![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারতীয় নৃবেজ্ঞানী ললিতা ভিদ্যারথি বেশ ভালই ভাবে ব্যাখ্যা করছেন কিভাবে এই তত্ত্ব সমাজে বর্ণবাদ আরোপিত করে। 20 শতকের সামাজিক বিজ্ঞান এই তত্ত্বটিকে স্বাগত জানান এবং বেশ কিছু সমাজবিজ্ঞানী এই তত্ত্বকে অনুমোদিত করেন, তারা মনে করেন বর্তমান সাদা মানুষদের আধুনিক সভ্যতা বিবর্তনবাদ এর চূড়ান্ত পরিণতি।
http://www.naturalselectionanddarwinism.com/conflict.html
উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিমা বিজ্ঞানীরা বর্ণবাদকে সর্মতন করতেন, তারা এর পৃষ্ঠপোষক হৈসেবে বিবর্তনবাদ তত্ত্ব কে হাজির করতেন. ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ টমাস মাল্থুস (Thomas Malthus's) তার গ্রন্থ, An Essay on the Principle of Population বিবর্তন বাদ এর জনক Charles Darwin কে অনুপ্রাণিত করেছিল।টমাস মাল্থুস তত্ত্ব মতে জনসংখ্যা দ্রুতগতিতে নিয়ত বৃদ্ধি পাওয়া একটি প্রাকৃতিক নিয়ম। তিনি মনে করেন, প্রধান প্রভাবগূলো যা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে তা হলো যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ ও রোগ এর মত ব্যাপার। সংক্ষেপে বলতে গেলে, এই নৃশংস দাবি অনুযায়ী কিছু মানুষকে মরতে হয় যোগ্যতমদের জীবনধারণ এর সপক্ষে।
http://www.toolan.com/hitler/surplus.html
http://www.naturalselectionanddarwinism.com/malthus.html
উনিশ শতকে মাল্থুস এর তত্ত্বটি ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়। ইউরোপীয় উপরতলার বুদ্ধিজীবীরা
ব্যাপকভাবে তার নিষ্ঠুর তত্ত্বটি সমর্থন করেন। উনিশ শতকের মধ্যবর্তী সময় ইউরোপের শাসকশ্রেণী
জমায়েত হওন কিভাবে মাল্থুস এর তত্ত্ব প্রয়োগ করে ইউরোপএ জনসংখ্যা বৃদ্ধি সমস্যার সমাধান করা যায়। তাদের মতে দরিদ্রদের মধ্যে মৃতু্র হার বৃদ্ধির দ্বারা এই সমস্যার সমাধান সম্ভব, অবশেষে ঐ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নির্ধারণ হয় শহরের দরিদ্র পীরিত এলাকা গুলো এমন ভাবে পরিকল্পনা করা হয় যাতে ঐ সব এলাকায় প্লেগ, ম্যালেরিয়ার মত রোগ এর আক্রমণ বৃদ্ধি পায়। ফলে দরিদ্র পিরিত এলাকা গুলো সংকীর্ণ জলাভূমিবিশিষ্ট অবর্জনা পূর্ণ এলাকায় পরিনত হয়। এই নীতি 19 শতকের ব্রিটেনে বাস্তবায়ন করা হয়, যা ছিল একটি নিষ্ঠুর গণহত্যা।2য় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নাজী গণহত্যা এই তত্ত্বের অার এক পরিণতি। বিবর্তনবাদ ইশ্বরহীন এমন এক মতবাদ যা শুধুমাত্র যোগ্যতমদের বেচে থাকার অধিকারকে স্বীকার করে।
©somewhere in net ltd.