নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"হতে পারে আবার না ও হতে পারে সেটিই প্রশ্ন\"।

ইকরামা

একজন পাঠক

ইকরামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিকতা এবং মুসলিমদের প্রতিক্রিয়া-

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯

মানুষ বেচে থাকলে বদলায়।এই বদলানোর প্রক্রিয়া চারিত্রিক,ভাবাদর্শ,আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রেও হতে পারে। নাস্তিকতাকে ভাবাদর্শ হিসেবে গ্রহনকারি ব্যক্তির ক্ষেত্রেও জীবনের এক বাকে আধ্যাত্মিক পরিবর্তন সাধিত হতে দেখা যায়।ইসলামের ইতিহাস পড়লে দেখা যায় প্রথম জীবনে ইসলামের কঠোর বিরূদ্ধচারনকারী অনেক ব্যক্তি পরবর্তীতে ইসলামের সবচেয়ে বড় সেবকে পরিনত হয়েছেন।উদাহারন হিসেবে রয়েছে খলিফা ওমর রাঃ, খালেদ বিন ওয়ালিদ রাঃ,ইকরামা ইবন আবু জেহেল এর নাম।ইসলামের জন্য তাদের ত্যাগ সবসময় ইতিহাসে স্বর্ণ অক্ষরে লিখা থাকবে। ইসলামের কঠোর বিরূদ্ধচারনকারী ব্যক্তিদের নামের তালিকায় যদি কারও নাম প্রথমে আসে তাহলে যে নামটি আগে থাকবে তার নাম হলো আবু জেহেল ।আর এই আবু জেহেল এর ছেলে হলো ইকরামা।বাবার মতই তিনি জীবনের বড় একটি অংশ ইসলামের বিরূদ্ধচারন করে কাটিয়েছিলেন এবং উহুদের যুদ্ধে তাকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম করার ভুমিকায় পাওয়া যায়। সাথে ছিলো তার স্ত্রী উম হাকিম।যিনি নিজেও একজন মুসলিম বিদ্বেষী ছিলেন। বাবার মতোই ইসলাম ও মুসলিমদের সাথে শত্রুতায় আর সকলের চেয়েই অগ্রগামী ছিলো ইকরামা ।যার অত্যাচারে মুসলিমদের ক্রন্দন অবিশ্বাসীদের মনেও কাঁপন ধরিয়েছে, এবং যে ব্যক্তিটির জন্য মুসলিম বাহিনী উহুদ যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলো। মক্কা বিজয়ের পর ইকরামার স্ত্রী উম হাকিম ইসলাম গ্রহন করেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) এর নিকট ইকরামার জন্য ক্ষমা এবং নিরাপত্তার জন্য আবেদন করলে রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) ইকরামাকে ক্ষমা করে দেন। ইসলাম এবং মুসলিমদের সাথে এত শত্রুতা এবং অনিষ্ট করার শর্তেও রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) ইকরামাকে ক্ষমা করে দেন। রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) এর এই মহানুবতায় প্রভাবিত হয়ে ইকরামা নবীজির নিকট ইসলাম গ্রহন করতে আসলে রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) আল্লাহর কাছে এ বলে প্রার্থনা করলেন যে, “হে প্রতিপালক, আমার বিরুদ্ধে যত শত্রুতা সে করেছে এবং তোমার আলোকে নিভিয়ে দেবার যত চেষ্টা সে করেছে তার জন্য তাকে ক্ষমা করে দাও। আমার সামনে বা পেছনে আমার সম্মানহানীর জন্য যা কিছু সে বলেছে তার জন্যও তাকে ক্ষমা করে দাও।”নবীজির ওফাতের পর রোমান সাম্রাজ্যের অধিপতি হিরাক্লিয়াস, মুসলিমরা আরবের ইতিহাসে যে প্রথম এবং ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্র গড়ে তুলেছিলো তা অংকুরে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এক বিশাল সামরিক বাহিনী প্রেরন করেছিলো তা ইতিহাসে ইয়ারমুকের যুদ্ধ নামে পরিচিত।