (Allah bless him & give him peace) should be laid to rest. Some were of the opinion that he should be buried in the Masjid, whilst others said that he should be buried with the other Companions. Sayyiduna Abu Bakr (Allah be pleased with him) said: “I heard the Messenger of Allah (Allah bless him & give him peace) say: “A Prophet does not pass away except that he is laid to rest where he passes away”. Thus, the bedding of the Messenger of Allah (Allah bless him & give him peace), on which he passed away, was raised and the grave was dug on that spot. Thereafter, people began to enter into the room and offer prayers in groups. First the men entered, and when they had finished praying, women were entered, and upon them completing their prayers, children entered. Everyone prayed individually and no one individual led the prayer.” (See: Ibn Hisham, al-Sirat al-Nabawiyya, 3/233).

Imam al-Tirmidhi (Allah have mercy on him) also narrates this incident in his al-Shama’il on the authority of Salim ibn Ubaid in a long Hadith:

“…….The Companions then asked Sayyiduna Abu Bakr (Allah be pleased with him) whether prayer should be performed on the Messenger of Allah (Allah bless him & give him peace)? He said: “yes”. They asked: “How the prayer should be offered?” He said: “A group should enter, recite Takbir, supplicate, and offer their prayers then leave. Thereafter another group should enter, recite Takbir, supplicate, and offer their prayers and then leave.” (Shama’il al-Nabi, no. 396).

The above and other excerpts clearly indicate that the funeral prayer for the Messenger of Allah (Allah bless him & give him peace) was offered by the Companions (Allah be pleased with them all). However, it was performed individually without an Imam leading the prayer. Groups of people would come into the room, offer their prayers and then leave. There are many other narrations describing the details of this event recoded by scholars, such as Imam Ibn Hajar al-Asqalani in his Fath al-Bari, Imam al-Ayni in his Umdat al-Qari, al-Zabidi in his commentary of Imam Ghazali’s Ihya and others.

And Allah Knows Best

[Mufti] Muhammad ibn Adam
Darul Ifta Leicester , UK

সূত্রঃ https://islamqa.org/hanafi/daruliftaa/7774

১০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: How was our Prophets (pbuh) funeral prayer performed?

Dear Brother / Sister,
Our Prophet’s funeral prayer was performed. However, since there was not a caliph of Muslims, it was performed not in congregation but individually. Moreover, it was performed individually because the Prophet was in the room from whence he passed away to the Hereafter and the room was not large enough for all Muslims to fit in together. Firstly, Hazrat Abu Bakr came to the presence of the Prophet and performed the funeral prayer. Then, Hazrat Umar, Hazrat Uthman, Hazrat Talha, Hazrat Zubair and then other Muslims performed the funeral prayer, all one after another.

Abdullah b. Mas’ud narrates:

“Our Prophet, our beloved one, informed us about his death one month before he died. (1)

‘O Messenger of Allah! When is your time of death?’ we asked.

‘The time of death has drawn near. Time of returning to Allah, to Heaven, to Sidratu’l-Muntaha, to Rafiqu’l-Ala, to Destiny and to blissful and blessed life has drawn near’ said he. (2).

‘O Messenger of Allah! Who should wash you?’ we asked.

‘Whoever closest to me from my household’ he said.

‘O Messenger of Allah! With what shall we cover you and enshroud?’ we asked.

‘Enshroud with this clothing of mine if you wish, or Egyptian fabric or cloth!’ he said.

‘O Messenger of Allah! Who shall perform your funeral prayer?’ we asked.

‘May Allah have mercy on you! May He reward you with blessings because of your prophet! (3) When you wash and enshroud me, put me on that wooden bed of mine and place next to my grave in my house! Then, leave me alone for a while! Because, firstly my two friends, Gabriel and Michael, and then Israfel, and later Angel of Death, Azrael, together with his army of angels will perform my funeral prayer! (4) After that, enter in groups and perform my funeral prayer and send me your revering and compliments! However, do not disturb me by praising and crying out! (5) Let the men from my household begin performing my funeral prayer first! Then, let their women perform! Then you perform! Send my compliments to those from my Companions, who are not present here! And send my compliments also to those to come from my tribe and those to follow my religion and me until the Day of Resurrection!’

