নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করব,মানবতার সমাজ গড়বো ইনশাআল্লাহ।

মোঃ হৃদয় মোল্লা

বিএসসি অনার্স(রসায়ন)নরসিংদী সরকারি কলেজ

মোঃ হৃদয় মোল্লা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরাফার রোজা

২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১৮

আরাফা দিবস কোনটি?
সতর্কতার জন্য বাংলাদেশের ৮ ও ৯ ই যিলহজ্জ রোজা রাখলেও হাজীগণ যেদিন আরাফার ময়দানে হাজির থাকবে সেদিনই কি আরাফার রোজার নিয়ত করবো?

আরাফা দিবসে একটি রোজার বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা পেছনের ও সামনের এই দুই বছরের গুনাহ মোচন করে দেন।আল-হামদুলিল্লাহ।

عَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ إِنِّي أَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ وَالَّتِي بَعْدَهُ
আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমি আল্লাহর নিকট আরাফাত দিবসের রোজার এই সওয়াব আশা করি যে, তিনি তাঁর বিনিময়ে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন।”
[সহীহ ইবনে মাজাহ,হা/১৭৩০]

অধিকাংশ আলেমের বক্তব্য হলো, যিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ যে দিন হাজী সাহেবগণ আরাফার ময়দানে উপস্থিত থাকবেন সে দিনটি আরাফার দিন। সুতরাং এই দিনটিতে রোজা থাকতে হবে।

তবে কোনো কোনো আলেম যেমন, আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন (রহঃ) বলেন,
"সৌদি আরব এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মুসলিমগণ যাদের চাঁদের উদায়চল অভিন্ন তারা তাদের হিসেবে ৯ ই যিলহজ্জে রোজা থাকবে। আর যে সব দেশের চাঁদের উদয়াচল ভিন্ন তারা তাদের দেশের চাঁদের হিসেবে ৯ ই যিলহজ্জে রোজা থাকবে। কারণ রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো আর চাঁদ দেখে রোজা ছাড়ো।”

অর্থাৎ রোজা রাখার বিষয়টি চাঁদ দেখার সাথে সম্পৃক্ত। এ বিধান রামাযান শুরু ও শেষ,আরাফা,আশুরা এবং অন্যান্য সকল রোজার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

এই বছর (২০২০খ্রিঃ) সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিমগণ ৩০ শে জুলাই,বৃহস্পতিবার রোজা থাকবে
আর বাংলাদেশ-ভারত ও তৎসংলগ্ন দেশে সমূহে তার এক দিন পর ৩১ শে জুলাই,শুক্রবার রোজা থাকবে।

তবে মতবিরোধ থেকে বাঁচার স্বার্থে সৌদি আরবের ৯ তারিখ এবং বাংলাদেশ, ভারত এবং তৎসংলগ্ন এলাকার ৯ তারিখ (৩০ ও ৩১ শে জুলাই, ২০২০ খ্রিঃ) এই দুইদিন রোজা রাখা হলে আশা করা যায়, নিশ্চিতভাবে এই মর্যাদা লাভ করা সম্ভব হবে।

অবশ্য কেউ যদি সৌদি আরবের হিসেবে ৯ যিলহজ্জে কেবল একটি রোজা থাকে অথবা কেউ যদি দেশের তারিখের হিসেবে এক দিন পরে একটি রোজা রাখে তাহলে উভয়েই ইনশাআল্লাহ এই সওয়াব পাবেন।তবে উভয় দিন রোজা থাকা অধিক উত্তম এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।


হাজীগণ যেদিন আরাফাতে অবস্থান করবে সে দিন আরাফাতের রোজার নিয়ত করতে হবে। আর সতর্কতার জন্য বাংলাদেশে তারপর দিনও একই নিয়তে রোজা করা ভালো।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: অনেকদিন পর এলেন।

২| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৩৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
৩১ জুলাই বাংলাদেশে ৯ই জিলহজ্ব
আবার ৩১ জুলাই ঈদুল আযহা।
ক্যালেন্ডার তাই বলে। তা হলে
রোজা কোন দিন রাখতে হবে?

৩| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:০০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সৌদির হিসাব করে এখন লাভ নাই । দেশের হিসাব দেখেন

৪| ২২ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা এবাদতের নিয়ম বর্ণনার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সহজে প্রচুর পরিমাণ সওয়াব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে এই রোজার মাধ্যমে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.