এই যুদ্ধে ইকরামা এক অসাধারন ভুমিকা পালন করেছিলেন। ইয়ারমুকের যুদ্ধের এক পর্বে রোমন সেনাবহিনী কাছে মুসলিমরা যখন পরাজয়ের সম্মুখিন হলো ইকরিমা তখন মুসলিমবাহিনীর লোকদের ডেকে বললেন, “কে কে আছো যে মৃত্যুর জন্য বায়াত করবে আমার হাতে”। তার এই আহ্বানে আল হারিস ইবন্ হিশাম, আইয়াশ ইবন্ রাবিয়া সহ চারশো মুজাহিদ তাকবীর ধ্বনি দিতে দিতে এগিয়ে এলো। অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এ দলটি সবাইকে ছাড়িয়ে ঢুকে পড়ল রোমান বাহিনীর একেবারে ভেতরে এবং বীরের মত যুদ্ধ করল প্রতিটি লোক নিজের মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত। এ দলটির দ্বারা রোমান বাহিনীর যে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছিল তা আর তারা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। সেদিন যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার পর দেখা গেল, মুসলিমদের মধ্যে যারা শাহাদাত বরণ করেছে তাদের মধ্যে তিনজন মুমূর্ষু অবস্থায় কাতরাচ্ছেন। এই তিনজন ছিলেন আল হারিস ইবন্ হিশাম, আইয়াশ ইবন্ রাবিয়া এবং ইকরিমা ইবন্ আবু জাহল। ইকরিমার খোঁজ পেয়ে খালিদ বিন ওয়ালিদ (মুসলিম বাহিনীর সেনা প্রধান)তার মাথা নিজ কোলে তুলে নিলেন। তাঁর দুচোখ বেয়ে ক্রমাগত অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিলো। ইকরিমা এবং আল হারিস পানির জন্য ডাকছিলেন। তাঁদের জন্য দ্রুত পানির ব্যবস্থা করা হল। পানি আনার পর আইয়াশ তাঁদের দিকে তাকালেন। তারা বললেন, “এ পানি আইয়াশকে দাও।” আইয়াশের কাছে পানি নিয়ে যাবার পর দেখা গেল তিনি ততক্ষনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে ফেলেছেন। আবার পানি যখন ইকরিমা এবং আল হারিসের দিকে নিয়ে যাওয়া হল, তখন দেখা গেল তাঁরা দুজনও ততক্ষনে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে নিয়েছেন।উপস্থিত মুসলিমদের চোখ আবেগে অশ্র“সজল হয়ে উঠল। তাদের মনে পড়লো ইকরামার অবিশ্বাস্য পরিবর্তনের কথা। একদিন যে লোকটির হাত আল্লাহর কথাকে স্তব্ধ করে দেবার জন্য রক্ত ঝরাতো, আজ তার দেহের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে সে দিয়ে গেছে আল্লাহর জন্য।
বাংলাদেশে বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনলাইনে সাধারনত দুই শ্রেনির নাস্তিক দেখা যায় এক শ্রেনির নাস্তিক হলো মৌসুমি সুবিধাবাদি নাস্তিক যাদের উদ্দেশ্য হলো অনলাইনে ইসলাম বিরোধী লেখা লিখে ইউরোপ এবং আমেরিকায় এসাইলাম হাসিল করা।এদেরকে পরিহার করার মাধ্যমে এদের নোংরা উদ্দেশ্য বানচাল করে দেওয়া উচিত।এদের লেখার প্রতিবাদ করার মানে এদের পরিকল্পনা অর্জনে সহায়তা দেওয়া।আর বিপরীতে যেসব মুসলিম ঘরের ছেলে মেয়ে ইসলাম সম্পর্কে ভুল এবং মনগড়া লেখাপড়ার কারনে নাস্তিকতাকে ভাবাদর্শ হিসেবে গ্রহন করেছে উপযুক্ত যুক্তি এবং কারণ পরিদর্শনের মাধ্যমে তাদের মোকাবেলা করা উচিত।এরজন্য দরকার সঠিক ইসলামিক জ্ঞান এবং ধৈর্য।কে বলতে পারে আজ যে নাস্তিক নিকট ভবিষ্যৎ সে একজন নতুন ইকরামা হিসেবে পরিগনিত হবেনা ?

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশ পেছনে-পড়া একটি জনপদ, এখানে যা ঘটছে তা আঢুনিক বিশ্বে গ্রহনযোগ্য নয়।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

ইকরামা বলেছেন: ইকরামা বলেছেন: এর জন্য প্রয়োজন সঠিক ইসলামিক শিক্ষা এবং জনসচেতনতা।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

গ্রিন জোন বলেছেন: এসাইলাম পাওয়ার জন্য তারা যা করে তার জন্য তাদের শাস্তি হওয়া দরকার।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

ইকরামা বলেছেন: ইকরামা বলেছেন:
তা আইন অনুযায়ি হতে পারে।তবে জনগনের উচিত নয় আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ও আচ্ছা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.