![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথম আলোতে প্রকাশ করা বাংলাদেশের ২০১৫ অর্থবছরের রপ্তানি বানিজ্যের গ্রাফটি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় আমাদের রপ্তানি বানিজ্যের সিংহভাগ দখল করে আছে কেবলমাত্র তৈরি পোষাক খাত। এই হাতে গোনা কয়েকটি খাতের পন্য রপ্তানি করে আমরা দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির বাঘ হওয়ার স্বপ্ন দেখছি!আইটি খাতের অবদান রপ্তানি বানিজ্যে খুবই নগন্য! এর অবস্থান প্রধান ছয়টি রপ্তানি খাতের মধ্যে নাই!আমাদের প্রতিবেশী ভারতের ২০১৫ অর্থবছরে আইটি খাতে রপ্তানি ছিলো ১১২ বিলিয়েন ডলার।http://www.livemint.com/Industry/bCLOgyaLGiIi6TuhmN0S7J/Indian-IT-services-exports-seen-growing-1214-in-year-ahead.html
তার বিপরীতে বাংলাদেশের অবস্থান খুবই হতাশাপূর্ণ।প্রত্যেক বছর সরকারী এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রচুর আইটি প্রফেশনাল পাস করে বের হলেও আমরা এখনো আইটি খাতকে তৈরি পোষাক খাতের মত অন্যতম রপ্তানি খাত রুপে গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছি।প্রচুর সম্ভাবনা থাকার শর্তেও এই সেক্টরে অগ্রগতি কচ্ছপ গতির সমতুল্য। বিপরীতে তৈরি পোষাক খাতে রপ্তানি বৃদ্ধির বুলি এবং বাস্তবতার মধ্যে রয়েছে অনেক বড় ফাকি। রানা প্লাজার দুর্ঘটনার পর বিদেশী বায়ার মনোনীত কমপ্লায়েনস শর্ত পুরন করতে না পেরে শতাধিক ছোট এবং মাঝারি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।বিপরীতে যেইসব কারখানাগুলো এখনো টিকে আছে শ্রম মজুরি বৃদ্ধি ,বায়ার মনোনীত কমপ্লায়েনস শর্ত পুরন করতে যেয়ে তাদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বাংলাদেশ সস্তা শ্রমে পণ্য উৎপাদনের সুযোগ হারালো। সস্তা শ্রমের এই সুযোগ ভোগ করার ফলে মায়ানমার কাম্বোডিয়ার মতো দেশগুলোর হাতে রপ্তানি বাজার হাড়ানোর মত সম্ভাবনা বাড়ছে। মায়ানমার ২০১৫ অর্থবছরে তৈরি পোষাক খাতে ৪.৯ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক বিনিয়োগ অর্জন করেছে ২০১৬তে এর পরিমান দাড়াবে ৬ বিলিয়ন ডলার।http://www.myanmar-expo.com/MTG/newsDetail.asp?serno=271
তৈরি পোষাক খাতের সমান্তরাল আর একটি রপ্তানি খাত সৃষ্টিতে ব্যর্থ বাংলাদেশ কেবল পোষাক খাত রপ্তানির উপর নির্ভর করে দক্ষিণ এশিয়া অর্থনীতির বাঘ হওয়ার স্বপ্ন দেখা কতটা বাস্তবানুগ?
০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:২৫
ইকরামা বলেছেন: স্বপ্ন দেখতে তো দোষ নেই।তবে সেই স্বপ্ন কার্যে পরিণত করতে উপযুক্ত পদক্ষেপও থাকা চাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৭
বিজন রয় বলেছেন: স্বপ্ন দেখতে তো দোষ নেই।