![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিএসসি অনার্স(রসায়ন)নরসিংদী সরকারি কলেজ
অর্থনীতি ক্লাসে বয়স্ক একজন স্যার রুমে ঢুকেই সামনে বসা ছেলেটিকে প্রশ্ন করলেন, বলো তো অভাব কাকে বলে?
— 'অর্থনীতিতে বস্তুগত বা অবস্তুগত কোনো দ্রব্য পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে অভাব বলে।' ছেলেটি উত্তর দিল।
— এটা তো অর্থনীতির ভাষা, সাধারণত অভাব কাকে বলে?
ছেলেটি মাথা নিচু করে বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে আছে। কি বলবে ভাবছে সে।
স্যার আবার তাড়া দিলেন 'বলো অভাব কাকে বলে?'
ছেলেটি এবার বলতে শুরু করল।
● আমি কলেজে আসার সময় মা আমাকে ভাড়া দিতে গিয়ে তার ব্যাগ তন্ন তন্ন করে খুঁজে অনেক কষ্টে ২০/৩০ টাকা বের করে দেন, আর আমি বাসা থেকে বের হয়ে ৫/৭ মিনিট পর বাসায় ফিরে ভাড়ার টাকাটা মাকে দিয়ে বলি, মা! আজ কলেজে ক্লাস হবে না। মা তখন বলেন আগে খবর নিবি না কলেজ হবে কিনা?মায়ের সাথে এই লুকোচুরি হচ্ছে অভাব।
● বাবা যখন রাত করে বাসায় আসেন মা তখন বাবাকে জিজ্ঞেস করেন এত রাত হলো কেন ফিরতে?বাবা বলেন ওভারটাইম ছিল। ওভারটাইম না করলে সংসার কিভাবে চলবে?বাবার এই অতিরিক্ত পরিশ্রম হচ্ছে আমার কাছে অভাব।
● ছোট বোন মাস শেষে প্রাইভেট টিচারের টাকা বাবার কাছে চাইতে যখন সংকোচবোধ করে সেটাই অভাব।
● মাকে যখন দেখি ছেঁড়া কাপড়ে সেলাই দিতে দিতে বলে কাপড়টা অনেক ভাল আরো কিছুদিন পরা যাবে এটাই অভাব।
● মাস শেষে টিউশনির পুরো টাকাটা মায়ের হাতে দিয়ে বলি, মা এটা তুমি সংসারে খরচ করো, মা তখন একটা স্বস্তির হাসি হাসেন। এই স্বস্তির হাসি হচ্ছে অভাব।
● বন্ধুদের দামী স্মার্টফোনের ভিড়ে নিজের নর্মাল ফোন লজ্জায় যখন লুকিয়ে রাখি এই লজ্জাই আমার কাছে অভাব।
● অভাবী হওয়ায় কাছের মানুষগুলো যখন আসতে আসতে দূরে সরে যায়, এই দূরে সরে পড়াটাই আমার কাছে অভাব।
পুরো ক্লাসের সবাই দাঁড়িয়ে গেল! অনেকের চোখে পানি! স্যার চোখের পানি মুছতে মুছতে ছেলেটিকে কাছে টেনে নিলেন।
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:২২
ইসিয়াক বলেছেন: কঠিন বাস্তবতা ।
ভালো থাকুন সবসময় ।
শুভকামনা।
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: ধনী হওয়ার চেয়ে অভাবী থাকা ভালো।
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বেশ মনে লাগলো ।
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭
একাল-সেকাল বলেছেন:
শুকরিয়া (সন্তুষ্টি) না থাকাটাই অভাব।
৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৫
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: অভাব শব্দ এখন ব্যবহার করি না। স্বাভাবিক হয়েছে অনেকের কাছে। না খেয়েও দিন কাটে।
৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৩৪
ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী। বলেছেন: অভাবের এমন বাস্তব চিত্র কেবল জিবন দিয়ে উপলব্ধি করা যায় - বইয়ে পড়ে মুখস্ত করা যায় না - রাজনিতিবিদগণ আর দাতা সংস্থার এন জি ও গুলো টাকা ভাগাভাগি করে গরিবের উন্নয়ন রিপোর্ট বানায় - তারা মানুষের অভাব দেখে না - দেখে কেবলি “উন্নয়ন” - শৈত্য প্রবাহে রাজধানির রাস্তার পাশে ফুটপাথে বা ওভার ব্রিজেরি নিচে একটি পাতলা কাথা বা একটি পাটের বস্তা জড়িয়ে ঘুমিয়ে রাত কাটানো দেখে না - লাখ লাখ টাকা বেতন নিয়ে বিদেশে বা সচিবালয়ে রিপোর্ট পাঠায় “উন্নয়ন” আর “উন্নয়ন” - কোথাও অভাব নেই - দারিদ্র নেই - শুধুই লুটপাট আর সাগর চুরি - এই দুই শ্যেনির লুটেরাদের (সরকারি ও এন জি ও) কারণে সোনার বাংলা জাতির পিতার স্বপ্ন পুরণ হোচ্ছে না -
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৫৪
নজসু বলেছেন:
লেখাটা পড়ে আমারো চোখে পানি চলে আসলো। বাস্তবতা।