‘O Messenger of Allah! Who shall place you into your grave?’ we asked.

‘My household and lots of angels, whom you do not see but who see you’ he said.” (6)

In accordance with that explanation, firstly four archangels performed the Prophet’s funeral prayer and then the other angels did.

After that, firstly, Hazrat Abu Bakr came to the presence of the Prophet and performed the funeral prayer. Then, Hazrat Umar, Hazrat Uthman, Hazrat Talha, Hazrat Zubair and then other Muslims performed the funeral prayer, all one after another.

References:

1- Ibn Sa'd, Tabaqat, vol. 2, p. 256-257, Tabari, History, vol. 3, p. 1 92-1 93, Ibn Athir, Kamil, vol. 2, p. 320, Abu'l-Fida, al-Bidayah, vol. 5, p. 253, Ibn Hajar, Matalibu'l-aliya, vol. 4, p. 261.
2- Ibn Sa'd, vol. 2, p. 257, Tabari, vol. 3, p. 193, Suhaylf, Rawidu'l-unuf, vol. 7, p. 590, Ibn Athir, vol. 2, p. 320, Abu'l-Fida, vol. 5, p. 253, Ibn Hajar, vol. 4, p. 261.
3- Ibn Sa'd, vol. 2, p. 257, Balazuri, Ansabu'l-ashraf, vol. 1, p. 564, Tabari, vol. 3, p. 193, Ibn Athir, vol. 2, p. 320, Abu'l-Fida, vol. 5, p. 253, Ibn Hajar, vol. 4, p. 261.
4- Ibn Sa'd, vol. 2, p. 257, Balazuri, vol. 1, p. 564, Tabari, vol. 3, p. 193, Abu'l-Fida, vol. 5, p. 253, Ibn Hajar, vol. 4, p. 261.
5- Ibn Sa'd, vol. 2, p. 256-257, Balazuri, vol. 1, p. 564, Tabari, vol. 3, p. 192-193, Suhaylf, vol. 7, p. 590, Ibn Athir, vol. 2, p. 320, Abu'l-Fida, vol. 5, p. 253, Ibn Hajar, vol. 4, p. 261-262.
6- Ibn Sa'd, vol. 2, p. 193, Ahmad b. Hanbal, vol. 4, p. 106.
M. Asım Köksal, İslam Tarihi, Köksal Yayıncılık: 8/231-236

সূত্রঃ Click This Link

১১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৯

নীল আকাশ বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী ভাই যদি আল্লাহর প্রতি বিন্দুমাত্র ভয় থাকে তবে এখনই তওবা করুন।

১২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৩

রানার ব্লগ বলেছেন: নীল আকাশ @ ইবনে কাসির এর তাফসির পড়েন অনেক কিছু পরিস্কার হয়ে যাবে। আমি বলছি না যে হাসান ভাই সঠিক কিন্তু বেঠিক ও না। ইবনে কাসির এর তাফসির পড়ুন , এখনকার সময়ের যারা গবেষক তারা বিভিন্ন ভাবে মডিফাইড বেটার আপনি তখনকার সময়ের বা তখনকার সময়ের পর ১০ বছরের মধ্যে যে সব ইতিহাস মুলক গ্রন্থ লেখা হয়েছে তা পড়ুন। অনেক কিছু জানবেন, কথা দিচ্ছি আপনার প্রশ্ন বানে এখনকার মাহফিল জমান হুজুররা হয় পালাবে নতুবা আপনারে কাফির ঘোষণা করবে। অনেক অনুবাদ আছে, ইসলামিক ফাউন্ডেশানে যোগাযোগ করে নিতে পারেন।

১৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: @ রানার ব্লগঃ আমি ইবনে কাসিরের তফসিরই এখন পড়ছি। এখানে ১৮টা পর্ব আছে। আপনি এর কোনটা কোন খানে পড়তে বলছেন? সুনির্দিষ্ট করে বলুন। আমি চেক করে দেখবো।

১৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই।

শুধু মাত্র প্রতিপক্ষের হাতে লাশ ছিনতাই হওয়ার আতঙ্কে এই কথাটি আমার নিজ ধারনা প্রসুত।

বাকি কথাগুলো হাদিসেই দেখেছিলাম। মুলত হাদিসের আলোকে একটি পোষ্ট থেকে। একটা স্ক্রিনশটও ছিল
পরে বিভিন্ন হুজুরকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। ওনারা অনেকটা এরকমই বলেছেন। (বেশি চাপাচাপি করা যায় না খুব সেন্সেটিভ বিষয়)
আমার(বাংলাদেশের) কর্মস্থলের এক কলিগ হুজুরকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেছিলাম - "হুজুর এক কথায় বলেন জানাজা হয়েছিল না হয় নাই, কথা ঘুরাবেন না"।

হুজুর বললো - " না। সেভাবে জানাজা হয় নাই। ১০-১২ জন ঢুকেছে, তারপর তারা বের হওয়ার পর আবার দশ ১২ জন ঢুকেছে।
অনেকে বলেছেন, তারা ভেতরে জানাজা পরে বের হয়েছেন। তবে লাশ বের করা হয় নাই, সেটা সব হাদিস থেকে নিশ্চিত।

আপনি ইংলিশে লেখাগুলো অনুবাদ করে পোষ্ট দেন। মুল সত্যটি জানা দরকার। আমার ভুল জানা থাকতে পারে, আমি তো আর হাদিস বিষারদ নই।
আমার ভুল হলে কমেন্টটি ডিলিট করতে বলবো। তওবাও করব।
ধন্যবাদ।

১৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী ভাই ঠিক আছে। আমি এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত খোজ খবর নিয়ে বাংলায় একটা পোস্ট দিবো।
আমি আপনার লেখা পড়ে ভয়ে শিঊরে উঠেছিলাম। আমি ইবনে কাসিরের লেখা ভালো করে দেখে নেই আগে।
কথা দিচ্ছি আমি আপনার জন্য এই লেখা লিখবো।

১৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কোন কিছু নিয়েই বাড়াবাড়ি ভালো নয়
বিশেষ করে ধর্ম নিয়ে অবশ্যই নয়।
এজন্য মুফতি,মাওলানারা আছেন
তারা যা বলেন তা মেনে নিতে
বাধা কোথায় যেহেতু আমরা
কোরআনোর তফসীর করতে
জানিনা।

১৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নূরু ভাই।

মুফতি,মাওলানারা যা বলেন তা মেনে নিতে বাধা কোথায়?
মুফতি,মাওলানারাই তো বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। একেক মওলানা একেক ব্যাখ্যা দিচ্ছে।

তাই নিজেই অনুবাদ করে পড়া উচিত বোঝা উচিত।

১৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৮

রানার ব্লগ বলেছেন: নীল আকাশ @ আলাদা ভাবে কোন পর্ব পড়তে বলছি না, আপনি পুরো পড়েন, কারন তাফসির গুল এমন ভাবে লেখা আপনি কোন নিদৃষ্ট অংশ পড়লে কিছুই বুঝতে পারবেন না। বিভ্রান্তি আরো বাড়বে।

১৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১০

রানার ব্লগ বলেছেন: আর যে সব মুফতি,মাওলানারা আছে না যারা নিজেদের কে জ্ঞ্যানের সাগর বলে ঘোষনা দিচ্ছে তাদের কে আপনার পচা ডোবাও মনে হবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.